নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
সেদিন ডালাস এয়ারপোর্টে এক সিকিউরিটি অফিসারের সাথে সিরিয়াস ঝগড়া হয়ে গিয়েছিল। এমনিতে আমি আমেরিকান পুলিশদের প্রচন্ড ভালবাসি। দারুন সম্মান করি। এদেশে কেউ নতুন আসলে প্রথম পরামর্শ যা আমি দেই, তা হচ্ছে, "পুলিশ তোমার পরম বন্ধু।" যেকোন বিপদে ওরা আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়। এবং কথাটা সত্য।
এই বিশ্বাসটা আমার ভেঙ্গে গেল রব এলিমেন্টারিতে শুটিংয়ের ঘটনায়। একটা হারামজাদা রাইফেল হাতে ঢুকে এক দেড় ঘন্টা ধরে অসহায় শিশু ও তাঁদের শিক্ষিকাদের গুলি করে মারলো, অথচ আমাদের সবচেয়ে প্রিয় ও বিশ্বস্ত বন্ধু, "good men with guns" বাইরে দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট করলেন।
প্রথম যখন এই অভিযোগ উঠলো, ভাবলাম হয়তো ইমোশনাল প্যারেনস্টদের অভিযোগ, সত্যতা কম, আবেগ বেশি। পরে পুলিশ নিজেই স্বীকার করে স্টেটমেন্ট দিল। এরপরে আর কার উপর ভরসা থাকবে বলেন? বন্দুকের পক্ষের লোকেরা যুক্তি দেয়, বদমাইশ বন্দুকধারীদের রুখতে হলে প্রচুর ভালমানুষ বন্দুকধারীর প্রয়োজন। প্রতিদিন আমেরিকায় মাস শুটিংয়ের ঘটনা ঘটছে, কোথাওতো দেখিনা "ভালমানুষ" বন্দুকধারীরা এগিয়ে এসে জনতাকে উদ্ধার করতে। সবাই সেই পুলিশের ভরসাতেই থাকেন। আর সেই পুলিশরাই কিনা এমন কাপুরুষোচিত আচরণ করলো!
তা আমার ফ্লাইট মিস হয়ে যাচ্ছিল সেদিন। এয়ারপোর্টে প্রচন্ড ভিড় ছিল। আমি লাইনে দাঁড়ানো লোকজনকে বললাম যে আমার ফ্লাইট ছুটে যাচ্ছে, আমাকে কি একটু আগে যেতে দেয়া যাবে?
লোকজন কোনই ঝামেলা করলেন না। এগিয়ে যেতে দিলেন। এক সিকিউরিটি অফিসার তখন "নিয়মানুবর্তী" হয়ে গেলেন।
"না! তুমি আগে যেতে পারবে না।"
বললাম যে আমার ফ্লাইট ছুটে যাচ্ছে।
সে বলল, "সেটা আমার মাথা ব্যথা না। তুমি আগে যেতে পারবে না।"
মুখ ফস্কে বলতে গিয়েছিলাম যে ব্যাটা! তোদের বীরত্ব কেমন সেটা বাচ্চাদের শুটিংয়ের সময়ে দেখা হয়ে গেছে। এখানেই তোদের সব মাতবরি।
তবে তার আগেই আমার শারীরিক ভাষা দেখে সে বলল, "তুমি শান্ত হও! নাহলে তোমাকে আমি লাইন থেকে সরিয়ে দেব।"
যাই হোক। সেদিন ফ্লাইট মিস হলো এবং এই অফিসারকে জুতাতে ইচ্ছা করছিল। ফ্লাইট মিসের চাইতেও বড় নেপথ্য কারন মাথার মধ্যে তখনও ঘুরছে দেড়টা ঘন্টা পুলিশ অফিসাররা বাইরে দাঁড়িয়ে বাচ্চাদের মরতে দিয়েছিল। দুয়েকজন প্যারেন্টস নিজ উদ্যোগে কাউকে কাউকে উদ্ধার করতে পারলেও এই সময়টা উনারা নিষ্ক্রিয় ছিলেন।
এখন দেশের পরিস্থিতি নিয়ে কিছু কথা সরাসরি বলবো, অনেকের কাছেই তিক্ত লাগতে পারে, কিন্তু এখন না বললে কখনই বলা হবেনা। এখনই শিখতে হবে, নাহলে পরেরবার একই ঘটনা আবার ঘটবে।
একদিন সকালে ইউনিভার্সিটি যাচ্ছি। দেখি রাস্তায় প্রচন্ড ভিড়। এতটাই যেন ব্রাজিল আর্জেন্টিনা লাইভ ম্যাচ চলছে। উঁকি দিয়ে দেখি গুলশান লেকে মাছ ধরা হচ্ছে, এতেই লোকজন কাজকর্ম ফেলে সেই তামাশা দেখছে।
এক্সক্যাভেটর দিয়ে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। এতেও দেখি লোকজনের উপচে পড়া ভিড়।
