![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
গত কয়েক দিনে বেশ কিছু দুঃসংবাদ পেয়ে পেয়ে জেগে উঠেছি।
ইন্ডিয়ায় যাত্রীবাহী বিমান উড়তে গিয়ে মেডিকেল কলেজের হোস্টেলে আছড়ে পড়েছিল।
টেক্সাসে ক্যাম্পিংয়ে গিয়ে হঠাৎ আসা বন্যায় বহু শিশু ও পরিবার ভেসে গিয়েছিল।
আজকে বাংলাদেশে বিমান বাহিনীর একটা প্রশিক্ষণ বিমান একটা স্কুলের উপর আছড়ে পড়লো।
কোনটাই কিন্তু গাজা, ফিলিস্তিন, ইয়েমেন বা ইউক্রেনের মতন যুদ্ধ আক্রান্ত দেশ না। এগুলো স্বাধীন দেশ। এদের শান্তিতে, নিরাপদে থাকার কথা। কিন্তু তারপরেও....
সেই ঘটনা মনে পড়ে যায়।
এক ব্যক্তি মৃত্যুকে এড়াতে লোকালয় ছেড়ে বহু দূরে, দুর্গম এক স্থানে পালিয়ে যায়। সেখানে গিয়েও মৃত্যুদূতকে সামনে দেখতে পেয়ে সে অবাক হয়ে যায়।
মৃত্যুদূত নিজেও ওকে সেখানে দেখে বিস্মিত। তারপরে বলে, "আল্লাহ যখন তোমার প্রাণ কবচ করতে আমাকে এই স্থানে আসতে বলেছিলেন, আমিও প্রথমে বেশ অবাক হয়েছিলাম। তুমিতো এখানে থাকো না, তাহলে তোমার প্রাণ আমি কিভাবে হরণ করবো? এখন পুরো ঘটনা বুঝতে পারছি।"
আমরা যখন জন্মাই, তখনই আমাদের মৃত্যুর তারিখ ও স্থান নির্দিষ্ট হয়ে যায়। মৃত্যুর হাত থেকে পৃথিবীতে আমরা কেউ কোথাওই নিরাপদ না। আমরা যে বেঁচে থাকি, এটাই মিরাকেল, আল্লাহর অশেষ রহমত।
নিহতদের জন্য দোয়া করা ছাড়া কিছুই করার নেই।
আহতদের সাহায্যার্থে সবার এগিয়ে আসা উচিত। রক্ত নিয়ে, টাকা নিয়ে, চিকিৎসা নিয়ে - যে যেভাবে পারেন।
আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার, বিমান বাহিনী কী এর দায়ভার নিয়েছে? ওদেরই বিমান, ওদেরই পাইলট। দুর্ঘটনায় আহত নিহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ওরা কি ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থা রেখেছে?
আরেকটা কথা, প্রশিক্ষণ বিমান কেন সিভিলিয়ান এলাকার উপরেই চালানো হয়? দেশে কি কম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা নেই? সবকিছু ঢাকাতেই কেন? জানি পাহাড়ে এলোমেলো বাতাসের অনেক দাপট থাকে, কিন্তু সমুদ্রের উপর যদি প্রশিক্ষণ নেয়, খুব কি অসুবিধা? আজকে প্লেনটা যদি সমুদ্রে পড়তো, একটা প্রাণেরওতো ক্ষতি হতো না। এক্সপার্টরা যদি একটু জ্ঞান দিতেন, সুবিধা হতো।
২| ২২ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ৭:০০
কামাল১৮ বলেছেন: পুরাই নিয়তিবাদি কথাবার্তা।
৩| ২২ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ৭:৫৫
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ঘুরে ফিরে বার বার বিমান বাহিনীতে এ ধরনের দূর্ঘটনাকে স্বাভাবিকভাবে দেখার কোন সুযোগ নেই। সময় হয়েছে এইসব চাইনিজ ও রাশিয়ান মুড়িরটিন মার্কা যুদ্ধ বিমান দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিমান বাহিনীর ট্রেনিং বন্ধ করার। রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্টের পাশাপাশি এতগুলো তাজা প্রাণ ঝরে গেল। পরিবারগুলো কথা ভাবতেই চোখ ভিজে যাচ্ছে। আপনার সাথে আমিও একমত যে বিমান বাহিনীর এই ধরনের ট্রেনিং ফ্লাইট ব্যবস্থা ঢাকা থেকে সরিয়ে নেয়া উচিত।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুলাই, ২০২৫ ভোর ৫:১২
রবিন_২০২০ বলেছেন: দুর্ঘটনার উপর তো আর কারো নিয়ন্ত্রণ নেই। কিন্তু মূল প্রশ্ন , সব কিছু ঢাকা কেন্দ্রিক কেন? এতো জনবহুল একটা শহরের আকাশে ফাইটার প্লেনের প্রশিক্ষণের আইডিয়া কোন ষ্টুপিডের মাথা থেকে বেরিয়েছে ?
অবশ্য সশস্ত্রবাহিনী তো আবার সব জবাবদিহিতার উর্দ্ধে।