নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
যারা বলছেন এই আন্দোলনে মামা'স বয়, ড্যাডি'স বয়রা পারিবারিক চাপের কারনে নামতে পারেনি, ওদের জন্য একটা উদাহরণ দেই।
আমাদের নবীজির (সঃ) জন্ম হয়েছিল মক্কার শ্রেষ্ঠ বংশ কুরাঈশীদের শ্রেষ্ঠ গোত্র হাশেমী পরিবারে। শুধু পারিবারিক পরিচয়েই তিনি আরব সমাজে অনেক ফায়দা তুলতে পারতেন। কারন সেই সমাজে গোত্রীয় পরিচয়ই ছিল সব সম্মানের প্রধান শর্ত। সনাতন ধর্মে যেমন বামুনের ছেলের কোন দোষ ধরা হয়না, অন্যদিকে শূদ্রের ছেলে মহাবীর কর্ণ হলেও রাজকন্যা দ্রৌপদীর হাত পেতে পারেনা। সে সমাজে শূদ্রের স্থান নেই। ওরা অচ্ছুৎ।
অথচ তিনিই (সঃ) কিনা প্রচার শুরু করেন "মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ নেই। কুরাইশী আরব ও আফ্রিকার কালো ক্রীতদাসে কেউ ছোট বড় নয়।" ব্রাক্ষ্মণ-চণ্ডালে কোন পার্থক্য নেই।
এ ছিল নিজের বিরুদ্ধে গিয়ে সত্যের পথে দাঁড়ানো।
শুধুমাত্র এই কারণেই আরবের বহু সম্মানিত শক্তিশালী দাম্ভিক নেতা ইসলাম গ্রহণ করতে রাজি হয়নি। তাঁর চাচা আবু লাহাব ছিল তাঁর প্রধান বিরোধী।
ওদের ভাষায় "তুমি চাও লোকে বলুক কুরাইশী আরব আর এই বিলাল (রাঃ) একই মর্যাদার অধিকারী? ওরা একই আসনে বসে খায়? না ধন্যবাদ, তোমার ধর্ম তোমার কাছেই রাখো।"
এমনও প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল যে "আমরা তোমার ধর্ম গ্রহণ করবো, শুধু এই ব্যাপারটা নিশ্চিত করো যে আমরা যখন কোন মিটিংয়ে আসবো, এই ক্রীতদাসগুলো তখন আমাদের পাশে বসতে পারবে না।"
তখনকার আরবের সামাজিক প্রেক্ষাপটে খুবই যৌক্তিক প্রস্তাব।
হজরত উমর (রাঃ) সহ বহু সাহাবী নবীজিকে (সঃ) এই প্রস্তাব গ্রহণ করতে বলেন। কিন্তু আল্লাহ নির্দেশ দেন যদি তিনি (সঃ) এই কাজ করেন, তবে তিনি জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হবেন।
ব্যস, নিজের পরিবার, নিজের সমাজ, নিজের আত্মীয় বন্ধুবান্ধবদের বিরুদ্ধে গিয়েও আমাদের নবীজি (সঃ) ঐ হাবশী ক্রীতদাসদের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হননি।
শুরুতে অনেক কষ্ট হয়েছিল, লাঞ্ছনা, বঞ্চনা, অপমান সহ্য করতে হয়েছিল। যারা তাঁর দিকে চোখ তুলে তাকানোর যোগ্যতা রাখতো না, ওরাই তাঁর (সাঃ) মুখে থুথু ছিটিয়েছে। তাঁর (সাঃ) জীবনের শত্রু বনে গিয়েছিল। নিজের বাড়ি ঘর শহর ছেড়ে নিঃস্ব অবস্থায় ভিনদেশে যেতে হয়েছিল। তবু তিনি (সাঃ) ন্যায়ের পথ থেকে এতটুকু বিচ্যুত হননি।
তখন যারা তাঁর (সাঃ) সঙ্গী ছিলেন, তাঁদের আর তাঁর (সাঃ) মক্কা বিজয়ের পরের সঙ্গীদের তুলনা কি চলে?
