নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গুজব রটানো

১১ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৩:১২

মুহাম্মদ (সঃ) আমাদের নবী হবার পরে তাঁর জীবনে অনেক অনেক কঠিনতম অধ্যায় গেছে, বেশিরভাগই তিনি পাত্তা দেন নাই। যেমন উনার নিজের লোকেরাই তাঁকে গালাগালি করতো, উন্মাদ বলতো, নারী, ক্ষমতা, পয়সা ইত্যাদি ঘুষ সাধলো, তিনি পাত্তা দেন নাই।
তাঁর গায়ে হাত তুলল, তাঁর শরীরে পাথর ছুড়ে মারলো, রক্তে তাঁর শরীর ভিজে গেল, অজ্ঞান হয়ে গেলেন, ওরা জ্ঞান ফেরার অপেক্ষা করলো, জ্ঞান ফেরার পরে শুরু হলো আবারও মারধর; মানসিকভাবে ট্রমাটাইজড হয়ে গিয়েছিলেন।
তাঁকে তাঁর জন্মভূমি ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল, জীবনের শত্রু হয়ে গিয়েছিল নিজেরই লোকজন।
এর সবই করেছে কাফেররা।
কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে তাঁকে বিদ্ধস্ত করেছিল মূলত মুনাফেকরা। ওরা তাঁকে প্রকাশ্যে মারধর করেনি, অস্ত্র ধারণ করেনি, কিন্তু ওদের গোপন দংশনই তাঁর হৃদপিন্ড ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছিল।
হজরত আয়েশার (রাঃ) নামে মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে দিয়েছিল। মদিনাজুড়ে গুঞ্জন, ফিসফাস চলেছে দীর্ঘ একটি মাস ধরে। নিজের বিরুদ্ধে কেউ কিছু করলে আমরা সহজে সামলে নিতে পারি, কিন্তু নিজের আপনজনদের বিরুদ্ধে যখন কেউ কিছু করে, সেটাতে আমরা আহত হই বেশি। নবীজি (সঃ) আমাদের মা আয়েশাকে (রাঃ) কতটা ভালবাসতেন তাতো আলাদা করে বলার কিছু নাই। মুনাফেকরা ভাল করেই তা জানতো, তাই ওরা তাঁকে ধরাশায়ী করতে মোক্ষম অস্ত্র দিয়ে তাঁর দুর্বলতম স্থানে আঘাত হানে।
কিশোরী সেই অবুঝ অভিমানী বালিকাটি তাঁর রবের কাছে বিচার দাবি করেন! কারন তাঁর স্বামী, আল্লাহর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি, রাসূলাল্লাহ কিনা তখন বলেছিলেন "'যদি' তুমি অপরাধী হয়ে থাকো, তবে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও!"
তাঁর মাথায় তখন একটা শব্দ বিঁধে আছে, "যদি" - মানে কি? তাঁর স্বামী তাঁকে অবিশ্বাস করেছে?
তিনি জানেন আল্লাহ সব দেখেছেন, জানেন, সব বিষয়েই তিনি জ্ঞাত আছেন। তিনি নিশ্চই কোন একটা ব্যবস্থা নিবেন।
কিন্তু তিনি কখনই আশা করেননি তাঁর সম্মানে কুরআনের আয়াত নাজেল হবে।
সূরা নূরের ১২-২০ আয়াতগুলো সেদিনের সেই নির্দোষ কিশোরী বালিকাকে ডিফেন্ড করতে স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নাজেল করেন।
কেয়ামত পর্যন্ত প্রতিটা মুসলিম জানবে হজরত আয়েশা (রাঃ) কতটা পবিত্র ছিলেন।

এই পর্যন্ত পড়ে আমরা মুমিনরা বলে উঠি সুবহানাল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহু আকবার! ঠিক না?

