![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখক শিক্ষাবিদ ও গবেষক
এক নজরে মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (১৮৩৯-১৯০৮ খ্রি.)-এর “নবী রাসূল” দাবীর রেফারেন্স
1 “নেয়ামতপ্রাপ্তদের প্রাসাদের একখানা ইটের জায়গা শূন্য ছিল। আল্লাহ ইচ্ছা করলেন যে, তিনি ভবিষ্যৎবাণী পূর্ণ করতে সর্বশেষ ইটের জায়গাটি পরিপূর্ণ করে প্রাসাদটি সম্পন্ন করবেন। আর আমিই হলাম সেই শূন্য জায়গার অবশিষ্ট ইট।” (খোতবায়ে ইলহামিয়্যাহ, মির্যা কাদিয়ানীর ২৩ খণ্ডে প্রকাশিত রচনাসমগ্র 'রূহানী খাযায়েন' ১৬/১৭৭-৭৮)।
2 শেষনবী-এর দ্বিতীয় প্রকাশ ও প্রতিবিম্ব নবী দাবী। (রূহানী খাযায়েন ১৮/২১২)। আরও দেখুন, এক গলতি কা ইযালা বা একটি ভুল সংশোধন, পৃ-৫; মির্যা কাদিয়ানী, রচনাকাল ১৯০১ ইং।
3 শরীয়তি নবী হওয়ার দাবী। (রূহানী খাযায়েন ১৫/৪৩২; ১৭/৪৩৫-৩৬)।
নোটঃ মির্যা কাদিয়ানী লিখেছেন, “খোদার পক্ষ হতে নতুন শরীয়ত নিয়ে প্রেরিত হওয়া সাহেবে শরীয়ত নবীরই একমাত্র বৈশিষ্ট্য হল, তাঁঁর দাবী যে অস্বীকার করবে তাকে কাফের আখ্যা দেয়া!”
মির্যা বশির উদ্দিন মাহমুদ লিখেছেন, যারা মির্যা সাহেবকে কাফের বলেন শুধু তারা কাফের নন, বরং মির্যা সাহেবকে তো কাফের বলেন না কিন্তু তার দাবী মানেনা, এমন ব্যক্তিকেও তিনি (মির্যা) কাফের আখ্যা দিয়েছেন। (আয়নায়ে সাদাকাত, আরও দেখুন, মির্যাপুত্র মির্যা বশির উদ্দিন মাহমুদ এর রচনাসমগ্র ‘আনওয়ারুল উলূম ৬/১৫১)।
4 মুহাম্মদী ধারাবাহিকতায় শেষনবী দাবী। (রূহানী খাযায়েন ২০/৬৯-৭০; ১৯/৬১)।
5 সুস্পষ্টভাবে নবী এবং রাসূল হওয়ার দাবী। (মালফুযাত ৫/৪৪৭ উর্দূ; নতুন এডিশন অনলাইন ভার্সন)।
6 হযরত মূসা (আ.)-এর মত একজন রাসূল দাবী। (মালফুযাত ৫/২৭; নতুন এডিশন)।
7 মির্যা কাদিয়ানী সাহেব একজন নবী। মির্যাপুত্র মির্যা বশির উদ্দিন মাহমুদ এর রচনাসমগ্র 'আনওয়ারুল উলূম' ৩/১৪৮, ৬/১৫১; অনলাইন এডিশন)।
8 তিনি আরও লিখেছেন যে, নবুওয়তের মাসয়ালার জট মির্যা কাদিয়ানীর উপর ১৯০১ সালের পরেই খুলেছে। তার মানে, তিনি ইতিপূর্বে যেসব শব্দের (উম্মতি/বুরুজী) আশ্রয় নিয়ে নবী দাবী করেছিলেন সেটি এখন (১৯০১ সালের পর থেকে) রহিত, সেসব দ্বারা এখন আর কেউ দলিল দিতে পারবেনা। এতে সাব্যস্ত হল যে, তিনি ১৯০১ সালের পর থেকে আপনা নবী দাবী সংক্রান্ত বিশ্বাসের ভেতর পরিবর্তন এনেছেন।(আনওয়ারুল উলূম খ-২ পৃ-৪৪৩-৪৫; লিখক মির্যা বশির উদ্দিন মাহমুদ)।
9 মির্যা কাদিয়ানী একজন নবী। মির্যাপুত্র মির্যা বশির উদ্দিন মাহমুদ এর রচনাসমগ্র 'আনওয়ারুল উলূম' ৬/১১০; অনলাইন এডিশন।
নোটঃ মির্যাপুত্র মির্যা বশির উদ্দিন নিজেই লিখেছেন যে, মসীহ মওউদ (অর্থাৎ মির্যা কাদিয়ানী) মুহাদ্দাস নন, বরং একজন নবীই (আনওয়ারুল উলূম খ-২ পৃ-৫৪৪)। মির্যা স্বয়ং লিখে গেছেন, আমি এক দিক থেকে নবী এবং আরেক দিক থেকে উম্মতি। দেখুন, মালফুযাত ৫/৩৫৩ লিখক মির্যা গোলাম আহমদ।
