নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

এখন আপনার ব্যাপার, আপনি ঝাক্কাস, ঝাকানাকা, পিনিক, জোস্ ইত্যাদি নিয়ে চিন্তিত, নাকি কিছু আরবি শব্দ, যা এদেশের একটি বিরাটাংশের ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে জড়িত, যার অর্থগুলো সুন্দর, সেটা নিয়ে।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

"আলহামদুলিল্লাহ" শব্দের অর্থ হচ্ছে সকল প্রশংসা আল্লাহর।
কেউ যখন কাউকে জিজ্ঞেস করেন, "ভাই কেমন আছেন?"
উত্তরে আপনি বলতে পারেন, "ভাল/খারাপ আছি" - অথবা "আলহামদুলিল্লাহ!" মানে হচ্ছে, "আল্লাহ যেমনই রেখেছেন, আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।"

"ইন শা আল্লাহ" মানে হচ্ছে, "যদি আল্লাহ চান তাহলে হবে।"
আপনাকে আমি জিজ্ঞেস করলাম, "আপনি কি আগামীকাল আসবেন?"
আপনি বলতে পারেন "হ্যা/না।" অথবা "আমার চেষ্টা থাকবে, কিন্তু বাকিটা দৈব বিধান।" বা "যদি আল্লাহ চান, তাহলে অবশ্যই আসবো।"
সমস্যা হচ্ছে, আমাদের দেশে লোকে যখন ইন শা আল্লাহ বলে, তখনই বাটপারিটা করে।
কিন্তু মূলত এর অর্থটা সুন্দর। যেহেতু আমি ভবিষ্যতের ব্যাপারে নিশ্চিত না, কাজেই নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। আমি মারা যেতে পারি, আমি অন্য কোন বিপদে পড়তে পারি, অন্য কাজে আটকে যেতে পারি, ইত্যাদি নানান ঘটনা ঘটতেই পারে। তবে আমার ১০০% চেষ্টা থাকবে আসার।

"জাজাকাল্লাহ খায়ের" মানে হচ্ছে "আল্লাহ তোমাকে উত্তম প্রতিদান দিন।"
আমি আপনার একটা উপকার করলাম, আপনি ধন্যবাদ দিতে পারেন, থ্যাংক ইউ বলতে পারেন, কিংবা আমাদের দেশে নানী দাদীরা বা আমার বাবার জেনারেশনও যেটা বলতেন, "আল্লাহ তোমার ভাল করুন।" একই দোয়া এখন লোকে আরবীতেই করে।
"জাজাকাল্লাহ" যেমন একটি বিদেশী শব্দ, থ্যাঙ্কইউ শব্দটাও কিন্তু খাঁটি বাংলা না।

তা দেখা যাচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ, ইন শা আল্লাহ এবং জাজাকাল্লাহ তিনটা শব্দই একপ্রকার ইবাদত বা দোয়া। বিদেশী ভাষা, সত্য, কিন্তু ন্যূনতম, কিছু একটা অর্থতো আছেই। নিরর্থক কিছু না।

অন্যদিকে আমরা তরুণ প্রজন্মই কিছু শব্দ ব্যবহার করি যার কোন আভিধানিক মানে নেই। যেমন, "পিনিক!"
কেউ কোন নেশাদ্রব্য নিয়েছে, জিজ্ঞেস করেন, "কিরে মামা, কি অবস্থা?"
"পুরাই পিনিক!"

এক বন্ধুর সাথে আরেক বন্ধুর দেখা হলো।
"দোস্ত কেমন আছিস?"
"পুরাই ঝাক্কাস!"
এই ঝাক্কাস শব্দের মানেটা কি আমি নিজেও জানিনা। যতদূর জানি, অনিল কাপুরের এক ডায়লগ থেকে উৎপত্তি।

"কিরে, সিনেমাটা কেমন রে?"
"পুরাই জোস্!"
"জোস্"এর কোন আভিধানিক শব্দ আছে? নেই।

"পুরাই ঝাকানাকা অবস্থা!"
এই ঝাকানাকা মানে কি? জানিনা। শুধু জানি মীরাবাঈ ঝাকানাকা দেহ দোলায়। সেটাও কিভাবে, জানিনা।

