নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
আমেরিকার ডাকবিভাগ অনেক চালু একটি প্রতিষ্ঠান। ইমেইল-ম্যাসেঞ্জার-এসএমসের যুগে এখন ব্যক্তিগত চিঠি চালাচালি বিলুপ্ত হয়ে গেলেও এখনও ব্যাংক-ক্রেডিট কার্ড কোম্পানি বা নানান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাঁদের বিজ্ঞাপনের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ডাক বিভাগকেই ব্যবহার করে। প্রতিদিন আমরা আমাদের মেইলবক্সে আধা কেজি বা তারও বেশি পরিমান চিঠি, লিফলেট, বিজ্ঞাপন পেয়ে থাকি। সবাই ইউএসপিএসের মাধ্যমেই পাঠায়। বাংলাদেশের মতন এখানেও যদি পুরানো কাগজ বিক্রির ব্যবস্থা থাকতো, প্রতিমাসে এইসব বিজ্ঞাপন বিক্রি করেই আমাদের গ্যাস আর ইন্টারনেটের বিল উঠে আসতো।
তারপরেও আমেরিকান ডাক বিভাগ প্রতিবছর ন্যূনতম এক বিলিয়ন ডলার লস করে। যাদের মাথায় বিলিওন ডলার শব্দটি ঢুকছে না, তাঁদের জ্ঞাতার্থে, টাকায় এর পরিমান ১,০৮১,৯৩৪,০০,০০০. এই বিপুল পরিমান অর্থ আসে এমন সব খাত থেকে যেখানে আমেরিকা লাভ করে। যেকোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও তাই। ধরা যাক আমার বিস্কিটের ফ্যাক্টরি আছে। নানান প্রোডাক্ট তৈরী হয়। আমার সবচেয়ে বেশি লাভ হয় ক্রিম বিস্কিটে। কিন্তু টোস্ট বিস্কিটে লসে চলছি। টোস্ট বিস্কিট প্রোডাকশন বন্ধ করার উপায় নেই, কারন তাহলে মার্কেট থেকে ছিটকে পড়বো। বিস্কিটের মার্কেটে আমার টিকে থাকতে হলে আমাকে সব জাতের বিস্কিটই তৈরী করতে হবে। তাই ক্রিম বিস্কিটের লাভ থেকে কিছুটা অর্থ আমি টোস্ট বিস্কিট প্রোডাকশনে ব্যবহার করবো, যাতে দুইটা প্রোডাক্টকেই আমি টেনে নিয়ে যেতে পারি। সেই সাথে আমার গবেষণা চলতে থাকবে কিভাবে টোস্ট বিস্কিটকে লাভজনক প্রোডাক্ট করা যায়। এর প্রোডাক্ট কস্ট কমাতে হবে, মার্কেটিং আরও জোরালো করতে হবে। সেলস বাড়াতে হবে। ইত্যাদি ইত্যাদি।
এইটাকে বলে মানি ম্যানেজমেন্ট। এই কারণেই যেকোন সফল অফিসে একাউন্টিং, ফাইন্যান্স, আরএন্ডডি, মার্কেটিং ইত্যাদি ডিপার্টমেন্ট থাকে। এই কারণেই একেকজন সিএফওকে মিলিয়ন ডলার বেতন দিয়ে রাখা হয়। সেও লাখে লাখে ডলার বেতন দিয়ে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে প্রেসিডেন্ট, ভাইসপ্রেসিডেন্ট রাখে।
দেশের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা তাই।
এইটা সম্ভবই না যে আপনার দেশের সব ডিপার্টমেন্টই আপনাকে লাভ এনে দিবে। আমেরিকার মত বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশের একটা উদাহরণতো দিলামই। বিশ্বের যেকোন দেশের কথাই ধরুন, সরকারকে এমন অনেক খাতেই ভর্তুকি দিয়ে পয়সা ঢালতে হয়। বাজেট করতে হয়। এবং সেই টাকার ব্যয়ের ব্যপারে মনিটরও করতে হয়। আমাদের দেশে বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল ইত্যাদিতে প্রতিবছর সরকারের বিপুল পরিমান ভর্তুকি দিতে হয়, এই কথা সবাই জানে। সরকার নিজেই বহুবার বলেছে, এবং বলাও উচিত। দেশের টাকা কোথায় কোথায় কত পরিমান ব্যয় হচ্ছে, সেটা জানা সব জনতারই অধিকার।
এর পরেও লোকে প্রশ্ন তুলছে, আমরা নিজেরা নিজেদের বিল ঠিক মতন পরিশোধ করেছি, তাহলে কেন বিদ্যুৎ পাচ্ছি না?
