নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
রিসেন্টলি টাইটান ট্র্যাজেডির কারনে টাইটানিককে নিয়ে লোকজনের আগ্রহ অনেক বেড়েছে। আমারও বেড়েছে। তাই মুভিটা আবার দেখলাম। তখনই মনে হলো, টাইটানিক যদি অন্য ডিরেক্টররা বানাতেন, তাহলে কেমন হতো!
সুরজ ভারজাতিয়া: জাহাজে সবাই সংস্কারি লোকজন, সবাই সুখী। মা বাবা ভাই বোন চাচা মামা খালা তালই প্রতিবেশী, প্রতিবেশীর আত্মীয়ের আত্মীয়ের প্রতিবেশী - সবাই একসাথে ভ্রমনে বেরিয়েছে। সুখের কোনই অভাব নাই। সেটা প্রকাশ করবে নানা আনন্দ ফুর্তির দৃশ্যের মাধ্যমে। যেমন পরিবারের সবাই মিলে ক্রিকেট খেলবে, লুডু খেলবে, ক্যারাম খেলবে ইত্যাদি। বাড়ির সবাই ফূর্তিতে ব্যস্ত, কাউকেই অফিসে যেতে দেখাবে না, এদিকে ফাইল হাতে ম্যানেজারবাবু উপস্থিত হবেন, এবং কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রফিট হয়েছে বলে চলেও যাবেন। বাড়ি থেকে রওনা দেয়ার সময়ে এক গান হবে, গাড়িতে উঠে এক গান, জাহাজে উঠে আরেক গান, তারউপর আছে সবাই মিলে আন্তাকসারি খেলা। সময় খুব আনন্দে কাটবে।
কাহিনীর একদম শেষ সময়ে সামনে বরফের পাহাড় এসে উপস্থিত হবে। সবাই তখন খুব টেনশন করবে। পূজা করবে। অতঃপর জাহাজ ঢেউয়ে দুলতে দুলতে বরফের পাহাড় পাশ কাটিয়ে চলে যাবে। অতঃপর আরেকটা গান এবং সবাই সুখে শান্তিতে বসবাস করতে থাকবে।
হুমায়ূন আহমেদ:
জ্যাক উচ্চশিক্ষিত, আমেরিকা থেকে পিএইচডি করেছে, মধ্যবিত্ত কিন্তু ভবঘুরে জীবন যাপন করে। ছবি আঁকে, পকেটে মোমবাতি, আচারের বয়াম ইত্যাদি নিয়ে ঘুরাঘুরি করে। ফকির মিসকিনদের সাথে খায়।
রোজ বিরাট বড়লোকের মেয়ে, কিন্তু ভাবসাব অহংকার কিছু নেই। একদিন জোছনা দেখতে গিয়ে দেখবে ছেলেটাও জোছনা দেখছে। কিছুক্ষন কথাবার্তা হবে, এবং ছেলেটার প্রেমে পড়বে। সাথে সাথে বিয়ের প্রস্তাবও দিবে। পরের দৃশ্যে ওরা একসাথে বৃষ্টিতে ভিজবে এবং নেপথ্যে জাহাজের বয়াতির দল গেয়ে উঠবে, "আমার যমুনার জল দেখতে কালো....।"
এর আগে দেখানো হবে জাহাজের ক্যাপ্টেন যাত্রীদের মনোরঞ্জনের জন্য নানান প্ল্যান প্রোগ্রাম রেখেছেন। সম্মিলিতভাবে আয়োজন করে জোছনা দেখা তার একটি। আকাশে চাঁদ যখন তীব্র আলোর বিস্ফোরণ ঘটাবে, তাঁর নির্দেশে জাহাজের সব বাতি নিভিয়ে দেয়া হবে। ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে জাহাজের ডেকে বসে সবাই জোছনাবিলাস করবে, নেপথ্যে বাজবে "আজ জোছনারাতে সবাই গেছে বনে।"
জাহাজের চীফ শেফ মিস্টার কাদের সদা সত্য কথা বলবে। সত্য বলে বলে সে কি বিপদে পড়ে, সেটা নিয়ে কাহিনী এগুবে।
জাহাজের মেইড রহিমা'জ মম ফটফটর করে কথা বলবে। কাদেরের সাথে ওর রেষারেষি কাহিনীর একটি বিরাট সাবপ্লট।
এই সময়েই কাহিনীতে টুইস্ট আসবে। সামনে বরফের পাহাড়! মদ্যপ ক্যাপ্টেন সবাইকে পানিতে ঝাঁপ দিতে বলে। যাত্রীদের একজন বলে উঠবেন, "এই ছাগল বলে কি?"