তা কারোর যদি বাংলা ভাষার সর্বনাশ নিয়ে আসলেই চিন্তা থাকে, সে চিন্তা করবে কেন অর্থহীন শব্দ ঢুকে যাচ্ছে। বিদেশী ভাষার প্রবেশতো পৃথিবীর সব দেশের ভাষাতেই হয়, ভাষার বিবর্তন সেভাবেই ঘটে। ইংলিশ শব্দে "লুট" "বখশিশ" "কর্মা" ইত্যাদি শব্দগুলো ঢুকেছে, আমাদের ভাষায়তো অগণিত। কেউ একটা বাক্য লিখুক, প্রতিটা শব্দ হবে হয় ইংলিশ, নাহয় পর্তুগিজ, নাহয় আরবি বা ফার্সি। খাঁটি বা আদি বাংলায় আজকাল কেউ কথা বললে কয়জন বুঝবেন? আদি ইংলিশে বললে? আদি আরবিতে? কেউই না।
ভিনদেশি ভাষার আগ্রাসন নিয়ে চিন্তিত হলে অবশ্যই এইটা জেনুইন কনসার্ন যে আমাদের দেশের এত সুন্দর সুন্দর গান থাকার পরেও একটি বিয়ে বা হলুদের অনুষ্ঠানে এমনকি নানান জাতীয় অনুষ্ঠানেও হিন্দি গান ছাড়া যেন চলেই না। বাঙালি ছেলে মেয়ে, বাঙালি অনুষ্ঠানে হিন্দি গানে নাচাকুদা করে, ব্যাপারটা কি খুবই হাস্যকর এবং একই সাথে দুঃখজনক না?

এখন আপনার ব্যাপার, আপনি ঝাক্কাস, ঝাকানাকা, পিনিক, জোস্ ইত্যাদি নিয়ে চিন্তিত, নাকি কিছু আরবি শব্দ, যা এদেশের একটি বিরাটাংশের ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে জড়িত, যার অর্থগুলো সুন্দর, সেটা নিয়ে।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: যুগের সাথে তাল মিলিয়েই চলা উচিৎ।
ধর্ম দিয়ে তো আর জীবন চলে না। দেশও চলে না। দেশ চলে সংবিধান অনুযায়ী।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: সংবিধানতো ভাষার উপর কোন রেস্ট্রিকশন আরোপ করেনি।

২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৭

নতুন বলেছেন: এমন টানা পড়েনের মাধ্যমেই আমাদের সমাজ, ভাষা, রীতি এগিয়ে যাবে।

সমালোচনা থাকবেই।

সময় এবং মানুষই ঠিক করে কে টিকে থাকে কে বিলুপ্ত হয়ে যায়।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৩৯

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক।

৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫০

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া প্যারা কোনদেশী শব্দ জানো?

এমন রাগ লাগে যখন শুনি কেউ কেউ বলে প্যারায় আছি। এই প্যারা নিয়ে আমি প্রথমে চিন্তিত ছিলাম পেয়ারা নাকি পেড়া সন্দেশ নাকি কি এই বস্তু!!!! :(

আমি জীবনেও প্যারা তো বলিও না জোস ঘোষ মোষ এসবও বলি না।

জাজাকুল্লাহ খাইরুন আমার ছেলেবেলায়ও আমি শুনিনি তবে ইনশা আল্লাহ বা আলহামদুলিল্লাহ এসব বহু প্রচলিত।

কি আর করবা যুগের সাথে এই সব তৎভব শব্দ উদ্ভাবিত হবেই ...... যুগে যুগে এমনই হয়ে আসছে।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪১

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: সেটাই। ভাষার বিবর্তনই ভাষাকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আমার দাদারা যে ভাষায় কথা বলতেন, সেই ভাষায় আমরা বলি না। আজকে থেকে একশো বছর পরে আমাদের ভাষাই তখনকার বাচ্চারা বুঝবে না। এইটাই ফ্যাক্ট।

৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:১৫

নতুন বলেছেন: প্যারা সন্দেশ হাতে চাপ দিয়ে বানাতে হয়। প্যারা শব্দটা সম্ভবত ঐ চাপ থেকেই এসেছে। :D

মামা ২ টাকার প্যারা দেন ....

