নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বয়কট আমির খান?

১৮ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:০০

বলিউড মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চনের তখন ঘোরতম দুর্দিন। অভিনয় ছেড়েছেন, ফিল্ম প্রোডাকশন কোম্পানি তেমন কিছু করতে পারছে না। দেউলিয়া হতে চলেছেন, তাই আবারও সিনেমায় নায়ক হিসেবে ফেরত এসেছিলেন। তরুণী নায়িকাকে যে ব্যক্তির পিতার ভালবাসা দেয়ার কথা, সে পতির ভালবাসা দেয়ার চেষ্টা করছে - এমন অস্বস্তিকর দৃশ্য ফিল্মের দর্শক মেনে নিতে পারেনি। একের পর এক সিনেমা ফ্লপ হতে থাকে।
অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। টিভি বিজ্ঞাপন শুরু করেন। সাবান, তেল, মলম ইত্যাদি সবকিছু বিক্রির মডেল তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় ছোটপর্দার অনুষ্ঠান “কৌন বানেগা ক্রোরপতি” অনুষ্ঠান সঞ্চালনার কাজ শুরু করেন। এতেই বাজিমাত। ছোটপর্দাকে তিনি বড়পর্দার চাইতেও বেশি মর্যাদাশীল বানিয়ে দিলেন। অনুষ্ঠানটি এতই হিট করে যে রাত নয়টা বাজার সাথে সাথে গোটা ভারতের রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যেত। বাংলাদেশেরও তাই। মানুষজন একটা করে প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিচ্ছেন, আর লাখ লাখ টাকা কামিয়ে ফেলছেন, এই বিষয়টাই সাধারণ টিভি দর্শকদের এক অদ্ভুত ফ্যান্টাসির জগতে নিয়ে গেল। বুদ্ধিমান প্রোডিউসাররা সহজেই বুঝে গেল সফল অনুষ্ঠান বানানোর ফর্মুলা। রিয়েলিটি গেম শো, যেখানে অংশগ্রহনকারীরা প্রচুর টাকা কামাতে পারবেন। কে না চায় পয়সা কামাতে? টিভি গেমশো তাঁদেরকে সেই স্বপ্নপূরণের হাতছানি দিতে শুরু করে। সঞ্চালনার জন্য নিয়োগ পেতে থাকেন বড় বড় মেগাস্টারগন। শাহরুখ খান, সালমান খান, গোবিন্দ সবাই নাম লেখালেন। প্রস্তাব গেল আমির খানের কাছেও। আমিরও সিদ্ধান্ত নিলেন টিভি অনুষ্ঠান করবেন। তবে গেম শো করার ব্যাপারে তাঁর মন সায় দিল না। তিনি এমনকিছু করতে চান যা সমাজে ইম্প্যাক্ট ফেলবে।
তাঁর আইডিয়ার কথা শেয়ার করলেন। লোকজন আগ্রহী হলো না। মানুষজন সারাদিন কাজ শেষে বাড়ি আসে বিশ্রাম নিতে, টেনশন দূর করতে হালকা কমেডি, মশলাদার কিছু দেখতে চায়, দূরের কোন কাল্পনিক পৃথিবীতে ক্ষনিকের জন্য হারিয়ে যেতে চায়, যেখানে সবাই সুখী।
আমির সেখানে পরিকল্পনা করছে সবাইকে বাস্তব পৃথিবীর কুৎসিততম রূপ, যা আমরা দেখেও না দেখার অভিনয় করি, মনে মনে কামনা করি যাতে আপনাতেই ঠিক হয়ে যায়, প্রার্থনা করি, আমার নিজের উপর যেন তার প্রভাব না পড়ে; আমির সেখানে বলার চেষ্টা করছেন আপনাতেই তা সারবার নয়, আমার আপনার উপর এর প্রভাব পড়বেই এবং যদি আমরা প্রতিরোধে ভূমিকা পালন না করে নীরব থাকি, এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করি, তবে এর পক্ষে কাজ করা হবে।