এদের মধ্যেই ৯০% জিন্দেগীতেও কুরআন খুলে সেই স্পেসিফিক আয়াতগুলো বের করে অর্থ সহ পাঠ করবো না।
যে ১০% সেটা করবো, এর ৯০%ও আয়াতগুলোর গভীরতা অনুভব করবো না। বুঝবোই না আল্লাহ কেন সেই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন, কেনই বা তিনি গুজবের আগুন বাড়তে দিলেন, এবং দীর্ঘ এক মাস পরে আয়াতগুলো নাজেল করেন।

যেমন সেই একমাসে মদিনার এমন কোন ব্যক্তি ছিল না যার কানে এই গুজবটি পৌঁছেনি। মদিনার বাইরেও নিশ্চই ছড়িয়েছে। গসিপ কে না পছন্দ করে? এই বিষয়টাই ছিল আল্লাহর পরীক্ষা। সাহাবীদের সামনে এমন রসালো গসিপ হাজির করা হয়েছে, তাঁদের রিয়েকশন কি হবে সেটাই ছিল টেস্ট। ভয়াবহ পরীক্ষা যাতে ফেইল করা সবচেয়ে সহজ।
"শুনেছো? অমুককে নিয়ে তমুক কাহিনী শোনা যাচ্ছে। সত্য মিথ্যা জানিনা, আমি শুধু ইনফরমেশন দিচ্ছি।" - যে এমন বাক্য বলেছে, সেও ফেইল, আর যারা পালে হাওয়া দিয়েছে ওদের কথাতো বাদই।
সহজ ভাষায়, কুরআনে আল্লাহ বললেন, "তোমরা যখন গুজবটা শুনলে, তখন কেন তোমাদের মাথায় ভাল চিন্তা আসলো না?" মানে, কেন এইটা মাথায় এলো না যে ওতো ভাল মেয়ে/ছেলে, ও এইটা করবে না।
অথবা গুজব শোনামাত্র বলা "দেখো ভাই, আমি যেহেতু চাক্ষুস কিছু দেখিনি, তাই এ নিয়ে কোন মন্তব্য করতে ইচ্ছুক নই।"
যারা এমনটা করেছেন, তাঁরা পাশ।

যে এই গুজব নিয়ে উপস্থিত হলো, তার ব্যাপারে আল্লাহ জিজ্ঞেস করলেন, কেন ও কোন সাক্ষ্যপ্রমান হাজির করেনি?
প্রকারান্তরে আল্লাহ আমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন, কেউ যখন কারোর বিরুদ্ধে সিরিয়াস কোন অভিযোগ তুলবে, অবশ্যই যেন অকাট্য দলিল নিয়ে হাজির হয়। মানুষের ইজ্জত সম্মান কোন গাণিতিক থিওরি না যে আপনি খাতায় অংক কোষে মিলিয়ে দিবেন। আপনাকে অবশ্যই প্র্যাকটিক্যাল প্রমান দিতে হবে।

তারপরের আয়াতটা সবচেয়ে ভয়ংকর, তোমরা যখন মুখে মুখে কথাটি ছড়াচ্ছিলে, "এই শুনেছিস, ও না এই করেছে" টাইপ বাক্য, যা তোমাদের কাছে সাধারণ বা ট্রল মনে হচ্ছিল, কিন্তু আল্লাহর কাছে সেটাই ভয়াবহ অপরাধ - ওদেরকে আল্লাহ দোষী সাব্যস্ত করেন।
গুজব রটনায় সাহাবীদের মধ্যে যারা দোষী ছিলেন, তাঁদের শাস্তি হয়েছিল আশি ঘা বেত্রাঘাত। মাথায় রাখুন, অবিবাহিত কেউ জেনাহ করলে শাস্তি হয় একশো ঘা বেত্রাঘাত, সেখানে কারোর বিরুদ্ধে মনগড়া মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করলে, এবং সেটা মিথ্যা প্রমাণিত হলে শাস্তি আশি ঘা বেত্রাঘাত। মানুষের ইজ্জ্ত, সম্মান, রেপুটেশন ইসলামে এতটাই মূল্যবান।

মুনাফেকদের ছেড়ে দেয়া হয়েছিল আল্লাহর হাতে। ওদের স্থান জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে। সামান্য বেতের আঘাত দিয়ে ওদের পরকালের শাস্তি কমিয়ে আনার কোন মানে ছিল না। ওদের শাস্তি কেমন হয় সেটা কেয়ামতের দিন দেখে নিবেন।

যে কারনে ঘটনাটি ঘটেছিল এবং আয়াতগুলো নাজেল হয়েছে তা হচ্ছে, পৃথিবী ধ্বংসের আগে পর্যন্ত আমাদের সামনে এমন বহু উদাহরণ আসবে, প্রতিদিন আসবে, আমার পরিচিত কারোর নামে, অপরিচিত কারোর নামে, সমাজে প্রশংসিত কারোর নামে, নিন্দিত কারোর নামে, এমনকি আমার শত্রুর নামেও - আসতেই থাকবে; আমার রিয়েকশনটা দেখাই হচ্ছে আল্লাহর একমাত্র উদ্দেশ্য।

