নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুষ্ট মার্কের ব্লগ...:)

মার্ক বিপ্লব(ওমিগা)

ও গানওয়ালা, আর একটা গান গাও আমার আর কোথাও যাবার নেই কিচ্ছু করার নেই!

মার্ক বিপ্লব(ওমিগা) › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুয়াকাটায় রাস মেলা উৎসব

১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৮


আমাদের দেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এদেশে আমরা সবাই মিলে একটি সুন্দর লোকজ সাংস্কৃতিক পরিবেশ গড়ে তুলেছি, যা আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বহমান-ধারা। পর্যটন নগরী হিসেবে কুয়াকাটার আত্মপ্রকাশ খুব বেশী আগে ঘটেনি (১৯৯৮ সালে)। তবে এর বহু আগে থেকেই এ সমুদ্র সৈকতটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা তাদের তীর্থ স্থান হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় কুয়াকাটায় রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে লাখ লাখ পুণ্যার্থীর ঢল নামে। রাসলীলা মণিপুরীদের উৎসব হলেও বহুকাল আগ থেকেই এ উৎসবে যোগ দেয় দেশের- হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান, বৌদ্ধসহ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অজস্র ভ্রমনপ্রিয় মানুষ। সৈকত লাগোয়া রাধা-গোবিন্দ সেবাশ্রমকে কেন্দ্র করে এখানকার উৎসব চলে। সেবাশ্রমের আঙিনায় প্রতীকী বৃন্দাবনের কুঞ্জে রাধা-কৃষ্ণের সতেরো জোড়া যুগল মূর্তি স্থাপন করা হয়। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সাধু-সন্ন্যাসী, পুণ্যার্থী ও কৃষ্ণভক্তদের উপস্থিতিতে সেবাশ্রম পরিণত হয় এক মিলনমেলায়। এখানে পুণ্যস্নানে অংশ নেন হাজার হাজার পুণ্যার্থী। পূর্ণিমালগ্নে সেখানে রাধা-গোবিন্দ মন্দিরে স্থাপন করা হয় মঙ্গলঘট। ভোরে রাসপূর্ণিমা তিথী ও রাসপূজা উপলক্ষে সমুদ্রে অনুষ্ঠিত হয় পুণ্যস্নান। এর আগের দিন থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার পুণ্যার্থীর আগমন ঘটে কুয়াকাটায়। ঐদিন রাতভর হৈ-হুল্লোর, আনন্দ-উল্লাস ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান শেষে পরের দিন সাগরে পুণ্যস্নান করতে নামে সকল পুণ্যার্থী। হাজার হাজার পুণ্যার্থী এ সময় অবলোকন করে পূর্বাকাশে নৈসর্গিক শোভায় উদ্ভাসিত পূর্ণিমা তিথীর সূর্যোদয়।

লোকজ মেলা: কুয়াকাটায় রাস উৎসবকে ঘিরে জমে ওঠে একটি অসাধারন লোকজ মেলা। সেখানে মণিপুরীদের তৈরি ঐতিহ্যবাহী তাঁতের চাদর; শাড়ি ও অন্যান্য পোষাক-কাপড়; কৃষিকাজের সরঞ্জাম; শিশুতোষ খেলনা; ঝিনুকের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী; গ্রামীণ কুটির শিল্প; বিভিন্ন প্রকার গ্রামীণ খাবার ও মন্ডা-মিঠাই; মাটির তৈরি সামগ্রী; ঘর সাজানোর সামগ্রী সহ লোকজ জীবনের সঙ্গে যুক্ত আরো অনেক দ্রব্য সামগ্রী বিক্রি হয়।

মূলত যেকোন দেশের ঐতিহ্য সে দেশের সম্পদ। আমাদেরও রয়েছে হাজার বছরের ঐতিহ্যের গৌরব। প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন, লোকশিল্প, লোকখেলা, লোকখাবার, লোকযান, লোকগান, লোকসাহিত্য, লোকসামগ্রী, অলংকার, মেলা ইত্যাদি বাংলার ঐতিহ্য। ঐতিহ্যের এই ধারাকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। কারন একটি জাতির ঐতিহ্যের মধ্যেই তাদের সভ্যতার শেকড় নিহিত। জানতে হবে বাঙলার ঐতিহ্যকে, জানাতে হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে।

‘Xtreme Close Up’ মূলত চলচ্চিত্র নির্মান বিষয়ক ও বিনোদন নির্ভর একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি টেলিভিশন নাটক, স্বল্পদৈর্ঘ চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্রের মাধ্যমে সামাজিক সচেতনতা তৈরি, বিনোদনের মধ্য থেকে শিক্ষা ও দেশি বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করার লক্ষে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে তুলে ধরার লক্ষে দ্বীর্ঘদিন যাবত কাজ করে যাচ্ছে। রাস উৎসব বাঙ্গালীর অন্যতম আদী উৎসব। কুয়াকাটার এই উৎসবকে আরো অধীক মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে, আরো জনপ্রিয় করে তুলতে- Xtreme Close Up দুটি ভ্রমন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে।