সাধারণ হিন্দি ভাষায় “বোহাত হি পাকাউ প্রোগ্রাম হ্যায়।”
কেউ কেউ আমিরের উপর ভরসা রাখলেন। মিস্টার পারফেকশনিস্ট বলে কথা!
স্টার প্লাস ও দূরদর্শনে শুরু হলো “সাতইয়ামেভ জায়াতে।”
এবং শুরুর পর্বেই গোটা উপমহাদেশকে তিনি কাঁদিয়ে ছাড়লেন। কন্যা ভ্রুন হত্যার মতন জঘন্য পাপকে ভারতবাসী সামাজিক প্রথা বানিয়ে ফেলেছিল। ভিকটিমদের সাক্ষাৎকারগুলি সমাজের মুখে তীব্র কষাঘাত করে। হাউমাউ করে কেঁদে উঠেন টিভির দর্শক। অনেকেই উপলব্ধি করেন কতটা জঘন্য অপরাধে তাঁরা লিপ্ত ছিলেন। কত লাখো কন্যা শিশুর প্রাণ সেই এক পর্বের মাধ্যমে রক্ষা হলো সেই হিসাব কোন মানুষের পক্ষে রাখা সম্ভব?
দ্বিতীয় পর্বে তিনি এলেন আরও একটি মহাগুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে। শিশু যৌন নিপিড়ন। আপন পরিবারের সদস্য দ্বারা ভারতবর্ষে কোটি কোটি শিশু যৌন হেনস্থার শিকার হয়। নিজেদের আপন বাবা মাই সমাজের ভয়ে মুখ বুজে থাকেন, কারোর বোবা কান্নার প্রতিটা অশ্রুবিন্দুর সাক্ষী হয় গৃহপালিত পশু। ওদের হয়ে আওয়াজ তোলেন আমির খান। আবারও গোটা উপমহাদেশ নড়েচড়ে বসে। “আমাদের শিশুরা আসলেই নিরাপদতো?” - এই প্রশ্নের উত্তর আমাদের সবাইকে গভীরভাবে ভাবতে বাধ্য করে।
এইভাবেই একেক পর্বে উঠে আসে যৌতুক, জাত/বেজাত ইত্যাদির নামে অনার কিলিং, বর্ণবাদ, খাদ্যে বিষক্রিয়া, পানির অপচয়, সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন, চিকিৎসা, দুর্নীতি, ভ্রষ্টাচার ইত্যাদি সহ নানান সামাজিক সমস্যা ও সমাধান। মানুষজন যেমন ভালবেসেছে, তেমনই স্বার্থান্বেষী মহল উঠে পড়েও লাগে। মৃত্যুর হুমকি আসে আমিরের উপর। মনে আছে, তখন খবরে আসে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে (খুব সম্ভব তখনকার মার্কেটে দশ কোটি রুপি) আমির বোমা প্রুফ গাড়ি কিনেছেন।
মৃত্যুর হুমকি পেয়েছেন আমিরের বন্ধু সালমান খানও। হরিণ মারার অপরাধে তাঁকে গুলি করে মারা হবে। এখন উনাকে পুলিশ প্রোটেকশনে থাকতে হয়। বুলেটপ্রুফ, বোমা প্রুফ গাড়ি কিনতে হয়।
মৃত্যুর হুমকি দেয়া হয়েছিল সঞ্জয় লীলা ভানসালি, দীপিকা পাডুকোন, রণবীর সিংকেও। “পদ্মাবত” সিনেমা বানানোর অপরাধের বোমা ফেলা হয়েছিল শিশুদের স্কুল বাসে। সেই শিশুদের কেউই ভানসালির আত্মীয় না, ওদের উপরই এই হামলা, তাহলে নিজের পরিবার ও শিশুদের কথা চিন্তা করে আমিরের তৎকালীন বৌ কিরণ রাউ যখন বলেন, “আমাদের কি ভারত ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়া উচিত" - এতে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ প্রকাশ করা কতটা যৌক্তিক? যেখানে ভারতে কোটি কোটি মানুষ ভারতের বাইরেই বাস করেন, ওদেরকে কেউ মৃত্যুর হুমকি দেয়নি, শুধু চাকরি, উন্নত জীবন ও শিক্ষার জন্য উনারা দেশ ছেড়েছেন, উনারা এমন মন্তব্য করা কতটা যৌক্তিক? আমিরতো মৃত্যু থ্রেট পাবার পরেও ভারতেই আছেন।