ক্যাপ্টেন তখন বুক চাপড়ে বলবেন, "এই ছাগল সত্য কথা বলে। এই ছাগলের জানের মায়া আছে!" বলেই সে দলবল নিয়ে সাগরে ঝাঁপ দেয়।
যাত্রীদের মধ্যে তখন ত্রাহি ত্রাহি রব। কিছুতেই জাহাজ রক্ষা করা যাচ্ছে না। একে অন্যকে জড়িয়ে কাঁদছে।
ঠিক এর পরের দৃশ্যেই দেখা যায় ক্যাপ্টেন নিজের লোকজন সহ ফিরে এসেছে। জাহাজ বাঁচানোর চেষ্টা করছে। নায়ক গিয়ে ওকে বলবে, "ক্যাপ্টেন সাহেব, আপনি মানুষটা ভাল।"
জাহাজ বরফের পাহাড়ের দিকে তীব্র বেগে এগিয়ে যাচ্ছে।
এবং কাহিনী সেখানেই শেষ।
ইয়াশ রাজ ফিল্মস ও ধার্মা প্রোডাকশনস: জ্যাক এবং রোজের প্রথম দেখা হবে ইন্ডিয়ার কোন কলেজে, কিন্তু ক্যাম্পাস দেখে কিছুতেই মনে হবে না ওটা ইন্ডিয়া। স্কটল্যান্ড, ইংল্যান্ড বা এই জাতীয় কোথাও মনে হবে। কলেজের ছাত্রছাত্রীরা সবাই দেখতে মডেলের মতন, যারা পড়ালেখা ছাড়া সবকিছু করে বেড়ায়। ওদের কারোরই ড্রেস নিউমার্কেট, গাউসিয়া থেকে কেনা মাল হবেনা, সবই দেখে মনে হয়ে প্যারিস থেকে শপিং করা। প্রিন্সিপাল একজন কার্টুনের মতন লোক, কমেডি করাই যার কাজ। ওর সাথে এক লেডি টিচারের প্রেম, যে মিনি স্কার্ট পরে ক্লাস করাতে আসে।
রোজ অনেক বড়লোকের মেয়ে। সে ক্যাম্পাসে আসে প্রাইভেট হেলিকপ্টারে চেপে। ওর পেছনে একদল সহচরী, যাদের কাজই হচ্ছে ওভারএক্টিং করা। রোজ এবং ভিলেন খুবই ভাল বন্ধু। ভিলেনের মনে পপকর্ন ফুটলেও, রোজ ওকে ফ্রেন্ডজোন্ড করে রেখেছে।
এদিকে জ্যাক বস্তির ছেলে, কিন্তু মানিষ মালহোত্রার ডিজাইন করা ড্রেস পরে, রেগুলার জিমে যাওয়া, প্রোটিন শেক খাওয়া পেটানো বডি। থাকে হাইসিলিংওয়ালা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কোন "বস্তিঘরে।"
টাইটানিক নামের ক্রুজ শিপ রওনা হবে সুইজারল্যান্ড থেকে।
বানসালির সেটের মতন বিশাল সেট হবে, অনেক লম্বা লম্বা পর্দা ঝুলবে দেয়াল থেকে, সিলিংগুলো হবে অনেক হাই।
নায়ক নায়িকার দেখা হবে জাহাজে, কিন্তু গান গাইতে ওরা সুইজারল্যান্ডের পাহাড়ে চলে যাবে, আবার গান শেষ করে মাঝ সমুদ্রের জাহাজে হাজির হবে। গানের প্রতিটা দৃশ্যে জাহাজের যাত্রীরা দলীয় নৃত্যে অংশ নিবে, এবং কেউই কোন ভুল করবে না। এই বিপুল পরিমান যাত্রী কখন রিহার্স্যাল করেছে, সেটা অবশ্য ভাবলে চলবে না।
জাহাজ যখন পাহাড়ের সাথে ধাক্কা খাই খাই অবস্থা, তখন সমবেত দোয়া প্রার্থনা করা হবে। সবাই আল্লাহ, খোদা, ভগবানকে ডাকবে, পেছনে লতা মঙ্গেশকরের কোন ভজন চলবে।