মনে আছে লেবাননে একবার ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছিল? বাংলার মুমিনরা প্রচার শুরু করেছিল এইটা ইজরায়েলের কারসাজি। ইজরায়েল এমনই এক রাষ্ট্র যাদের আমি দুই চোখে দেখতে পারিনা, ফিলিস্তিনিদের প্রতি তাদের অন্যায় আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি, তাও সিঁকিভাগও না, সেই ইজরায়েলকে ঘৃণা করাটা আমার ব্যক্তিগত ফিলোসফি হয়ে গেছে - কিন্তু এরপরেও যেহেতু কুরআনের সেই আয়াতগুলো আমার মাথায় ছিল, আমি অপেক্ষা করলাম সত্য প্রকাশিত হওয়ার। লেবানিজ সরকার ঘোষণা দিল তাঁদের নিজেদের গাফিলতিতেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। রাসায়নিক দ্রব্য এইভাবে দিনের পর দিন অরক্ষিত অবস্থায় ফেলে রাখার ফলেই এমনটা হয়েছে।
তারপরেও বাংলার ফেসবুকাররা থামাথামিতে নাই। লেবানিজ সরকারকে ইজরায়েল কিনে ফেলেছে, মোসাদের এজেন্ট, আমেরিকার চাপ - ইত্যাদি নানান থিওরি যা ড্রয়িং রুমে বসে বসে প্রসব হয়! খোদ লেবানিজরা, বা খোদ ফিলিস্তিনিরাও বলেনি ওটা ইজরায়েলের কাজ।

সিডনিতে এক বাবার গাফিলতিতে এক শিশু মারা গেছে। আমরা লোকটাকে চিনিও না, ওর জ্ঞাতি গুষ্ঠির সাথে পরিচয়ও নাই, কিন্তু আমরাই মন্তব্য করে বসলাম, "ব্যাড প্যারেন্টিং। টাকার পেছনে ছুটে ছুটে আমরা পারিবারিক বন্ধন থেকে সরে এসেছি!"
"এ কেমন মা সারাদিনে খোঁজ নেয়নি! আমিতো দুই ঘন্টা পরপর ফোন দেই!"
মানে আমরা নিজেরা রসগোল্লা আর দুনিয়ার সবাই খারাপ!
কালকেই সিডনি প্রবাসী বোনের সাথে কথা হলো, আপডেট জানতে চাইলাম, পুলিশ অন্য বাচ্চাকে নিয়ে যায়নি জানালো। এর মানে হচ্ছে বাঙালি ফেসবুকাররা পেলেও অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ "পিতা ইচ্ছা করে মেরে ফেলেছে" বা "বাপ মা বাচ্চাদের পরোয়া করেনা" - টাইপ কোন প্রমান খুঁজে পায়নি।

টার্কিতে ভূমিকম্প হলো। স্পষ্টতঃ এটি একটি মহা শক্তিশালী ভূমিকম্প, এবং এতে হতাহতের পরিমান ছিল ব্যাপক। বাংলায় এক মোল্লা থিওরি দিল "হার্প" ঘটনা ঘটিয়েছে। যে বেকুবের একটুও জ্ঞান নাই ৭.৮ রিখটার স্কেলের ভূমিকম্পের মাত্রা কতটা শক্তিশালী হয়, এবং সেটা ঘটাতে কি বিপুল পরিমান শক্তির প্রয়োজন, সে এমন থিওরি নিয়ে ফেসবুক সয়লাব করে ফেলেছে। একটুও প্রয়োজন বোধ করেনা পড়াশোনার, সত্যটা জানার। মিথ্যা গুজব, সেটা কাফেরের বিরুদ্ধে হলেও গুনাহ, আমাদের নবী (সঃ) বা সাহাবীদের কখনও শুনেছেন আবু জাহেলের নামে মিথ্যা কিছু রটাতে?

