নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার মনে হয় আমাদের "বিসিএস দিয়ে সরকারি চাকরি পেতে হবে" "ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে" টাইপ মেন্টালিটি থেকে সরে আসাটা ভীষণ জরুরি।

১২ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৪৩

মিচেল স্টার্ক বর্তমানে বিশ্বসেরা বাঁহাতি বোলারদের একজন। ওয়ানডে, টি২০ এবং টেস্ট, তিন ফরম্যাটেরই বিশ্বকাপ জয় করা শেষ।
ওর বৌয়ের নাম এলিসা হিলি। অস্ট্রেলিয়ান নারী দলে তিনি উইকেট কিপার ব্যাটার। সাফল্যে স্বামীকে বহু আগেই ছাড়িয়ে গেছেন। টি২০ বিশ্বজয়ে একাই হেক্সা মিশন সম্পন্ন করেছেন, ওয়ানডে বিশ্বকাপও জিতেছেন দুইটা। স্বামী স্ত্রী মিলে অস্ট্রেলিয়াকে এনে দিয়েছেন এগারোটি ওয়ার্ল্ড টাইটেল।
নাম দেখে সন্দেহ জেগেছিল, বিশেষ করে উইকেটকিপিং করে দেখে ভেবেছিলাম অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি উইকেটকিপার ইয়ান হিলির মেয়ে টেয়ে হবে হয়তো। খোঁজ নিয়ে দেখি যে না, মেয়ে না, তবে আপন ভাতিজি। অস্ট্রেলিয়ান টেস্ট ক্রিকেটে ইয়ান হিলি যে কি মাল ছিল, সেটা গিলক্রিস্টের আগমনের আগে যারা টেস্ট ক্রিকেট দেখেছেন, তাঁরা জানেন। ম্যাকগ্রা, ওয়ার্ন ওরা যে ধুমায়ে উইকেট পেতেন, ইয়ান হিলির অবদান তাতে মোটেই কম ছিল না। আমি লিখে দিতে পারি, পাকিস্তানের কিংবদন্তি গ্রেট, দ্য লেজেন্ডারী কামরান আকমল যদি ওদের উইকেট কিপার থাকতো, ওয়ার্ন-ম্যাকগ্রার উইকেট সংখ্যা অর্ধেকে নেমে আসতো।
স্টার্কের ছোট ভাই আবার হাই জাম্পিংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে প্রতিনিধিত্ব করে। হয়তো দ্রুতই অলিম্পিক মেডেলফেডেল জিতে আসবে।
পুরাই এথলেট পরিবার।
আমার বোন থাকে অস্ট্রেলিয়ায়, শুনেছি ওদের কাছে যে জাতিগতভাবে ওরা কতটা ফিটনেস ফ্রিক! খেলাধুলাকে কতটা প্রাধান্য দেয়! খাবার দাবারে সচেতনতা থেকে শুরু করে স্কুল জীবনের একদম শুরু থেকেই একাডেমিক পর্যায়ে ওরা নানান খেলার প্রাতিষ্ঠানিক কোচিং নিয়ে থাকে। পাঁচ বছরের বাচ্চা, কেবলই দৌড়াতে শিখেছে হয়তো, এরই মাঝে সে একাডেমিতে গিয়ে অলিম্পিকের প্রস্তুতি শুরু করে দেয়। ছেলে হোক, অথবা মেয়ে, কোনই ডিসক্রিমিনেশন নাই।
আমাদের কেবল এক কলসিন্দুরে একজন নড়েচড়ে বসেছিলেন বলে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা নারী ফুটবল দল বেরিয়ে এসেছিল। তাহলে গোটা দেশ অমন পাল্টে গেলে কি হতো একবার ভেবে দেখেনতো!
অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যা আড়াই কোটি, আমাদের ঢাকা শহরেই এরচেয়ে বেশি মানুষ থাকে। তাহলে প্রোবাবিলিটির অংকে কাদের দেশে সবচেয়ে বেশি প্রতিভা জন্মানোর কথা?
আমার মনে হয় আমাদের "বিসিএস দিয়ে সরকারি চাকরি পেতে হবে" "ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে" টাইপ মেন্টালিটি থেকে সরে আসাটা ভীষণ জরুরি। যার যেখানে প্রতিভা, তাঁর সেখানে ফোকাস করা উচিৎ। আর রাষ্ট্রীয়ভাবেও যদি এথলেটদের জন্য বাজেট বাড়ানো হয়, তাহলেই লোকে ছেলেমেয়েদের এথলেট বানানোর সাহস করবেন।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৫০

