![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তাবিজ নিয়া এইটা আমার শেষ চাওয়া আরবি জানা ব্লগার ভাইদের কাছে।
এই জিনিসগুলা আমার বাসার জানালার সামনে থেকে উদ্ধার করা হয় একটি বিশেষ প্রক্রিয়া মধ্য দিয়ে। আমার এর মানেটা জানা জরুরী।
এই তাবিজটা যিনিই করেছিলেন তাকে আল্লাহ যেন মাফ করে দেন।
কারন যার উদ্দেশ্যে এই তাবিজটা করা হয়েছে তিনি মারা গেছেন।
আমার আম্মা।
উনার একটা চুরি হয়ে যাওয়া কাপড়ের টুকরা এই তাবিজে ছিলো।
এতে আরো ছিলো আরবী কিছু প্রিন্ট করা লাল একটা কাগজ।
এবং ছবিসহ হাতে লেখা আরবী একটা কাগজ।
আমি স্ক্যান করে এটা রেখে দিয়েছিলাম।
আজ এই প্রশ্নটা করছি ব্লগার ভাইদের কাছে।
লাল প্রিন্ট করা কাগজটার এক সাইড:
লাল প্রিন্ট করা কাগজটার অপর সাইড:
ছবিসহ হাতে লেখা আরবী কাগজের এক সাইড।
ছবিসহ হাতে লেখা আরবী কাগজের অপর সাইড
কারো বিরক্তি উৎপাদন করলে আমি ক্ষমাপ্রার্থি।
২| ২৮ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:১৭
মারুফ হায়দার নিপু বলেছেন:
আমার আম্মা ২০০৮ সালে মারা যান।
৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:২১
পারভেজ আলম বলেছেন: ভাই, আপনার আম্মা হয়তো এমনিতেই মারা গিয়েছিলেন, স্বাভাবিক রোগ ব্যাধিতে।
আরবি আমার জানা নাই। তবে এই তাবিজে কি আছে তা জানতে আমিও আগ্রহী।
৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:২৬
কাম্রুল বলেছেন: ভাই, আপনার আম্মাকে আল্লাহ পাক বেহেশ্তে প্রেরণ করুক...এই সব তাবিজে আমার বিশ্বাস নাই...মানুষের মনের জোরটাই আসল...
৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:২৯
বিপ্লব কান্তি বলেছেন: ছবি আঁকা গুনাহের কাজ ।
৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:৫১
এস বাসার বলেছেন: অবাক কান্ড, যদিও গ্রামে এগুলো এখনো চলে। মনে হয় পুরোটাই ধোকাবাজি।
এর কারনে বা প্রভাবে আপনার মায়ের মৃত্যু হয়েছে , সেটা মনে হয় ঠিক নয়।
তবে ব্লগের কেউ যদি এর মানে বলে দিতে পারে , সেটার অপেক্ষায় রইলাম।
৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:৫২
মাহমুদহাসান বলেছেন: বিরক্তি উৎপাদন না করলেও এইসবে বিশ্বাস না করার জন্য অনুরোধ করছি।
আপনার আম্মার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি এবং আপনার প্রতিও সহমর্মিতা রইল।
৮| ২৮ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:৫৯
আমি হনুমান বলেছেন: আমি এর বিষয়ে কনফিউজড, আমার পরিবারের কিছু লোক এর আতঙকে থাকি, খুবই নিকট একজন সম্পদের জন্য এর ব্যবহার করছে।
এদের সুমতি হোক।
৯| ২৮ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৪:০১
রাজামশাই বলেছেন: তোর ছবি গুলান এক আরবী ভাষী মৌলানারে দেওয়া হইয়াছে দেখি কি বলে ............
১০| ২৮ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৪:২৪
সহীদুল হক মানিক বলেছেন: অপেক্ষায় রইলাম। দেখি কি বলে
১১| ২৮ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৪:২৫
তিক্ত প্রাণ বলেছেন: কাম্রুল বলেছেন: ভাই, আপনার আম্মাকে আল্লাহ পাক বেহেশ্তে প্রেরণ করুক...এই সব তাবিজে আমার বিশ্বাস নাই...মানুষের মনের জোরটাই আসল...
১২| ২৮ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৪:২৭
জসিম উদ্দীন বলেছেন: আমিও আপনার এগুলো সেভ করে রাখলাম। আমার পরিচিত একজন তাবিজ কবজ বুঝে............................. দেখি কি করতে পারি।
আমিও এগুলো বিশ্বাস করি না। কিন্তু আমার আব্বার মারা যাওয়ার সময় যা কিছু ঘটেছে। পরবর্তী বিভিন্ন প্রমাণাদিতে আমি বিশ্বাস করতে বাধ্য হলাম এগুলান দিয়া কিছু করা যায়..... বাকী আল্লাহ ভাল জানেন.
১৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৪:৩৪
কাব্য বলেছেন: জানার আগ্রহ থাকলো।
১৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৫:৩১
মাহমূদ হাসান বলেছেন: মানুষ কত শয়তান হতে পারে!!! আমার তো অভিশাপ দিতে ইচ্ছে করছে!!!
আরবী লেখাগুলো অস্পষ্ট তবে এসব চিত্রাঙ্কনের মানে আমি বুঝি। এই ব্লগে আপনার প্রশ্ন আর কৌতুহল মেটাতে যদি উত্তর দিতে চাই তাহলে ৫ জন আমার উত্তর শুনে বাহবা দিলেও বাকীরা সবাই আমাকে বোকা বলে বা ছাগু বলে সম্বোধন করবে। আজকাল যুগ পাল্টেছে, লোকজন টেকনোলজি ছাড়া আর কিছুই বিশ্বাস করে না, গ্রামে কিছু কুসংস্কার অবশ্য আছে তবে সবটুকুই বা সবকিছুই মিথ্যা নয়। আর যা হয়ে গেছে তা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। আসুন যিনি চলে গেছেন আমরা তার জন্য দু হাত তুলে মোনাজাত করি।
২৮ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৫:৪৯
মারুফ হায়দার নিপু বলেছেন:
আমাকে মেইল করে আনসারটা দিতে পারেন ভাই।
marouf1982@জিমেইল.কম
১৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৫:৪৬
মঈনউদ্দিন বলেছেন: ভাই, আপনার আম্মাকে আল্লাহ পাক বেহেশ্তে প্রেরণ করুক...এই সব তাবিজে আমার বিশ্বাস নাই...মানুষের মনের জোরটাই আসল...
জানার অপেক্ষায় রইলাম। দেখি কে কি বলে
১৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৯:১২
মনিহার বলেছেন: অবিশ্বাস করার উপায় নাই। আমদের নবীজিকে ও তাবিজ করা হয়েছিলো।
১৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৯:১৮
মনিহার বলেছেন: ভাই, আমি একবার দেখেছিলাম, একবার একলোক কিছু ছবি ( উপরের টার মত ) ফটোকপি করছিলেন। আমি একটু উকি মারতেই লুকিয়ে ফেলল। যা দেখলাম, বিভীষণ ছবি সব।
মানুষের ছবি ও যে এতো ভয়ংকর ভাবে আকা যায়, এটা জানা ছিলো না।
এরাবিয়ান নাইটস এ যে রকম ভুত, দেও দের মত আকা সব ছবি, প্রায় ১০-১২ টা।
১৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১০ রাত ২:৪৫
স্বপ্নকথক বলেছেন: আমি জানতে চাই। এগুলো কি সত্যি কাজ করে?