কাউকে প্যারা সন্দেশ খেতে দেওয়ার সময় তার মন ভালো না থাকলে হয় তো বলেছিলো....দুরে যা প্যারা দিস না... =p~

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪২

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: হাহাহা! ভাল বলেছেন। ;)

৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১৭

রানার ব্লগ বলেছেন: যে যে শব্দের কথা বললেন তার সবি আগাছা। খয়রান, ময়রান, জিনিক পিনিক এর সবই আগাছা। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে আগাছা মুক্ত বাংলা ভাষা চাই। আরবী শব্দের ঝাকমারি চাই না আবার ওই সব ঝিনিক ও চাই না।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৩

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: "আগাছা" ছাড়া খাঁটি বাংলা ভাষায় আপনি নিজেও কথা চালিয়ে যেতে পারবেন না, ভাষা বুঝতেও পারবেন কিনা আল্লাহ মালুম। :)

৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১২

শায়মা বলেছেন: ৪. ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:১৫১

নতুন বলেছেন: প্যারা সন্দেশ হাতে চাপ দিয়ে বানাতে হয়। প্যারা শব্দটা সম্ভবত ঐ চাপ থেকেই এসেছে। :D

মামা ২ টাকার প্যারা দেন ....

কাউকে প্যারা সন্দেশ খেতে দেওয়ার সময় তার মন ভালো না থাকলে হয় তো বলেছিলো....দুরে যা প্যারা দিস না...



হা হা নতুন ভাইয়া তোমার কথায় যুক্তি আছে। :)

আবার পেরা মানে পাড়া দেওয়া না তো??

৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৫১

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: খুব সম্ভবত এক লোকের একটা ভিডিও দেখে আপনার এই লেখার উৎপত্তি। ওদিকে অপর পক্ষ (ধর্মীয় পক্ষ) দেখলাম যেমন ঐ লোককে তিরস্কার করছে, সাথে সাথে তারা উল্লসিত যে মানুষ বেশী বেশী ধর্মীয় শব্দ গুলি উচ্চারণ করছে বলে ওনার মত লোকজনের চুলকানি হইতেছে!

আর একদল দেখি ২১ ফেব্রুয়ারী, শহীদ মিনার, বাংলা একাডেমি ইত্যাদি ইত্যাদি শব্দের উৎস নিয়ে চিন্তিত। কারণ এগুলির প্রায় কোনটিই বাংলা শব্দ না।

-----

আমরা মূলত একটা অস্থির (এই অস্থির আবার পিনিক/ঝাক্কাস এর সমর্থক শব্দ নয়) জাতিতে পরিণত হয়েছি। সব কিছু নিয়েই অস্থিরতা!

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৮| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে আরবি শব্দের ব্যবহার থাকবেই। ইংলিশ শব্দ থাকাটাও যুগের চাহিদা। ইংরেজি না জানলে দেশেও আজকাল চাকুরির বাজার খারাপ। হিন্দি উর্দু কথা , শব্দ , গান বাজনা বিষয়টাই বরং সমালোচনার বিষয় হওয়া উচিত।আমাদের দেশে হিন্দি সংস্কৃতির আগ্রাসন বাংলা সংস্কৃতির বারোটা বাজাচ্ছে। গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে হিন্দি নাচনা গানা দেশিয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১১

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: সেসবতো করবে না। সেসব করলে উনি ভাইরাল হবেন কিভাবে?

৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: জাক্কাস, জোশ, ঝাকানাকা এসব আমাদের নিজেদের উদ্ভাবিত শব্দ আর ঝাঝাখয়েরাল্লাহ, এনশাআল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ এসব হচ্ছে মরুভুমির অঞ্চলের মানুষের শব্দ, এখন আপনি দেশীয় শব্দ ইউজ করবেন নাকি মরুভুমির দস্যুদের শব্দ ইউজ করবেন এটা একান্তই আপনার ইচ্ছে।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ইন শা আল্লাহ, জাজাকাল্লাহ ইত্যাদি মানুষের ব্যবহার করা শব্দ আর আপনি যা বললেন সেটা ছাগলের ম্যাৎকার ধ্বনি। আপনি মানুষের মতন কথা না বলে ছাগলের মতন ম্যা ম্যা করলেন কেন?

১০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

১১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৫০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনার পোস্টের শিরোনামেই তো ম্যা ম্যা লিখে রাখছেন, কিন্তু আমি কি তাতে এই পোস্ট'কে ছাগলীয় পোস্ট বলেছি? ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.