নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
ইন্ডিয়াতে ভয়াবহ বন্যা হচ্ছে। বাড়িঘর ভেঙে যাচ্ছে, গাড়ি ভেসে যাচ্ছে, ব্রিজ ভাঙছে, মানুষ মরছে। অবস্থা খুবই খারাপ।
বাংলাদেশেও সেটার রিয়েকশন হবে। পানিতো ওদের দেশ হয়ে এইদিকেও আসে। আমাদের প্রস্তুতি আছেতো?
সেটা পরে দেখা যাবে। বরং অতি বিরক্তিকর একটি বিষয় নিয়ে লেখা যাক।
“বন্যায় সব ভেসে গেলেও ভাঙেনি মহাদেবের মন্দির!”
কমেন্ট সেকশন ভরে যায় “হর হর মহাদেব” কমেন্টে।
একই ঘটনা ঘটে মুসলিমদের ক্ষেত্রেও। বন্যায় বা আগুনের রক্ষা পাওয়া মসজিদের ভিডিওর নিচে কমেন্ট আসে “আল্লাহু আকবর!”
যারা কমেন্টগুলো করে বেশিরভাগের সাথেই ধর্মের কোন সম্পর্ক নাই। ফেসবুকে কোন ন্যাংটা মানুষের প্রোফাইল ফলো করতে করতে হঠাৎ করে নিউজফিডে চলে আসে, তখন আবেগ দেখিয়ে কমেন্ট করে আবার ব্যস্ত হয়ে যায় পাপে।
অথচ মাথা একটু খাটালেই বুঝতো বিষয়টা আল্লাহ, ভগবান, ঈশ্বরের জন্য খুবই অবমাননাকর! এর মানে দাঁড়ায় চরম প্রাকৃতিক দুর্যোগে সর্বশক্তিমান নিজের বাড়ি সামলাতেই ব্যস্ত, বাকি মানুষ বাঁচলো না মরলো তাতে উনার কিচ্ছু যায় আসে না।
কিংবা, মানুষ মরছে, তাঁকে ডাকাডাকি করছে, অথচ তিনি নিজের বাড়ি ছাড়া কিছুই বাঁচানোর ক্ষমতা রাখেন না।
এমনতো না যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে মন্দির মসজিদ গির্জার কোন ক্ষতি হয় না। বরং তেমন উদাহরণই কোটি কোটি। একটা মন্দির বা মসজিদ বাঁচলেও ভেসেছে, ভেঙেছে, নিশ্চিহ্ন হয়েছে শ খানেক। কেন হবে না? আল্লাহ নিজেই তো বলেছেন, তিনি অবিনশ্বর, বাকি সব নশ্বর। তার মানে হচ্ছে পৃথিবী ও এর ভিতরের বাইরের সবকিছুই একদিন ধ্বংস হবে। ধ্বংস হতে বাধ্য। থেকে যাবেন কেবল তিনি। এটাই কি সব ধর্ম বলে না?
ইসলাম ধর্মের উদাহরণই দেই।
আমাদের শ্রেষ্ঠ মানব মুহাম্মদ (সাঃ), পৃথিবীতে তাঁর আয়ু ছিল কেবল ৬৩ বছর। তিনি চিরঞ্জীব ছিলেন না। সেটা সম্ভবও না। কুরআনেও বলা হয়েছে তাঁকেও মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে যেমনটা অতীতের সব নবী রাসূলদের করতে হয়েছে।
কোন নবী রাসূলই অমর হননি। সবাই মারা গেছেন।
আল্লাহর বাণী কুরআন, আমাদের সবচেয়ে পবিত্রতম গ্রন্থ। আগুনে পোড়ালে পুড়ে যায়, পানিতে ডুবালে বিনষ্ট হয়। না হওয়ার কোনই লজিকাল ও ধর্মীয় কারন নেই।
পবিত্র কাবা শরীফ, যেদিকে ফিরে আমরা নামাজ আদায় করি, যার চাইতে পবিত্রতম কোন স্থাপনা মুসলিমদের জন্য নেই - সেই কাবা ঘরও অতীতে বহুবার ধ্বংস হয়েছে, ভবিষ্যতেও হতে পারে। এইটাই নিয়ম।
মাঝে দিয়ে এই ফালতু ভিডিও ছবিগুলো বানাবার, পোস্ট করার, লাইক শেয়ার কমেন্ট করার মানে কি?