কোন সাদা চামড়ার "বিদেশী" পথে হেঁটে যাচ্ছে। লোকজন সবাই হা করে তাকিয়ে তাঁকে দেখছে।
এমনকি সিলেটের সূর্যদীঘল বাড়িতে বাংলাদেশের কুখ্যাত সন্ত্রাসী শায়খ আব্দুর রহমানকে র্যাব ঘিরে ফেলেছে, সেই বিপজ্জনক বাড়িকেও ঘিরে ফেলেছে উৎসুক জনতা। বিডিআর বিদ্রোহের সময়ে আর্মি অফিসারদের উপর গুলি চালাচ্ছে কিছু পথভ্রষ্ট বদমাইশ বিডিআর সেনা, আর্মি ঘিরে ফেলেছে বিডিআর হেড কোয়ার্টার - এমন যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও উপস্থিত উৎসুক জনতা। হাজারে হাজার তাঁদের সংখ্যা।
আমাদের দেশের মানুষের আসলেই চিত্তবিনোদনের অভাব। কাজেই কোথাও আগুন লাগলে লোকজন সেটা ঘিরে তামাশা দেখবে, সেটাই স্বাভাবিক। এখন সবার হাতে ফোন থাকায় সবাই লাইভ ভিডিও করবে।
ঠিক এই সময়ে বিস্ফোরণ ঘটলো। বহু মানুষ মারা গেলেন। সংখ্যা এতটা বাড়তো না যদি না "উৎসুক জনতা" আগে থেকেই নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতেন।
তারচেয়ে বড় কথা, যতদূর শুনলাম, ডিপোর পাশেই নাকি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। আমাদের দেশটা ছোট এবং জনসংখ্যা অসীম। সেখানে "ঘনবসতিপূর্ণ" এলাকা না পাওয়াটাই কঠিন। কিন্তু তারপরেও, এমন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার পাশে রাসায়নিক দাহ্য জমা করে রাখার "অনুমতি" এই ডিপোর মালিক কিভাবে পেলেন? পেলেনই যখন, তখন এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে উনাদের প্ল্যান এ, বি, সি ইত্যাদি কি কি পরিকল্পনা ছিল? এই আধুনিক যুগে, বিশ্বের যেকোন উন্নত দেশে যেকোন কিছু কিনতে গেলে লেবেলে দেখবেন ওয়ার্নিং দেয়া থাকে। বাচ্চাদের থেকে দূরে রাখতে, মুখে না দিতে, চোখে লাগলে কি করতে ইত্যাদি ইত্যাদি। সেখানে এত বড় একটি ডিপো, যেখানে এত বিপুল পরিমানে রাসায়নিক দাহ্য জমা রাখা হয়, ওদের নিশ্চই কোন পরিকল্পনা থাকবে আগুনের ব্যাপারে।
তারও আগে ধরেন আমাদের ফায়ার সার্ভিসের বিষয়টা। দেশ স্বাধীন হয়েছে পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে গেছে। কোটি কোটি টাকা কামানো শেষ। প্রতি বছর কোটি কোটি ডলার বিদেশেও পাচার হয়ে যাচ্ছে। তারপরেও আমাদের ফায়ার ব্রিগেডের পেছনে কত টাকা খরচ করা হয়? প্রতি বছর বড় বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। তাঁদের নিজস্ব হেলিকপ্টার বা আধুনিক ইকুইপমেন্ট কতটা আছে? পঞ্চাশ-একশো কোটি টাকা আমরা নিম্নমানের ট্রেলারের (সিনেমা এখনও বের হয়নি, তবে মর্নিং শোজ দ্য ডে) পেছনে খরচ করি, ফায়ার ব্রিগেডকে শক্তিশালী করতে আমাদের উদ্যোগ কি? দেশের কয়টা অঞ্চলে ফায়ার হাইড্রেন্ট আছে? লোকজন বলছেন কেমিক্যাল পোড়ার কারনে প্রচুর সমস্যা হচ্ছিল, চোখ জ্বালা করছিল, নিঃশ্বাসে সমস্যা হচ্ছিল, আচ্ছা - গ্যাস মিটারতো সস্তা, দেশি টাকায় বিশ হাজারের নিচে হবার কথা, সেটা কি ছিল না তাঁদের হাতে? পানি ধরায়ে দিয়ে বলা হলো "যাও বান্দা! আল্লাহ ভরসা!"
