নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
খুলনায় এক ছেলে আমাদের মুসলিমদের নবীকে (সঃ) অসম্মান করায় ওকে পুলিশের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে নিজ হাতে পাবলিক শাস্তি দিয়েছে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, এবং গুজব রটে যে ছেলেটিকে হত্যা করা হয়েছে। গুজবটি এমন অনেকেই রটিয়েছেন যাদেরকে ভরসা করতাম। পরে শুনি ছেলেটি মারা যায়নি। কেউ বলছেন আইসিইউতে আছে, কেউ বলছেন তাও না, পুলিশ এসে ওকে উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।
যেটাই হোক, আমি জেনেরিক একটা লেখা লিখলাম যে ইসলাম ধর্মে রাষ্ট্র যদি শরিয়া আইনে না চলে, তাহলে গালির বদলে গালি ছাড়া কিছুই করতে পারবেন না। ইসলাম আইনকে নিজের হাতে তুলে নিতে আপনাকে অনুমতি দিবে না।
আমি নিজেই এমন প্রচুর "ভার্চুয়াল" মারামারি করেছি। ঐ ছেলেটার পোস্টেও এমন ঝগড়া করতাম যে ছেলেটা উত্তেজনায় ঘুমাতে পারতো না। কিন্তু সামনাসামনি কেউ বলতে পারবে না, কখনই আমি কারোর সাথে কখনও তর্কে জড়িয়েছি। আমিই থেমে যাই। ছেড়ে দেই। ও যদি মনে করে হেরে গেছি, ওকে খুশি করতেই চুপ থাকি। কারন আমি জানি একটা পর্যায়ে এসব ঝগড়া হাতাহাতি পর্যন্ত যেতে পারে, এবং এই বিষয়টাই আমি শুরু থেকেই এড়াই।
হ্যা, যদি দেশ শরিয়া আইনও চলতো, তবুও এই কাজের জন্য পুলিশ থাকে, শরিয়া আদালত থাকে। রাষ্ট্রের একজন সাধারণ নাগরিক যাকে তাকে মারধর করতে পারে না। হুকুম নেই।
তো যাই হোক।
গুজবটা নিয়ে যে হৈচৈ দেখলাম, স্বর্ণা রানী দাস বা জয়ন্ত কুমার হত্যা নিয়ে তেমন হৈচৈ দেখতে পেলাম না। জয়ন্ত যে মারা গেছে, সেটা জানতে আমাকে আজকে পত্রিকা পড়তে হয়েছে, ভারত সীমান্তে গত নয়দিনে দ্বিতীয় হত্যা ঘটনায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার উদ্বেগের খবর পড়তে গিয়ে জানলাম ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্তে বিএসএফ গুলি করে আমার দেশের এক যুবককে হত্যা করেছে।
একটা গুজব নিয়ে লোকে এত হৈচৈ তুললো, অথচ দুই দুইটা মৃত্যু ঘটনা নিয়ে ওদের কাউকে টু শব্দটা পর্যন্ত করতে দেখছি না - একটু অদ্ভুত না? ইন্ডিয়া মেরেছে বলেই চুপ থাকতে হবে আর আমার দেশের মাওলানারা হাত তুললেও আমি কেয়ামত নামায় ফেলবো? যে মরেছে ওর পরিবার কি বলে? ওরাতো ওদের আদরের ধন হারালো, নাকি? আমরা মৃত্যুর ব্যাপারেও সিলেক্টিভ মানবতা দেখাই?
গত পনেরো বছর ধরে দেখে এসেছি ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে টু শব্দটাও করলে সরকার পক্ষ তেড়ে আসতো, এখনও বললে বলে "আপনি কি উস্কানি দিচ্ছেন? যুদ্ধ লাগাবেন? থাকেনতো বিদেশে, মরবো আমরা!"
