নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুদ্ধ নিয়ে তিক্ত কথাবার্তা

০৯ ই মার্চ, ২০২২ ভোর ৪:৫৪

আমেরিকার বেশ কিছু অফিসে, একদম উচ্চ পর্যায় থেকে ইউক্রেনের জন্য সাহায্য চাওয়া হচ্ছে। টাকা তোলা হচ্ছে, এবং সেই টাকা সাহায্যের জন্য পাঠানো হবে। অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা এ নিয়ে কাজ করছে। সাহায্য চাওয়া হচ্ছে ফেসবুক, ইউটিউবেও।
খুবই ভাল উদ্যোগ। কেন সাহায্য করবো না? মানুষ মরছে, যেখানে আমাদের প্রতি নির্দেশ আছে পশুপাখি এমনকি গাছের জন্য পর্যন্ত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে। এই ধরনের সিচ্যুয়েশনে "কিন্তু" "তবে" ইত্যাদির সুযোগ নেই। ইমার্জেন্সি চলছে। কোথাও কোথাও এক সেকেন্ডের ব্যবধান মানুষের জন্ম মৃত্যুর হিসাব পাল্টে দিচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব, যেভাবে সম্ভব, মানব সৃষ্ট এই দুর্যোগ মোকাবিলায় এগিয়ে আসতে হবে।
এখন আসি মূল প্রসঙ্গে।
রাশিয়ার এই আগ্রাসন একদিকে একটা চরম উপকার করেছে, এবং সেটা হচ্ছে, পশ্চিমা বিশ্ব যে কতটা হিপোক্রেট, সেই মুখোশ একটানে খুলে দিয়েছে। ব্যাখ্যা করা যাক।
ইউক্রেনে রাশিয়া আক্রমন করেছে, বলেছে ওদের নিজেদের নিরাপত্তার কারণেই ওদের এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। যুক্তিও কঠিন। রাশিয়া ন্যাটোকে দেখতে পারেনা, এবং ইউক্রেন লাফাচ্ছে ন্যাটোভুক্ত হবার জন্য। ইউক্রেন যদি ন্যাটোভুক্ত হয়ে যায়, তাহলে রাশিয়া নিশ্চিত আমেরিকা ওদের বর্ডারে এসে মিসাইল তাক করে উশখুশ করবে। ব্যাপারটা অনেকটা সেরকম, যদি রাশিয়া কিউবায় এসে আমেরিকার দিকে মিসাইল তাক করে বসে থাকে। কোন দেশই চায় না ওর শত্রুপক্ষ ওর বাড়ির সীমান্তে অস্ত্র গোলাবারুদ সহ উপস্থিত হোক। কিউবা, ক্যানাডা বা ম্যাক্সিকো যদি রাশিয়ার সাথে হাত মেলায়, এবং এই কাজ করে, তাহলে আমেরিকাও ওদের কোলে তুলে বুঝাতে যাবে না। কয়েক দিনের মধ্যেই বোমা ছুড়াছুড়ি শুরু করবে। সাম্প্রতিক অতীত দেখা যাক। নাইন ইলেভেনের জের ধরে আফগানিস্তান হামলা হলো। অনেক জটিল ছিল সে যুদ্ধ, কারন আফগানরা ল্যান্ডলকড একটা দেশ। ম্যাপে দেখেন, ওদের চারদিকেই এমন সব দেশ, যাদের সাথে আমেরিকার প্রেম ভালবাসার সম্পর্ক নেই। তারপরেও পাকিস্তানকে ব্যবহার করে আফগানদের আক্রমন করে আস্ত দেশ ধ্বংস করে "শত্রুদমন" বা "প্রতিশোধ" যেটাই হোক, নেয়া হয়েছে। লাখে লাখে মানুষ হত্যা করা হয়েছে, এবং আস্ত দেশই গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, যা সেরে ওঠা হয়তো আগামী একশো বছরেও সম্ভব হবেনা। তবে এই যুদ্ধের পেছনে একটা যৌক্তিক কারন অন্তত ছিল। যারা নাইন ইলেভেনের হামলায় জড়িত, ওদের আশ্রয় দিয়েছে আফগানিস্তান।
কিন্তু এরই জের ধরে বেহুদা ইরাক আক্রমন করার মানে কি ছিল? "ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র আছে" দাবি তুলে আরেকটা দেশ ধ্বংস করে দিল। তারপরে যখন প্রমান হলো যুদ্ধটা অন্যায় হামলা ছিল, তখন সুর পাল্টে গেল, "আমরা একজন স্বৈরশাসক থেকে ইরাকবাসীকে মুক্তি দিয়েছি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি। সাদ্দাম কুব খ্রাপ, আমরা বালু।" গোটা দুনিয়া জানে সাদ্দামের সময়ে ইরাকের সাধারণ নাগরিকের জীবন কি ছিল এবং এখন কি হয়েছে।