এবং কে না জানে যে সোডিয়াম বা পটাশিয়াম সৃষ্ট আগুনে পানি ঢাললে বিস্ফোরণ ঘটে? তাঁদেরকে জানানোর প্রয়োজনও বোধ করেনি মালিকপক্ষ? ওরা নিজেরাও কি জানে সেসব কেমিক্যাল সম্পর্কে? আবারও ব্যাক টু বেসিকস। রাসায়নিক দাহ্য মজুদ রাখার সময়ে কারোরই কি মাথায় আসলো না আগুন লাগলে কিংবা ঝড় তুফান হলে বা যেকোন দুর্যোগে আমাদের করণীয় কি? নাকি সবাই শুধু টাকার অংকটা ভেবেই খুশিতে গদ গদ ছিল?
যেকোন দুর্ঘটনাই মানব সৃষ্ট দুর্ঘটনা। নিতান্ত বেকুব আহাম্মক না হলে কেউ একে act of God হিসেবে চালানোর চেষ্টা করবে না, এবং সেটা মেনে নিবে না। ভূমিকম্প হবে জেনেও আপনি দুর্বল ফাউন্ডেশনের উপর বাড়ি বানালেন। সিমেন্টে বালুর পরিমান বেশি দিলেন। রডের পরিমান কম দিলেন। আপনার বাড়ি ধ্বসে পড়লো। আপনি কান্নাকাটি করলেন "হে আল্লাহ, এইটা তোমার কেমন বিচার?"
তোমাকে আল্লাহ বলেছিলেন দুর্নীতি করতে? উল্টা তিনি যা বলেছিলেন, বাটপারি না করতে, সেটাইতো তুমি মান নাই।
কেউ যদি নামাজে দাঁড়িয়ে যায়, এবং ওর সামনে সে দেখে একটি বিষাক্ত সাপ বা বিচ্ছু হাঁটাহাঁটি করছে, ইসলামিক নির্দেশ হলো নামাজ ভেঙ্গে সেই সাপ বা বিচ্ছুর ব্যাপারে ব্যবস্থা নিয়ে তারপরে নামাজ শেষ করা। যুদ্ধের সময়েও আছে "সালাতুল খওফের" নির্দেশনামা। সেখানে আপনি আগুনের লাইভ ভিডিও শুরু করে দিলেন। বাড়ি ঘর ছেড়ে ভিড় করলেন আগুন জ্বলছে কেমন সেটা দেখতে। কিছু বেকুব সাংবাদিক বেরিয়ে আসা ট্রাক ড্রাইভারদের থামিয়ে থামিয়ে ইন্টারভিউ নিচ্ছে। আরে ভাই, ওদের আগে বেরোতে দে, আগুন নিভুক, ইন্টারভিউ পরে নে। এখনই কিসের তাড়া?