প্রশ্নটা মোটেই অযৌক্তিক না। কারন যেকোন সরকারেরই দায়িত্ব হচ্ছে, ভর্তুকি দেয়ার আগেই হিসাব করা যে এই পরিমান বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে আমাকে এত পরিমান টাকা খরচ করতে হবে। গ্রাহকদের থেকে আমি এত তুলে আনতে পারবো। তারপরেও আমার এত টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। এই টাকা আমার আছেতো? যদি থাকে, তাহলেই আমি ঢালবো। নাহলে বাজেট কমিয়ে দিব। সাময়িক লোডশেডিং হোক, সমস্যা নাই, অচিরেই বিদ্যুৎহীন হতে হবেনা। এইটা যেকোন "ম্যানেজারের" জন্য এবিসিডির মতন অতি বেসিক ডিসিশন। সমস্যা হচ্ছে, আমাদের দেশে মন্ত্রী মিনিস্টার হতে হলে আপনাকে শিক্ষিত, অভিজ্ঞ (শিক্ষিত হলেই আপনি অভিজ্ঞ হয়ে যাবেন, এমনটা নয়) হতে হয়না। পাবলিক ভোট দিলে বা না দিলেও হতে পারবেন। তারচেয়ে বড় কথা, বিদ্যুৎ বিভাগে এত এত শিক্ষিত, যোগ্য, বিচক্ষণ মানুষ থাকার পরেও কারোরই পরামর্শের তোয়াক্কা করা হবেনা। সবাইকে মন্ত্রীর কথাই মানতে হবে। মন্ত্রীর দৃষ্টি আগামী পাঁচ বছর পরের নির্বাচনের দিকেই নিবদ্ধ থাকে। এর পরের বিষয় নিয়ে সে পরে ভাবে। ও যেহেতু নিশ্চিত না যে সে পরের টার্মেও মন্ত্রী হতে পারবে কিনা, কাজেই সে পরোয়াই করে না ওর পরে দেশের কিছু হোক বা না হোক। লং টার্ম গোল বা উন্নতি বিষয়টা আমাদের কালচারেই নেই।
তা আমাদের দেশে কিছুদিন আগেও লোড শেডিং বিদায় নিয়েছিল। বিদ্যুতের বিল আকাশ ছুঁই ছুঁই ছিল, তারপরেও লোকে বিদ্যুৎ পাচ্ছিল বলে খুশি ছিল। এখন শোনা যাচ্ছে বকেয়া পরিশোধ না করায় কিছু বিদ্যুৎ উৎপন্ন কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। কাজেই, গরমে অতিষ্ট মানুষ স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন করবে যে কোথায় গেল আমাদের পরিশ্রমের টাকা যা দিয়ে আমরা সময় মতন বিল পরিশোধ করেছি?
এর উত্তর হতে পারে, ১. শুরুতেই সরকারের বিচক্ষণতার অভাব ছিল। হিসাব নিকাশ না করেই বিপুল পরিমান বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে বকেয়া শোধের সময়ে দেখে টাকা নাই। এই মিসক্যাল্কুলেশনের জন্য এই বিভাগের সাথে জড়িত লোকজনের কাছে জবাবদিহিতা চাওয়া খুবই যৌক্তিক।
২. বিদ্যুৎ বিভাগে দুর্নীতি ঘটেছে। সংশ্লিষ্টরা সরকার থেকে প্রাপ্ত টাকা অফিসে না খাটিয়ে নিজের ব্যাংকে জমা করেছে। ছেলে মেয়েদের বিদেশে পড়তে পাঠিয়েছে, অথবা বৌয়ের নামে সম্পত্তি কিনেছে। এজন্যও জবাবদিহিতা দাবি করা যেকোন সভ্য নাগরিকের অধিকার।
কেউ কেউ দাবি করছেন আমেরিকা ইংল্যান্ডেও বিদ্যুতের এমন অবস্থা। নারে ভাই, আমি আমেরিকায় থাকি। দুই সেকেন্ডের জন্যও কারেন্ট যায় নাই। কাজেই বেহুদা মিথ্যাচার ছড়াবেন না।
পাবলিকের প্রতি অনুরোধ, বিশেষ করে ভিআইপি জনতা, প্লিজ, বিদ্যুৎ খরচে সাশ্রয়ী হন। আমার টাকা আছে, বা আমি সরকারি অফিসার, আমাকে বিল দিতে হয়না, কাজেই যা তা উপায়ে কারেন্ট পুড়াবো - এমন মেন্টালিটি থেকে সরে আসেন। আপনাদের কারনে এখন সাধারণ পাবলিক বিদ্যুৎ পাচ্ছেনা।
ফেসবুকে এখন অতিরিক্ত বুদ্ধিজীবী, যারা বুদ্ধিহীন লেখালেখিতে তাদের চেয়েও বুদ্ধিহীন পাবলিকের এটেনশন পাবার চেষ্টা করে। আশা করি ভবিষ্যতে উনারা একটু পড়ালেখা করে, একটু চিন্তাভাবনা করে লেখালেখি করবেন। এইটুকু দায়িত্ব নিতেই হয়।
এই লেখাটা পড়ে অনেকেই বিম্পি জামাত ট্যাগ দিয়ে দিতে পারেন। বেকুবকদের জ্ঞাতার্থে, জামাত বিম্পি আমলে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। কাজেই ওটা নিয়ে কথাই তুলতে চাইছি না। সরকারের কোন স্পেসিফিক কাজের সমালোচনা করা, আর সরকারের বিরোধিতা করা এক না। সহমত ছাগুরা সেটা বুঝে না।
২| ০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৩৭
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমার মতে এই পৃথিবীর সবচেয়ে সহজ দুটি কাজ হচ্ছে-
১: সরকারের সমালোচনা করা।