কথা হচ্ছে, রাশিয়া এবং আমেরিকা - দুইজনই কি নিজের পেশিশক্তির অপব্যবহার করলো না? রাশিয়ার যুদ্ধ সফল হোক, চায়নাও তাইওয়ান দখল করে নিবে দেখবেন। রাশিয়াও তখন বিপুল উৎসাহে সোভিয়েৎ যুগের অন্যান্য অঞ্চল পুনরুদ্ধারে মনোযোগ দিবে। "জোর যার, মুল্লুক তার" - কথাটা আদি ও অকৃত্রিম। যারই হাতে শক্তি ও ক্ষমতা থাকে, সেই লোভী হয়ে যায়। সাধারণ মানুষের জীবনের মূল্য ওদের কাছে শূন্য।
এই কথার জের ধরেই আসা যাক দ্বিতীয় পয়েন্টে।
ইউক্রেনীয়দের জন্য গোটা পশ্চিমা পৃথিবী কাঁদছে। ওদের শরণার্থীদের অভ্যর্থনা জানাচ্ছে প্রতিবেশী দেশগুলো। একদম গরম কফির মগ হাতে নিয়ে, পারলে লাগেজটাও টেনে আনছেন সবাই। খুবই ভাল এবং এইটাই হওয়া উচিৎ। মানুষের বিপদে এইটাই মানুষের স্বাভাবিক আচরণ হওয়া উচিৎ। কিন্তু এই ঘটনার একটু গভীরে যেতেই মানুষের কুৎসিততম রূপটা বেরিয়ে আসে। লক্ষ্য করেছেন, প্রথমদিকে যেসব শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়া হচ্ছে, সেখানে সবাই শ্বেতাঙ্গ? কোন কৃষ্ণাঙ্গ, তামাটে বা হলুদ চামড়ার কেউ নাই। অথচ ইউক্রেনে কি ধবধবে সাদা চামড়ার মানুষ ছাড়া আর কারোর বাস নেই? পৃথিবীর এমন কোন দেশ খুঁজে পাওয়া যাবেনা যেখানে ইন্ডিয়ান বা চাইনিজ কেউ থাকেনা। ইউক্রেনেও আছে। কিন্তু ভিডিওতে দেখলাম যখন শহর ছেড়ে পালানোর জন্য লোকজন ট্রেনে উঠতে শুরু করেছে, তখন খুব নির্মমতার সাথে অশ্বেতাঙ্গদের ধাক্কা দিয়ে বাঁধা দেয়া হচ্ছে। সাদা চামড়ার লোকজন বোঝাই করে ট্রেন যখন চলে গেল, স্টেশনে পড়ে রইলো কেবল কালো আর "ইন্ডিয়ানরা।" সেই আদম (আঃ) হাওয়া সৃষ্টির যুগ থেকে যে বর্ণবাদের সূচনা করেছিল ইবলিস শয়তান, তা আজও চলছে, এবং কেয়ামত পর্যন্ত চলতেই থাকবে। "মানুষ মানুষের জন্য" কথাটা মিথ্যা। মানুষ কেবলই নিজের জাতের জন্য। সিরিয়ান রিফিউজিদের এই ইউরোপই ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছিল। ২০১৫ সালে তিন বছরের আলান কুর্দির মৃতদেহের ছবি আমি জীবনেও ভুলতে পারবো না। ওর অপরাধ ছিল একটাই, ও অশ্বেতাঙ্গ।

