নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তেজপাতা মসলা

তেজপাতা মসলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আগন্তুকের পিছনে হারিয়ে যাওয়া ।...........................।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১০

১৫ ডিসেম্বর ২০১২ ইং অফিস থেকে খুব তাড়াতাড়ি ফিরলাম। আগে বলে রাখি আমি একটা বাংলাদেশের নামকরা প্রতিষ্ঠানে জব করতাম। আমার অফিস ছিল সাভারের হেমায়েতপুরে। আমাদের ডিপার্টমেন্ট থেকে আমরা প্রায়ই ট্যুরে বের হতাম। এবার সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম কুমিল্লা ট্যুরে যাবো। ট্যুরের তারিখ ঠিক করা হল ১৬ই ডিসেম্বর । আমাদের এক কলিগের বাসা কুমিল্লা শহরের কাছাকাছি। সবাই সকালের খাবার ওই কলিগের বাসায় খাবো। তারপর কুমিল্লার বিখ্যাত ঐতিহাসিক জায়গা ভ্রমন করব। আসা যাক মূল কথায় । অফিস থেকে তাড়াতাড়ি ফিরার কারণ ছিল ওই কুমিল্লা ট্যুর।আমি তখন মিরপুরে থাকতাম । আমার মেঝ বোনের সাথে থাকতাম। আপু তখন আমাদের গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। বাসায় আমি আর আমার দুলাভাই। তো ওই দিন বাসায় এসে দেখি দুলাভাই একজনকে সাথে নিয়ে বাসা রং করতেছে। আমার তো মেজাজ খারাপ। আগামীকাল কুমিল্লা ট্যুর তাই বাসায় তাড়াতাড়ি আসলাম। কিছু গোছানোর কাজ বাকি ছিল। এখনতো আশায় গুড়েবালি। এই অবস্থায় দুলাভাই আমাকে বলল তুই ড্রেস চেঞ্জ করে বাহির থেকে ঘুরে আস ঘণ্টা খানেকের জন্য। ততক্ষনে আমাদের রং দেয়া শেষ হয়ে যাবে। তখন আবার কারেন্ট ছিল না। পাশের ফ্লাটে আমার মামাতো ভাই থাকে। যেহেতু কারেন্ট নেই। তাই বাহিরে ঘুরে আসা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। যেই ভাবা সেই কাজ। বাসার পাশের গলিতে আসলাম। এবার উদ্দেশ্যহীনভাবে হাঁটা শুরু করলাম। বারবার আশে পাশের দোকানের সাইন বোর্ড গুলো খেয়াল রাখতেছি। যাতে আবার আগের জায়গায় ফিরে আসতে পারি। ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাঁটার পর হঠাৎ আমার সামনের একটি মেয়েকে খেয়াল করলাম। বুরকা পড়া । খুব স্বাভাবিক ভাবে হাঁটতেছে। তার হাঁটার ভঙ্গি খেয়াল করতে লাগলাম।মনের মধ্যে কি খেয়াল হল যে , যেহেতু উদ্দেশ্যহীনভাবে হাঁটতেছি একটা লক্ষ্য সামনে নিয়ে হাঁটি তাহলে একা একা হাঁটতে বিরক্ত লাগবে না। এই মেয়েকে ফলো করা শুরু করলাম। দেখি উনি কোথায় যায়। হাঁটতেছি আর হাঁটতেছি এই গলি থেকে ওই গলি উনার হাঁটা শেষ হয় না। কিছুক্ষন পর ভাবলাম কেউ যদি বুঝে ফেলে আমি ওই মেয়েকে ফলো করি এই রাত্রে গলির মধ্যে বিষয় ভেবে আবার ভয় ভয় লাগছে । যেহেতু কারেন্ট ছিল না। গলির অনেক জায়গায় অন্ধকার। কেউ যদি এই অবস্থায় ধরে সেল ফোনটা নিয়ে যায়। অনেক কিছু মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু আবার অ্যাডভেঞ্ছার মনে হচ্ছে। আরেক গলি পার হওয়ার পর বাদাম কিনলাম ৫ টাকার বাদাম কিনতে কিনতে ওই মেয়েকে হারিয়ে ফেললাম । বাদাম কিনার উদ্দেশ্য ছিল । আমি যখন বাদাম খাবো তখন নিজেকে স্বাভাবিক মনে হবে । কেউ তেমন সন্দেহ করবে না। আবার আন্দাজ করে হাঁটতে লাগলাম দেখি ওই মেয়েকে পাওয়া যায় কিনা । কিছুক্ষণ হাঁটার পর আবার মেয়েটিকে ফেলাম। আবার যথারীতি ফলো করা শুরু। প্রায় ২০ মিনিট হাঁটার পর দেখলাম মেয়েটি একটি বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ালেন। এবার আমি খুব দূর থেকে বিষয়টি খেয়াল করলাম। কারণ ওই গলিতে তখন আমি ছাড়া তেমন কেউ ছিলোনা। মেয়েটি বাসায় ভিতর চলে গেলেন। আমি ২ – ৩ মিনিট ওই বাসায় কাছে আসলাম । বাসার নাম ফলক দেখলাম । একতা মঞ্জিল। ১৭১/ মিরপুর -১ ঢাকা -১২১৬। এভাবে আমার যাত্রা শেষ হল। তবে একটা কথা বলে রাখি আমি কিন্তু ওই

মেয়ের মুখ দেখিনি। শুধু মাত্র পিছনের অংশ দেখেছি। আমি আবার সাইন বোর্ড খেয়াল করে করে আমার আগের জায়াগায় ফেরত আসলাম।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩১

তেজপাতা মসলা বলেছেন: আমার লেখা কেমন মন্তব্য আশা করছি......। মন্তব্য আমাকে ভাল লিখার অনুপ্রেরণা জুগাবে।

২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

তেজপাতা মসলা বলেছেন: লেখা কি বেশি খারাপ হয়েছে.....।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.