![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখক শিক্ষাবিদ ও গবেষক
জনৈক প্রশ্নকর্তা : কাদিয়ানীরা কাফের কেন? এর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কারণ জানাবেন!
উত্তরদাতা: প্রশ্নটি করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার প্রশ্নের উত্তরে বলছি শুনুন! তাদের কাফের হওয়ার অন্যতম ও উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কারণ হল
ইসলাম এবং কাদিয়ানীধর্মমত এই দুইয়ের মাঝে মৌলিক কিছু পার্থক্য জেনে রাখা দরকার (ডকুমেন্ট সহ জানুন) Click
১। কাদিয়ানীরা এমন একব্যক্তির অনুসারী যে নবুওয়তের দাবীদারও (এক গলতি কা ইযালা [বাংলা অনূদিত] পৃষ্ঠা নং ৩,৫,৮,১০ দ্রষ্টব্য) । ফলে তারা পবিত্র কুরআনের সূরা আহযাবের ৪০ নং আয়াতসহ বহু আয়াত এবং অসংখ্য তাওয়াতূর পর্যায়ের হাদীসেরই অস্বীকারকারী।
২। কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের বেশিরভাগই জানে না যে, তাদের মির্যা কাদিয়ানীর বইতে কী ধরণের ধর্মবিশ্বাস লিপিবদ্ধ আছে! মির্যা কাদিয়ানীর রচনার একস্থানে ঈসা (আ)-এর দাদী ছিল বলে লিখা আছে। অথচ তার এই কনসেপ্ট পবিত্র কুরআনের সূরা আলে ইমরান এর ৪৭ নং আয়াতের সুস্পষ্ট বিরোধী। কারণ যার দাদী থাকবে তার পিতা থাকাও সাব্যস্ত হবে। অথচ ঈসা (আ) পিতা ছাড়াই আল্লাহর নিদর্শন স্বরূপ কুমারী মাতা বিবি মরিয়মের উদরে জন্মলাভ করেছিলেন।
৩। কাদিয়ানীরা হযরত ঈসা (আ) সম্পর্কে তাঁর স্বশরীরে জীবিত আকাশে উত্থিত হওয়া এবং কেয়ামতের পূর্বে তাঁর পুনরায় পৃথিবীতে ফিরে আসা মর্মে বিশ্বাস করেনা। ফলে তারা পবিত্র কুরআনের সূরা নিসার ১৫৮-৫৯, সূরা আলে ইমরানের ৪৬ নং আয়াতের সুস্পষ্ট ইংগিতসহ অসংখ্য তাওয়াতূর পর্যায়ের হাদীস অস্বীকারকারী।
৪। মির্যা কাদিয়ানী তার রচনাবলীর জায়গায় জায়গায় হযরত ঈসা (আ) এবং তাঁর জননী হযরত বিবি মরিয়ম (আ) সম্পর্কে অকথ্য ও অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। ফলে তার কাফের হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট। কাদিয়ানী সম্প্রদায় এমন ব্যক্তির অনুসারী হওয়ায় তারাও একই ঝাঁকের কৈ হিসেবে পরিগণিত।
৫। মির্যা কাদিয়ানী সাহেব হযরত ঈসা (আ) ছাড়াও অন্যান্য নবীগণের শানে এমনকি মুহাম্মদে আরাবি (সা)-এর শানেও সীমাহীন অমর্যাদাকর মন্তব্য করেছেন। যেমন সে লিখেছে, “রাসূল (সা)-এর দ্বারা দ্বীন প্রচারের কাজ পরিপূর্ণভাবে হয়নি। তিনি পূর্ণ প্রচার করেননি। আমি পূর্ণ করেছি।” (রূহানী খাযায়েন খন্ড নং ১৭। পৃষ্ঠা নং ২৬৩; সারমর্ম)। কাদিয়ানীরা এমন ব্যক্তিকে ইমাম মাহদী বলে বিশ্বাস করায় প্রকারান্তরে তারাও কাফের জাতির অন্তর্ভুক্ত।
৬। হযরত ঈসা (আ)-এর অসংখ্য মুজিজা অস্বীকার করাও তাদের কাফের হওয়ার কারণ। কেননা এটি বিশেষত সূরা মায়েদার ১১০ নং আয়াতের সুস্পষ্ট বিরোধিতার শামিল।