ভ্রমন পরিকল্পনা – ১
২৩ নভেম্বর রাতে ঢাকা ত্যাগ এবং ২৬ নভেম্বর দুপুরে কুয়াকাটা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা।

# ২৩ নভেম্বর রাত ৯ টায় ঢাকার গাবতলী থেকে বাসে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে যাত্রা।
# ২৪ তারিখ সকাল ৭ টায় হোটেল কিংসে (কুয়াকাটা) পৌছানো। সকালের নাস্তা শেষে মিশ্রিপাড়া রাখাইন পল্লী ও গঙ্গামতী লাল কাকড়ার চর ভ্রমন। দুপুরে খাওয়া শেষে লেবুর চর ভ্রমন ও কাকড়া ফ্রাই উপভোগ। সন্ধ্যার পর থেকে রাস মেলার বিভিন্ন প্রস্তুতি আয়োজন উপভোগ।
# ২৫ তারিখ সকালে কুয়াকাটা মূল সী-বিচ সংলগ্ন বিভিন্ন দর্শণীয় স্থান উপভোগ।
দুপুরের খাওয়া শেষে গভীর রাত পর্যন্ত রাস মেলা ও রাসমেলা উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ।
# ২৬ তারিখ সকালে সৈকতে পুণ্যস্নান উপভোগ। সকালের নাস্তা শেষে নৌকায় গঙ্গামতি নদী, খাঁল ও সমুদ্র ভ্রমন। দুপুরের পরে বাসে ঢাকার উদ্দ্যেশ্যে যাত্রা।
# ২৭ তারিখ সকালে ঢাকায় পৌঁছানো।

যাতায়ত ব্যাবস্থা:
ঢাকা থেকে : সরাসরি (ঢাকা-কুয়াকাটা-ঢাকা) চেয়ার কোচ সার্ভিস।
বরিশাল থেকে : লোকাল বাস সার্ভিস (বরিশাল-কুয়াকাটা-বরিশাল)।

আবাসন ব্যবস্থা: ভ্রমনকারীদের আবাসন ব্যাবস্থা ‘হোটেল কিংস’ এ। ‘হোটেল কিংস’ কুয়াকাটার সবচেয়ে সাগর সন্নিকটবর্তী সাদামাটা একটি ছোট্ট হোটেল। ‘হোটেল কিংস’ থেকে রাসের মূল মেলার দুরত্ব মাত্র কয়েক গজ। প্রতি বেডে দু’জন করে থাকার ব্যাবস্থা। পরিবারের জন্য আলাদা রুম।

খাওয়ার ব্যবস্থা: নিজস্ব ব্যাবস্থাপনায়- সকালের নাস্তা, দুপুরের খাওয়া, সন্ধ্যার নাস্তা ও রাতের খাওয়া।

ভ্রমন খরচ (জন প্রতি):
ঢাকা থেকে- ৫,০০০ টাকা (চার রাত ও তিন দিন)
বরিশাল থেকে- ৩,৫০০ টাকা (তিন দিন ও দুই রাত)

ভ্রমন পরিকল্পনা-২:

ভ্রমন তারিখ: ২৩ নভেম্বর রাতে ঢাকা ত্যাগ এবং ২৬ নভেম্বর দুপুরে কুয়াকাটা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা।

# ২৩ নভেম্বর রাত ৮:৩০ মিনিটের লঞ্চে বরিশালের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগের মধ্য দিয়ে ভ্রমনপর্ব শুরু।
# ২৪ তারিখ ভোর পাঁচটায় বরিশাল লঞ্চঘাট পৌঁছানো। সকাল ৬ টায় মাইক্রোবাসে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে রওনা। সকাল ১০ টা নাগাদ হোটেল পৌঁছানো। সকালের নাস্তা শেষে মিশ্রিপাড়া রাখাইন পল্লী ও গঙ্গামতী লাল কাকড়ার চর ভ্রমন। দুপুরের খাওয়া শেষে লেবুর চর ভ্রমন ও কাকড়া ফ্রাই উপভোগ। সন্ধ্যা থেকে রাসমেলার বিভিন্ন প্রস্তুতি আয়োজন উপভোগ।
# ২৫ তারিখ সকালে কুয়াকাটা মূল সী-বিচ সংলগ্ন বিভিন্ন দর্শণীয় স্থান উপভোগ।
দুপুরের খাওয়া শেষে গভীর রাত পর্যন্ত রাসমেলা ও রাসমেলা উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ।
# ২৬ তারিখ সকালে সৈকতে পুণ্যস্নান উপভোগ। সকালের নাস্তা শেষে নৌকায় গঙ্গামতি নদী, খাঁল ও সমুদ্র ভ্রমন। দুপুরে খাওয়া শেষে তিনটা নাগাদ বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা (মাইক্রোবাস)। রাত ৮:৩০ মিনিটে লঞ্চে ঢাকার উদ্দ্যেশ্যে যাত্রা।
# ২৭ তারিখ সকালে ঢাকার সদরঘাট পৌঁছানো ও আমাদের ভ্রমন পরিসমাপ্তি।