২: পাবলিকের এটেনশন পাওয়া।
৩| ০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৪০
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: অনেকে মনেই করে, সরকারের বিরুদ্ধে দুই চার'টা কথা না বলতে পারলে জ্ঞানী হওয়া যাবে না, যা খুবই হাস্যকর মনে হয় আমার কাছে। এরাম গিয়ানি লুকের অভাব নেই আমাদের দেশে।
১২ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৮:২৫
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
৪| ১০ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৯:৪৩
ধুলো মেঘ বলেছেন: আমাকে যদি বিদ্যুৎ বিল দিতে না হয়, তাহলে কে বিদ্যুৎ পেল বা না পেল - সেই চিন্তা আমি করতে যাব কেন?
আমাকে যদি বিল দিতেও হয়, এবং বিল দেবার ক্ষমতা যদি থাকেও - তারপরেও তো এই চিন্তা আমার করার প্রয়োজন নেই।
রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব সরকার বাহাদুরের। তারা যদি সিরিয়াস হয় তো এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এমনিতেই সাশ্রয় করতে পারবে। তা না হলে আমরা আম জনতা মিলে এক কিলোওয়াট বিদ্যুৎও সেভ করতে পারবোনা।
১২ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৮:২৩
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: খুবই ভাল বলেছেন।
৫| ১০ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৪৫
খাঁজা বাবা বলেছেন: লজিকাল কথা, গুছিয়ে লিখেছেন, ধন্যবাদ।
এর পরেও কিছু লোক বুঝবেনা, ভাংগা টেপ বাজাবে।
১২ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৮:২৪
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ১০ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:২১
রাজীব নুর বলেছেন: গুড ওয়ান।
১২ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৮:২৪
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ১০ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:২২
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: প্রশ্ন করা সহজ, উত্তর করাও সহজ; কঠিন হচ্ছে যথাপোযুক্ত প্রশ্ন করা ও সেই অনুযায়ী সঠিক উত্তর দেওয়া।
১. আমি বিদ্যুৎ বিল দেই টাকায়। কয়লার বিল পরিশোধ হয় ডলারে। টাকা ডলার করে বিল পরিশোধ করতে হলে রিজার্ভ লাগে।
২. বিভিন্ন বিষয়ে ৮০-২০/২০-৮০ রুল আছে। সরকারী সেবাখাত গুলিতেও এটা আছে। বিদ্যুতেও যে এমন ৮০-২০/২০-৮০ আছে তা বলতে পারবো না; তবে আছে এমন কিছু একটা, এটা নিশ্চিত। মোট ব্যবহারকারীর হয়ত ৮০% সাধারণ মানুষ। আর সব মানুষ মিলে হয়ত মোট বিদ্যুৎ বিলের ২০% ব্যবহার করে ও বিল দেয়। আর বাকি ২০% হচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, তাদের মোট বিলের পরিমানই হয়ত পুরা বিলের ৮০%। সরকার এখানে সব সময়ই দুর্বল। বাসা বাড়ার মত প্রতিষ্ঠান থেকে বিল চাইলেই পাওয়া যায় না। এই সমস্যায় কম বেশী সব দেশই আছে।
৩. দুর্নিতি যে হয়, এটা অনস্বীকার্য। এটা দ্রুত কমাতে হবে, না হলে বিপদ আরও বাড়বে।
১২ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৮:২৩
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: খুবই ভাল বলেছেন।
৮| ১১ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫২
ব্যাচেলর ভাই বলেছেন: আজকের দিনে দেশপ্রেমিকের চেয়ে দলপ্রেমি (পড়ুন দলকানা) বেশি হবার কারণে আমাদের সমালোচনা নেগেটিভ ভাবে নিচ্ছে একটি গোষ্ঠি। এতে যা হবার তাই হচ্ছে।
১২ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৮:২২
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: দুঃখজনক সত্য।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৩১
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ফেসবুকে এখন অতিরিক্ত বুদ্ধিজীবী, যারা বুদ্ধিহীন লেখালেখিতে তাদের চেয়েও বুদ্ধিহীন পাবলিকের এটেনশন পাবার চেষ্টা করে।