নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
কুরবানীর উদ্দেশ্য হচ্ছে তাকওয়া অর্জন, "মাংস খাওয়া" এখানে সেকেন্ডারি বিষয়। যে কোরবানি করছে, সে যদি মাংস নাও খায়, কোনই সমস্যা নাই। সে ইচ্ছা করলেই পুরোটা বিলিয়ে দিতে পারে।
আবার এমন যদি হয় যে উনার পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনেক, এবং সেই তুলনায় মাংসের পরিমান (খাসির ক্ষেত্রে যা হয়) খুবই কম, তখন তিনি ইচ্ছা করলে পুরোটাই নিজের পরিবারের জন্য রেখে দিতে পারেন।
মূল বিষয় হচ্ছে, আল্লাহ বলেছেন কুরবানী দিতে - আমরা দিব। কাহিনী এখানেই শেষ।
তবে দেশে এবং বিদেশেও যেভাবে পশু বেচা কেনা হয় - সেটা আমার মতে ঠিক না। আপনারা নিজেরাই একটু গভীরে চিন্তা করেন, তাহলেই বুঝবেন আমি কেন কথাটা বললাম।
দেশে, গরুতে কতটুকু মাংস হবে, সেটার ভিত্তিতে আমরা দামদর শুরু করি।
"বাজারে আটশো টাকা কেজি, গরুতে মাংস হবে এক শো কেজি, তুমি এক লাখ টাকা চাও কোন আন্দাজে?"
ইদানিং দেশে বিদেশী স্টাইলে লাইভ ওয়েটেরও সিস্টেম চালু হয়েছে। গরুকে মেশিনে তোলা হবে, সেই ওজনের ৫৫-৬০% মাংসের দর বিবেচনা করে দাম বলা হবে। বিদেশে এমনটা করা হয় কারন এখানে গরু কেনা বেচাই হয় এইভাবে। তবে আমরা আলাদাভাবে যারা কোরবানি দেই, তাঁরা গরুর চেহারা, সাইজ এবং আমাদের বাজেটের সমন্বয়ে একটা ডিলে আসি। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।
দেশি কিছু পন্ডিত আবার গবেষণা করে বের করেছেন আসলে মাংস ৪৫% হয়, সাথে কলিজা বা অন্যান্য অর্গান যোগ করলে ৫২% হবে, কাজেই এর বেশি দাম দেয়া ঠিক না। আরে ভাই, তুই কি বাজারে মাংস কিনতে গেছিস যে এইভাবে দাম করতে হবে? আমার বাজেট পঞ্চাশ হাজার টাকা। আমি যাব এই টাকায় বেস্ট গরুটা কিনতে। না পেলে খাসি। মাংস বেশি হলে ভাল, আমি, আমার পরিবার আত্মীয় এবং গরিবরা বেশি মাংস পাবে। আর কম হলে কম পাবে। মাংসের ওজন নিয়ে দাম দর করা কেন? সেটাতো তখন কসাইয়ের দোকান থেকে মাংস কেনার মতন হয়ে গেল।
এই একই সূত্র ধরে "ভাই জিতছেন" "ভাই ঠকে গেলেন" - টাইপ কথাবার্তাও জঘন্য। এখানে হারজিত কিসের ভিত্তিতে বলছে? গরু/ছাগল বড় ছোট হওয়াটাতো এখানে বিষয় না। কোরবানি কবুল হলো কি হলো না, সেটার উপরই হারজিত নির্ভর করে। কেউ কিভাবে নিশ্চিত হচ্ছে কোরবানি কবুল হয়েছে কিনা?