কিছু মৌলবাদী রাম শ্যাম বলে আমির যেন ভারত ছেড়ে পাকিস্তান চলে যায়। আমির ভারতমুক্তি আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ মাওলানা আজাদের বংশধর, পাকিস্তানে যেতে হলে কয়েক পুরুষ আগেই চলে যেতেন। ওর জন্ম যেহেতু ভারতে, কাজেই ভারতের উপর যেকোন রাম শ্যাম জদু মধুর চাইতে ওর অধিকার আরও বেশি।
আমির নাকি দেশদ্রোহী, ভারতীয় সমাজ ও সংস্কৃতি বিরোধী। ওদের আঙ্গুল তাঁর সৃষ্ট টিভি অনুষ্ঠানের দিকে। যদি কন্যাভ্রূণ হত্যা, শিশু যৌন নিপীড়ন, যৌতুক, বর্ণবাদ ইত্যাদি সংস্কৃতি হয়ে থাকে, তাহলে কি সেই সংস্কৃতিকে জুতা পেটা করা উচিত না? শিক্ষিত, সভ্য মানুষ কি বলবেন?
অভিযোগ উঠে আমিরের “পিকে” সিনেমা নিয়ে। সেখানে আমির হিন্দু ধর্মের ভয়াবহ অপমান করেছে।
যারা সিনেমাটি দেখেছে, ওরা ভাল করেই জানে সিনেমায় হিন্দু ধর্মের না, ধর্ম ব্যবসায়ীদের মুখোশ খোলা হয়েছে। “শিবজীকে পেশাব করতে দেখিয়েছে।”
এক হিন্দু যুবক সেদিন বলল, “আমরা যাকে তাকে শিব, গনেশ, কৃষ্ণ বানিয়ে মঞ্চে তুলে অভিনয় করাই। ভগবানের চরিত্রে অভিনয় করা যুবক বাড়ি ফিরে মাতাল হয়ে বৌ পেটায়, দেবী চরিত্রে অভিনয় করা নারী যখন তখন ব্যাভিচার করে - এই বিষয়গুলো আমাদের আগে শুধরাতে হবে।”
শিবের মেকাপ পরিধান করে যে শিল্পী, সে কি টয়লেট করেনা? পিকেতো সেই শিল্পীকে দেখিয়েছে। “ভগবান"কে নয়।
পারেশ রাওয়ালের “ও মাই গড” সিনেমায় আরও র ভাবে দেখানো হয়েছে। শিবলিঙ্গের উপর দুধ ঢালা, যা পুরোটাই ড্রেনে গিয়ে নষ্ট হয়, সেই দুধ মন্দিরের বাইরেরই কোন অভুক্ত ভিখারিকে দিলে সে মন থেকে বলে “ভগবান তোর ভাল করুক!” পিকেও তো একই ম্যাসেজ দিল।
মৃতের মাজার চাদরে না ঢেকে সেই চাদর কোন বিবস্ত্রের বস্ত্রের ব্যবস্থা করো, আল্লাহ তোমাকে ইজ্জত দিবেন। এই কথা বেকুব মাজার পূজারীদের কে বুঝাতে পারবে?
না, আমির খান বিরাট অপরাধী, ওকে বয়কট করতে হবে! শাহরুখ খানের আগামী সিনেমাও বয়কট করতে হবে। সালমান খানকেও। এদিকে গুরাট রায়টের সময়ে বিলকিস বানু নামের এক নারীকে ধর্ষণ ও তাঁর পরিবারের সাতজন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যার অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের গুজরাট সরকার মুক্তি দান করেছে। এবং ওদেরকে ফুলের মালা দিয়ে জেল থেকে বরণও করা হয়েছে। ভারতীয় জাতি এখানে চুপ।
এই হচ্ছে মোদি সরকারের অধীনে ভারতের সামাজিক চেহারা।