১৯| ২৯ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৮:৫০
মাহমূদ হাসান বলেছেন: কু্রআনের আয়াত উল্টাভাবে বা বিকৃত করে লেখা কে বলা হয় কুফুরী কালাম। যারা এরকম কাজ করে তারা সুনিশ্চিতভাবেই জাহান্নামী। উপরের লাল লেখাগুলো তো বুঝা যায় কিন্তু নিচে হাতে যে ছবি আঁকা সেটা যে লিখেছে সে ছাড়া আর কেউ বুঝবে না। আসলে এই ছবিটাই সবচেয়ে ভয়ংকর। এখানে যার নামে ছবি আঁকা হবে সেই হয়তো কঠিন কোন রোগে পড়বে বা মৃত্যু বরণ করবে। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, আপনার মায়ের বা আপনার পরিবারের কোন কঠিন শত্রৃ দ্বারাই এই কাজ হয়েছে। তবে সাধারণত এ সকল ক্ষতি নিজের মানুষেরাই করে থাকে। পারিবারিক দ্বন্দ্বই এর সবচেয়ে বড় কারণ। আর এরকম ছবি এঁকে যে সকল কাজ করা হয় সেগুলো খুবই কার্যকরী হয়। আমার এক চাচাতো বোনকে এক ছেলে এরকম ছবি এঁকে তা গ্লাসে ভিজিয়ে পানি খাইয়ে ছিল ফলে সেই বোন তার জন্য অন্ধ হয়ে যায় এবং বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। এতটুকু জেনে রাখুন যে এগুলো দ্বারা যে কাউকে বোবা, ল্যাংড়া ও বানিয়ে দেয়া যায়। আর কাউকে মৃত্যুর পথে ঠেলে দেওয়া আরো সহজ। বিশেষ করে যখন আপনার মায়ের কাপড় চুরি করা হয়েছিল তার উদ্দেশ্য কিন্তু এটাই। আমাদের বাসার উঠানে ও একজন এরকম বিপদ আপদ লেগে থাকার একটা তাবিজ গেড়ে দিয়েছিল। আমরা আট বছর কঠিন বিপদ আপদে ছিলাম। বিশেষ করে আমাদের বাসায় একজন না একজন সবসময় কঠিন অসুখে আক্রান্ত থাকত। আমাদের সবসময় হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করতে হতো। অত:পর আমাদের গ্রামের এক নানু পরীক্ষা করে দেখলেন ... আমরা একদিন রাত তিনটায় সেই তাবিজের তিনটি খন্ড মাটি থেকে তুলা রাশির মাধ্যমে বের করি। কিন্তু আট বছরে তাবিজ গলে গিয়েছিল। তবে সেই তাবিজের অশুভ শক্তি মিশেছিল ইট এর টুকরোর সাথে। সেই ইটের টুকরোগুলো ফেলে দেয়ার পর ২ বছর যাবত আমরা অনেক ভাল। এখন অসুখ বিসুখ মাঝে মাঝে হয় যেটা স্বাভাবিক সবসময় লেগে থাকে না।
২০| ২৯ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৮:৫৯
মাহমূদ হাসান বলেছেন: কিছুদিন আগে আমি আমার এক মামা-মামীর সাখে সেন্ট মার্টিনে বেড়াতে গেলাম। তাদের দু' জনের ভালোবাসা দেখে অনেক আনন্দিত হয়েছিলাম। ঢাকায় এসে একদিন বাসায় আসলাম মামা আমাকে বললেন, তুমি কিছু মনে করো না তোমার মামীর সাথে আগামীকাল ডিভোর্স হয়ে যাচ্ছে।
পরে একজনের মাধ্যমে তদবীর করে জানতে পারলাম এটা কোর্ট ম্যারেজ ছিল বলে ছেলের মা তা মেনে নেয়নি আর তাই সে তাবিজ কবজ করেছে। এখন ছেলেটি মেয়েটিকে কিছুতেই সহ্য করতে পারছে না । ডিভোর্সের সব পেপারস ও রেডি ছিল শুধু সই করা বাকী। পরে আমি সব জেনে কুফুরী কালাম নষ্ট হয়ে যায় এমন একটি জিনিস এনে মামাকে আম-দুধের সাথে খাওয়ায়। ঠিক তার আধ ঘন্টা পর মামা কেঁদে ফেলে এবং মামীর কাছে ক্ষমা চায়। এখন সুখে শান্তিতে আছে । অথচ মামী এর এক সপ্তাহ আগে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। তো টেকনোলজির বাইরেও অনেক কিছু আছে। জ্বীন জাতির ব্যাপারগুলো ও ফেরেশতাদের ব্যাপারগুলোও বিশাল। তবে আমি মনে করি যে সকল ব্যাপার আমাদের ইসলাম এর অংশ হিসাবে বিশ্বাস করা জরুরী সে সকল ব্যাপারগুলো আমাদের বিশ্বাসরে আওতায় আনা উচিত।
২১| ২৯ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৯:০২
ফালাক বলেছেন: রহস্যজনক
২২| ২৯ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:১৫
কাব্য বলেছেন: @মাহমুদ হাসান-
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। তবে এই পোষ্টে যে সকল কাগজ স্ক্যান করে দেওয়া আছে,এগুলো সম্পর্কে আরো বিশদভাবে জানালে খুশী হবো।
২৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:২১
বিডি আইডল বলেছেন: মাইনাচ দিলাম
২৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:৩৭
এফ আই মানিক বলেছেন: If you are a muslim,you should know that, there are 17 pure Hadith against Tabiz.So as a muslim you should never believed in Tabiz.Its one kind of SHIRK.
২৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩২
মাহমুদহাসান বলেছেন: মাহমূদ হাসান বলেছেনঃ এতটুকু জেনে রাখুন যে এগুলো দ্বারা যে কাউকে বোবা, ল্যাংড়া ও বানিয়ে দেয়া যায়। আর কাউকে মৃত্যুর পথে ঠেলে দেওয়া আরো সহজ। ...................................শোনেন, পলিটিশিয়ানদের যন্ত্রনায় তো অস্থির হয়ে গেলাম। দেখেন, আপনার এইসব বিশ্বাস দিয়ে কিছু করতে পারেন কি না। যত্তসব। ফাউ জিনিস নিজে বিশ্বাস করেন সমস্যা নাই, ফাউ জিনিস মানুষের সাথে আলোচনা করলেই সমস্যা। আমাকে একবার এইরকম একজন কুফুরী কালামের ভয় দেখিয়েছিল। আমি তাকে বলেছিলামঃ পারলে কিছু করতে, আর যদি না পারে, আমি পুলিশ নিয়ে এসে তার ধান্ধাবাজি বের করে দিব। দেখা গেল, দুইদিনের মাথায় অই ভন্ড পাততাড়ি গুটিয়ে কেটে পড়ল। তারপর আট বছর কেটে গেল, তার এইসব ভনন্ডামির জোর তো দেখা গেল না।.................শোনেন, পবিত্র কোরআন আমাদের মহান ধর্মগ্রন্থ, মুসলমান হিসেবে আমি এর প্রতিটি বাণীকে সম্মান করি। মহানবী (স) এর মৃত্যুর পর(অথবা জীবদ্দশার শেষদিকে, শিওর না সময় নিয়ে) সাহাবীগণ অত্যন্ত পরিশ্রম করে কোরআন শরীফকে সর্টেড করে গেছেন, এই গ্রন্থকে এর বাইরে অন্যরকম করে পড়ার কোন সুযোগ নেই। এখন ধরুন, আপনি উল্টাপাল্টা কোরআন এর আয়াত লিখলেন, বা পড়লেন; তাতে আপনার গুনাহ হল নাকি আরেকজনের বিপদ হল? কোনটা যৌক্তিক? হাস্যকর ব্যাপারে বিশ্বাস না করার জন্য আপনাকে অনুরোধ করছি।
২৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪১
নিঃসঙ্গ পথিক.. বলেছেন: @মাহমুদহাসান: তাবিজ এবং কুফরী কালাম দ্বারামানুষের ক্ষতি করা সম্ভব, বিস্তারিত না জেনে একে ফাউ বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন কেন?..
স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর উপর যাদু তথা তাবিজ করা হয়েছিল, সূরা ফালাক ও নাসের শানে নুযুল পড়লে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
@মারুফ: আপনি নির্ভরযোগ্য কোন আলেম যিনি তাবিজ বুঝেন তাকে কাগজগুলো দেখাতে পারেন। তাতে সঠিক তথ্য পাবেন।
২৭| ২৯ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৮:০৪
আরিফুর রহমান বলেছেন: মারুফ বিষয়ে নিঃসংশয় হলাম। যেসব ব্যাক্তি এভাবে গাঁজাখুরি বিশ্বাস করে, এবং ব্লগে এসে আবার পোস্ট ও দেয়.. তাদের আর কি বলবো.!!
পড়ালেখা সব ধুয়ে ফেলে অশিক্ষিত ও মুর্খ হয়ে থাকুন।
৩১ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:৫০
মারুফ হায়দার নিপু বলেছেন:
আমার জীবনে খুবই একটা কষ্টের কথা আমি এই লেখাটায় শেয়ার করছি।
যদিও আমি চাই নাই কেউ আমার কষ্টটা জানুক।
আমি কারো কমেন্টের রিপ্লাইও করতেছি না। করতে পারতেছিও না।
আম্মু ২০০৮সালের অক্টোবরে মারা গেছেন। এটা ২০১০। এতোদিন চেপে রাখছি....
...............................................
আমি আর কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড দিলাম না।
আমি শুধু এই কাগজের আরবী গুলার বাংলা মানেটা জানতে চাই, ব্যস।
আর কিছু না। এইটুকুন জানার ইচ্ছা কী আমার জাগতে পারে না??
২৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৯:৪৩
মাহমুদহাসান বলেছেন: @নিঃসঙ্গ পথিক>>ভাই, আপনি বিশ্বাস করেন, আমার তো কোন সমস্যা নাই। আপনি এইসব জিনিসে বিশ্বাস করলে আমার কী যায় আসে বলুন? ফালতু ব্যাপারে আলোচনা করতে ইচ্ছে করে না। অনেক দেখেছি এইসব হাবিজাবি, ভন্ডামোর এক চরম নিদর্শন হচ্ছে এইসব। মহানবীর (স) উদাহরণ না দেয়াই ভাল, কারণ, তাঁর কোন ক্ষতি হয়নি এইসব অশিক্ষিত মানুষের কর্মকলাপে এবং তিনি পরম শ্রদ্ধেয়। সাধারণ মানুষেরও কোন ক্ষতি হয় না এইসবে, আল্লাহ সবার ভাগ্য নির্ধারণ করে রেখেছেন এবং ভাগ্যে বিশ্বাস করা ঈমানের অংশ। কাজেই আপনি যদি ভাবেন যে আপনি তাবিজ দিয়ে কারও ভাগ্যকে দুর্ভাগ্যে পরিণত করতে পারবেন, করেন গিয়ে। হু কেয়ারস? প্রতি শব-ই-বরাতে আল্লাহ মানুষের ভাগ্যকে পরবর্তী এক বছরের জন্য নির্ধারণ করে দেন, কুফরি কালাম হোক আর যাই হোক, এই লিখন খন্ডানোর ক্ষমতা কোন কিছুর নেই। আর আপনি কি মনে করেন যে পবিত্র কোরআন কে উল্টেপাল্টে লিখলে আল্লাহ খুব খুশি হন?
২৯| ২৯ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৯:৫৬
মাহমুদহাসান বলেছেন: মাহমূদ হাসান বলেছেনঃ অত:পর আমাদের গ্রামের এক নানু পরীক্ষা করে দেখলেন ...
আপনার নানুকে বলুন পরীক্ষার ফলাফলের উপর একটি পেপার লিখে সেটা জার্নাল অফ এসিএম এ সাবমিট করতে। পৃথিবী ব্যাপক উপকৃত হবে।
৩০| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৪৩
মাহমুদহাসান বলেছেন: নিঃসঙ্গ পথিক ও মাহমূদ হাসান কে বলছিঃ কই? কিছু বলেন না কেন? তাবিজ এর জোর কমে গেল নাকি?
৩১| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৪৯
মাহমূদ হাসান বলেছেন: যারা পবিত্র কুরআনকে বিকৃত করে লিখে তারা সাথে সাথেই অভিশপ্ত এবং কাফের হয়ে যায়। আমি আপনাকে বলছি না যে, এগুলো বিশ্বাস করা জরুরী। এটা সবার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে যখন কেউ বাস্তবতার সম্মুখীন হয় তখন বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়। আমরা ও বিশ্বাস করতাম অত:পর বাস্তবে আমাদের এমন ঘটেছে আর হাতে নাতে আমরা উপকার পেয়েছি। সুতরাং আপনার এগুলো বিশ্বাস করার দরকার নাই। আপনার বক্তব্য এক দিক হতে ঠিক। তবে হয়তো বা আপনি জেনে থাকবেন যে, ব্যারিস্টার হতে গেলে যেমন প্রচুর অধ্যয়ন করতে হয় তেমনি ইসলামরে প্রতিটি বক্তব্য বুঝতে হলে আপনাকে প্রচুর পরিমাণ পড়াশোনা করতে হবে।
৩২| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৫৪
মাহমূদ হাসান বলেছেন: একজন বললেন, তাবিজ নিষেধ এই নিয়ে ২০ টি হাদীস আছে। অথচ সেই পন্ডিত জানেন না যে, এরপর তাবিজের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। এবং এ সম্পর্কে অন্যান্য হাদীস বিদ্যমান।
ইসলাম নিয়েও অনেকে ভন্ডামী করে বোমাবাজি করে। তাই বলে ইসলাম ভন্ডামী না। তেমনি তাবিজ ও ঝাঁড়ফুক কুরআনেরই অনুদিত চিকিৎসা। এবং এগুলো কুরআনের আয়াত দ্বারাই হয়ে থাকে। তবে অনেকে ব্যবসার জন্য ভন্ডামী করে অর্থ উপার্জন করে। হয়তো বা আপনি সেরকম কোন ভন্ডের সাথেই সাক্ষাৎ করেছেন।
৩৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৫৪
বিপরীত স্রোত বলেছেন:
এই বিষয় গুলি শিক্ষিত মানুষও খুব কনফিউজ হয়ে যায় পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি চলুক দর্শক সারিতে বসলাম
৩৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ২:১০
সিষ্টেম ইন্জিনিয়ার বলেছেন: আসলে আমিও বিশ্বাস করি না তবে মাঝে মাঝে অনেকের কথায় কনফিউজড হয়ে যাই,
যাই হোক আলোচনা চলুক।
৩৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ২:১৪
নতুন বলেছেন: এই গুলি বিশ্বাস করার কোন কারন নেই...
কোন কিছুকে ব্যাখা না করতে পারলে তাকে যে অলকিক বলে মেনে নিতে হবে তা আমি মানি না...
একটা কাগজে কিছু লিখে দিতে আপনার শারীরিক ক্ষতি হবে... এটা মেনে নেয়া যায়না...
আমি মোবাইল ফোন হতে ইন্টারনেট ব্যবহার করছি...ব্লগ লিখছি..
একটু চিন্তা করেন এইটা কতই আজব বিশয়... ল্যাপটপের কয়েকটা বোটাতে আমি চাপ দিচ্ছি... আরো কয়েকটা বোতামে চাপদিলে এই লেখাটা ব্লগে চলযাবে আর বিশ্বের সবাই পড়তে পারবে... এটা কি কম অলৌকিক???
কিন্তু আমরা যানি এই প্রকৃয়ায় কি ভাবে হয় তাই এটাকে অলকিক বলে চিন্তা করিনা....
@ লেখক... আপনার মা বেহেস্ত নসিব হউন...
আপনার মা স্বভাবিক নিয়মেই ইন্তেকাল করেছেন... এটাকে নিয়ে অন্য কিছু ভাবার কোন কারন নেই...
ইসলামি বিশ্বাস অনুযায়ী ... মানুষের হায়াত/মউত সব আল্লাহর হাতে...
তা হলে কিভাবে একটি কাগজের নকসা মানুষের মৃতুর কারন হতে পারে?
৩৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ২:১৬
আমি হনুমান বলেছেন: দর্শক সারিতে বসলাম
৩৭| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ২:৩০
পারাবত বলেছেন: ডাউনলোড করে নিয়ে গেলাম ,, কিছু বুঝলে জানাব,
জাদু করা যায় সত্য, তবে সেটা ইসলাম বিরোধি,
রাসূল স: বলেছেন, ((যে জাদু করল আর যে জাদু করাল ২জনই মুহাম্মদের আনিত ধর্মের প্রতি কুফরি করল>))
৩৮| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৫:৪৮
মাহমুদহাসান বলেছেন: তেমনি তাবিজ ও ঝাঁড়ফুক কুরআনেরই অনুদিত চিকিৎসা। এবং এগুলো কুরআনের আয়াত দ্বারাই হয়ে থাকে।
পবিত্র কুরআন শরীফের অনুদিত চিকিৎসা তাবিজ, আপনাকে কে বলল? একবার বলছেন, কোরআনের আয়াতকে উল্টেপাল্টে লিখে মানুষের ক্ষতি করা যায়, একবার বলছেন পবিত্র কোরআনের আয়াত দ্বারাই তাবিজ করা হয়। আপনি আসলে কী বলছেন???