এখন উল্টোদিকে আসা যাক।
গরু ব্যাপারীরা গরুর যেমন দাম হাঁকেন, সেটাওতো ঠিক না। জিন্দেগীর সব কামাই এক দানেই সেরে ফেলতে চায়। এমন ভাব যেন একটা গরু বিক্রি করেই লাস ভেগাসে ভ্যাকেশন ট্রিপে যাবে, তারপরে হজ্ব করে তওবা করে রিটায়ার করে ফেলবে।
ওদের হিসাব হবে এমন, গরু পালতে যা খরচ হয়েছে, সাথে নিজের একটু লাভ রেখে তারপরে বিক্রি। যেহেতু এটি কোরবানির ঈদ। এখানে একটু ছাড় দেয়া উচিৎ কারন কোরবানি হচ্ছে আল্লাহর উদ্দেশ্যে। যা লাভ রাখার বছরের অন্যান্য সময়ে রাখুন। রেগুলার কসাইয়ের দোকানে যখন গরু বিক্রি করবেন, তখন কয় কেজি মাংস হবে, কতটুকু ফেলে দিতে হবে ইত্যাদি হিসাবে রেখে তখন দাম দর করুন। কিন্তু কোরবানির পশুতে যে ছাড়টা আপনারা দিবেন, সেটাও আপনাদের সদকা, আপনাদের কোরবানি। নিশ্চই আল্লাহ ইন শা আল্লাহ এর প্রতিদান আপনাদের দিবেন।
রমজান উপলক্ষে, কোরবানি উপলক্ষে বিদেশে মুসলিম দোকানগুলোতে চলে ডিসকাউন্টের প্রতিযোগিতা। ইচ্ছা করে বছরের সমস্ত গ্রোসারি শপিং এই সময়েই করে ফেলি! আর আমাদের দেশে ঘটে ঠিক এর উল্টা। বিদেশের ব্যবসায়ীগুলিকে এত ডিসকাউন্টের পরেও দেখি টাকার উপরে রীতিমতন ঘুমাচ্ছেন, আর আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের সেটা দেখি না। কারনটা কি? আল্লাহর উপর ভরসা করেন? তাঁর রহমত, বরকতের উপর? তাহলে নিশ্চই জানেন উনার উদ্দেশ্যে এক টাকা ব্যয় করলে বিনিময়ে দশ টাকার বরকত ফেরত পাবেন? এইটাই হচ্ছে ঘটনা।
অনেক ব্যবসায়ী বলেন গরু পালতে আমাদের যে খরচ হয়, সেটার জন্যই গরুর এত দাম। আমরা আসলে লাভ করতে পারিনা, লসে বিক্রি করতে হয়। তা ব্যবসায় নেমে জানেন না কিভাবে ভ্যারিয়েবল cost কমাতে হয়? এক টাকা খরচের আগে চিন্তা করতে হয় এটা আমাকে কত পার্সেন্ট প্রফিট এনে দিবে, এটার বদলে অন্য কোন সাশ্রয়ী উপায় আছে কিনা - ইত্যাদিতো ব্যবসায়িক স্ট্র্যাটেজিরই অংশ। এইসব নিয়ে পড়াশোনা, গবেষণা না করে হুটহাট করে ঝাঁপায় পড়ে নিজের পাশাপাশি মার্কেট নষ্ট করেন কেন?
এনিওয়েজ। এসব ফেসবুকে লেখালেখি করে লাভ নাই। দুই চারজন পড়বেন, আর আমাদের জনসংখ্যা আঠারো কোটি। মরুভূমিতে দুই ফোঁটা পানি ঢালার মতন ব্যাপার। তবু চেষ্টা করে যাই। একজন হলেও যদি বুঝেন! উপলব্ধি করেন!
সবাইকে কোরবানির ঈদের আগাম শুভেচ্ছা।
০১ লা জুলাই, ২০২৩ রাত ২:২৪
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন:
২| ২৭ শে জুন, ২০২৩ সকাল ৯:৪৩
ধুলো মেঘ বলেছেন: আমাদের ব্যবসায়ীদের উপর ব্যাংক তথা সুদী ব্যবসার কালো ছায়া আছে। দেশী পেঁয়াজ কৃষক পর্যায়ে কেনা হয় ১০ টাকা কেজি, পরিবহন ও গুদামজাতকরণে আরো ৫ টাকা খরচ হয়। ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করলে ৫/৬ টাকা কেজিতে লাভ থাকে, হিসাবে যা ২০%। কিন্তু এই পেঁয়াজ বিক্রি করতে হয় মিনিমাম ৪০ টাকায়। কারণ, ব্যাংকের সুদ বাবদ উৎপাদনকারী, পাইকার ও খুচরা বিক্রেতাকেই ১৫/২০ টাকা প্রতি কেজিতে পরিশোধ করতে হয়।
ভারতীয় পেঁয়াজ শুনলাম কিনতে খরচ পড়েছে কেজিতে ১০-১৫ টাকা। কিন্তু কেউ কি খুচরা বাজারে তা ৫০ টাকার নিচে কিনতে পেরেছেন? পারেননি। কারণ আমদানিকারকদেরকে ব্যাংক খরচ মেটাতে হয়ে কেজিতে ২০/২৫ টাকা করে। তাহলে সস্তায় জিনিস পাবেন কি করে?
০১ লা জুলাই, ২০২৩ রাত ২:২৫
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ভাল বলেছেন, ধন্যবাদ।
৩| ২৭ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:১১
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি অভিজ্ঞ মানুষ।
ভালো লিখেছেন।
০১ লা জুলাই, ২০২৩ রাত ২:২৪
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জুন, ২০২৩ সকাল ৯:৪০
আহলান বলেছেন: জ্বি জনাব, ঠিকই বলেছেন ... কোরবানী এখন অনেকের কাছে পশু কিনে গোশত খাওয়া ...পিকনিকের মতো একটি বিষয়!