নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বদ ছেলে

১৬ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১:২৮

আচ্ছা, আমরা ছেলেরা এমন বদ কেন?

কিছুদিন আগে এক স্বাস্থবতী নেপালি নারীর ভিডিও ফেসবুকে খুব ভাইরাল হলো। সে নারী বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় গেছে। স্লিম মানেই সুন্দর, মোটা মানেই কুৎসিত ইত্যাদি সামাজিক ট্যাবু ভেঙে দিয়েছে সে নারী এজন্য মেয়েরাই সেই মেয়ের ছবি ভাইরাল করে দিল।
সাথে সুন্দর সুন্দর সব কমেন্ট।
"নিজেকে নিয়ে গর্বিত হও!"
"সাবাস!"
"সাহসী নারী!"
"তোমাকে দিয়েই হবে।"
"সাথে আছি!"
সে বছর বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতা কে জিতেছিল, কোন দেশের, দেখতে কেমন ইত্যাদি ছাপিয়ে সেই মহিলা ভাইরাল।

এদিকে অনন্ত আম্বানি বেচারাকে নিয়ে ট্রলিংয়ের শেষ নেই।
"কিরে ভটকা?"
"তুই কোন গুদামের চাল খাস?"
"তুই হাতির পিঠে চরিস, নাকি হাতি তোর পিঠে চরে?"
"রাধিকা একটা মিনি এলিফ্যান্টকে বিয়ে করেছে।"
"বিয়ের সব খাবার কি তুই একাই খেয়েছিস?"
ইত্যাদি ইত্যাদি জঘন্য সব বডি শেমিং পোস্ট এবং ৯০% এর বেশি কমেন্টকারী সবাই পুরুষ।

শুধু তাই না।
কোন একটা মেয়ের সাথে কোন একটা ছেলের ব্রেকাপ হলো। ৯০% ক্ষেত্রে দেখা যাবে সেই মেয়ের পরিচিত, অর্ধপরিচিত, অপরিচিত কোন মেয়েই ঐ পোলার সাথে সম্পর্কে জড়ায় না। বেশিরভাগই ওকে ব্লকলিস্টেড করে ফেলে।
আর একটা ছেলের সাথে একটা মেয়ের ব্রেকাপ হলে সবার আগে সেই মেয়েটার সাথে চান্স নিতে আসে সেই ছেলেরই বেস্ট ফ্রেন্ড।
"আমি তোমার কষ্ট বুঝতে পারছি। কি করবা বল? ও বরাবরই এমন, স্বার্থপর। নিজেকে ছাড়া আর কারোর কথাই চিন্তা করেনা। সত্যি বলতে কি, আমার তোমার জন্য বরাবরই খারাপ লাগতো। ও আমার বেস্ট ফ্রেন্ড বলে কিছু বলতেও পারতাম না। এখন তাহলে বলি, তোমার যদি কারোর কাঁধে মাথা রেখে কাঁদার ইচ্ছা হয়, তবে মনে রেখো, আমি মাত্র একটি ফোনকল দূরে।"
মানে হচ্ছে, যেই হারামজাদা জিন্দেগিতেও কবিতা পড়ে নাই, সেও তখন কবি হয়ে যায়।
বাস্তবতা হচ্ছে, আমাদের মধ্যে কোন ইউনাইটিই নেই। এ নিয়ে কোন চিন্তাও নাই।
তারপরে যখন ধরা খায়, তখন ভেউ ভেউ করে কান্নাকাটি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেয় "এত কষ্ট কেন বালুবাসায়?" তখন ওরই পরিচিত, অর্ধপরিচিত, অপরিচিত ভাই ব্রাদার সেই মেয়েটাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুঁজে বের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায়। কান্ধা দিতে চায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.