নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে ওদের প্রস্তুতি, শক্তি, দুর্বলতা এবং সে অনুযায়ী আমাদের প্রস্তুতি কেমন?

২২ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৪৫

একটা সময়ে ইন্ডিয়া পাকিস্তানের ক্রিকেট ছিল দুনিয়ার বেস্ট। সমানে সমান লড়াইতো অনেক দেশের মধ্যেই হয়, ওদের মাঠের খেলার চাইতেও বেশি উপভোগ্য ছিল খেলোয়াড়দের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ। এই বোলার সেই ব্যাটসম্যানকে গালাগালি করেছে। ব্যাটসম্যান ব্যাট হাতে পিটাতে দৌড়ে আসছে। ফিল্ডাররা দৌড়ে এসে ক্যামেরায় দেখাচ্ছে যে তাঁরা মারামারি থামাচ্ছে, কিন্তু সুযোগে ওরাও মাম্মি ড্যাডি তুলে গালাগালি করছে। আম্পায়ারদের অবস্থা তখন জাতিসংঘের মতন। কিছুই করতে পারেনা, শুধু নিন্দাজ্ঞাপন ছাড়া।
আজকের যুগে দৃশ্যপট পুরাই পাল্টে গেছে। বাবর রিজওয়ান গিয়ে বিরাট কোহলির সাথে কোলাকোলি করছে, শাহীন মোহাম্মদ শামির কাছ থেকে টিপস নিচ্ছে, মাঠের ভিতরে বাইরে একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরে হাসিমুখে ছবি তুলছে। হোয়াট ননসেন্স? তোদের এই দাঁত ক্যালানো দেখতে আমরা বসে থাকি? শহীদ আফ্রিদি-গম্ভীর-কামরান-আখতার-হরভজন যুগে ফেরত যাবি কবে?

তবে রাইভালরি খানিকটা বদলেছে। আগে যেটা ছিল ইন্ডিয়া পাকিস্তান, এখন সেটা পাকিস্তান-আফগানিস্তান। শক্তির পার্থক্য আকাশ-পাতাল। কিন্তু ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দল এমনভাবে মাঠে নামে যেন আদালতে একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে জমি দখলের মামলা ঠুকেছে এবং আদালত বলে দিয়েছে, আমাদের এত ফাউল সময় নাই, তোমরাই আপোষে মীমাংসা করে নাও।
গালাগালি চলে, ভাগ্য ভাল থাকলে হাতাহাতির ঘটনাও দেখতে পারা যায়। পুরাই পয়সা উসুল যাকে বলে!
পাক-আফগান সিরিজটা ঘিরে তাই আগ্রহ জাগেই। এর উপর যুক্ত হয়েছে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ। আমাদের প্রতিপক্ষ দুইজনই। ওদের প্রস্তুতি কেমন, শক্তি, দুর্বলতা, সে অনুযায়ী আমাদের প্রস্তুতি ইত্যাদি দেখতে হলেও এই সিরিজটা গুরুত্বপূর্ণ।

কাগজে কলমে পাকিস্তানের টপ অর্ডার ব্যাটিং এখন বিশ্বসেরা। বাবর-ফখর-ইমাম তিনটাই টপ চার ranked প্লেয়ারের তালিকায় আছে। সহজ কথা না। দীর্ঘদিন কন্সিস্টেন্ট পারফর্ম করে যাওয়ার ফল। পাকিস্তান ক্রিকেট ইতিহাসেও এই ঘটনা প্রথম। ওরা ফাস্ট বোলার তৈরির কারখানা, এমন কনসিস্ট্যান্ট ব্যাটসম্যান তৈরী করার জন্য পরিচিত না।
এটিই আবার ওদের দুর্বলতা। এর মানে মিডল অর্ডার সেভাবে এক্সপোজড হওয়ার সুযোগ পায়না। কতটা চাপ সামলাতে পারে, সেটাই একটা পরীক্ষা।
এদিকে আফগানিস্তানের স্পিনতো এমনিতেই বিশ্বসেরা। রশিদ ক্যারিয়ার শেষ করতে করতে ওয়ার্নের কিংবদন্তি ছুঁয়ে যাবে সেটা এখনই নিশ্চিত করে বলা যায়। কথাটা আমার না। ওয়ার্নের সাথে ওর একটা ভিডিও সেশন আছে, ইউটিউবে থাকার কথা, দেখতে পারেন। এই ছেলে রীতিমতন ম্যাজিশিয়ান। ওয়ার্নের চাইতেও ওর ভ্যারাইটি বেশি। এবং ওর স্ট্যাটসও সে কথাই বলে। খোদ ওয়ার্নই ওর ব্যাপারে অনেক বিস্মিত ছিল।
মুজিব ও নবীও ভয়াবহ বোলার।
হাম্বানটোটার পিচও বোলিং বান্ধব।

