![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘটনাটা গত রোজার ঈদের।
আমি আর আমার বন্ধুরা মিলে পরিকল্পনা করলাম, চাঁদ রাতে আমরা সবাই মিলে স্কুলেই পিকনিক করব।
যেই কথা সেই কাজ। আমাদের সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম পরদিন ইফতারের পর আমরা স্কুল মাঠে বসবো, আজ তো সকলে নেই। তারপর কথা অনুযায়ি আমরা পরদিন বসলাম। সকলেই ছেলে বন্ধু, কোন মেয়ে নেই। আমাদের সিদ্ধান্তও হল সেরূপ, আমাদের পিকনিকে কোন মেয়ে থাকবে না, কারণ আমরা এটা করতে যাচ্ছি গ্রামে, নানাজনে বলবে নানান মত।
তাছাড়া আমাদেরও তেমন বয়স হয়নি। চাঁদা ধরা হল ১০০ টাকা, আর চাঁদা তোলার দায়িত্বও পড়ল আমার হাতেই।
মুরাদ, আব্দুল্লাহ্, ফরিদ, ইকবাল, শাকিল, সাগর, জেম, দুলু, মেহেদি, পলাশ, বিপুল, লিটন আরও ১০-১২ জন।
কয়েকজন আবার ঢাকা থেকে তখনও বাড়ি আসেনি। তাদের সাথে কথা বলে আমরা তাদের ব্যাপারটাও নিশ্চিত হলাম। যেহেতু টাকা আমাকেই তুলতে হবে তাই আমি ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করলাম। কয়েকজনের মাঝে এটা ভাগ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করলাম, কিন্তু সেটা সফল করতে পারলাম না, সব দায় আমার।
কি আর করা, বন্ধুরা তো আমাকেই বিশ্বাস করছে। ঈদের আগের রাতে আমাদের পিকনিক, কিন্তু আমরা পরের দিন আবারও বসলাম, যদিও ঈদের তখনও ৪-৫দিন বাকি। অন্য সকল কাজগুলো ভাগ করে দেয়া হল।
বিরিয়ানি আর মুরগীর মাংস।
সকল বাজেট শেষে শেষদিনে দেখা গেল টাকা দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কিন্তু তবুও টাকা দেয়নি ৩জন। আমায় কথা দেওয়াতে আমি দুজনের টাকা দিয়ে দিলাম। সময়মত দুজনেই এসেছিল। সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে আমি একজনের কাছে চেয়ে ১০০টাকা পেলাম।
বাকিজন খেয়েই ভেগেছে। পুরো ঈদের সময়, তারপর আরও ৫দিন, তবুও তার সময় হয়নি আমাকে এসে ১০০ টাকা দেওয়ার।
আজ থেকে ৭-৮ দিন পর আবার আমাদের মাঝে আসছে ঈদ-উল-ফিতর্। আবারও আমার বন্ধুরা আমাকে বলছে আগের বারের মত আয়োজন করতে। আমি না না করছি, কোন দায়িত্ব নিতে চাই না। জানি শেষ পর্যন্ত পারব না।
তবে আর ভুল করব না, যাই করি, পিকনিকেই চাঁদা ধার হিসেবে দিয়ে দেব না কাউকে...
©somewhere in net ltd.