নারে বেয়াক্কেল, যুদ্ধ লাগা এতটা সহজ না। দুনিয়ার সব দেশের মতন তোমাদের ড্যাডি ইন্ডিয়াও জানে যে আধুনিক পৃথিবীতে একটা যুদ্ধ শুরু করা সহজ, তারপরে আর সেটা শেষ হতে চায় না। মাঝে দিয়ে নিজের ইকোনমির বারোটা বেজে যায়। লোকক্ষয় হয়। গলার কাঁটা হয়ে বিঁধে থাকে। ইউক্রেনের চাইতে বহুগুন শক্তিশালী রাশিয়া আজও তেমন অশ্বডিম্ব প্রসব করতে পারে নাই - মাঝে দিয়ে নিজের কোটি কোটি টাকা আর মানুষের জীবন শেষ করলো। গোটা ইউরোপকে অস্থিতিশীল করে রেখেছে।
তেমনি ইন্ডিয়ার বিএসএফের ইতরামির জবাবে বাংলাদেশ যদি আগের সরকারের মতন লেজ গুটায়ে রাখে, তাহলে সীমান্তে মৃত্যু কখনই বন্ধ হবে না। ইন্ডিয়াও চাইবে বাংলাদেশকে বন্ধু হিসেবে পেতে। নিজেদের স্বার্থেই। বুদ্ধিমান প্রতিবেশী নিজের পাশের বাড়ির লোকের সাথে ঝামেলা করেনা। নিজের পোষা কুকুর/বিড়ালকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার থেকে শুরু করে গাড়ির হেডলাইট গুড়িয়ে দেয়া, বাড়িতে চুরি ডাকাতিতে সহায়তা করা ইত্যাদি যেকোন কিছুই করার ক্ষমতা প্রতিবেশীর থাকে। সেজন্য ওকে আন্ডারটেকারের মতন পালোয়ান হওয়ার দরকার পড়ে না। এই মুহূর্তে একটা প্রতিবেশীর সাথেও ইন্ডিয়া খাতির নেই। ওরা চাইবেনা বাংলাদেশের নামও সে তালিকায় যুক্ত হোক। এমনিতেও "সাত বোনের" চিন্তায় রাতের ঘুম হারাম।
কাজেই, দয়া করে দলের লেজুড়বৃত্তি ত্যাগ করে একটু দেশের কথা ভাবেন, দেশের মানুষের কথা ভাবেন। দেশটা আমাদের। সরকারকে পছন্দ হোক বা না হোক, স্বর্ণা, জয়ন্ত ওরা আমার দেশি ভাই - বেঁচে থাকলে হয়তো বড় হয়ে অনেক কিছুই করার ক্ষমতা ছিল ওদের। আবার হয়তো কিছুই করতে পারতো না, অতি সাধারণ জীবন যাপন করতো। তবু একটা সুস্থ, সুন্দর ও দীর্ঘ জীবন যাপনের অধিকার ওদের ছিল। সাইকো কিলার বিএসএফের কারনে সেটা সম্ভব হলো না। যেমনটা সাড়ে পাঁচশোর বেশি বাংলাদেশী নাগরিক যাদেরকে গত পনেরো বছরে ওরা কীটপতঙ্গের মতন মেরেছে, ওদের ক্ষেত্রে হয়নি।
আশা করি এই সরকার ইন্ডিয়ার সাথে অবশ্যই এই বিষয়ে একটা সুরাহা করবে।
আমরা সীমান্তে শান্তি চাই। বন্দুকতো আমাদেরও আছে। আমরা যদি ভারতীয় নাগরিক না মারি, তাহলে ওরাও পারবে নিজেদের বন্দুকের নলকে ঠান্ডা রাখতে।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪১
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ইউরোপে গেছেন কখনও? সভ্য মানুষের দেশ সেগুলো, আপনার যাওয়ার কথা না। গেলে বুঝতেন আপনার আব্বু কতটা অসভ্য।
২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:৩২
কামাল১৮ বলেছেন: সুন্দর রচনা লিখেছেন,যুক্তি প্রমান ছাড়া।মুমিনরা এমনি লিখে। তথ্য প্রমান কিছুই নাই,আছে কেবল দাবি।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪০
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আর লীগের দালালরা এমনই কমেন্ট করে।
৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:০২
এক্সম্যান বলেছেন: প্রহররাজা বলেছেন: অবৈধ ভাবে সীমান্ত পাড়ি দিলে গুলি করতেই পারে। আপনি চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
দুনীয়াতে ভারতের মত দু-একটা অসভ্য রাষ্ট্রই সীমান্তে নিরস্ত্র মানুষকে গুলি করে। যেখানে তারা ভাল ভাবেই জানে উভয়দেশেই মানুষের মাঝে আত্বীয়তার সম্পর্ক বিদ্যমান।
প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ ইউরোপ-আমেরিকার সীমান্ত পাড়ি দেয়, তারা সেখানে স্থায়ী ভাবে থাকার জন্য পাড়ি দেয় কিন্তু তারপরেও কোনো সরকার অসভ্য ভারতের মত গুলি করেনা।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪১
