![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু বলার নাই,নিয়মিত ব্লগার হবারও কোন ইচ্ছা নাই। মাঝে মাঝে ... কিছু কথা যা মনকে উতলা করে প্রকাশ করতে!
খালি আমি না, যারা হ্যার সিনেমা দেখছে, হ্যারাই হ্যার ফ্যান না এসি আছিল.... আর আমি হ্যার, কি জানি কয় ইংলিশে, ডাই হার্ট ফ্যান, ওইডা !.... আইজকা হ্যারে নিয়ে ইশট্যাটাস না দিলি তার অপমান হইব। যদিও ম্যালা দেরী হয়া গেছি। হ্যারপরও তারে নিয়া দুই কথা না লেখলে আমার ছোডবেলার দিনগুলা জলে যাইব।
একসময় ঘরে টিবি আছিল না, টিবি দ্যাহার লেইগা মাইনষের ঘরে যাতাম। যেদিন অপমানিত হইয়া গেচিলাম, বাপে মার কথার চোডে ঈদের আগের দিন ন্যাশনাল বেরান্ডের সাদাকালো একখান টিপি আনচিল... সালডা ছিল ৯৮। সেই ছুডবেলাত নতুন টিবিত পেরথম ছবি দ্যাহা। ঐ ছবিতেই পেরথম দেখছিলাম হ্যারে।
লোকমুখে শুনলাম, ৯৩ সনের সেই হিট করা ছবিডা নাকি ঈদের দুইদিন পর রাইতে দিব ..... তার বহু আগে থেকাই সেই ছবির কথা শুনতাম। দেখতে মন চাইত। স্বপ্ন সফল হইল। ঘুম ভরা চোক্ষে আমি দ্যাখলাম। ছবিডা আছিল “কেয়ামত থেকে কেয়ামত”। বুঝি নাই ভালবাসা জিনিসটা কি, কিন্তু তার ছবিতে অভিনয় করা দেইখা আমি কাইন্দা দিচিলাম। (এই সূত্রে বইলা রাখা ভাল আমি ছুডবেলায় অভিনয়শিল্পীগো বাস্তব মনে করতাম। ভালবাসা জিনিসটা মনের ভিত্রে না থাকলেও, মাইরপিট, কান্না, হাসি বুঝতাম। “বাবা কেন চাকর” এক্ষেত্রে প্রকৃষ্ট উদাহরণ)। আইজকা হ্যার ছবি দেইখ্যা ছুডবেলার মত কানতে মুঞ্চাইতাসে। মনে ভিত্রে যাগো ধইরা রাখা যায় তাগো মধ্যে হ্যায়ও একজন। ঐ ছবিতে ছিল না কোন অশ্লীলতা, ছিল না কোন উদ্দাম নৃত্য। সুস্থ চলচিত্র বলতি যা বুঝায় তার সবকডা গুন তার মইদ্যে আচিল।
সেই “কেয়ামত থেকে কেয়ামত” চলচিত্রের নায়ক সালমান শাহ। মাইরি কইতাছি, “কেয়ামত থেইকা কেয়ামত” যতটুক না দাগ কাটছিল আমার দিলে, তার চেয়া বেশি দাগ কাটছিল “স্বপ্নের নায়ক” আর “স্বপ্নের ঠিকানা” ছবি।
অনন্য ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন এই ব্যক্তিডা বেশিদিন থাকে নাই। কয় বছরই বা ব্যাডায় ছবি করছিল! কিন্তু এই পাঁচ বছরের মইেধ্য করা ছবি যারা দ্যাখব হ্যারা হ্যারে একদিনের লেইগাও না দেখা সত্ত্বেও মিচ করব। হ্যার লুক, হ্যার ইশটাইল আইজকার যুগেও হার মানব এইডা আমি বিশ্বাস করি।
মিচ ইউ গুরু তুমি যেই জগতেই থাকো শান্তিতে থাকো।
©somewhere in net ltd.