যেকোন বড় বিপদের আগে ছোট ছোট বিপদ ঘটে যেন আমরা সাবধান হতে পারি। পুরান ঢাকায় আগুন লাগলো, প্রচুর মানুষ মরলো, কেমিক্যাল মজুদের কারণেই ঘটলো। আমরা দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পরিবর্তিতে এমনটা যেন না ঘটে সেই প্রস্তুতি নেয়ার বদলে "act of God" বলে আল্লাদিপনা শুরু করে দিলাম। কেমিক্যাল মজুদ হলো ডিপোতে, আগুন লাগলো, বিরাট বিস্ফোরণ ঘটলো এবং প্রচুর মানুষ মারা গেলেন। আমরা এখনও আল্লাদিপনা করে যাচ্ছি। ভাইরে, সামনে যদি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগুন লাগে, তখন? আমাদের প্রস্তুতি আছেতো? ফায়ার ব্রিগেডকে যথেষ্ট ট্রেনিং দেয়া হয়েছেতো সেই আগুন কিভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে? আশেপাশের এলাকার জনতাকে সাবধান করা হয়েছেতো যদি আগুন লাগতে দেখে তখন তাঁরা কি করবেন? নাহলে দেখা যাবে নিরাপদ দূরত্বে বা বাংকারে ঢুকার পরিবর্তে ক্যামেরা চালু করে লাইভ ভিডিও করা শুরু করে দিয়েছেন। এবং তারপরেই পারমানবিক বিস্ফোরণ!
কিছু চেতনা ব্যবসায়ী আসবে ট্যাগ দিতে যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নির্মিত বুলশিট ট্রেলারের সমালোচনা কেন করলাম তা নিয়ে ত্যানা প্যাঁচাতে। আরে ভাউ, প্রায়োরিটি বুঝার চেষ্টা করো। বঙ্গবন্ধুর নামকে অবিস্মরণীয় করে রাখতে হলে তাঁর নামেই ফায়ার ব্রিগেডের আরও ওয়েল ইকুইপড একটি বাহিনী তৈরী করো। পুলিশ, সেনা, নৌ ইত্যাদি মিলিয়ে যেমন র্যাব করা হলো, তেমনই কিছু। যাদের হাতে থাকবে বিশ্বের আধুনিকতম সরঞ্জাম, উন্নত ট্রেনিং, চৌকষ সব অফিসার। যাতে আরও বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা হয়। ওদেরওতো জীবনের মূল্য আছেরে ভাই। ওদেরও ঘর পরিবার আছে। এতজন মারা গেলেন, সবাই শুধু শোক জানিয়েই খালাস। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন হলেই বা কি? এতিম শিশুদের ফিরিয়ে দিতে পারবেন তাঁদের বাবাদের? ওদের যে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হলো, সেই বিষয়টা আর কতবার ঘটবে?
আমি এখন খুবই ইমোশনাল আছি। রব এলিমেন্টারির শুটিংয়ের পরপর এখন ফেসবুকে লাইভ বিস্ফোরণের ভিডিওটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারছি না কিছুতেই। অনেক কটু কথা (এবং আমার বিশ্বাস সত্য কথা) বলে ফেললাম। যদি একটু হলেও কাজ হয়!
দয়া করে নিজের প্রাণ বাঁচান। অন্যের প্রাণও তখন বাঁচবে।
০৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১:১৭
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ভয় পাওয়টাই স্বাভাবিক।
২| ০৭ ই জুন, ২০২২ ভোর ৬:০৮
বেবিফেস বলেছেন: আমার ও তাই। শিরোনাম দেখে বুকের মধ্যে মোচড় দিয়ে উঠলো। ভালো লিখেছেন।
৩| ০৭ ই জুন, ২০২২ সকাল ১০:৫৪
জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।
৪| ০৭ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:২২
আহমেদ জী এস বলেছেন: মঞ্জুর চৌধুরী,
অপ্রিয় সব সত্য কথাগুলোই বলে গেছেন।
ঠিক বলেছেন - বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ট্রেলার নির্মানের চেয়ে তার নামে ফায়ার ব্রিগেডের একটি ওয়েল ইকুইপড বাহিনী তৈরী ঢের বেশী প্রয়োজন প্রায়োরিটি হিসেবে।
যদি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগুন লাগে, তখন কোনও ট্রেলার দেখার জন্যে কোনও আম পাবলিক বেঁচে থাকবেনা।
৫| ০৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:১১
রাজীব নুর বলেছেন: মনে হচ্ছে আপাতত সরকার ব্যস্ত পদ্মাসেতু আর মেট্রোরেল নিয়ে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: শিরোনামটা দেখে ঘাবড়ে গেছি। ভয় লাগছে।