বরং একটি জরুরি ফ্যাক্ট তুলে ধরি। একটু গভীরভাবে চিন্তা করুন।
একবার আমাদের নবীজি (সঃ) কাবার চারপাশে তাওয়াফ করছিলেন, এবং কাবার উদ্দেশ্যে বলছিলেন, “কত উত্তম তুমি হে কাবা! আর্কষীয় তোমার খুশবু, কত উচ্চ মর্যাদা তোমার ( হে কাবা)! কত মহান সম্মান তোমার। সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! আল্লাহর নিকট মুমিন ব্যক্তির জান-মাল ও ইজ্জতের মর্যাদা তোমার চেয়ে অনেক বেশী।”
হাদিসটি বলেছেন আমাদের দ্বিতীয় খলিফা হজরত উমরের (রাঃ) পুত্র আব্দুল্লাহ (রাঃ), যিনি নিজেও একজন সাহাবী এবং আমাদের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম আলেমদের একজন। এর মানে হচ্ছে, কাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম, পবিত্রতম স্থাপনা - কিন্তু এর মর্যাদাও একটি মানুষের প্রাণ, সম্পদ ও সম্মানের চেয়ে বেশি নয়।
আরেকটা ইন্টারেস্টিং হাদিস বলি।
তবে তার আগে একটা ব্যাকগ্রাউন্ডও। আমাদের মসজিদে নববীতে আমরা জানি এক ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের সওয়াব অন্যান্য মসজিদে নামাজের হাজার গুন বেশি। ঠিকতো?
তো একবার আমাদের নবীজির (সঃ) জামাতে নামাজের জন্য দেরি হচ্ছিল। এতটাই যে সাহাবীগণ নিজেরাই জামাতে আদায় করে ফেলেন। পরে যখন তিনি এসে উপস্থিত হন, তখন তাঁকে দেরির কারন জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, তিনি দুইজন মানুষের ঝগড়া মিটিয়ে মিলমিশ করাচ্ছিলেন। সেটা তাঁর কাছে মসজিদে নববীতে ইমামতির চাইতেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
ভাবুন। ভাবতে থাকুন।
ভিডিওতে ফালতু এটেনশন না দিয়ে বন্যায়, ঝড়ে, তুফানে, যুদ্ধে, মহামারীতে, যেকোন দুর্যোগে আক্রান্ত মানুষের পাশে এসে দাঁড়ান, মানুষের মাঝে শান্তির ব্যবস্থা করুন, মানুষের সম্পদ ও সম্মান নষ্টে মনোযোগ না দিয়ে সেটা রক্ষার দিকে মন দিন। ইন শা আল্লাহ, বেহেস্ত আপনার পায়ের তলে এসে লুটাবে।
০৩ রা আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:০৮
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: সেই বিষক্রিয়ায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে - এইটা সরাসরি বলে না, তবে মৃত্যুর সময়ও সেই বিষের যন্ত্রনা তিনি ভোগ করেছেন, সেইটা সত্য।
২| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৫১
কামাল১৮ বলেছেন: মানুষকে সাহায্য করাই উত্তম ধর্ম।
৩| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:০০
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার লিখার বিষয়বস্তু নিয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই কারণ আপনি যা বলেছেন তা আমার কাছে সঠিক এবং যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয়েছে। আমার মন্তব্য অন্য বিষয় নিয়ে, আপনার বেশীরভাগ লিখায় প্যারাগ্রাফ শেষ হওয়ার পর এক লাইন খালি না রেখেই অন্য প্যারার লিখা শুরু করেন বিষয়টি আমার কাছে দৃষ্টিনন্দন বলে মনে হয় নি। পুরো লিখাটাই হিজিবিজি টাইপ লাগে। ভুল না জেনে থাকলে এক লাইন খালি রেখে লিখার নিয়ম আর নিয়ম না হলেও তাতে মনে হয় দৃষ্টিনন্দন হতো, চেষ্টা করে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ।
০৩ রা আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:০৯
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ফিডব্যাকের জন্য ধন্যবাদ।
৪| ২৮ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১:১৮
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ভারতে মন্দির ভাঙ্গে না আর বাংলাদেশে মসজিদ ভাঙ্গে না। আল্লাহ, ভগবানের ব্যাপক ক্ষমতা।
৫| ২৮ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: ধার্মিকদের হাস্যকর দিক তুলে ধরেছেন।
ধন্যবাদ।
০৩ রা আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:০৮
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ওরা ধার্মিক না, ওরা বলদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:৪৮
কামাল১৮ বলেছেন: নবী যতদিন মক্কায় ছিলেন ততদিন কাবার ভিতর ৩৬০ টা মুর্তি ছিলো।অষ্টম হিজরিতে মক্কা বিজয় হয়।তার পর নবী দুই বছর বেচে ছিলেন।এই দুই বছর নবী খুবই অসুস্থ ছিলেন।খাইবার বিজয়ের পর ইহুদি বুড়ির বিষ মিসানো গোস্ত খাবার পর থেকেই তার অসুস্থতা সুরু।সেই বিষ ক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয়।হাদিস তাই বলে।