অতি সম্প্রতি সুলতান ডাইনের বিরিয়ানি খেয়ে একজনের "মনে হয়েছে" ওটা কুকুরের মাংস, ব্যস, সবাই ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলাম। এইটুকু মাথা খাটালাম না যে এইভাবে মাংস দেখেই কোন প্রাণীর সেটা বলে দেয়ার অতিলৌকিক ক্ষমতা মানুষের নেই। এজন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে ল্যাবরেটরি নির্মাণ করা হয়, কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে গবেষণা করা হয়, সেটা পড়াশোনা করে ছাত্রছাত্রীরা পাশ করে, বছরের পর বছর কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করে, তারপরে আরও পরীক্ষা করে তবে প্রমান করতে পারে ওটা কিসের হাড্ডি।

আমি জানি শুধু সুলতানই না, বাংলাদেশের ৯০% রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীই ভাল না, হয়তো চুরি চামারি করে না, কিন্তু ওদের কিচেন অপরিষ্কার। কিংবা হয়তো কিচেন দুর্দান্ত, কিন্তু খাদ্যে ভেজাল মেশায়। হয়তো খাদ্যে ভেজালও মেশায় না, কিচেনও অপরিষ্কার না, কিন্তু বাসি খাবার পরিবেশন করে। একই তেল দিনের পর দিন পোড়ায়। মোট কথা, কোথাও না কোথাও কিছু না কিছু ঘাপলা রাখেই। কিন্তু যে কিচেন নোংরা রাখে, ওর বিরুদ্ধে যদি আপনি কোন প্রমান ছাড়াই রটনা রটান যে সে খাবারে রাসায়নিক মেশায়, তাহলে এক্ষেত্রে আপনি অপরাধী হবেন। এমন অভিযোগের সময়ে অবশ্যই আপনাকে প্রমান সহ উপস্থিত হতে হবে।

বাংলাদেশে এর আগেও কিছু রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছিল, পরে প্রমান হয়েছে অভিযোগগুলো ভুল ছিল। কিন্তু যখন ভুল প্রমাণিত হলো, তখন কিন্তু কাউকে দেখলাম না শেয়ার দিতে।

একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপর অনেকেই নির্ভর করে। সেখানকার মালিকপক্ষ, কর্মচারী, সবাই। বেহুদা কারনে যদি আপনি ওদের ব্যবসা বন্ধ করে দেন, তাহলে সবার অভিশাপ আপনার ঘাড়ে এসে পড়বে। যেমন আমেরিকার সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক এদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কমার্শিয়াল ব্যাংক প্রতিষ্ঠান, মিথ্যা গুজবের কারনে মাত্র দুইদিনে দেউলিয়া হয়ে গেল! গুজবটা হচ্ছে, মানুষে বলেছে এই ব্যাংক লিকুইড সমস্যায় ভুগছে, যেকোন সময়ে দেউলিয়া হবে, অমনি এর গ্রাহকরা নিজেদের সব টাকা তুলে ফেলে। ফলে বাস্তবেই ব্যাংকটি দেউলিয়া হতে বাধ্য হয়। চিন্তা করতে পারেন গুজবের পাওয়ার কত?

কেউ কেউ বলবেন, "পয়সার জোরে ল্যাব রিপোর্ট পাল্টানো দেশে কোন বিষয়ই না।"
এর আগেও সুলতানের চাইতেও বড় বড় ব্র্যান্ডের রেস্টুরেন্ট ধরা খেয়েছিল। ফখরুদ্দিন বাবুর্চি বহুবার জরিমানার শিকার হয়েছে। হ্যালভিষিয়া নামের একটি বার্গার চেইন ছিল দেশে, অনেক আপার ক্লাস, ওরা মরা পশু খাওয়াতো বলে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছিল। কেএফসি সহ আরও বড় বড় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। ওদের তুলনায় সুলতান পান্তাভাত। আর তারচেয়ে বড় কথা, দেশের সরকার, প্রতিষ্ঠিত ল্যাব টেস্ট, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের রিপোর্ট ইত্যাদির উপর ভরসা না করে, শুধুমাত্র এক অচেনা মহিলার চোখের দৃষ্টিতে বলে দেয়া পীরাকি ক্ষমতার উপর ভরসা করেন - তাহলেতো কিছু বলার নাই। আপনি ধন্য! নিজেই নিজের দিকে নোবেল ছুঁড়ে মারুন।

আল্লাহ এই কারণেই বলেছেন, "যখন তোমরা একে মুখে মুখে ছড়াচ্ছিলে এবং মুখে এমন বিষয় উচ্চারণ করছিলে, যার কোন জ্ঞান তোমাদের ছিল না। তোমরা একে তুচ্ছ মনে করছিলে, অথচ এটা আল্লাহর কাছে গুরুতর ব্যাপার ছিল।"