তাই লড়াইটা জমার কথা ছিল। জমেছিলও। প্রথম দুই ওভারেই ফখর-বাবর আউট! খেলা পুরোপুরি আফগান পাঠানদের দখলে। শেষ পর্যন্ত লাগাম ছাড়ে নাই। চাপে ফেলে পাকিস্তানকে ২০১ রানে অলআউট করে দিয়ে ওরা জয়ের স্বপ্নও দেখছিল।

ইনিংস বিরতিতে একটা বিষয়ই সবার আলোচনায় ছিল। পাক পেস ব্যাটারি কি করতে পারবে এই স্পিন বান্ধব উইকেটে। টিভিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে বল পিচ করে আটকে যাচ্ছে, ব্যাটে আসতে চাইছে না। জোরে শট মারতে গেলেই মিস টাইমিং হচ্ছে। পেসারদের বাড়তি পেস বরং ব্যাটসম্যানদের সাহায্য করছে। যা করার স্পিনাররাই করছে। পাকিস্তান দলের স্পিনাররা আফগানদের মতন কার্যকরী হতে পারবে? আফগান গরম মাথার ব্যাটসম্যানরা কি মাথা ঠান্ডা রেখে পার্টনারশিপ গড়তে পারবে? প্রথম দশটা ওভার যদি উইকেটে টিকে থাকতে পারে, তাহলে পাকিস্তান ম্যাচ থেকে ছিটকে যাবে। কথা এইটাই, পাকিস্তানই কি ওদের সেই সুযোগ দিবে?

ওদের ব্যাটিং শুরু হলো।
শাহীনের প্রথম ওভার খুবই প্রেডিক্টেবল। দুনিয়ার সবাই বলে দিতে পারে। ফুল লেন্থে বোলিং করবে, ইনসুইং করে বল ছুটে আসবে স্টাম্পের দিকে। সবাই জানে, কিন্তু তারপরেও কেউ ঠিকঠাক সামলাতে পারেনা। কারন ঐ পেসে এমন বলে ডানহাতি ব্যাটসম্যান পা বাড়ালে এলবিডব্লিউ হবে, আর পা না বাড়ালে ব্যাট মিস করলেই স্টাম্প শেষ!

গুরবাজ পা না বাড়িয়ে প্রথম ওভার ভালোই সামলেছিল। মনে হচ্ছিল শাহীনের বিষদাঁত ভেঙ্গে দিতে পেরেছে।

