নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু বলার জন্য

মারস্ শীতল

কিছু বলার নাই,নিয়মিত ব্লগার হবারও কোন ইচ্ছা নাই। মাঝে মাঝে ... কিছু কথা যা মনকে উতলা করে প্রকাশ করতে!

মারস্ শীতল › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরবে হোক কিংবা নীরবে! অস্তিতে শুধু তুমিই থেকো।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৫১

অনেকটা সময় পার হল! গোটা ৩ বছর প্রেম! অতঃপর অভিসার, অতঃপর বিয়ে! এভাবেই চলে আসা সাম্রাজ্যতে তুমি আর আমি! আজ কিন্তু প্রথম দেখা বা ভালবাসি বলা নয়।

****** আজ আমাদের বিবাহবার্ষিকী ******



প্রথম দেখা হয়েছিল স্কুলে, তখন কি তুমি জানতে আমি তোমায় ভালবাসব, তখনি কি আমি জানতাম, তোমার সাথেই আমার গাঁট বাঁধবে। সেসময় তুমিও বন্ধু আমিও বন্ধু, দুজনেরই তুই-তুকারি। একটু একটু ভাল লাগতে শুরু করা ! তবে সায় দেয়নি সে ভাল লাগা। তোমার সাথে সামান্য বিষয়ে ঝগড়া! আর সেই কথা বলাও বন্ধ। এসএসসি পরীক্ষার সময় তুমি আমার সাথে কথা বলতে চাইলেও, আমি বলিনি। বলতে চাইনি। রাগ ছিল, ছোট বয়সের রাগ তো, পড়তে চায়নি। এমনকি কলেজে ভর্তি হবার পরও মাঝে মধ্যে তোমার সাথে দেখা হলেও কথা হয়নি।



এভাবেই দুটো বছরের বিরতির পর একদিনের দিন, তোমার রিকশা আটকানো, রিকশা আটকিয়ে তোমার ফোন নম্বর নেয়া। সেদিনও কিন্তু তুমি তুই করেই বলেছিলে, তবে আমি তুমি সম্বোধনই করেছিলাম। অতঃপর দুদিনের কথা বলার পর তুমিই আই লাভ ইউ বলেছিলে, বলেছিলে কি? আমি বাধ্য করেছিলাম। কিন্তু ভাবিনি এতটা দূর গড়াবে। ১২-১২-১২ কথা মনে করলে আজও হাসি পায়। তুমি আমি আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলাম না কেউ মেনে নিবে না বলে? কিন্তু তারপর কি হল..... তা আসলেই ভুলবার নয়।



এরপর কেটে গেল বছর খানেক। পালালাম, উচ্চ মাধ্যমিকের ঠিক আগে। সেই পালিয়ে যাওয়ার সময় ভাবিনি কি করছি, ঠিক করলাম কি বেঠিক করলাম তাও বুঝিনি। তবু মনে হয়েছে, প্রেম যখন করেছি, এটার শেষ দেখব। হাতে টাকা ছিল না। থাকার জায়গা ছিল না। কিন্তু তখন কিছু বন্ধুর সাহায্য ছিল এই দুঃসহ সময়টা পার করার জন্য। শাওন না থাকলে, অনিক রনি না থাকলে এটা হয়তবা পসিবলও হত না। কষ্টের দিনগুলোতে আনন্দও ছিল, দুঃখও ছিল। কত জায়গাতেই না ঘুরেছিলাম একটা মাস। অবশেষে হার মানলাম তুমি আর আমি।



হার মেনে বাড়ি ফিরেছিলাম ঠিকই, কিন্তু জায়গাতে তুমি ছিলে অটুট। দুরত্ব বাড়েনি। নানা কথা, নানা বক্তৃতার পরও আমরা ঠিক ছিলাম। একসময় সব কিছু ঠিক হয়ে আসতে শুরু করল, সাবই মেনে নিতে শুরু করল। আমিও কাজ শুরু করে দিলাম। মাঝে ছিল ঝগড়া, ছিল ভাললাগা। কিন্তু টানটা যেন ছিল অটুট। ভালবাসতে ভালবাসতে পথচলায় গুরত্ব আসল বিয়ের। করেও ফেললাম। গত বছরের ঠিক এই দিনেই তো তোমায় কবুল বলেছিলাম। সেদিনের লজ্জ্বা আজও মনে আছে। তাকাতে পারিনি তোমার দিকে। কিভাবে বছরটা ঘুরে আবার সেই দিনটা চলে এলো বুঝতেই পারলাম না।



আজ সব কিছু স্বাভাবিক, সব সুন্দর। দু পরিবারই মেনে নিয়েছে, মেনে নিয়েছে আমাদের মহল্লা। আমাদের মাঝে ঝগড়া তুমুল হয়, কিন্তু আমাদের আদনান আমাদের জুড়ে রেখেছে। তাই তো রাগ ক্ষোভ ভুলে ভালবেসে ঠিক ১২ টায় বলেই ফেললাম, শুভ বিবাহ বার্ষিকী।



ভেবেছিলাম এবার তোমায় একটা শাড়ি দিব। কিন্তু হয়ে উঠেনি। লিষ্টে না হয় এ্যাড করে রাখ। পরে না হয় দিয়ে দেব। শুভ সময়ের অপেক্ষা কর। হবে, সব হবে।



আপাতত “শুভ বিবাহবার্ষিকী” আর “ভালবাসি”

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.