এক সুন্নতি দাড়িওয়ালা, ইসলামী লেবাসধারী ব্যক্তিকে গুজব ছড়াতে নিষেধ করে বললাম আয়াতগুলো পড়েন, তারপরে সিদ্ধান্ত নেন। সেই বদ আমার কমেন্টের রিপ্লাই করলো আমি নাকি ওদের থেকে পেইড হয়েছি। নাহলে আমার কি ঠ্যাকা কারোর ডিফেন্সে এত লম্বা লেখার? আমরা গুজব ছড়াতে যে সময়টা ব্যয় করি, গুজব না ছড়াতে বলতেও একই সময় ব্যয় হয়। কিন্তু একটা নেগেটিভ এবং অন্যটা পজিটিভ ইউজ। এই সামান্য বোধটাই নাই? নিজে বিক্রি হয় বলেই হয়তোবা সবাইকে নিজের কাতারের সস্তা মনে করে। এর দাড়ি, এই টুপি, এই সুন্নতি লেবাসের ভ্যালু কি থাকে তখন? মুনাফেক সর্দার আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইরও দাড়ি ছিল, ইসলামী লেবাস ছিল, সে নবীজির (সঃ) সাথে নামাজে দাঁড়াতো, যুদ্ধে যেত, প্রতিটা সভাতেই উপস্থিত থাকতো। এখন গভীরভাবে চিন্তা করে দেখেন, আমাদের কাজটা ঠিক কার মতন হচ্ছে তাহলে।

খুবই কঠিন কিছু কথা বললাম, কিন্তু না বলে উপায় কি?
উপরে যে ১% ব্যক্তির উল্লেখ করলাম, যে আয়াতগুলোর গুরুত্ব অনুভব করবে সে ভবিষ্যতে গুজবে লাফালাফি করার আগে একশোবার চিন্তা করবে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০২৩ ভোর ৬:৩৯

কামাল১৮ বলেছেন: মনের মাধুরী মিশিয়ে এতো কথা যে বললেন,আপনি কি কোন প্রমান দিয়েছেন।ইসলামের বাাইরে থেকেতো কোন প্রমান দিতে পারবেন না।সিরাত বা তাফসির থেকেও তো প্রমান দিতে পারতেন।
ময়লা যত ঘাটাবেন তত গন্ধ ছড়াবে।বিবি আয়েশার কথা আপনাকে কেউ প্রশ্ন করে নাই ,তা হলে আপনার আগবাড়িয়ে এসব আলাপ করার দরকার কি।না কি মজা পান।
মসজিদে বুড় হুজুর যেমন হুরদের দেহের বর্ণনা করে রশিয়ে রশিয়ে।একটু ভাবেও না যে ,এখানে ছোট বাচ্চারা আছে বাপ ছেলে আছে।মমিন হলেই কি এমন আহাম্মক হতে হয়।

১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৪৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: বুঝলাম না, কিসের প্রমান চাইছেন? ইসলামের বাইরে থেকে কিসের প্রমান চাইলেন?
ঝেড়ে কাশুন।
নাকি আপনারও চুলকানি ইসলামের বিরুদ্ধেই? সেটা থাকলে এখানে বকবক না করে দাউদ খাউজ পাসরা, একজিমার চিকিৎসা করান।

২| ১১ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:০৫

বিটপি বলেছেন: ওরে বুইড়া কামাল, তোর গু মাখা মুখে একটু লাগাম দে। গন্ধ ছড়াইস না। তুই কি মসজিদে যাস? কোন মসজিদের হুজুর হুরের বর্ণনা রশিয়ে রশিয়ে দিছে শুনেছিস? একটু বর্ণনা দে তো দেখি? পারলে ভিডিও দিস। না পারলে যে মুখ দিয়ে হাগিস, সে মুখ খুলবিনা। গন্ধ করে।

১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৪৬

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ওর চুলকানি রোগ আছে ভাই, চুলকাইতে চুলকাইতে মাথা নষ্ট হয়ে গেছে।

৩| ১১ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:১৪

নাহল তরকারি বলেছেন: আপনি যে ধর্মের কথা লিখছেন? ব্লগে তো অনেকে ধর্ম মানে না।

১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৪৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধর্ম না মানলেও সমস্যা নাই, প্রমান ছাড়া কাউকে দোষারোপ করা অসভ্যতা। ধর্ম না মানলেও এই শিষ্টাচার থাকাটা জরুরি।

৪| ১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার এখন উচিৎ অন্যের পোষ্ট পড়া এবং মন্তব্য করা।

১৩ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৪২

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: সময় পেলেই পড়ি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.