আল্লাহ নিজেই মুহাজিরদের সম্মান আনসারীদের উপরে রেখেছেন। ইসলাম অনুযায়ী সাহাবীদের মধ্যেও শ্রেষ্ঠ অবস্থান তাঁদের যারা বদর যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, এবং যারা একদম শুরুর দিকে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।
তা তাঁর(সাঃ) থেকে আমরা শিখলাম যে ন্যায়ের জন্য নিজের পরিবার, আত্মীয় স্বজনদের বিরুদ্ধে যেতে হলেও যাওয়া উচিত। এবং কোন অবস্থাতেই জালিমদের পক্ষে থাকা চলবে না।
শুরুতে ঢাবির ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলন করেছে। সরকার থেকে হুমকি দেয়া হয়েছে ওদেরকে দেখে নিবে। গুন্ডালীগের নেতা প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছে ওরা ক্যাম্পাস থেকে ওদের তাড়িয়ে দিবে। পুলিশ অস্ত্র হাতে গুন্ডাদের সাথে যোগ দিয়েছে। গোটা দেশ তখন তাকিয়ে ঢাবি ক্যাম্পাসের দিকে। জালিম সরকারের বিরুদ্ধে একা দাঁড়িয়ে তখন ঢাবির গুটিকয়েক ছাত্রছাত্রী। নিরস্ত্র।
সবাই চাইলেই চুপ করে তামাশা দেখতে পারতো। সেটা না করে এগিয়ে এলো গোটা বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ। প্রথমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, তারপরে প্রাইভেট। এসপার ওস্পার কিছু একটা এইবার হয়েই ছাড়বে। অনেক মরেছি, আর মরতে রাজি না।
এরপরের ইতিহাস আমরা সবাই জানি।
ওরা যত মেরেছে, আন্দোলনকারীর সংখ্যা ততগুন বেড়েছে। ছাত্রলীগ নেমেছে, লীগের যাবতীয় গুন্ডাবাহিনী নেমেছে, পুলিশ নেমেছে, আর্মি নেমেছে - হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছুটেছে, চুতিয়ালীগ ফেসবুকে ও অনলাইন ব্লগিংয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছে, ছাত্রলীগের হাতে বন্দুক, শটগান, রামদা ইত্যাদি দেখেও চোখ বন্ধ করে জালিমের পা চেটে বলেছে "এই দেখুন মেধাবী ছাত্রদের হাতে লাঠি, ওরা সন্ত্রাসী" - তবু ওরা ঘরে ফিরেনি।
এক মা পানির বোতল হাতে নেমে বাচ্চাগুলোর হাতে চুমু খেয়ে দোয়া করে বলেছে "বয়সের কারনে আমি কিছু করতে পারছি না।" কিন্তু অন্তর থেকে দোয়া করেছেন।
পুলিশ ছেলেকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে, মা সেই ছেলের পিঠ চাপড়ে বলেছে ভয় না পেতে। আমরা বইয়ে রুমির মা, আজাদের মায়েদের গল্প পড়েছি, আমরা চোখের সামনে তাঁদের দেখলাম।
আমরা রাজাকার, আল বদর, আল শামসদের গল্প পড়েছি। এইবার ওদেরও দেখলাম। শুয়োরের পাল ঘোৎ ঘোৎ করে হুমকি দিচ্ছিল সিদ্ধ ডিম থেরাপি দেয়া হবে, একেকটাকে দেখে নেয়া হবে, পিটিয়ে রাজপথ পরিষ্কার করা হবে, প্রবাসীদের এয়ারপোর্টে দেখে নেয়া হবে ইত্যাদি।
বাংলাদেশ তখন দুই ভাগে বিভক্ত। হয় আপনি জালিমের পক্ষে আছেন, নাহয় বিপক্ষে। নিরপেক্ষতার কোনই সুযোগ ছিল না।
আমি আম্মুকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, যদি এখন আমরা সব ভাইবোন দেশে থাকতাম, আমাদের পথে নামতে দিতা?