এই সময়েই টাইগার এবং পাঠান এসে হাজির হবে। ওরা তখন বলবে, "দেশকা সাওয়াল হ্যায়" - বলেই ওরা অ্যাকশন দেখায়ে জাহাজ দুর্ঘটনার হাত থেকে যাত্রীদের বাঁচিয়ে ফেলবেন। এদিকে ভিলেন নিজের প্রেমকে স্যাক্রিফাইস করে নায়িকার হাত নায়কের হাতে তুলে দিবে। অতঃপর সিনেমা শেষ।
রাম গোপাল ভার্মা এবং অনুরাগ কাশ্যপ: নায়ক বিহার থেকে মুম্বাই আসবে। থাকবে বস্তিতে। মুখে দাড়ি গোঁফের জঙ্গল, গায়ে ময়লা কাপড়। নানান পরিস্থিতির শিকার হয়ে সে গ্যাংস্টার হয়ে যাবে। বস্তিবাসী কাজের বুয়া হচ্ছে নায়িকা। ওর সাথে সুন্দর প্রেম কাহিনী এগুবে। নায়ক চার পাঁচটা মার্ডার করে দুবাই যাবার জন্য টাইটানিকে উঠবে। কিন্তু এই টাইটানিক সেই লাক্সারি টাইটানিক না, বরং মাছ ধরার ট্রলারের মতন দেখতে একটা লঞ্চ।
এদিকে ওর শত্রু আরেক গ্যাংস্টার সেখানেও ওর পিছু নিবে। সাথে মুম্বাই পুলিশ কমিশনারও। জাহাজের মধ্যেই আরও গোলাগুলি হবে। জাহাজ আইসবার্গে ধাক্কা খাবার আগেই পাত্রপাত্রী একজন আরেকজনকে গোলাগুলি করে মরে চিৎপটাং হয়ে যাবে।
বালাজি: জাহাজের ক্যাপ্টেন আসলে জাহাজের মালিকের পরিবারকে বরবাদ করতে জাহাজে চাকরি নিয়েছে। জাহাজের মালিকের সাথে ওর পরিবারের ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব আছে, সে প্লাস্টিক সার্জারি করে নতুন চেহারা নিয়ে ক্যাপ্টেন হিসেবে জয়েন করেছে। এখন সে ইচ্ছা করেই জাহাজের স্পিড বাড়ায় যাতে জাহাজ বরফের পাহাড়ের সাথে বাড়ি খায় এবং ডুবে যায়।
এদিকে রোজ সংস্কারি বহু, যে ঘর সামলায়, সকালে উঠে শ্বাশুড়ির সাথে পূজা করে, সবাইকে ঘুম থেকে জাগায়, সবার জন্য একাই নাস্তা বানায়, বাবুজীর (শ্বশুর) জন্য চা বানায়, জ্যাককে অফিসের জন্য রেডি করে বিদায় দিয়ে জাহাজে চাপে। এসে দেখে জ্যাক অফিসের সেক্রেটারি, যে কিনা ইচ্ছাধারী নাগিন, ওর সাথে লটরপটরে ব্যস্ত। তারপরে নিজের সিন্দুরের শক্তি দেখিয়ে জ্যাককে ঐ ইচ্ছাধারী নাগিনের হাত থেকে উদ্ধার করে। নাগিন নিজের আসল রূপ প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় সাগরে ঝাঁপ দেয়, সেখানে একটি শার্ক ওকে সাপ ভেবে খেয়ে ফেলে। জ্যাকও তওবা করে পূত-পবিত্র হয়ে যায়।
এদিকে জাহাজ আইসবার্গের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আইসবার্গ দেখে ক্যাপ্টেনের রিয়েকশন পর্দায় ভেসে উঠে। তারপরে ভাইসক্যাপ্টেনের চেহারা। তারপরে কোচের চেহারা। তারপরে ফিজিওর চেহারা। তারপরে টুয়েল্ভথ ম্যানের। তারপরে একে একে ২২০০ যাত্রীর প্রত্যেকের চেহারার শকিং এক্সপ্রেশন বজ্রপাতের সাউন্ড এফেক্ট সহ পর্দায় ভেসে উঠে। জাহাজ তখনও আইসবার্গের দিকে এগুচ্ছে। সবার এক্সপ্রেশন দেয়া শেষে একে অন্যকে জড়িয়ে কান্নাকাটি শুরু করে। স্লোমোশনে এই দৃশ্য আরও দুই এপিসোড ধরে দেখানো হবে। ব্যাকগ্রাউন্ডে সিনেমার থিম সংও টেম্পো স্লো করে বাজতে থাকবে। জাহাজ তখনও এগুচ্ছে।