গোটা পশ্চিমা বিশ্ব এখন দখলদার রাশান বাহিনীর বিরুদ্ধে সোচ্চার। আমেরিকা ও ইউরোপ বেশ শক্ত পদক্ষেপ নিয়েছে ওদের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেয়ার লক্ষ্যে। সম্মুখ যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জেতা সম্ভব, কিন্তু সেটা আস্ত মানবজাতিকেই ধ্বংস করে দিবে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে। আইনস্টাইনের সেই মহান বাণী সত্য হবে, "আমি জানিনা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কি দিয়ে লড়া হবে, তবে এ জানি যে চতুর্থ বিশ্বযুদ্ধের মূল হাতিয়ার হবে লাঠি আর পাথর।"
মানে হচ্ছে, আধুনিক সভ্যতা পেতে মানুষের যে হাজার বছরের সংগ্রাম ও পরিশ্রম, তা গুড়িয়ে দিতে যথেষ্ট পরিমান অস্ত্র এখন রাশিয়া ও আমেরিকার কাছেই আছে। শুধু একটা বাহানার প্রয়োজন, এবং সবাই খতম।
তা, দখলদার রাশিয়ার বিরুদ্ধে সবার এত এত পদক্ষেপ, কিন্তু আধুনিক বিশ্বের সবচেয়ে বড় দখলবাজ ইজরায়েলের বেলায় সব কবি এত নীরব হয়ে যান কেন? সাত দশক ধরে ফিলিস্তিনিরা নিজেদের স্বাধীনতার জন্য লড়ছে, ওদের মানচিত্রই পৃথিবীর বুক থেকে হারিয়ে গেছে, কারোর কোনই ভ্রুক্ষেপ নেই। সেদিনই, মেরাজের রাত্রি উপলক্ষে আল আকসা মসজিদে মুসলিমরা গিয়েছিল নামাজ পড়তে, ওদের উপর ইজরায়েলি বাহিনী নির্লজ্জ হামলা চালালো। একটি শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী মেয়ের উপর স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করলো। গুলি ছুড়লো। বীর ইজরায়েলি পুলিশ বাহিনী ছোট ছোট নিরস্ত্র শিশু ও মেয়েদের ধরে ধরে মারধর করলো। নিরস্ত্র যুবকের মুখ মেঝেতে ঘষে দিল। সবই মাত্র কয়েক দিন আগের ঘটনা। কিন্তু গোটা বিশ্বের কাছে ইজরায়েল সেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভিকটিম কার্ড প্রদর্শন করে এখনও অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
আমি নিজে এমন এক দেশে থাকি যেখানে সামনাসামনি এই দুর্যোগের শিকার ফিলিস্তিনিদের দেখি। ওদের কণ্ঠে ওদের দুরবস্থার কথা শুনি। কি হয় সেখানে জানেন? ধরেন আপনি আপনার নিজের বাড়িতে বাস করেন। বাড়িটা সেই ১৯৩০ সালে আপনার দাদার বাবা নির্মাণ করেছিলেন। পৈতৃক সূত্রেই বাড়িটি আপনার সম্পত্তি। ঢাকা শহরে এ ছাড়া আর কিছুই নেই আপনার। হঠাৎ সরকার সিদ্ধান্ত নিল, আপনার বাড়িতে এখন একটি রোহিঙ্গা/বিহারি পরিবার থাকবে। সরকারের বলার প্রয়োজনও হয়নি, একদিন হঠাৎ করেই দেখেন যে গাট্টি বস্তা সহ একটি রোহিঙ্গা/বিহারি পরিবার আপনার দরজায় দাঁড়িয়ে আছে। আপনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওরা হুড়মুড় করে ঢুকে আপনার মাস্টার বেডরুম, ড্রয়িংরুম এবং কিচেনের দখল নিয়ে নিল। আপনার হাতে কিছুই নেই। আপনাকে নিজের বাড়িতেই আশ্রিতের মতন থাকতে হবে। যদি না চান, তাহলে পরিবারসহ রাস্তায়।
রোহিঙ্গা পরিবার যদি দয়া না করে, তাহলে আসলেই তার অধিকার আছে আপনার ফার্নিচার এবং পরিবারকে রাস্তায় ছুড়ে ফেলার। আদালতে যাবেন, কিন্তু দেশের সরকারই যদি আপনার বিরুদ্ধে হয়, তাহলে আদালত কি করতে পারে?
আপনি একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে যাবেন, আপনাকে পেটানো হবে। আপনি ছাব্বিশে মার্চ স্মৃতি সৌধে যাবেন, আপনাকে পেটানো হবে। আপনি ষোলোই ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালন করতে পারবেন না। আপনাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়বে। আপনি জবাবে পাথর ছুড়লে সেটাই মিডিয়াতে প্রচার করবে যে আপনি সন্ত্রাসী, আপনি নির্যাতিত নিপীড়িত রোহিঙ্গা/বিহারিদের বাঁচার অধিকার, স্বাধীনতার অধিকার ক্ষুন্ন করছেন।