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: দালাল-এ-হিন্দদের কথাবার্তা শুনলেই মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।
৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৩
প্রহররাজা বলেছেন: @এক্সম্যান : প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ ইউরোপ-আমেরিকার সীমান্ত পাড়ি দেয়, তারা সেখানে স্থায়ী ভাবে থাকার জন্য পাড়ি দেয় কিন্তু তারপরেও কোনো সরকার অসভ্য ভারতের মত গুলি করেনা।
না জেনে কথা কম বলেন, ইউরোপ আমেরিকার কথা বাদ দিয়ে আরব দেশ গুলার সীমান্ত ক্রস করার চেষ্টা করে দেখেন, কল্লা নিয়ে ফেরত আসতে পারবেন না।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪৩
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে কি যুদ্ধাবস্থা বিরাজমান? তাহলে বেহুদা কুতর্ক আর দালালি বাদ দিয়ে একটু বিবেক খাটান।
৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:০৪
ঊণকৌটী বলেছেন: দেশের মানুষের জন্য ভাত কাপড়ের বন্দোবস্ত করেন, কেউই আসবে না, ওরা গুলি খাবার ভয় থাকা সত্ত্বেও যখন আসে, তখন বুঝতে হবে কতটা অসহায় অবস্থায় আছে বাংলাদেশের গরীব মানুষ গুলো, বিশেষত মহিলাদের জন্য সত্যিকারের চিন্তা ভাবনা শুরু করেন, একটু ভাত, একটু সুখ, এইটুকু আশা নিয়েই তো ওরা আসে
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪৩
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন:
৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:০৮
ঊণকৌটী বলেছেন: আর ওই নেটওয়ার্ক খুঁজে বের করেন, যারা মেয়েদের এনে ভারতে বিক্রি করে দেয়
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪৪
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক বলেছেন। বাংলাদেশ-নেপাল ইত্যাদি থেকে প্রচুর মেয়েকে কিডন্যাপ করে ওরা ইন্ডিয়ার বাজারে বিক্রি করে। এদের কিন্তু ধরে না।
৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৩৪
ঊণকৌটী বলেছেন: আর একটা তথ্য দেই, বাংলাদেশে একটা শক্তিশালী চক্র আছে, যারা পুরুষ ও মহিলাদের পাচার করে, মেয়েরা বিউটি পারলার ,dance bar অথবা বাইজী পাড়ায় অর্ধেক মজুরিতে কাজ করে, বছরের একটা সময়ে বাড়ি ফিরে আসে, আর পুরুষেরা ইট বাটা ,নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে অনেক কম পারিশ্রমিক নিয়ে কাজ করে, ফলাফল ভারতীয় শ্রমিকরা কাজ পায় না
৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪২
এম ডি মুসা বলেছেন: ভারতের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা করে না। স্বর্ণা দাশ তো হিন্দু ছিল নাকি?
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪৫
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: স্বর্ণা দাস এবং ছেলেটা - দুইজনই হিন্দু ছিল।
৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯
ঊণকৌটী বলেছেন: অবৈধ অনুপ্রবেশ কারির সাথে হিন্দু মুসলমান যায় না, অবৈধ মানে অবৈধ
১০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০২
জ্যাকেল বলেছেন: অসভ্য বর্বর জংলী হনুমান রাষ্ট্র মোদিরাজ্যে সীমান্তে গুলি করা পুন্যের কাজ।
১১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১:০৮
ঊণকৌটী বলেছেন: জ্যাকেল বলেছেন: অসভ্য বর্বর জংলী হনুমান রাষ্ট্র মোদিরাজ্যে সীমান্তে গুলি করা পুন্যের কাজ। বড় বড় ডায়লগ না দিয়ে, আপনার মা, বোন দের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেন নাকি আপনিও জড়িত মহিলা পাচারে ,তাই শরীরে আগুন লেগেছে
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ভোর ৫:৫৩
প্রহররাজা বলেছেন: অবৈধ ভাবে সীমান্ত পাড়ি দিলে গুলি করতেই পারে। আপনি চেষ্টা করে দেখতে পারেন।