যাতায়ত ব্যাবস্থা:
ঢাকা থেকে : সদর ঘাট থেকে বিলাসবহুল লঞ্চে বরিশাল পর্যন্ত (প্রত্যেকের জন্য কেবিনের সিঙ্গেল বেড)। বরিশাল থেকে মাইক্রোবাসে কুয়াকাটা। ঠিক একইভাবে কুয়াকাটা থেকে ঢাকা ফেরা।
বরিশাল থেকে : মাইক্রোবাসে কুয়াকাটা যাওয়া ও আসা।

আবাসন ব্যবস্থা: এই প্যাকেজে ভ্রমনকারীদের আবাসন ব্যাবস্থা হবে বীচ হ্যাভেন / সী-কুইন হোটেলে। প্রতি বেডে একজন করে। পরিবারের জন্য থাকবে আলাদা রুম।

খাওয়ার ব্যবস্থা: নিজস্ব ব্যাবস্থাপনায়- সকালের নাস্তা, দুপুরের খাওয়া, সন্ধ্যার নাস্তা ও রাতের খাওয়া।

ভ্রমন খরচ (জনপ্রতি):
ঢাকা থেকে- ১০,০০০ টাকা (চার রাত ও তিন দিন)
বরিশাল থেকে- ৮,০০০ টাকা (তিন দিন ও দুই রাত)

নোট: ভ্রমনকারীরা প্যাকেজের বাইরে- অতিরিক্ত খাওয়া, কেনাকাটা, শিশুদের ভ্রমন খরচ, প্যাকেজের বাইরে স্থানীয় ভ্রমন খরচ নিজ নিজ দ্বায়িত্বে বহন করবেন। ভ্রমনকারীরা তাদের সকল প্রকার ব্যক্তিগত ব্যবহারের জিনিসপত্র নিজ দ্বায়িত্বে নিয়ে আসবেন এবং রক্ষনাবেক্ষন করবেন। উক্ত প্যাকেজ ট্যুর আয়োজনের জন্য উপযুক্ত সংখ্যক ভ্রমনকারীর ভ্রমন অনিশ্চিত কিংবা যেকোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনার প্রেক্ষিতে অগ্রীম লেনদেন ফেরতদান পূর্বক কর্তৃপক্ষ আগামী ২০ নভেম্বর পযর্ন্ত প্যাকেজ বন্ধ করে দেয়ার অধিকার সংরক্ষন করবেন।

কুয়াকাটা রাস মেলা ইভেন্টে অংশগ্রহনের জন্য রেজিস্ট্রেসনের নিয়ম:

১. bKash এ ভ্রমন ফি জমা দানের মাধ্যমে:
রাস মেলা ইভেন্টে যোগাযোগের তিনটি নাম্বারের যেকোনো একটি নাম্বারে কথা বলে নির্ধারিত ভ্রমন ফি বিকাশ করে পাঠিয়ে দিতে হবে। ভ্রমনকারীর ফোন নাম্বার, জাতীয় পরিচয়পত্র / পাসপোর্ট নাম্বার সহ নাম রেজিস্ট্রেশন ও বিকাশের সেন্ড মানির কনফার্মেশন ম্যাসেজটা ভ্রমনের সময় পর্যন্ত সংরক্ষন করে রাখতে হবে।

২. ব্যাংকে ভ্রমন ফি জমা দানের মাধ্যমে:
ব্রাক ব্যাংকের যেকোনো শাখায় নির্ধারিত ভ্রমন ফি জমা দিতে হবে। টাকা জমা দানের রশিদে ব্যাংক এ্যাকাউন্ট নামের পাশাপাশি, কুয়াকাটা রাস মেলা ইভেন্টের নাম এবং প্যাকেজ উল্লেখ করতে হবে (নমুনা: কুয়াকাটা রাস মেলা ইভেন্ট, প্যাকেজ – ১)। কুয়াকাটা রাস মেলা ইভেন্টের যেকোনো একটি যোগাযোগ নাম্বার টাকা জমা দানের রসিদে উল্লেখ করে দিতে হবে। ব্যাংকে টাকা জমা দানের রশিদের একটি ছবি তুলে, নিম্নোক্ত ঠিকানায় ই-মেইল করে পাঠিয়ে দিতে হবে। অবশ্যই রসিদটি ভ্রমনের সময় সঙ্গে রাখতে হবে।
Email: [email protected]

# রেজিস্ট্রেশনের শেষ দিন আগামী ১৫ নভেম্বর ২০১৫।

Bank Account:
A/C : Xtreme Close Up
Ac No: 0501202598194001
Brac Bank, Barisal Branch.

bKash No: 01712 198 667, 01731 488 980, 01842 808 762
ইভেন্ট: কুয়াকাটা রাস মেলা ২০১৫

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৬

প্রামানিক বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৯

মার্ক বিপ্লব(ওমিগা) বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.