নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু বলার জন্য

মারস্ শীতল

কিছু বলার নাই,নিয়মিত ব্লগার হবারও কোন ইচ্ছা নাই। মাঝে মাঝে ... কিছু কথা যা মনকে উতলা করে প্রকাশ করতে!

মারস্ শীতল › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি শিরোনামবিহীন পোষ্ট

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:০২

যে কোন বিতর্কের সৃষ্টি হোক অথবা অযাচিত কর্কশ ভাষাবলির প্রয়োগ কিংবা সাময়িক লম্ফ জম্ফ! তাতে লভ্যাংশ নিরপেক্ষ এবং সমালোচিত ব্যক্তির ঝুলিতেই জমা পড়ে।

হোক না সে কোন নতুন শৈলীর প্রয়োগ নয়ত অসামঞ্জস্বিক ঢং। হয়তবা আলোচক গাইবে এর ভাল, আর সমালোচক ব্যবহার করবে কদর্য মুখভাষ্য অথবা প্রদান করবে ধিক্কার। তবে অতশত করে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অনুষ্ঠানের টিআরপি বাড়বে বৈ কমবে না। ফটো শেয়ারের মাধ্যমে যে ধিক্কার প্রকাশ তা ব্লগ, ফেসবুক, টুইটারেই সীমাবদ্ধ থাকবে। কিন্তু পরিধান শৈলীকে নতুন করে প্রকাশের মাধ্যম অনুষ্ঠানকে আকর্ষণীয় করে না তুললেও আমরা জনগণ সমালোচনার মাধ্যমে তাকে জনপ্রিয় করে তুলব। বিতর্কিত স্ট্যাটাস, ফটো প্রদানকারী অবশ্যই এর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অবশ্যই অবগত, তা না হলে এত পঁচবার পরেও সে চুপ থাকতে চাইবে কেন? সে তো আমাদের চেয়ে ঢেরগুন বুদ্ধিমান, তাই না। আমরা বোকা বলেই যেগুলো আস্তাকুঁড়েও পড়ার যোগ্য না তা নিয়েই মাতামাতি করি।

ফটোগ্রাফির লেভেলকে আরেকবার নিচুতে নামাল, কি অবস্থায় দাঁড়িয়েছে স্টাইল, হাল ফ্যাশনের এই দশা কি আমরা চেয়েছিলাম ইত্যাদি আরও অনেক কিছুই বলবে সমালোচকরা, কিন্তু সবিশেষে তাতে যারা আয়োজক তাদেরই লাভ। কারণ সমালোচনা যে করবে তারও সেই বিষয়কে পর্যবেক্ষণ করতে হবে, তাকেও অনুষ্ঠান টা দেখতে হবে, নতুবা সে সমালোচনার বিষয় পাবে কোথায়?



বর্তমান প্রেক্ষাপটটাই এমন অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে যেখানে ভাল বলার চেয়ে খারাপ বললেই সেইজিনিসটাতে মানুষের আগ্রহটা বেশি থাকে। আলোচনার চেয়ে সমালোচনার মাধ্যমে একটি নিম্নমানের বিষয়কে টেনে উপরে তুলা চতুরতার নামান্তর। আর সোশাল নেটওয়ার্কগুলো এক্ষেত্রে এত সহায়তা করছে যে, তা অপসংস্কৃতিকেও মুহুর্তে সংস্কৃতিতে রূপান্তরিত করছে। আমরা মুখ কালাকালি করে সমালোচনা করছি এবং যা কোনদিনও দেখিনি তাও আগ্রহ নিয়ে দেখছি শুধুমাত্র সমালোচনার জন্যই। মিডিয়া স্থানটাই এমন।



হুজুগে বিশ্বাসী জাতির লেখালেখি, আলোচনা, সমালোচনা সাম্প্রতিক বিষয় নিয়েই! এক্ষেত্রে বলা বাহুল্য, মাসখানেক আগেরকার একটি দুর্ঘটনা। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, আমরা ব্লগে, ফেসবুকে, মিডিয়ায় যে তুমুল ঝড় তুললাম, আজ নিজের ব্যক্তিগত স্ট্যাটাসেও কেউ সেই লঞ্চডুবি নিয়ে কোন লেখালেখি করি না। কেউ ভূল করেও মনে করে না মৃত স্বজনদের আহাজারি। কেউ আর সেই ভিডিও দেখে না। হয়তবা সেই ভিডিও মোবাইলে মেমোরি কার্ড থেকে পদ্মার স্রোতের সাথে লঞ্চটির ধুয়ে মুছে যাওয়ার মতই ডিলিট হয়ে গেছে। তবে আমি আশাবাদী, বছর ঘুরে এলে কান্না বিজরিত খবরাখবর প্রকাশ পাবে, ১ বছরে কি হলো তা প্রকাশ পাবে। দায়ীদেরকে সারাজীবন অন্ধকার ঘরেই বছরের ১ টা দিনের জন্য হাতরে বেড়াতে হবে। তারপর সূর্য ডুবলেই, আসল দোষীদের খুঁজছে পুলিশ মর্মে ঢালাওভাবে রিপোর্ট পেশ করার মধ্যে দিয়েই শেষ হবেদিন।



জাতি কবে বুঝবে? কবে এই ব্যাপারগুলোকে নিয়ে সমালোচনা না করে অগ্রাহ্য করে মাটির নিচে চাপা দিবে। আমরা যদি হুজুগে বিশ্বাস না করি,সমালোচনাকে নিজেরে একমাত্র কাজ হিসেবে না দেখি, এসকল বিষয়ে নাই সাড়া দেই তবে অপ-সংস্কৃতি কোথা হতে জায়গা পাবে?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৫২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভালো বিশ্লেষন করেছেন!

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০২

মারস্ শীতল বলেছেন: ধন্যবাদ!

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৬

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: একমত ভ্রাতা +
ভালো থাকবেন :)

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৩

মারস্ শীতল বলেছেন: আপনিও নিজের খেয়াল রাখবেন + পাশেই থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.