পবিত্র কোরআনকে আমি কী পরিমাণ শ্রদ্ধা করি আপনি তা জানেন না। আমি প্রতিদিন কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করি, আমি জানি, কোরআন এর মাঝে আল্লাহ সকল সমস্যার সমাধান রেখেছেন, সমস্যা সৃষ্টি করার কারণ রাখেননি। কিছু বই আছে "নাফাউল খালায়েক" টাইপ, এগুলিতে লিখেছে নানা বাজে কথা, কেউকে বিপদে ফেলতে হলে কী করণীয়, এইসব। একজনকে বিপদে ফেলা কোন দৃষ্টিতে ইসলাম সমর্থন করে, তা আজও বুঝি না। এইসব লিখেছে ওরা মূলত বিক্রি বাড়ানোর জন্য, অশিক্ষিত মানুষ এইসব কিনে। আরও একটি বইয়ের নাম হচ্ছে "নেয়ামুল কোরআন" (সম্ভবত, নামটা সঠিক মনে নেই), একই ঘটনা সেখানেও লেখা আছে। এসব বইয়ে উপরের লাল প্রিন্ট করা কাগজে যেসব টেবিল বানিয়ে আরবী ভাষার সংখ্যা লেখা আছে; সেসব টেবিল অনেক আছে। আমার পরিচিত অনেকেই এসব ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে, ফালতু ব্যাপারে কোন লাভ যে হয় না, আমি তাদের বলেছিলাম। বলেছিলাম, কোন সমস্য হলে কোরআন শরীফ খতম করে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে। ওরা তা করেনি, বিশ্বাস করেছে এইসব ভন্ডামোতে, এবং কোন লাভই হয়নি। আপনি আমাকে বিশ্বাস করতে বলেননি এই জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ। ২৯ নং কমেন্টের পনুরাবৃত্তি করছি।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, এখানে তাবিজ করে কেউকে বিপদে ফেলার কোন সুযোগ নেই।
৩৯| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৫:৫৬
মাহমুদহাসান বলেছেন: মাহমূদ হাসান বলেছেন: যারা পবিত্র কুরআনকে বিকৃত করে লিখে তারা সাথে সাথেই অভিশপ্ত এবং কাফের হয়ে যায়।
আসুন, ব্যাপারটাকে এভাবে দেখি।
ক এবং খ দুইজনই মুসলমান বন্ধু। অনেকদিনের বন্ধুত্বে ফাটল ধরল কোন একটা সমস্যায়। এখন ক, খ-কে তাবিজ করতে চাইল কুফুরী কালাম দিয়ে। তাহলে, আপনার বক্তব্য অনুযায়ী, ক কুফুরী কালাম লিখার সাথে সাথে কাফের হয়ে গেল। খ কিন্তু এখনও মুসলমান। এখন, একজন কাফেরের প্রার্থনার প্রায়োরিটি কি আল্লাহর কাছে একজন মুসলমানের প্রার্থনার প্রায়োরিটির চেয়ে বেশি হবে? তা হলে মুসলমান হয়েই বা কী লাভ হল? ব্যাপারটা কি সমর্থনযোগ্য/যৌক্তিক?
৪০| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৬
ম্যাকানিক বলেছেন: মারুফ ভাই
আল্লাহ আপনার আম্মাকে শান্তিতে রাখুন।
আপনার পোস্ট করা লেখা বাংলাদেশের মাদ্রাসায় পড়া কারো হাতের লেখা এবং জঘন্য।
আপনি বাংলাদেশের মাদ্রাসায় পড়া কাউকে দেখালে তারা হয়তো পড়ে দিতে পারবে সেখানে অনেকেই হয়তো এর মানে বুঝবে না কিন্তু আপনি উচ্চারনগুলি লিখে এনে বাংলায় এখানে দিলে চেষ্টা করে দেখবো অনুবাদ করতে পারি কিনা।
লাল কাগজের লেখাও অনেক ছোট বিধায় পড়তে পারলাম না এইটাও বাংলাদেশে প্রিন্ট করা উর্দু হরফের আরবী।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:৪৪
মারুফ হায়দার নিপু বলেছেন:
ভাই আপনার ইমেইল আইডিটা জানলে আমি মেইল করে দিতাম।
পিডিএফ ফরমাটে হাই রেজুলেশনের স্ক্যান কপি আমার কাছে আছে।
৪১| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১১:২৬
রাগ ইমন বলেছেন: ভাই ,
আপনি তো আপনার ঈমান বলে আর কিছু রাখলেন না । এই সবে যদি বিশ্বাস আনেন , তাহলে আপনি নিজের অজান্তে কিংবা বোকামির মধ্য দিয়ে " অবিশ্বাসী" বা "কাফের" হয়ে গেলেন।
কি ভাবে?
ধরেন কেউ এই ধরনের তাবিজ ব্যবহার করলো আপনাকে মেরে ফেলার জন্য । এখন আপনি যদি বিশ্বাস করেন যে এই তাবিজের ক্ষমতা আছে কিংবা এর সাথে সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তির ক্ষমতা আছে আপনাকে মেরে ফেলার ( অলৌকিক শক্তি) তার মানে কি দাঁড়াইলো? আপনার মরণের মালিক ঐ ব্যক্তি । অথচ , একজন মুসলমান হিসেবে আপনি স্বীকার করে নিয়েছেন যে জন্ম ও মৃত্যুর মালিক একমাত্র আল্লাহ । আপনি সরাসরি শিরক এ পতিত হলেন ( আল্লাহ ও ঐ ব্যক্তি একই ক্ষমতার অধিকারী) অথবা কুফরে পতিত হলেন ( আল্লাহ নন, বরং ঐ ব্যক্তি আসল ক্ষমতার অধিকারী) ।
সুতরাং, মন থেকে এই ধরনের দ্বিধা আজই দূর করুন। উপরে পারাবত যেই হাদীসের কথা বলেছেন, তার অর্থ এইটাই । এর মানে এই নয় যে , জাদু করার ক্ষমতা মানুষের আছে ।
তাহলে, এই যে আমরা বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনা কিংবা মিরাকলের কথা শুনি কিংবা ক্ষতি হয়েছে জানতে পারি, সেই গুলা আসলে কি?
কিছু ঘটনা হলো স্রেফ কো ইন্সিডেন্স । দুটো ঘটনা পর পর ঘটেছে বা একই সময়ে ঘটেছে বলে আমরা একটাকে আরেকটার কারণ ধরে নেই কিন্তু এর কোন ভিত্তি আসলে নেই। যেমন , আমি প্রচুর রোগী পেয়েছি যারা বলতো , " ক্ষেতে কাজ করছিলাম। খুব গরম পড়েছে । হঠাৎ একটা কেমন বাতাস লাগলো । তারপর থেকে আর হাটতে পারি না ।" লক্ষ্য করুন , ঘটনাগুলো সত্যি। কিন্তু এই রোগীর মেডিকেল হিস্ট্রি প্রমাণ করে দিতে পারে তার হাটতে না পারার কারণ সেরিব্রাল স্ট্রোক, মোটেই কোন 'বাতাস' না।
একই ভাবে , অসুস্থতা - দুর্ঘটনা ইত্যাদি অনেক কিছুই ঘটার কারণ হিসেবে অনেকেই ভাবে যে তাবিজ কবজের ফলে এই রকম কিছু হয়েছে ।
তাহলে কুফরী কালাম উলটে দিলে ভালো ফল পাওয়া যায় কেন?
এইটারও ব্যাখ্যা শুধু না , রীতিমত রিসার্চ করে বের করা প্রমাণ আছে । এইটাকে বলে পাওয়ার অফ ফেইথ । মানুষের বিশ্বাস মানুষকে অসম্ভবকে সম্ভব করার ক্ষমতা দেয় । আশলে, দেয় না ঠিক। ক্ষমতা আমাদের সকলের মধ্যেই আছে । আমরা শিশু বয়স থেকে যত বড় হই, তা ভুলতে থাকি। বিশ্বাস আমাদেরকে সেই অন্তর্নিহিত ক্ষমতার কথা মনে করিয়ে দেয় ।
বিজ্ঞানের বেশ কিছু শাখা, মনবিজ্ঞান , হিপ্নোসিস বা হিপনোটিজম এবং ধর্মীয় নানান সেক্ট এই বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন তথাকথিত মিরাকল সৃষ্টি করে ।
এইটা মানুষ করে দেখিয়েছে যে মানুষকে যদি বিশ্বাস করানো যায় যে সে ঠান্ডা পানিতে হাত দিয়েছে , তাহলে ফুটন্ত পানির ভিতরে হাত দিয়েও কিছুই হয় না। ( একই পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে মানুষ জ্বলন্ত কয়লা/ আগুনের উপর হাটে কারণ সে বিশ্বাস করে যে কোন অলৌকিক সুতা, মন্ত্র বা ধর্ম কিংবা দেবতা তাকে রক্ষা করছেন)
খুব কাছের উদাহরণ হলো মুহররম কিংবা এই ধরনের ধর্মীয় কোন আচারে নিজেকে কেটে ফেলা, শলাকা দিয়ে শরীরে গেঁথে ফেলা ইত্যাদি। জিজ্ঞেস করলে জানবেন ওরা ব্যথা পায় না । কেন পায় না? কারণ বিশ্বাস।
উলটা ভাবে , কোন ব্যক্তিকে প্রচন্ড গরম পানি বা ধাতব মুদ্রাতে হাত দিয়েছে বিশ্বাস করিয়ে ঠান্ডা পানি বা মুদ্রাতে হাত দিয়ে দেখা গেছে ঐ ব্যক্তি যে ব্যথায় শুধু চিৎকার করছে তাই না , তার গায়ে রীতিমত ফোস্কা পড়ে গেছে । ( কি আজব , তাই না?)