ক্যাপ্টেনের আসল রূপ একসময়ে প্রকাশ পায়। জ্যাকের সাথে মারামারি, ধস্তা ধস্তি হয়। কিন্তু তীব্র গতিতে এগুতে থাকা জাহাজকে থামানোর আর কেউ নেই। এই সময়ে রোজ বুঝতে পারে সে যেহেতু ঘর সামলাতে পারে, তাই জাহাজ সামলানোও ওর কাছে কোন ব্যাপার না। সে দৌড়ে গিয়ে হুইল সামলায়। তারপরে ডানে বামে ঘুরাতে থাকে। জাহাজও একপাশে সরে গিয়ে ধাক্কা এড়ায়। অতঃপর জাহাজ সকল যাত্রী সমেত রক্ষা পায়।
এসএস রাজামৌলি: জাহাজটা বিশাল, শুধু বিশালই না, মনে হবে আস্ত শহর এটাতে ফিট হয়ে গেছে। বাস্তবের টাইটানিক চার পাঁচটা অনায়াসে এটাতে ঢুকে যাবে।
আইসবার্গে ধাক্কা খেতে যাবে। কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। হুইল ঘুরাতে গিয়ে দেখা যাবে হুইল হাতে খুলে এসেছে। যাত্রীরা সবাই কান্নাকাটি জুড়ে দিয়েছে। জাহাজ দ্রুত বেগে এগিয়ে চলেছে বরফের পাহাড়ের মাঝ বরাবর ধাক্কা দিতে। এক ধাক্কাতেই লোহার জাহাজ ভেঙ্গে চৌচির হয়ে যাবে।
এই সময়ে নায়ক জাহাজের পেছন থেকে দৌড় শুরু করবে। ওর কাঁধে লম্বা দড়ি পাক খাইয়ে রাখা, যার এক প্রান্ত জাহাজের আগায় শক্ত করে বাধা আছে। নায়কের দৌড় দেখেই মিউজিশিয়ানদের মনে জোশ তৈরী হবে, ওরা আরও এনার্জি দিয়ে বাজনা বাজানো শুরু করবে। সেই বাজনা যাত্রীদের মধ্যেও এনার্জি নিয়ে আসবে। ওরাও ছন্দে ছন্দে ডান্স শুরু করবে। নাচের মাঝখানেই নায়ক দৌড়ে এসে লং জাম্প দিয়ে সরাসরি বরফের পাহাড়ে গিয়ে পড়বে। তারপরে আরেক লাফ দিয়ে পাহাড় থেকে আরও দূরে সরে যাবে। কিন্তু কাহিনীতে বিশাল টুইস্ট। নীল তিমি সাইজের একটা হাঙ্গর মাছ তখন নায়ককে কামড়াতে আসবে। হাঙ্গর দিবে হুঙ্কার, এটা দেখে নায়কও দিবে হুংকার। নায়ক ও হাঙরে তুমুল ধস্তাধস্তি হবে, কিন্তু নায়ক হাঙরকে মারবে না। বরং ওর পিঠে চেপে বসবে। তারপরে নিজের কাঁধে বাঁধা দড়ি সহ হাঙরের পিঠে চেপে ওরা জাহাজকে টেনে দিক বদল করে ফেলবে। দুই হাজার যাত্রীর প্রাণ এইভাবেই রক্ষা পাবে।
কিন্তু না! এরমধ্যে কাহিনীতে আসবে কাটাপ্পা! সে এসে নায়কের পেছনে ছুরি চালিয়ে দিবে। অতবড় হাঙর যার কিছু করতে পারলো না, এত বড় জাহাজ যে টেনে সরিয়ে দিল, সেই নায়ক খতম! সবাই প্রশ্ন করবে, "কাটাপ্পানে জ্যাককো কিউ মারা?"