ঠিক এইটাই ঘটছে ইজরায়েলের দখলকৃত ভূখণ্ডে। হাজার বছর ধরে সেই অঞ্চলে বাস করা ফিলিস্তিনিদের ঘর থেকে বের করে দিচ্ছে, অথবা জোর করেই ওদের বাড়িতে উঠে যাচ্ছে ইজরাইলিরা। বাড়ি ঘর হারানো লোকজন ভাগ্যবান হলে বিশ্বের অন্যান্য দেশে স্থান পাচ্ছে। নাহলে কিছু মানুষদের দেখা যায় নিজেরই বাড়ির সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে উদাস চোখে তাকিয়ে থাকতে। এক মহিলা নিজের দুরবস্থা জানাতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। মুহূর্তেই বলেন, আমি এই কারনে কাঁদছি না যে আমি দুর্বল। আমার কান্না আসে কারন আমরা একটি অন্যায় সিস্টেমের বিরুদ্ধে লড়ছি, যেখানে ন্যায়ের অস্তিত্বই নেই।
তাঁদেরকে সভ্যভাবে বিচার দিতে হলে বিচার দিতে হয় ইজরায়েলি আদালতেই। সেখানে কেমন বিচার হয়, অনুমান করে নিন।
তাই অসহায় মানুষ পরমকরুণাময়ের কাছে বিচার দেন, তিনি সর্বশ্রোতা, সবকিছুই শোনেন, তবে কবে সাহায্য পাঠাবেন, সেটা তিনিই ভাল জানেন। তাঁর পরিকল্পনা কি, সেটা আমাদের পক্ষে বোঝা অসম্ভব। আমরা শুধু ওদের কষ্ট অনুভব করার চেষ্টা করতে পারি।
তাও সবাই করে না। আফসোস করি এবং অবাক হই এই দেখে যে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার পক্ষে আমেরিকান ইহুদিরা নিজের ইউরোপিয়ান জাত ভাইদের বিরুদ্ধে গিয়ে সোচ্চার অবস্থান নেন, সেখানে আমাদের বাংলাদেশেরই অনেক মুসলিম আমাকে শোনায় "আপনি আবেগ দিয়ে ভাবছেন, প্র্যাকটিক্যাল হবার চেষ্টা করেন।" ভাইরে, যে লোকটা গৃহহীন হয়েছে, বা যে নারী সন্তানহীন হয়েছে, সে আমার সামনে কেঁদেছে। তোমার সামনে না। আমার জীবনের সফলতা এইটাই, তোমার মতন স্বার্থপরভাবে চিন্তাভাবনা করতে শিখি নাই।