এইটাই হলো মানুষের বিশ্বাসের ক্ষমতা।
বিভিন্ন দেশের এক্সিডেন্টের খবর থেকে জানা গেছে , মায়ের সন্তান গাড়ির নীচে আটকা পড়লে সন্তানকে বাঁচাতে মা সেই গাড়ি উঠিয়ে - সরিয়ে বাচ্চাকে বের করে এনেছেন। কি করে সম্ভব? কারণ ঐ কয়টা সেকেন্ডের জন্য মা ভুলে গিয়েছিলেন যে তার ঐ গাড়িটা উঠানোর ক্ষমতা নাই। তার মাতৃত্ব তাকে এই রকম ' অসাধারণ ক্ষমতা' দিয়ে দিয়েছে । এখন এই অল্প সময়ের জন্য মানুষ যখন তার শেখানো " অক্ষমতাগুলো" ভুলে যায় তখন বলা হয় যে মানুষটা মায়া বা ট্রান্স অবস্থায় অবস্থান করছেন। ট্রান্স থেকে বেরিয়ে এলেই তিনি আগের মত আচরণ করবেন কিংবা গরম পানিতে হাত চুবানো বা আস্ত গাড়ি তুলে ফেলার কাজটা আর করতে পারবেন না । কিন্তু যদি এই ধরনের ট্রান্স দীর্ঘস্থায়ী হয়?
সচেতন অবস্থায় কি এই সব ঘটা সম্ভব?
উপরের উদাহরণ গুলো থেকে নিশ্চয়ই বুঝেছেন , ঘটনা আপনি হিপনোটাইজ়ড অবস্থায় আছেন নাকি নাই, সেইটা ব্যাপার না । ব্যাপার হইলো আপনার বিশ্বাস । আমরা জাগ্রত ও স্বাভাবিক থাকা অবস্থাতেও আমাদের মনে আমাদের বিশ্বাস কাজ করতে থাকে। শরীর ও পরিবেশের উপর মনের তথা বিশ্বাসে এই প্রভাব মেডিকেলে হাজারে হাজারে লাখে লাখে কাজে লাগানো হয় । যেমন, নতুন ড্রাগ রিসার্চের ক্ষেত্রে প্লাসিবো ইফেক্ট । এইটা কি? প্লাসিবো হইলো যখন আপনাকে বলা হবে যে আপনাকে যা দেওয়া হচ্ছে সেইটা রোগ ভালো করে দেওয়ার ওষুধ কিন্তু আপনি জানবেন না ওইটা আসলে চিনি কিংবা ময়দার ক্যাপ্সুল। ' ওষুধ খাচ্ছি' -- শুধুমাত্র এই সরল বিশ্বাস মেডিকেলের প্রায় ৩০% রোগ ভালো করে দেয় । কি ক্ষমতা বিশ্বাসের তাই না?
কিন্তু এর উলটো একটা ব্যাপারও সত্যি। যেইটাকে বলে নোসিবো ইফেক্ট। এর মানে হইলো , আমি যদি আপনাকে বলি যে আপনি কোন একটা রোগে মারা যাচ্ছেন , আপনি বিশ্বাস করতে শুরু করবেন এবং সত্যি সত্যি অনেক দ্রুত মারা যাবেন। কিংবা আমি যদি আপয়ানেক বিশ্বাস করাতে পারি যে আপনি আগের চেয়ে খারাপ আছেন, আপনার শরীর সত্যি সত্যি অবনতি দেখাবে। এর একটা উদাহরণ , অনেক দিনের স্বামী বা স্ত্রী মারা যাওয়ার অল্পকিছু সময়ের মধ্যেই অপর সঙ্গী মারা যাওয়া । জমজ ভাই বোনের একজনের অসুখ হলে , জানা মাত্র আরেকজনের অসুস্থ হওয়া ।
এইখানে লক্ষ্য করুন, আমি বলেছি জানা মাত্র । সে যদি না জানে তো তেমন ক্ষতি নেই। কিন্তু জেনে যাওয়া মাত্র আর বিশ্বাস শুরু করা মাত্র দেখা গেলো ইফেক্ট তৈরী হচ্ছে । এইটা কি বস্তু জগতের কোন পরিবর্তন? হতে পারে। কিন্তু নিশ্চিত থাকুন, সেই পরিবর্তন আনছে আপনার নিজের বিশ্বাস । বিশ্বাস এর ক্ষমতা সত্যি অসীম!
উপরের মামা মামীর ডিভোর্স এর তাহলে কি ব্যাখ্যা ?
এইটারও ব্যাখ্যা খুব সহজ ও লৌকিক । দেখুন , স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কখন গন্ডগোল হয়? যখন একে অপরকে কোন না কোন সমস্যার জন্য দায়ী করে ও সমাধান করতে পারে না । এখন স্বামী যদি মনে করে স্ত্রীর দোষ কিংবা ভাইস ভার্সা তাহলে ডিভোর্স এর দিকে যেতেই পারে । কিন্তু যেই মুহুর্তে কেউ বলবে যে আপনাকে তাবিজ কবজ করা হয়েছিলো , তখন এই দোষটা কারো আচরণ বা মতামতের উপর না চাপিয়ে নিশ্চিন্তে তৃতীয় কারো উপরে চাপানো যায় । আর দোষ যদি হয় অন্য কারো তখন চিন্তা ভাবনা করে ডিভোর্স না দেওয়াটাই কি স্বাভাবিক না? বিশেষত , তারা যেহেতু একে অপরকে ভালোই বাসেন।
একই ভাবে , আপনি অন্যান্য অনেক 'তাবিজ' এর ব্যাখায় করতে পারবেন মানুষের বিশ্বাস দিয়ে । পরিবারে ৭-৮ বছর ধরে ঝামেলা চলছিলো । যেই মুহুর্তে আপনি একটা তাবিজের উপরে ঐ সব ঝামেলার কারণ চাপাতে পারলেন , তখন থেকে আপনার মনে বিশ্বাস জন্মালো যে আর কোন সমস্যা নাই । এইটা ভালো ফল বয়ে আনে কয়েক ভাবে।
১। আপনার মনের বিশ্বাস আপনাকে চিন্তা , ভাবনা ও বিবেচনায় অনেক বেশি ইতিবাচক করে তোলে ।
২। আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয় ।
৩। নতুন বিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে আপনি এমন সব কাজ করেন যা আগে করতে ভয় পেতেন বা দ্বিধায় ভুগতেন।
৪। আপনি বিশ্বাস করতে শুরু করেন ফাঁড়া কেটে গেছে এবং ভালো কিছু ঘটবে সুতরাং, অবচেতন মনেই আপনি ভালো "কিছু" খুঁজতে শুরু করেন। ফলে সেই ভালো "কিছু" গুলা যা আপনার চোখ বা মন আগে এড়িয়ে যেত সেগুলো আপনি খেয়াল করতে শুরু করেন। কাজে লাগাতে শুরু করেন।
৫। ফাঁড়া যেহেতু কেটেই গেছে , তাই আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না কিংবা ছ্যারাব্যারা লাইফ স্টাইল বাদ দিয়ে " ভালো কিছু" করেন যা জীবনে ইতিবাচক ফল আনে ।
তাহলে দেখুন, তাবিজ তুলে ফেলে দেওয়া কিংবা বাণ মুক্তি ধরনের ব্যাপার গুলো এই জন্যই কাজ করে কারণ আপনি ইতিবাচক বিশ্বাস, ইতিবাচক জীবনযাপন ও ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে থাকেন।
আশা করি এই ব্যাখ্যা আপনার কাজে লাগবে । নিচে কিছু লিংক দিচ্ছি । ডঃ লিপটনের " বায়োলজি অফ বিলিফ" পড়ে দেখতে পারেন। হিপনোসিসের মাধ্যমে চিকিৎসা করে বিখ্যাত হয়েছেন , ওয়েন্ডি ফ্রিজেন এর ব্যাখ্যা শুনতে পারেন । ইন্টারনেট সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন।
আজকাল রীতিমত রিসার্চ , ইমেজিং করে করে প্রমান করা হচ্ছে মানুষের ব্রেইন এবং এই ব্রেইনের উপর মানুষের বিশ্বাস বা ফেইথের প্রভাব কি প্রচন্ড ।
কুরান কিংবা হাদীসের সাহায্য যদি নিতেই হয় তাহলে সেই সব আয়াত ও হাদীস মনে করুন যেগুলোতে বলা হয়েছে আল্লাহ কি ভাবে নিজের রুপে মানুষকে তৈরী করেছেন , কিংবা, নিজেকে জানা মানে আল্লাহকে জানা কিংবা আল্লাহ মানুষের দেহের ভিতরে তার কিছুটা ভরে দিয়ে (রুহ) মানুষকে তৈরী করেছেন ।
এই সবই কিন্তু নির্দেশ করে মানুষের ভিতরে কি তীব্র ক্ষমতা আছে যা বিশ্বাস নামক একটা চাবি দিয়ে খুলে দেখা যায় । কিন্তু তাই বলে দয়া করে আপনার জন্ম ও মৃত্যুর মালিক কোন ফকির, পীর ইত্যাদি ভন্ডের হাতে তুলে দিয়ে শিরক বা কুফর কইরেন না । প্রতিটা মানুষের ক্ষমতাই সমান । পার্থক্য শুধু কেউ বিশ্বাস করে, কেউ করে না।
coast to coast - hypnosis and the mind part 2-12.wmv
বায়োলজি অফ বিলিফ - ডাঃ লিপ্টনের সাক্ষাৎকার
এপিজেনেসিস বা পরিবেশ কি ভাবে মানুষের জিন বা কোষকে প্রভাবিত করে
যারা বায়োলিজিতে আগ্রহী তাদের জন্য - সম্পূর্ণ ম্যাচিউরড কোষকে জেনেটিক রিপ্রোগ্রামিং বা রিভার্স করে আদি কোষ বা স্টেম সেলে রুপান্তর - সায়েন্টিফিক আমেরিকান
৪২| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১১:৩৫
নতুন বলেছেন: জটিল হইছে ইমনাপু.. ধন্যবাদ আপনার ব্যখার জন্য...