অপর প্রান্তে নাসিম কিছুটা শর্ট লেন্থে ভয়াবহ গোলা ছুড়ে মারে। ফোর্থ স্টাম্পে ছোড়া ওর বলগুলো ব্যাটম্যান খেলবে না ছাড়বে চিন্তা করতে করতেই আউট হয়ে যায়। যেকোন বড় ব্যাটসম্যান ঐ দ্বিধায় পড়ে। আফগানরাতো ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত নয়। তারপরেও সেই ওভারও ওরা ভাল সামলেছিল।
কিন্তু তারপরেই পাক বোলাররা একদম চড়াও হয়ে ওঠে ওদের উপর।
শাহীন পরপর দুই বলে দুই উইকেট তুলে ফেলে। নাসিমও উইকেট পায়। একটা অতি সহজ রান আউট বেঁচে গেলেও কোন ব্যাটসম্যানই কিছু করতে পারেনি। গুরবাজ নিজের স্বভাব বিরুদ্ধ একটা অতি ধীর ইনিংস খেলল। পিচের কারণেই। কিন্তু বেচারাকে সঙ্গ দিবে, এমন কেউই ছিল না। এরপরে হারিস রাউফ এসেতো বুলডোজার চালিয়ে দিল। এই মরা উইকেটেই পাঁচ উইকেট শিকার। স্পিনাররা ভেল্কি দেখানোর সুযোগই পায়নি।
আগের ইনিংসেই যে উইকেটটাকে স্পিন স্বর্গ মনে হচ্ছিল, সেখানেই পাক পেসারদের সামনে আফগানরা একেবারেই নিশ্বাস ফেলতে পারছিল না। ওদের দোষ দিয়ে লাভ নাই। শাহীন-নাসিম-রাউফ একদম হুবহু ওয়াসিম-ওয়াকার-শোয়েবের আধুনিক ভার্সন। যেকোন দলের জন্যই ওরা ভয়ংকর। গৌতম গম্ভীর বা আকাশ চোপড়ারা যে বলছে পাকিস্তান ওয়ানডে টিম এখন ডেঞ্জারাস সাইড, ঘটনা আসলেই তাই। দীর্ঘদিন ধরে বাবর আজম এই দলটাকে গড়ে তুলেছে। ওর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য, যা গাঙ্গুলি এবং মহেন্দ্র সিং ধোনির মাঝেও ছিল, সেটা হচ্ছে, তরুণ সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়দের ব্যাকাপ দিয়ে দিয়ে এতদূর আনা। অভিজ্ঞ কিন্তু দলকে খুব বেশিদিন সার্ভ করতে পারবে না, এমন ক্রিকেটারের পরিবর্তে ও দলে এমনসব খেলোয়াড় নিয়েছে যারা দীর্ঘমেয়াদে দলের জন্য খেলতে পারবে। নাসিম মাত্র নবম ম্যাচ খেললো আজকে। ওদের সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেসার শাহীন আফ্রিদি এখনও চল্লিশটা ম্যাচও খেলে নাই। রাউফের অবস্থাও তাই। এরা যদি এন্ডারসনের মতন ফিট থাকে, এবং দীর্ঘ একটা ক্যারিয়ার খেলে, তাহলে ওদের স্ট্যাটস যে কি হবে সেটা উপরওয়ালাই জানেন। ফাস্টবোলারদের চিরশত্রু ইনজুরি বাগড়া না বাধালে এই বিষয়টা ইন্টারেস্টিং হতে চলেছে।

এশিয়া কাপে আমাদের প্রস্তুতি কেমন সেটা এশিয়া কাপেই বুঝা যাবে। তবে অধিনায়ক সাকিবের একটা ইন্টারভিউ শিরোনাম পড়ে ভাল লেগেছে। সে বলেছে "যে ভাল খেলবে, সেই দলে খেলবে। যে ভাল খেলবে না, সেই আউট।"
এই হচ্ছে প্রফেশনালিজম। দান খয়রাতের জন্য বাংলাদেশ টিম মাঠে নামে না, জিততে নামে। এবং জেতার জন্য চাই পারফরম্যান্স। অতীতে কে কি জিতিয়েছে সেটা অতীতের ব্যাপার। বর্তমানে কে কি করছে, সেইটা আসল। সাথে দেখতে হবে ভবিষ্যতে কে দলকে কতটা দিতে পারবে।

গাঙ্গুলি একবার বলেছিলেন, "পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে আমি ধোনিকে বললাম তিনে নেমে খেলতে। ধোনি তখন ৭-৮এ ব্যাট করতো এবং ফ্লপ মারতো। ধোনি জিজ্ঞেস করলো, দাদা, আপনিতো তিনে খেলেন। আমি তিনে নামলে আপনি কততে খেলবেন?"
দাদা বললেন, "আমি চারে নেমে যাব।"
সেই ম্যাচে ধোনি ১৪৮ রান করে। বড় খেলোয়াড় তৈরী করতে হলে ওদের উপরে খেলাতে হয়।"
এই ধোনিই সেই ইনিংসের আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শূন্য রানে আউট হয়েছিল। অন্যান্য ইনিংসেও সুপার ফ্লপ ছিল।