আমি সাজিদ বলেছেন: একমত পোষণ করছি।

১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ২:০৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১৩ ই জুন, ২০২৩ রাত ১২:২৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



বিসিএস পরীক্ষা পাশের জন্য প্রতিভার চেয়ে বেশী
প্রয়োজন বাজারের গাইড বই, নোট বই , সাধারনের
জ্ঞানের বই মুখস্ত বিদ্যার প্রয়োগ সাধন ।
প্রতিভা বিকাশের ক্ষেত্রগুলিকে বিসিএস সংকোচিত
করে ফেলছে।খেলা ধুলা , শিল্প ,সাহিত্য , ব্যবসা
বানিজ্য কৃষি প্রভৃতি ক্ষেত্রে শিক্ষা জীবনের শুরু হতে
গ্রাজুয়েট লেভেল ( বিসিএস প্রার্থী হবার প্রারম্ভিক
যোগ্যতা) পর্যন্ত তাত্বিক ,ব্যবহারিক ও প্রায়োগিক
সাফল্য গাথার ভিত্তিতে সরকারী চাকুরী লাভের
যোগ্যতা মুল্যায়নের ব্যবস্থা রাখা উচিত । তাহলে
প্রতিভার সুসম বিকাশ হলেও হতে পারে । এছাড়া
বিসিএস তথা সরকারী বেসরকারী সকল চাকুরীর
ক্ষেত্রসহ অন্যান্য কার্যক্ষেত্রেই প্রতিভা সৃজনও বিকাশে
ও তাদেরকে যথাযথ ভাবে পৃষ্ট পোষকতা দেয়া একান্ত
প্রয়োজন ।

১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ২:০৭

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ভাল বলেছেন। ধন্যবাদ।

৩| ১৩ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৯:৫৪

অপু তানভীর বলেছেন: এসব কথা আসলে শুনতে আর পড়তে বড় ভাল লাগে কিন্তু আমাদের জন্য এসবের বাস্তবতা একেবারে শূন্য ।

১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ২:০৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক বলেছেন। সবাই পড়বে, সহমত পোষন করবে, তারপরে ফিরে গিয়ে বাচ্চা কেন বই ছেড়ে গিটার বা ব্যাট/বল নিয়ে খেলেছে, সেজন্য বকাঝকা করবে।

৪| ১৩ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: রাইট।

১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ২:০৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ১৩ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৩৫

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: বক্তব্যর সাথে পুরোপুরি একমত।
বিসিএস প্রকৃতপক্ষে মেধা বাছাইয়ের পরীক্ষা না, এটা কে কত বেশি মুখস্ত করে মনে রাখতে পারে তার পরীক্ষা। মেধা বাছাইয়ের জন্য প্রয়োজনে পাঠ্যবইগুলো ঢেলে সাজানো উচিৎ। স্কুল/কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত পরীক্ষা পদ্বতি এমন হওয়া উচিৎ যে চাকরীর নিয়োগ কর্তারা তাদের মধ্যে থেকেই তাদের কাঙ্খিত শিক্ষগত যোগ্যতার কর্মী বাছাই করতে পারেন। আলাদা করে বিসিএস পরীক্ষার প্রয়োজন যেনো না হয়।

১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ২:০৬

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক বলেছেন, ধন্যবাদ।

৬| ১৩ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৪

নতুন বলেছেন: আমার মনে হয় আমাদের "বিসিএস দিয়ে সরকারি চাকরি পেতে হবে" "ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে" টাইপ মেন্টালিটি থেকে সরে আসাটা ভীষণ জরুরি। যার যেখানে প্রতিভা, তাঁর সেখানে ফোকাস করা উচিৎ।

পেটের ধান্দা না থাকলে সবাই প্রতিভা বিকাশে অনুশিলন করতে পারে।

বাবা মা চিন্তা করে বড় হয়ে ছেলে/মেয়ে কি করবে। তাই তাদের মাথায় বিসিএস দিয়ে সরকারি চাকরি পেতে হবে" "ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে" চিন্তা থাকে।

১৪ ই জুন, ২০২৩ রাত ২:০৭

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।

৭| ১৫ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৭:০৯

ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: আপনাকে একটা মজার তথ্য দিই। প্রাইমারিতে কোন টুর্নামেন্টে নিজের দল হারলে সবাই খুশি হন। যাতে পরে দুরবর্তী কোন খেলায় বাচ্চাদের নিয়ে যেতে না হয়। কতো লড়াকু প্লেয়ার আমাদের আছে ভাবতেও পারবেন না। কিন্তু কুমির ও আছে। সব খেয়ে ফেলে।

১৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:১০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.