৪৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১১:৩৭
সাইফুর বলেছেন: দর্শক। তবে কিছু জিনিষ বিশ্বাস করি
৪৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১১:৪০
রাগ ইমন বলেছেন: একটা জিনিস স্পষ্ট করে দেই , মানুষের বিশ্বাসের ক্ষমতা অনেক হইলেও মানুষ যেমন কেবল বিশ্বাসের জোরে কাউকে জন্ম দিতে পারে না ( নিষিক্ত ডিম্বানু ও মায়ের শরীর লাগে) , যেমন কাউকে মেরে ফেলতে পারে না ( অন্তত ছুরি , পিস্তল লাগে) সেই রকম বস্তুজগতের উপর বা পরিবেশের উপর এবং নিজের শরীরের ভিতর বিশ্বাস প্রভাব বিস্তার করতে পারলেও কেবল বিশ্বাস দিয়েই ১০০% পরিবর্তন আনা সম্ভব না ।
সুতরাং, দ্বীন বা দোয়া এর সাথে দাওয়া করতে ভুলিয়েন না । আবার দোয়া বাদ দিয়ে স্রেফ দাওয়া করিয়েন না ।
একটাকে বাদ দিলে ফল অসম্পূর্ণ আসাটাই স্বাভাবিক।
৪৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:০৭
রাগ ইমন বলেছেন: আপনি মনে হয় ,
কেউ আপনার মাকে মেরে ফেলেছে আর সন্তান হয়ে আপনি সেইটা ঠেকাতে পারেন নাই - এই রকম ব্লেম গেম খেলছেন আর নিজে অসুস্থ হচ্ছেন । আপনি ভাই, আজকেই দুই রাকাত তওবা / নফল নামায পড়ে মন থেকে এই সব চিন্তা দূর করেন। মায়ের রুহ এর মাগফেরাত কামনা করেন আর মায়ের কাছে মাফ চান। সন্তান মা'কে নিয়ে কষ্ট পাইতে থাকলে নাকি মায়ের রুহ ছটফট করে,( আমার জানা ভুল হইতে পারে) ঘটনা সত্যি হইলে তো ভাই আপনি আপনার মা'কে শান্তিতে থাকতে দিচ্ছেন না। ( দোয়া করি , এই ধারণা ভুল হোক ও উনি অপার শান্তিতে থাকুন)।
আপনি আপনার যথা সম্ভব আপনার মায়ের জন্য করেছেন এবং আমি নিশ্চিত উনি উনার সময় মতই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। আল্লাহ তাঁকে বেহেস্ত নসীব করুন।
আপনি এই ব্লেম গেম বন্ধ করেন এবং নিজের জীবনটাকে সুন্দর করার দিকে মনযোগ দেন। আজকে আপনি যদি জানতেন যে আপনার মা সৃষ্টিকর্তাকে জানান দিচ্ছেন যে আপনি তাঁর শ্রেষ্ঠ সন্তান - তাহলে আপনার কেমন লাগত , এইটা কল্পনা করেন । প্রতিবার নামায পড়ে এইটাই বার বার মনে করবেন । এইটা জানলে আপনি যা করতেন এখন তা-ই করেন।
আপনার মা যেইখানে আছেন , খুবই ভালো আছেন । এখন আপনি ভালো থাকেন।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:০৫
মারুফ হায়দার নিপু বলেছেন:
আমার বিশ্বাস-অবিশ্বাসে পৃথিবীর কিছু যাবেও না আসবেও না।
আম্মু অসুস্থ ছিল। ভালোই অসুস্থ ছিলো। খাওয়াটাই সমস্যা ছিলো।অসুস্থ হবার কিছু আগে আইসক্রিম আর চা এদুটাই খেতে চাইতো-পারতো!
হঠাৎ একদিন ফিট হয়ে গেলে মেডিক্যালে ডায়াবেটিস ধরা পরে।
বারডেমে নিয়া গেলাম, ভর্তি করলাম।
পরদিনই বিয়ে করলাম, যার সংগে বিয়ের কথা চলছিলো তাকেই। আমরা আম্মুকে নিয়া বারডেমে এক মাস ছিলাম।
আম্মু কিছুই খেতে পারতো না। খাওয়া মাত্রই বমি। বারডেমে স্যালাইন আর শুধু জাউ-ভাতের ওপর আম্মু টিকে ছিলো।
যাই হোক ডায়াবেটিস কিছুটা কন্ট্রোলে এনে, রিলিজের পর বাসায় আনলাম।
ভালো কথা-বকাবকি-রাগারাগি-অভিমান কিছুতেই কাজ হয় না।
জলাতংকের মতোন খাদ্যাতংক-অষুধাতংকে পড়লো আম্মু।
জোর করে বা আদর করে খাওয়ালেই বমি। কি কষ্ট,,কী কষ্ট।
শেষে জাউ-ভাত খাওয়াও বন্ধ হয়ে গেলো বমির কারণে।
কেন খেতে পারেনা ঐটার কারণটা খুজতে গিয়েই আমার ওয়াইফের চাচা একজন তুলারাশির লোক নিয়ে আসে এবং নানান তুকতাকের পর, সেই লোক আমার জানালার পাশে এক হাতের মতোন খুড়ে ঐ তাবিজ উদ্ধার করে।
তার পরেও সমাধান হলো না,
এর কয়েকদিন পরেই হঠাৎ আম্মু মারা গেলেন।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৫৩
মারুফ হায়দার নিপু বলেছেন:
এইটা সঠিক যে আম্মু খুব ভয় পাইছিলো ঐ তাবিজটাকে।
আমি বলছিলাম, আরে ধুর ঐডি কিছুনা। একটা কাগজে আউল-ফাউল লেইখাই খাওন বন্ধ কইরালাইবো এইডা আমি বিশ্বাস করি না। তুমি খালি কষ্ট কইরা একটু খাও দেখবা যেই শয়তানেরা তাবিজ করছে ওরাই কষ্টে মরবো।
কিন্তু কাজ হয় নাই।
ওয়াইফ আমারে বলছিলো তাবিজটা নষ্ট করে ফেলতে।
আমি কাগজটা ছিড়ে দূরে ফেলে দেয়ার আগে, স্ক্যান করে আমার পিসিতে রেখে দিসিলাম। গেষ্টরা কেউ এলে হাসাহাসি করে দেখাইছিলাম এইটা পচা কাগজে হাতে কী না কী লেকছে, আর এর লাইগা বলে খাওয়া বন্ধ করছে!