আমার ইউনিভার্সিটিতে রক্ত ঝরেছে, আমাকে নামতেই হতো। তবু যুদ্ধে যাওয়ার আগে মায়ের অনুমতি নেয়া উচিত। হাজার হোক, আমাকে দুনিয়ায় এনেছেন তিনি।
আম্মু জবাবে বলে, "কেন দিব না? আমি নিজেইতো নামতাম।"
আম্মুরা এরশাদ পতনের সময়েও পথেই ছিল। আমাদেরকে সেই স্বাধীনতার স্বাদ পেতে দিবে না?
হ্যা, বিদেশে থাকি বলে কিছুটা এডভান্টেজ অবশ্যই পাই। কিন্তু আমার বাড়ি ঘর, আত্মীয়স্বজনতো দেশেই থাকে, নাকি? সরকার চাইলেই অনেককিছুই করতে পারে। ওদের পা চাটা লোকের সংখ্যা বিদেশেওতো কম না। এইসব লেখালেখির ফলে কতজনের যে হুমকি ধামকি আসে, শুভাকাঙ্খীদের পরামর্শ আসে, "এতটা raw ভাবে লিখো না, কিছুটা সুগারকোটিং করো।"
কিন্তু আমি যে জালিমের পক্ষ নিতে ভয় পাই!
জীবনে অনেক ছোট বড় পাপ করেছি, কিন্তু জালিম হওয়ার পাপ থেকে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। দুনিয়ায় এরচেয়ে বড় পাপ নেই। এই একটা পাপ আল্লাহ কখনই ক্ষমা করবেন না। মজলুমের অভিশাপ বড় কঠিন! চোখের পলকেই কাউকে পথে নামিয়ে দিতে পারে, সবাই নিজের চোখেইতো দেখলাম।
তা এমন উত্তপ্ত সময়েও অনেকে বলেছে "আসলে, আব্বু নিষেধ করেছে, আম্মু মানা করেছে, তাই আমি নামি নাই। আমার পারিবারিক প্রেশার ছিল। নাহলে আমার ইচ্ছা ছিল পাশে থাকার।"
তা অন্যদের বাবা মা কি বাবা মা না? অন্যদের পরিবার ছিল না? অন্যদের বিপদের শংকা ছিল না? আমাদের নবীজির (সঃ) জীবনের শিক্ষা হচ্ছে সবার আগে জুলুমের প্রতিবাদ করা উচিত ছিল সজীব ওয়াজেদ জয়ের। ওর বলা উচিত ছিল "এই কাজটা করোনা মা।"
তারপরে প্রতিবাদ করা উচিত ছিল আওয়ামীলীগের নেতাদের। ওদের উচিত ছিল বলা "আপা, এইভাবে নিজের দেশের বাচ্চাদের উপর গুলি চালানো ঠিক হবেনা। ওদের সাথে আলোচনায় বসুন।"
তা না করে কিছু বরাহ শাবক বলেছে ওরা নাকি ড্রাগস খেয়ে রাস্তায় নেমেছিল। নাহলে পুলিশের বন্দুকের সামনে এইভাবে দাঁড়ানোরতো কথা না।
চিন্তা করতে পারেন? এই শুয়োর কি বলতে চায় গোটা মুক্তিযুদ্ধই হয়েছিল ড্রাগসের উপর? ওরাতো মেশিনগানের সামনে দাঁড়িয়েছিল।
মাশরাফি, যাকে দেশপ্রেমের আইডল মানা হতো, মাথায় পতাকা বেঁধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কত কথা যে বলতো, যাকে আধুনিক মুক্তিযোদ্ধা বলা হতো, ওর উচিত ছিল জুলুমের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা। পদ যাবে? গেলে যেত। ভাগ্যে না থাকলে এমনিতেও যাবে, ভাগ্যে থাকলে কারোর বাপের সাধ্য নেই সেটা কেড়ে নেয়ার। আফসোস! মাশরাফি-সাকিবরা বুঝলো না। পদতো গেলই, সম্মানও গেল। ভালবাসার "ক্যাপ্টেন" হয়ে গেল "দালাল ম্যাশ!" এরচেয়ে সেই পদ ছেড়ে ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ালে আজকে হয়তো ওকেই তত্বাবধায়ক সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়া হতো।