আমরা সবাই জানি, সতীদাহ প্রথা এক সময়ে ছিল সামাজিক রীতি। আওরঙ্গজেব নিজ এলাকায় একে নিষিদ্ধ করলেও হিন্দু কুলীন সমাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। বৃটিশ শাসনেও এটি ভালোই চালু ছিল। রাজা রামমোহন রায় নামের এক ইউরোপীয় শিক্ষায় শিক্ষিত যুবক নিজের বৌদিকেও এই ভয়াবহ রীতির বলি হওয়া থেকে উদ্ধার করতে পারেননি, তখনই তিনি কসম করেন যে তিনি বেঁচে থাকতেই ভারত থেকে এই জঘন্য রীতির উৎখাত ঘটাবেন। নিজের জাতভাইরা দূর দূর করে তাড়িয়ে দিলেও “জালিম” ইংরেজরা ঠিকই হাত বাড়ালো। দূর হলো এক বর্বর, পৈশাচিক রীতি। তখনও রাম মোহন রায়ের বিরোধিতা হয়েছিল, আজ আমিরের বিরোধিতা হয়। যারা তালে তাল মিলিয়ে লাফাচ্ছে, এরা লাই পেলে একদিন সতীদাহ প্রথা ঠিকই ফিরিয়ে আনবে। বলিউডে সিনেমা তৈরী হবে একে গ্লোরিফাই করে। সমাজকে বুঝানো হবে “সতী দেবীতুল্য!” তখন আরেকজন রাম মোহন রায় বা আমির খানের অপেক্ষা করতে করতে আপনার কন্যা, আপনার স্ত্রী বা আপনার বোনকে হয়তো এই সমাজ জীবিতাবস্থায় চিতায় তুলে দিবে।
অন্যায়কে বাড়তে দিবেন না। অন্যায়কে প্রশ্রয় দিলে, নিজের বিরুদ্ধে সেটা না ঘটা পর্যন্ত আপনার মৃত্যু হবেনা।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: সাতইয়ামেভ জায়াতে- শেষ এপিসোড সম্ভবত ২০১৪ সালে ছিল।
তখনকার বিষয়টা কি তুলে এনেছেন এখানে নাকি - লাল সিং চাড্ডা নিয়ে যে আলোচনা সমালোচনা হিন্ধু সংগঠন দ্বারা বয়কট সহ অন্যান্য বিষয় সহ বর্তমান প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে চেয়েছেন?

যাই হোক দারুন কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন!
* আপনার কাছ থেকে মন্তব্যের উত্তর পাওয়া বেশ কঠিন বা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার! তারপরেও করলাম।

২৭ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:০৭

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ন্যায় ও অন্যায়ের পার্থক্য যেন মানুষ বুঝে এবং ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেয়, সেটাই উদ্দেশ্য।

২| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৪১

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: মনের মত লেখা পেলাম। পোস্টে আপনার সুস্পষ্ট তথ্যসহ বক্তব্য পেলাম। আমি আমিরের ফ্যান।

২৭ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:০৭

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!

৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:১৪

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: ওয়াও! অসাধারন তথ্যনির্ভর প্রতিবাদী লেখা। আমিরের প্রতিটা ছবিতেই সমাজের জন্য কোন না কোন মেসেজ থাকে। ছবির ছলে সমাজের ত্রুটিগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবার সাহসীকতা সবার থাকে না, আমিরের আছে। ধন্যবাদ সুন্দর লেখনীর জন্য।

২৭ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:০৮

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:২৩

আহলান বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট

২৭ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:০৮

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.