জানতে হলে দেখতে হবে টাইটানিক-২!
সবশেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড:
টাইটানিক আইসবার্গে ধাক্কা খাবে ঘোষণা দিয়েছে। জাহাজের ক্যাপ্টেন পপকর্ন সংবাদ সম্মেলনে বলবে, "আমি স্পিড বাড়াতে বলেছি, অন্ধকারে সে এগিয়ে চলেছে, এখন সামনে আইসবার্গ আসায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধাক্কা দিবে। এতে আমার কি করার আছে আপনারাই বলেন?"
এইসময়ে বোয়িং এয়ারলাইন্স জাহাজকে ফোন করে বলবে, "তোর সিদ্ধান্ত তোর, কিন্তু তুই পারবি!"
টাইটানিক তবু থামাথামিতে নাই। সে গুতা দিবেই।
যাত্রীদের আত্মীয়স্বজন তখন লন্ডন এবং নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করে দিবে টাইটানিক ডুবা চলবে না। জাহাজের ক্যাপ্টেনের ফাঁসি চাই! সবাই তখন প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করবে।
এই সময়ে প্রধানমন্ত্রী নিজ কার্যালয়ে জাহাজ, ক্যাপ্টেন এবং বোয়িং বিমানকে ডেকে পাঠাবেন। রুদ্ধদ্বার বৈঠক হবে। বাইরে সাংবাদিক ও বিশ্ববাসী অপেক্ষায় থাকবে। বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে টাইটানিক জানাবে সে আজকে ডুববে না।
অতঃপর সহীহ সালামতে যাত্রীদের নিয়ে সে নিউইয়র্ক পৌঁছাবে।
পরেরদিন পত্রিকায় জাহাজ, বোয়িং এয়ারলাইন্স, পপকর্ন ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি প্রকাশ হবে।
সিনেমা সমাপ্ত!
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৪১
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: হাহাহা, আমি আরও ভেবেছিলাম লোকে হাসবে না।
২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৭:৩৫
সোহানী বলেছেন: হাহাহা............ ফাটাফাটি
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৪০
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:২২
রাজীব নুর বলেছেন: একদম সঠিক অনুধাবন করেছেন।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৪০
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১:২৯
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মিলে যাচ্ছে ভালোভাবেই।
৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:০০
ধুলো মেঘ বলেছেন: হাসতে হাসতে পড়ে গেলাম। ক্যামনে কি? হালায় কামডা করল কি?
ইস! এ আই জেনারেট করে এই প্রত্যেকটা মুভি দেখতে পারতাম! বিশেষ করে হুমায়ূন এবং বালাজিরটা দেখতে তর সইছেনা।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৩ ভোর ৬:২৩
মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বলেছেন: This is spot on!!!!!! All of them!!
জটিল অ্যানালাইসিস এবং অ্যাপলিকেশন। অনেকদিন পর একটা দম-ফাটানো হাসির কিছু পড়লাম।