তা ইউক্রেনও রাশিয়ার সাথে এই অসমযুদ্ধে জিতবে না। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে। প্রচুর মানুষ মারা যাবে। রাশিয়া দখল করার পরে একটা গ্রূপ অবশ্যই থাকবে যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। ওরা সংগ্রাম চালিয়ে যাবে। বছরের পর বছর। ওদেরকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করবে আমেরিকা, ইউরোপ, কিন্তু কখনই যুদ্ধে জড়াবে না। ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসার জন্য অর্থ সাহায্য চাওয়া পোস্টে "লাইক ও শেয়ার দিয়ে পাশে আছি"র মতন ঘটনা।
তবে একটাই সুখের কথা, পশ্চিমা বিশ্ব এই সংগ্রামকে "সন্ত্রাসবাদ" বলবে না। বলবে "মুক্তিযুদ্ধ।"

অনেক তিক্ত কথা বলে ফেললাম। শেষে এসে আবারও মনে করিয়ে দেই, ইউক্রেনবাসীর জন্য সাহায্য চাওয়া সংগঠনে অবশ্যই সাহায্য করুন। যেভাবে পারেন, সেভাবে এগিয়ে আসুন। যুদ্ধ বন্ধের জন্য আপনার পক্ষে যদি একটি ফেসবুক পোস্ট, একটি হ্যাশট্যাগ, একটি যুদ্ধবিরোধী র্যালিতে অংশগ্রহন সম্ভব হয়, তবে সেটাও করুন। কারন প্রতিটা দিনে সেখানে কেউ না কেউ মরছে। আজকেই খবরে পড়লাম রাশানরা একটি হাসপাতালের ম্যাটারনিটি ওয়ার্ডে বোমা ফেলেছে। মারা গেছে গর্ভবতী নারী ও তাঁর পেটের সন্তান। কি নির্মম! কি নিষ্ঠুর! যুদ্ধ মানেই অমানবিকতা, অমানুষিকতা। অনেকেই দানব হতে পারে, ওদের কাছে সাদা কালো চামড়ার মানুষে, খ্রিষ্টান, মুসলিম বা অন্য ধর্মের মানুষে ভেদাভেদ থাকতে পারে কিন্তু আপনিতো মানব। আপনি আপনার মানবিক দায়িত্ব পালন করে যান।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:০২

বিটপি বলেছেন: আমাকে কেউ বুঝাবেন, রাশিয়া কেন তার পেট থেকে বের হওয়া এস্তোনিয়া, লাটভিয়া আর লিথুনিয়াকে ন্যাটোর সদস্য হতে দিল? তখন কেন আগ্রাসন চালায়নি? কেবল ইউক্রেনের ব্যাপারেই কান তার নিরাপত্তার অজুহাত তুলতে হল?

০৯ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৯:২০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: অনেক কারন আছে। শুধু রাজনৈতিকই না, অর্থনৈতিকও কারন আছে। অনলাইনেই বিশ্লেষণ পাবেন।

২| ০৯ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:১৭

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: ইউক্রেনে অবস্থানরত অশ্বেতাংগ লোকদের উচিত রাশিয়ানদের সাথে হাত মিলিয়ে তাদেরকে ইউক্রেন দখলে সহায়তা করা।

৩| ০৯ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: পুতিনের জয়ের ফলে বিশ্ব আবারো দুই বলয়ে ভাগ হবে। তবে, এবার আর রাশিয়া একা থাকবে না। একদিকে চীন-রাশিয়া বলয় অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র-ইইউ বলয়। ইউএসএ রাশিয়াকে আরো কোনঠাসা করার জন্য নিরন্তর কাজ করে চলছে। সহসা যুদ্ধ অবসান হবে বলে মনে হয়না।

০৯ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৯:১৯

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: যুদ্ধ কোনকালেই শেষ হবেনা। মানুষের লোভের শেষ নেই। কাজেই, মানুষ নিজে শেষ না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলতে থাকবেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.