আমাদের উঠতি খেলোয়াড়রা একটা দুইটা ম্যাচে ফ্লপ মারলেই অনলাইনের ক্রিকবলদের দল ওদের স্ট্যাটস নিয়ে পেছনে পড়ে যায়। ওদের ব্যক্তিগত জীবনকেও টেনে এনে ট্রলিং শুরু হয়। তাসকিনের বৌ কেন নেকাব পড়লো, এই নিয়ে মানুষকে খুবই চিন্তিত দেখায়। ছেলেটা যে দিনের পর দিন ভয়ংকর পেস সেনসেশন হয়ে উঠছে, সেদিকে খেয়াল নেই। এইসব ট্রলিং, কুমন্তব্য কি তাসকিন পড়েনা? মেয়েটা নেকাব ছাড়া ছবি দিয়েছিল, তখন একপাক হুক্কাহুয়া করতে করতে বলেছিল ভূতের মতন দেখতে। এখন মুখই ঢেকে ফেলেছে, এখনও সেই হিসহিসানি বন্ধ হয়নাই। আমাদের নেটিজেনরা কবে শিক্ষিত, রুচিশীল আর সভ্য মানুষের মতন আচরণ করবে?

শেষ করি ইনজামামের একটি ঘটনা বলে।
৯২ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি চলছে। এক বছর আগে থেকেই ক্যাপ্টেন ইমরান প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি জানেন, এটিই তাঁর জীবনের শেষ ওয়ার্ল্ডকাপ। এটিই তাঁর ক্যারিয়ারের সমাপ্তি টানবে। এরই মধ্যে ক্রিকেট থেকে তাঁর মন উঠে গেছে। ক্যানসারে মৃতা মায়ের স্মরণে তিনি একটি হাসপাতাল বানাতে চান। তিনি জানেন, বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হলেই কেবল সেটি সম্ভব হবে।
দলে সুযোগ পাওয়া ব্যাটসম্যানদের নিয়ে তাঁর মন ভরছে না। তিনি বললেন, আমার আরও একটি ব্যাটসম্যান দরকার।
পরিচিত একজন জানালো, "আমার খোঁজে একটি মোটা করে ছেলে আছে। ভাল খেলে।"
ডাকা হলো ইনজামামকে। নেটে ওয়াকার ইউনুসের ছুটে আসা দুরন্ত গতির বাউন্সারে যেভাবে হুক করে ছয় হাঁকালেন, ইমরান তখনই ঘোষণা করলেন, এই ছেলেই ফাস্ট বোলিংয়ের বিপক্ষে বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান। ও আমাদের সাথে বিশ্বকাপে যাচ্ছে।
চরম বিতর্ক উঠলো। সিলেকশন কমিটির একজন রিজাইন করলেন। "ইমরান নিজের সুপারিশে যাকে তাকে দলে ঢুকাচ্ছে!"
ইনজামামও সেই রকমই ফ্লপ করতে লাগলো। এতটাই যে জাভেদ মিয়াঁদাদ রেগে গিয়ে এমন সব কথা শুনালেন যে বেচারা নাদুসনুদুস যুবকটা কেঁদেই আকুল!
এদিকে প্রতিটা টিম মিটিংয়ে ইমরান ইনজামামের দিকে আঙ্গুল দিয়ে বলতেন, "এই ছেলেটা আমাদের বিশ্বকাপ জেতাবে।"
ইনজামাম আবারও ফ্লপ করে। আবারও টিম মিটিংয়ে ইমরান একই কথা বলেন।
এইভাবে একদিন পাকিস্তানের গ্রূপ পর্বের সব ম্যাচ খেলা শেষ। ইনজামাম যথারীতি সুপার ফ্লপ। মিয়াঁদাদ ডিরেক্ট বকাঝকা করেছে, বাকিরা ইমরানের ভয়েই হয়তো কিছু বলতে পারছে না, কিন্তু বুঝিয়ে দিচ্ছে সবাই ওর পারফরম্যান্সে বিরক্ত।
টিম বাসে করে পাকিস্তান দল ভেন্যুর দিকে যাচ্ছে। ইনজামাম দেখে ওর পাশের সিটে ইমরান খান বসেছে। ও ধরেই নিল ওর ভাগ্য চরম খারাপ! আগেরদিন জাভেদ ভাই বকাঝকা করেছেন, আজকে ইমরান খান এই দীর্ঘ পথে ওকে খেয়েই ফেলবে!
ঘটনা ঘটলো ঠিক তার উল্টো।
ইমরান ওর একটি শট, যা বাউন্ডারি হয়েছিল, সেটা নিয়েই এত বিশ্লেষণে গেলেন আর বললেন যে "কংগ্র্যাচুলেশন্স! তুমি ফর্মে চলে এসেছো!"
ইনজামাম নিজেও অবাক। আগের ইনিংসেই সে ঐ এক বাউন্ডারিই মেরেছিল, এবং টোটাল রান ছিল পাঁচ!
কিন্তু ক্যাপ্টেনের এই আস্থা ওর মন ভাল করে দিয়েছিল।
ম্যাচের দিন ওর পেট খারাপ। জানালো, খেলতে পারবে না।
ইমরানের কানে খবর যেতেই ডিক্টেটর জানালেন, "আমি কিছু বুঝি না। তুমি খেলবে এই হচ্ছে শেষ কথা। এখন কিভাবে খেলবে, সেটা তোমার বিষয়।"
ইমরান নিজে উপরে উঠে আসেন। ইনজামামকে সময় দিতে ছয়ে নামিয়ে দেন। এরপরের ঘটনা ইতিহাস। ইনজামাম ওয়ার্ল্ডকাপ ইতিহাসের অন্যতম সেরা ইনিংস খেলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ফাইনালেও অতি গুরুত্বপূর্ণ ঝড় তোলেন। ফ্লপ মাস্টার ইনজামাম মহানায়কে পাল্টে যায়। ক্যারিয়ার শেষ করেন পাকিস্তানের সর্বকালের সর্বসেরা ব্যাটসম্যানদের একজন হয়ে। সেই নেট প্র্যাকটিসে ইমরান বলেছিলেন, "ফাস্ট বোলারদের বিরুদ্ধে ওই বিশ্বসেরা!" কথাটা যে কতটা নির্ভুল সেটা ওর ক্যারিয়ারই প্রমান।