পিসিতে রেখে দেয়াটাই কী আমার ভুল ছিলো, আমি মাঝে মাঝে ভাবি।
৪৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:৪৩
মাহমুদহাসান বলেছেন: রাগ ইমন কে ধন্যবাদ অনেক কিছু তুলে ধরার জন্য।
যাঁরা এসবে বিশ্বাস করেন তাঁদের বলছিঃ
দেখুন, বাংলাদেশ হচ্ছে পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে এলাকার একটা পাগল, যে সবসময়ই নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়াত, মরে গেলে, তারও একটা মাজার তৈরি হয় এলাকাতে; সেই মাজারে আবার বছর বছর ওরশ মোবারক নামের একটা অপচয় হয়, সেই ওরশ মোবারকে আবার এলাকার লোকজন(সবাই না) অংশগ্রহণ করে। মানুষ পথ চলতে গেলে সেই মাজারে দাঁড়িয়ে আবার সুতা বেঁধে মানত করে যায়। মাজার সংস্কৃতির অলিখিত এক নিয়ম হচ্ছে মনোবাসনা বা মানত পূর্ণ হলে সেই সুতা খুলে ফেলতে হয়। কিন্তু দেখা যায় সুতার পর সুতা, তার পর আরও আরও সুতা। তাহলে কি খুব অল্প মানুষেরই মনোবাসনা পূর্ণ হয় যেটা এমনিতেই হতো? কারা করে এসব? খেয়াল করলে দেখবেন একটি বিশেষ শ্রেণীর লোকজন এসবে বিশ্বাস করে, মাজার তাদের কাছে পরম পূজনীয়।
মাজার সংস্কৃতির মতোই তাবিজ সংস্কৃতি, পীর সংস্কৃতি এবং আরও কিছু সংস্কৃতি এই দেশে দেখা যায় যার কোনটাই ইসলাম সমর্থন করে না। আমি নিজে ইনফরমেশন টেকনোলজি ডোমেইনের মানুষ, অতিপ্রাকৃত কোন ব্যাপার বিশ্বাস করতে চাইলেও পারি না। রাগ ইমন অনেক কিছুই তুলে ধরেছেন মানুষের বিশ্বাসের ভিত্তি নিয়ে, মেডিকেল সাইন্স যা ব্যবহার করছে, কিন্তু উনি যা বলেননি, তা আমি বলছি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হচ্ছে এমন একটি জিনিস যা যন্ত্রকে মানুষের কাছাকাছি এনে দিচ্ছে দিন দিন। কী করে একটি যন্ত্র চিন্তা করতে পারে, কী করে নির্ভুল সিদ্ধান্ত চট করে নিতে পারে? আসলে যন্ত্রের কোন ক্ষমতা ছিল না, মানুষ এই অসাধ্যকে সাধন করেছে শুধুমাত্র নিজের বিশ্বাস ছিল বলে-আমরা পারব। তাবিজ দিয়ে মানুষের মত বুদ্ধিমান প্রাণীকে ধোঁকা দেয়া যায়, অনেক কম বুদ্ধিমত্তার যন্ত্রকে ধোঁকা দেয়া যায় না কেন? কারণ, যন্ত্রের বু্দ্ধিমত্তা জুড়ে রয়েছে যুক্তির পর যুক্তি। যন্ত্র যুক্তির বাইরে কিছুই বুঝে না। যন্ত্রকে ধোঁকা দেয়া সম্ভব নয়, কারণ, যন্ত্র যুক্তিবাদী। মানুষকেও ধোঁকা দেয়া সম্ভব হতো না, যদি মানুষও যুক্তিবাদী হত। আমাদের দেশের মানুষদের সমস্যা হচ্ছে আমরা কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষিত হলেও যুক্তিবাদী নই। তাই এত পীর-ফকির-তাবিজ-কবজ-চাল পড়া-পানি পড়া-মাজার-লাল সুতা-নীল সুতায় দেশ ভরে যাচ্ছে। কী উন্নতি হয়েছে তাতে দেশের? বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এতটাই নোংরা যে যদি সম্ভব হতো, তাবিজ করে রাজনীতিবিদদের বিপদে ফেলে দিত কেউ না কেউ! কিন্তু তারা বহাল তবিয়তেই আছে, কেন? কারণ, রাজনীতিবিদরা এসবে বিশ্বাস করে না, যেমন কোন কিছুতেই বিশ্বাস করে না। কোন কিছুতে বিশ্বাস স্থাপন করলে এই দেশে রাজনীতি করা যাবে না, তাই এখানে আমরা পাই চরম অবিশ্বাসী ও ভন্ড রাজনীতিবিদের পাল।
তাহলে দেখা যাচ্ছে, চরম নির্লিপ্ত ও চরম যুক্তিবাদী এই দুই শ্রেণীর কাছে কোন মূল্য নেই বিশ্বাসের। আমরা যারা মানুষ, রাজনীতিবিদ বা কম্পিউটার নই, রাজনীতিবিদদের মানুষের তালিকায় ফেলি না আমি; তাদের জন্য বিশ্বাস একটা বড় ব্যাপার। কিন্তু কিসে বিশ্বাস করব? যেটা অযৌক্তিক সেটাতে? না, বিশ্বাস করব যেটা যৌক্তিক সেটাতে। একটি কাগজে লেখা কিছু সংখ্যার কোন ক্ষমতা নেই যে সে কারও ভালো বা মন্দ ঘটাতে পারে। সংখ্যার ক্ষমতা বিশাল, কিন্তু সেই ক্ষমতা ব্যবহার করেছে মানুষ নিজের উন্নয়নে, তাবিজ তৈরীতে নয়। আপনি জানেনও না আপনার চারপাশে কত বিচিত্র ক্ষমতাধর সংখ্যা আছে(উদাহরণস্বরূপঃ গোল্ডেন রেশিও) যাদের ক্ষমতা অনেক বেশি মানব জীবনে প্রভাব ফেলার জন্য। মানুষের দেহের ভেতর প্রতিনিয়ত প্রবাহিত হচ্ছে রক্ত, এর চাপও একটি বিশেষ সীমার সংখ্যা যার অন্যথা ঘটলেই মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এসব সংখ্যার ক্ষমতা অনেক, তাবিজে লেখা ছকের সংখ্যার চেয়ে অনেক অনেক বেশি। আপনার সেলফোনের ডায়াল করার বোতামগুলোও একটি বিশেষ ম্যাট্রিক্স(ছক কাটা সংখ্যার মতো!) যা আপনাকে করেছে অসীম ক্ষমতাবান। কিন্তু এর কোনটাই অযৌক্তিক নয়। আর আপনারা যা বিশ্বাস করছেন, সেইসব সংখ্যার পিছনে লুকিয়ে নেই কোন ক্ষুদ্র ইলেকট্রনিক সার্কিট, নেই কোন মাইক্রোচিপ, নেই কোন ট্রান্সমিটার যা তাবিজকে সামান্য একটা ডিভাইস হিসেবেও মূল্য এনে দেয়।
পবিত্র কোরআন শরীফকে উঁচু স্থানে রাখতে হয়, এটা পবিত্র কোরআনের প্রাপ্য সম্মান। কেউ একজন কোরআনের আয়াত লিখে মাটিতে পুঁতে দিল, তাতে কী হল? যে কোরআনকে সম্মান করে না, তার কথা আল্লাহ শুনবেন না।
অনেক কথা বলা যায়, আপনাদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটার আগেই থামছি। শুধু বলি, এসবে বিশ্বাস করে নিজেদের ধর্মকে মাটিতে নামিয়েন না।
৪৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:০৮
মাহমূদ হাসান বলেছেন: আসলে আপনাদের ধন্যবাদ না দিয়ে পারছি না। অনেক সময় ব্যয় করেছেন তাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাদের চ্যালেঞ্জ করার ইচ্ছা আমার নেই। সময় ও নেই। আর হাদীস বলেও হয়তো বা লাভ নেই। হয়তো বা আপনারা আরবী বুঝবেন না। আসলে এটা তেমন বড় কোন ব্যাপার নয় যা নিয়ে আমি বড় কোন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করব বা সময় ব্যয় করব।
"নিশ্চয় তোমার পালনকর্তাই অধিক জ্ঞাত এ ব্যাপারে যে, কে সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত আর কে সঠিক পথে সুপ্রতিষ্ঠিত রয়েছে"
৪৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:৩৪
মাহমুদহাসান বলেছেন: আরবি বুঝব না কেন? আপনি বলুন। আপনি একাই আরবি পারেন, এমন ভাবার কী আছে? উপরে তো অনেক রেফারেন্স দেখলেন হাদীসের, তারপরও এটাই মানছেন? খুবই ভালো। আপনি কী করেন, আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছে ভাই। কিছু মনে না করলে বলবেন কী?