10 মির্যা কাদিয়ানীর “রাসূল” হওয়ার দাবী। মির্যা গোলাম আহমদ লিখেছেন, সত্য খোদা সেই খোদা যিনি কাদিয়ানে তাঁর রাসূল পাঠিয়েছেন। (দাফেউল বালা (বাংলা) পৃষ্ঠা নং ১২)।
11 নবী এবং রাসূল হওয়ার দাবী। দেখুন, একটি ভুল সংশোধন (বাংলা) পৃষ্ঠা নং ৫,৮,১০।
12 রাসূল হওয়ার দাবী। (আল ওসীয়্যত (বাংলা) পৃষ্ঠা নং ২০)।
13 আল্লাহতালা মির্যাকেই “নবী” নামে খাস করেছেন। (হাকীকাতুল ওহী (বাংলা) পৃষ্ঠা নং ৩৩০)।
14 মুহাম্মদী ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ নবী এই অধম (মির্যা কাদিয়ানী) । (তাযকিরাতুশ শাহাদাতাইন (বাংলা) পৃষ্ঠা নং ৮২, লিখক মির্যা গোলাম আহমদ)।
15 আল্লাহতালার ওয়াদা ছিল উম্মতে মুহাম্মদীয়ার মধ্যে একজন “রাসূল” পাঠানোর। যিনি মাহদী ও মসীহ হবেন। (দেখুন, ঈসা (আ.)-এর মৃত্যুতে ইসলামের জীবন, লিখক শাহ মুস্তাফিজুর রহমান পৃষ্ঠা নং ৩৭, ১১তম পুনঃমুদ্রণ, জানুয়ারী ২০১৮ ইং)।
নোটঃ কাদিয়ানীদের প্রকাশিত ‘উম্মতিনবী‘ বইয়ের ৯ নং পৃষ্ঠায় লিখা আছে, মির্যা কাদিয়ানী একই সাথে নবী এবং উম্মতী দুটোই। এবার ‘ভারতের কাদিয়ান’ থেকে উর্দূ ভাষায় প্রকাশিত তাদের অফিসিয়াল দৈনিক পত্রিকা ‘আল ফজল‘ তাং ২৬-০৬-১৯২২ইং পাতা নং ৬ এর ভাষ্যটিও জেনে নিন! মির্যা বশির উদ্দিন মাহমুদ এর উদ্ধৃতিতে লিখা আছে, “আমরা যেহেতু হযরত মির্যা সাহেবকে ‘নবী‘ মেনে থাকি আর গয়ের আহমদীরা (অ-কাদিয়ানীরা) তাঁকে ‘নবী’ মানেনা, সেজন্য কুরআনের শিক্ষা অনুযায়ী যে কোনো একজন নবীর অস্বীকারকারীও কাফের হওয়ায় গয়ের আহমদীরা কাফের।”
শেষকথাঃ মির্যা গোলাম আহমদের দাবীটা নাকি জিল্লি, বুরুজি টাইপের 'নবী' হবার দাবী! অথচ এ কথা মোটেও সত্য নয়। বরং সে প্রকৃতপক্ষেই একজন নবী ও রাসূল দাবীদার। তার আরেকটি প্রমাণ হচ্ছে, তারই কমরুল আম্বিয়া উপাধিপ্রাপ্ত মির্যা বশির আহমদ এম.এ সাহেবের এ বক্তব্য, যেখানে লিখা আছে “খোদা আপনা বাণীতে (কুরআনে) কখনোই জিল্লি, বুরুজি শব্দ ব্যবহার করেননি।” (কালিমাতুল ফছল ২৮)। এখন আবার আগের কথায় ফিরে যাচ্ছি, তাহলে মির্যা গোলাম আহমদকে অস্বীকার করলে তা কুরআনের শিক্ষার বিরুদ্ধে যায় কিভাবে? যেহেতু কুরআনে উল্লিখিত কোনো 'নবী' তৃতীয় শ্রেণীর (বুরুজি জিল্লি) 'নবী' নন! আসল কথা হল, মির্যা গোলাম আহমদের বুরুজি আর জিল্লি শব্দে নবী দাবীটা নিঃসন্দেহে এক প্রকারের প্রতারণা-ই ছিল। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সকল প্রকারের বাতিল থেকে রক্ষা করুন।
লিখক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক
প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী
লিখকের রদ্দে কাদিয়ানীয়তের উপর অ্যাপটি ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন রদ্দে কাদিয়ানী
©somewhere in net ltd.