পারিবারিক/সামাজিক দোহাই দিয়ে লাভ নাই।
সরকারি বাহিনী বন্দুক তাক করেছিল ছাত্রদের দিকে, ওরা তখনও জোরালো স্লোগান দিয়েছে। ওদের দরকার ছিল জনতার ভিড়। একশোজনের দিকে যত সহজে পুলিশ-মিলিটারি বাহিনী বন্দুক তাক করে দাঁড়াতে পারে, দশ হাজার জনের বিরুদ্ধে পারেনা। প্রমান আমরা দেখেছি, পাবলিকের দাবড়ানি খেয়ে বাংলাদেশ মিলিটারি ওদের ট্রাক ভর্তি সিপাহী নিয়ে দৌড়ে পালিয়েছে।
আমি আপনি রাস্তায় নামলে যে ইম্প্যাক্ট পড়ে, গন্যমান্য কেউ পথে নামলে আন্দোলন আরও জোরালো হয়। পুলিশও ভিআইপি বা সেলিব্রেটিদের দিকে গুলি চালাতে কয়েকবার চিন্তা করে।
ছাত্ররা রাস্তায় রাস্তায় গিয়ে বাড়িতে বসে থাকা মানুষের দিকে আহ্বান করছিল "আপনারা নেমে আসেন। আমাদের আপনাদের প্রয়োজন আছে। আজকে না হলে আর কখনই না।"
এই সময়েও অনেকে আসেনাই। পরিবারের দোহাই দিয়েছে। জালিমের জুলুমের দোহাই দিয়েছে।
বেরিয়েছে কখন?
যখন মোটামুটি নিশ্চিত যে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করতে চলেছেন। বিপদ কেটে গেছে।
অনেকে তখনও নামেননি। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে বিদায় নেয়ার পরে ওরা পথে নেমে বিজয় মিছিল করেছে।
এখন বলেন, যখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল, সেই ঢাবি ক্যাম্পাসের দিনগুলোয়, যখন বাচ্চাগুলো গুণ্ডাবাহিনীর হাতে মার খাচ্ছিল, ওদের সমান কি এরা কখনও হতে পারবে?
"আমার ভুল হয়ে গিয়েছিল, আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম, আমার পরিবারের কারনে আসতে পারিনি" ইত্যাদি বাহানায় কাজ হবে? গর্ত থেকে বেরিয়ে এখন ক্রেডিট নিতে আসবে কেন? ওদের ছাড়াই যখন বিজয় এসেছে, ওদের ছাড়াই সামনে এগোনো যাবে। দলে মুনাফেক নিতে নেই। আমাদের নবীজি (সঃ) আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইকে (রাঃ) ওহুদের ময়দানে নিয়েছিলেন। শেষ মুহূর্তে সে নিজের দল নিয়ে সরে পড়ে। সিরাজুদ্দৌলা মীর জাফরকে নিয়েছিলেন। ওর কারণেই তরুণ নবাব যুদ্ধে হারে। ইতিহাস থেকে শেখা উচিত।
০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৩:১৯
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক বলেছেন। তাহলে আপনিই বলেন, যারা জানালা থেকে উঁকি দিয়ে দেখছিল, ওরা যখন ফুটেজ খেতে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ায়, তখন মেজাজটা কেমন লাগে!
২| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৫২
নয়া পাঠক বলেছেন: সত্য করা বলতে সাহস লাগে, আর আমাদের দেশে গত ১৫ বছর যা চলেছে, যেভাবে এর আগের একের পর এক সন্ত্রাস লীগ বিভিন্ন আন্দোলনে সন্ত্রাসী করে পার পেয়ে গেছে, এবার আর শেষ পর্যন্ত সেটা তারা করতে পারে নাই। তারপর যখন তিনি চোরের মত পলায়ন করলেন, তখন তারা জনতার মাঝে মিশে গিয়ে নিজেদের ক্ষোভ নিজেদের নেতাদের উপর ও সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ, লুটতরার করে মেটালেন।
এই ব্লগেও আমাকে কয়েকজন অনেক ধরণের কটু কথা বলেছেন, এমনকি আবু সাঈদের মৃ্ত্যু নিয়ে বলেছেন টিকটক করার জন্য নাকি এমনটা করেছে। বেচারাদের জন্য কেবল দুঃখই হয় বয়স শেষ হয়ে গেল, কিন্তু তবুও তারা মানুষ হল না। আর কবে বুঝবে, কোনটা ভাল, কোনটা মন্দ। আমার মনে হয় তারা হাজার কোটির কিঞ্চিৎ ভাগও পেয়েছে।
০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৩:২০
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আরে না, ভাগ না পেলেও ওরা ঠিকই পা চাটে। ওদের প্রভুভক্তি কুকুরকেও হার মানায়।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৪৭
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: গতকাল সকালে বৃষ্টির মধ্যে আমি ক্যামেরা হাতে ও একজন আইনজীবী বন্ধু বেরিয়ে পড়ি। পথে আরো দু'চারজন প্রতিবেশীকে সঙ্গে নিয়ে মূল রাস্তার দিকে যাওয়ার সময় পুরো রাস্তায় ঐ আইনজীবী ও প্রতিবেশী ভাই চিৎকার করে বারান্দায় কিংবা জানালা দিয়ে উঁকি দেয়া মানুষগুলোকে রাস্তায় আসতে বলা হয়। দুঃখজনক হলেও সত্যি দু'চারজন ছাড়া কেউই আসেন নি। ভিজতে ভিজতে যখন মূল রাস্তার কাছে চলে আসি তখন পুলিশ আমাদের দেখা মাত্রই সাঁজোয়া গাড়ির ওপর থেকে টিয়ার গ্যাস মারতে শুরু করে। তখনই বেশ কিছু আন্দোলনরত ছাত্র আমাদের সাথে এসে যোগ দেয়। ছাত্রদের সাথে অনেকের অভিভাবক ছিলো। টিয়ার গ্যাস মারা হলেও আমরা সরছিলাম না। আইনজীবী ঐ বন্ধু তখন লাঠি নিয়ে চিৎকার করছেন। আমার হাতে গো প্রোা ক্যামেরা, উঁচিয়ে ধরে আছি। শুরু হলো রাবার বুলেট ছোঁড়া। বেশ ক'জন শিক্ষার্থী আঘাত প্রাপ্ত। আমার গায়ে ছররা গুলির একটি পেলেট এসে লাগে। অবশ্য বুকে ভারী ফ্যানি প্যাক থাকার কারনে মারাত্মক জখম হওয়া থেকে বেঁচে যাই। এভাবেই চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। লক্ষ্য করলাম, বাড়ি জানালা দিয়ে অনেকেই দেখছেন কিন্তু কেউ নিচে নামছেন না। বিকেলের দৃশ্য অবশ্য ভিন্ন ছিলো। তখন বুঝলাম, এদেশে মধু খাওয়ার লোকের অভাব নেই কিন্তু মৌমাছির কামড় কেউ খেতে নারাজ।
গতকাল আমাদের সাথে থাকা দু'জন পেলেটবিদ্ধ ছাত্রের ছবি পাবেন এখানে।