৪৯| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:০৪
স্বপ্নকথক বলেছেন: হুম... গ্যালারীতে আছি চালায় যান।
৫০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:১৮
রেজোওয়ানা বলেছেন: কাগজটি কি লেখা আছে, এখন জানতে ইচ্ছা করছে।
৫১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৩০
দ্যা ডক্টর বলেছেন: ছোটবেলায় ভয় পাইটাম বেশি, গরুর গলার ঘন্টার মত ামার গলায়ও মাসে ২/১ টা টাবিজ লাগানো হত...... আমি সমানে সেসব ফেলতাম। একটু যখন বুঝেছি তখন আর মেরেও তাবিজ কেউ লাগাইতে পারেনাই....... কলেজ থেকে লোহালক্করের প্রতি আগ্রহ জন্মেছিল বলে দাদী কোত্থেকে এক তাবিজ মেলা কান্নাকাটি করে আমার গলায় ঝুলাইছিল।
এরপর মা-বাবার কাছে আরব দেশে ফিরে আসি, এক আরব আমার গলায় ঐ টাবিজ দেখে বলছিল, তুমি মুসলিম না? মুসলিম হৈলে এইটা কেন পড়ছ? সেই থেকে আর তাবিজ পরিনাই..... এখন গলায় ডগট্যাগ পরি
বিশ্বাসী তাবিজ কবজ নয়, আল্লাহ-রাসুল(সঃ)-কুরআন এ বিশ্বাস করবে..... এটাই নিয়ম।
৫২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৩২
দ্যা ডক্টর বলেছেন: খাঁটি আরবরা এইটা দেখলে হাস্তে হাস্তে গড়াগড়ি খাইব, আর আসতাগফিরুল্লাহ পড়ব......
৫৩| ০৬ ই মে, ২০১০ বিকাল ৩:৫৭
মেকগাইভার বলেছেন: তাবিজের মধ্যে আসলে কি লেখা আছে?
ঝাতি জানতে চায়।
০৬ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৭
মারুফ হায়দার নিপু বলেছেন: আমি এখনো জানি না
৫৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:৩৯
সুঘ্রাণআবদুলকােদর বলেছেন: আপনার আম্মা পরপারে ভাল থাকুন এই কামনা করছি।
৫৫| ২৪ শে জুন, ২০১২ দুপুর ২:৩৩
Nahid Parvez বলেছেন: ভাই আমি একবার এই তাবিজের পাল্লায় পরেছিলাম। আমার প্যারালাইসিস হয়েছিল। শুধু বাম হাত বাদে বাকি ৩ হাত পায়ে আমার কোনো অনুভুতি ছিলনা।মনে করেন একেবারে পঙ্গু হয়ে গেছিলাম। পরে তাবিজ উঠানোর পর আল্লাহর রহমতে এখন সুস্থ। ঘটনাটা ২০০৯ সালের কুরবানী ঈদের ৩ দিন পরের ঘটনা।
৩১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৮:৩৮
মারুফ হায়দার নিপু বলেছেন: হুমম। ভালো থাকবেন, ভাই।
৫৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৪২
আধোয়া তুলসি পাতা বলেছেন: আরে ভাই যারা ব্যপারগুলা মানে তাদেরকে মানতে দেন না! যারা মানেন না তাদের এত চুলকানী কেনো। তারা একেবারে বুদ্ধিজীবী দের মত বড় বড় কলাম লিখতেসেন নিজের অগাধ জ্ঞান প্রকাশ করতেসেন! পারলে নিজের শরীরের লোম, নখ, চুল ইত্যাদি যারা এইসব ঝাড়কুক তাবিজ কালাম করে তাদেরকে দিয়ে আসবেন আর তাদের সরাসরি চ্যালেঞ্জ করবেন যে আপনার ক্ষতি করতে পারলে তাদেরকে টাকা দিবেন (বাটপাড়ের খপ্পড়ে পইরেন না আবার) আছে এই সাহস কারো যারা তাবিজের বিপক্ষে বড় বড় বুলি ছাড়ছেন, যুক্তি দেখাচ্ছেন? এখানে কাউকে প্রমাণ করা লাগবেনা যে আপনার ক্ষতি হয়নি। নিজেই বুঝে নিয়েন, নিজের বিশ্বাসটাও একটু ঝালাই করে নিলেন। একজনের মতামতে "কাফেরের প্রার্থনার প্রায়োরিটি..... ক ও খ...." এই প্রসংগে লিখছেন। ভাই সবকিছুতে আল্লাহ কে টানবেন না। আজকে ফিলিস্তিন, সিরিয়া, আফগানিস্তান, ইরাকে নিরপরাধ মুসলিম শিশুরাও মারা যাচ্ছে। এখন এই ব্যাপারে কি আপনি বলবেন আল্লাহ তায়ালা নির্বিকার (আস্তাগফিরুল্লাহ)। পরকাল বলে কিছু একটা আছে। এই দুনিয়াতে পার পেলেও সেখানে ঠিকই হিসাব দিতে হবে।
যারা তাবিজের পক্ষে কথা বলছেন তাদের অনেকেই ঘটনার শিকার অথবা নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছেন। আপনারা অনেকে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হননি তাই মানতে পারছেন না।
জীন জাতির অস্তিত্ব কে বিশ্বাস করেন তো? নাকি বলবেন যে দেখেন নি তাই সেটাও বিশ্বাস করেন না! তাহলে আপনি যেই কুরআন দিয়ে রেফারেন্স দিচ্ছেন নিজেই সেটা অস্বীকার করলেন। সুরা জীন এর অনুবাদ টা পড়বেন সময় করে। জীন জাতি যে মানুসের ক্ষতি করতে পারে সেটা সেখানে স্পষ্ট লিখা আছে। তবে যদি মনে করেন জানার দরকার নেই। নিজেদের ধারনাতেই অটল থাকবেন সেটা আপনাদের ব্যাপার। তবে আরেকজনের অভিজ্ঞতা নিয়ে ক্রীটিসাইজ করার আগে সব ব্যাপারে জ্ঞান রাখবেন। কুরআনের আয়াত নিয়ে বড় বড় বুলি ছারতেসেন পুরা কুরআনের অর্থ ৩০ ভাগের এক ভাগও কি মনযোগ সহকারে পড়সেন, বুঝার চেষ্টা করসেন কি বুঝাতে চেয়েছে। এক দুইটার অর্থ জানেন সেটা দিয়েই বুলি ছারতেসেন। ভাই কুরআন পুড়াটাই পড়েন। অনেক জ্ঞানি মানুস আপনারা। আরেকটু জ্ঞান বাড়লে ক্ষতি তো নেই!
-
আর মারুফ ভাই লিখাটার অর্থ জেনে লাভ নেই, কষ্টই বাড়বে এতে। এগুলো আপনি যত দ্রুত সম্ভব মুছে ফেলুন।
৫৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:১৬
আধোয়া তুলসি পাতা বলেছেন: সরি সেই ২০১০ এর পোষ্ট, তারপরও কয়েকজনের চুলকানী দেখে নিজের টা আর ধিরে রাখতে পারলাম না
৫৮| ১৪ ই মে, ২০১৭ ভোর ৬:১৬
mvRy বলেছেন: শবে বরাতে নাকি মানুষের ১ বছরের সব লিখা হয়? তাহলে লাইলাতুল কদরে কি হয়? ৫৭ টা কমেন্টস পড়লাম কিন্তু উত্তর কারো কাছ থেকে পাইলাম না আসলে কি করেছিলো? আপনি যদি জেনে থাকেন মারুফ ভাই তবে আমাদের জানাবেন। ছবি দেখে যা মনে হয়, উনার পেটে ও প্রসাবের রাস্তায় কিছু করেছিলো। আল্লাহ সবাইকে মাফ করুন।
৫৯| ১৪ ই মে, ২০১৭ ভোর ৬:২৯
মানবী বলেছেন: সাম্প্রতিক মন্তব্যের কলামে এই পোস্টটি দেখে, ক্লিক করে মন খারাপ হলো ৯ নং কমেন্টটি দেখে।
আমাদের পুষ্পপ্রেমিক রাজামশাই না ফেরার দেশে চলে গেছেন।
চির ঘুমে শায়িত রাজা মশাইয়ের আত্মার শান্তি কামনা করছি।
পোস্টের ছবির লেখা সংক্রান্ত কোন সহায়তা করতে পারছিনা বলে দুঃখিত মারুফ হায়দার নিপু।
আপনার মায়ের আত্মার শান্তি কামনা করছি।
১৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:০০
মারুফ হায়দার নিপু বলেছেন: ইটস ওকে
৬০| ১৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:১৪
থার্মোমিটার বলেছেন: সাত বছর পর পোষ্ট পইড়া তব্দা লাইগা গেলাম ।এখনও এসব বিশ্বাস করেন ভাই?
৬১| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৭
নতুন নকিব বলেছেন:
হাই রেজুলেশনের সেই স্ক্যান করা কপি কি এখনও পনার কাে আছে? একটু দেখতে পারলে পাঠোদ্ধারের চেষ্টা করে দেখা যেত।
আপনার আম্মাকে আল্লাহ পাক জান্নাতবাসী করুন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:১৬
জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন:
:-<