একজন ক্যাপ্টেন খেলোয়াড়দের প্রতিভা বুঝেন, তারপরে সেই প্রতিভাকে বিকশিত হবার সর্বোচ্চ সুযোগ দেন। তাঁর কাছে দল সবার আগে। দলের সাফল্যের জন্য যে কম্বিনেশন দরকার, সেটা ক্যাপ্টেনকেই সিলেক্ট করতে দেয়া উচিত।
সাকিবের উপর আমার ভরসা আছে। কারন সে আমার আপনার থেকেই না, গোটা বিশ্বেই অনেক ঝানু ক্রিকেটার থেকে ক্রিকেট ভাল বুঝে। ও যে দল নিয়ে এশিয়া এবং বিশ্বকাপ খেলতে যেতে চাইছে, আমাদের উচিত ওকে সেই কম্বিনেশন দেয়া। হারজিত পরের ব্যাপার, ওকে ওর চেষ্টাটা করতে দেয়া উচিত।
বাকি, পুরোটাই "আল্লাহ ভরসা!"

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:২৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: অনেক ইতিহাস। এশিয়াকাপ'কে আমি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে দেখতেছি। বাংলাদেশের বোলিং লাইন শক্তিশালী হয়েছে কিন্তু ব্যাটিং লাইন আবার দূর্বল হয়ে পরেছে।

২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৩:৪৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: সেটাই। আগে আমাদের পেস বোলিংটা দুর্বল ছিল, এখন সেটা শক্ত হয়েছে তো ব্যাটিং দূর্বল হয়ে গেছে।

২| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: ক্রিকেট নিয়ে আমি কোনো আগ্রহ পাই না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.