৭। ইসলামের স্বতসিদ্ধ এমন বহু শিক্ষাকে বিকৃত করার কারণেও তারা ইসলাম থেকে খারিজ যেগুলোর স্বরূপ (সঠিক ব্যাখ্যা) ইসলামের সোনালী যুগ থেকে অদ্যাবধি সুরক্ষিত; বরেণ্য যুগ-ইমামদের কেউই কোনো দিন ভিন্ন ব্যাখ্যায় যাননি। যেমন, দাজ্জাল, ইয়াজুজ-মাজুজ, দাব্বাতুল আরদ, মেরাজ, কবরের আজাব, খাতামুন নাবিয়্যীন, ইমাম মাহদীর পরিচয় এবং প্রতিশ্রুত ঈসা (সা) ইত্যাদী। কিন্তু কাদিয়ানীরা এর প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে মূলধারার মুসলিম উম্মাহার শিক্ষার বিপরীত মস্তিষ্কপ্রসূত ব্যাখ্যার পেছনে দৌড়ায়।
৮। ইসলামের অন্যতম ফরজ বিধান 'জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ'-এর অস্বীকার করাও তাদের কাফের হওয়ার অন্যতম কারণ। তারা এত নিষ্ঠুর স্ববিরোধী যে,৷ একদিকে বলে কুরআনের কোনো একটি আয়াতও মানসূখ হয়নি। আবার তারাই সেই কুরআনের সাড়ে ১১শ জিহাদ ও ক্বিতালের আয়াত মানসূখ মেনে বিরোধিতা করে।
৯। মির্যা কাদিয়ানীকে অস্বীকারকারী সমস্ত মুসলমানকে কাফের, জাহান্নামী আখ্যা দেয়াও তাদের কাফের হওয়ার অন্যতম কারণ। যেমন তাদের বইগুলোতে লিখা আছে, মির্যা কাদিয়ানী লিখেন “খোদাতায়ালা আমার উপর প্রকাশ করে দিয়েছেন যে, যাদের নিকট আমার দাওয়াত পৌঁছেছে আর তারা তা কবুল করেনি এমন ব্যক্তি মুসলমান নয় এবং এরা (পরকালে) পাকড়াও হবে। (তাযকিরাহ পৃষ্ঠা নং ৫১৯; ইলহাম, মার্চ ১৯০৬ ইং, চতুর্থ এডিশন)।
মির্যার পুত্র মির্যা বশির উদ্দিন মাহমুদ লিখেন, “প্রত্যেক মুসলমান যিনি হযরত মসীহে মওঊদ (মির্যা কাদিয়ানী)’র বাইয়েতে শামিল হয়নি, সে যদিও হযরত মসীহ মওঊদের নামও শুনেনি, এমন ব্যক্তিও কাফের এবং ইসলাম থেকে বাহিরে।” (আয়নায়ে সাদাক্বাত, আনওয়ারুল উলূম ৬/১১০; মির্যাপুত্র মির্যা বশির উদ্দীন মাহমুদ; অনলাইন এডিশন)।
১০। ব্রিটিশ সরকারের আনুগত্যকে ইসলামেরই অংশ বলে আখ্যা দেয়া-ও প্রমাণ করে যে, এই কাদিয়ানী সম্প্রদায় ইসলামের গন্ডিভুক্ত নয় বরং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদেরই সৃষ্টি ছিল। যেমন সে লিখেছে, “আমি বরাবরই আমার মত প্রকাশ করেছি যে, ইসলামের দুইটি অংশ। প্রথমত, আল্লাহর আনুগত্য করা। দ্বিতীয়ত, এই (ব্রিটিশ) সরকারের আনুগত্য করা যে নিরাপত্তা দিয়েছে। (রূহানী খাযায়েন ৬/৩৮০)।
এভাবে আরো বহু কারণ বিদ্যমান। সংক্ষেপে এটুকু জানানো হল। বিস্তারিত ডকুমেন্টস সহ জানতে ভিজিট করুন :
Click
লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী
কাদিয়ানী মতবাদের একজন স্পেশালিষ্ট গবেষক ও শিক্ষাবিদ
আমাদের প্রকাশিত ১২টি বইয়ের ছবিসহ বিস্তারিত তথ্য এখানে
Click
(চ্যালেঞ্জ রইল, উপরে উল্লিখিত ১টি তথ্য-ও কোনো কাদিয়ানী মতাবলম্বী মিথ্যা প্রমাণ করতে পারবেনা। যদি পারে তাহলে তাকে ১০ লক্ষ টাকা পুরষ্কার দেব। ০১৬২৯৯৪১৭৭৩; ইমেইল - nabifeni৪৪@gmail)
©somewhere in net ltd.