নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মারুফ আল মাহমুদ

লেখক হইতে মুঞ্চায়!

মারুফ আল মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্যা মিলিওন পাউন্ড ব্যঙ্ক নোট – মার্ক টোয়েন – কাহিনী সংক্ষেপ ও অনুবাদ

২৯ শে জুন, ২০২১ রাত ৯:২০



গল্পের ঘটনাটি ঘটেছিল ভিক্টোরিয়ান আমলের লন্ডনে। গল্পের নায়ক হেনরী অ্যাডামস ইউএসএতে জাহাজ দূর্ঘটনার ফলে সর্বস্ব খুইয়েছেন। কোন কূলকিনারা না পেয়ে ক্ষুদার্ত অবস্থায় রাস্তায় হাটছিলেন, এমন সময় পাগলাটে দুই ভাইয়ের চোখে পড়লেন। তারা ছিল খুবই ধনী। কোন কিছু না বলে বা না জানিয়ে তারা তাকে একটা খাম পাঠালো। সেটার ভেতরে একটা দশ লাখ পাউন্ড স্টারলিং এর একটা নোট ছিল।
আসলে এই দুই ভাই একটা বাজি ধরেছিল। ২য় ভাইটির কথা ছিল কোন সম্পদের প্রতীকী দখল যে কোন গরীব লোককে কোন প্রকার বাধা ছাড়াই খুব সহজে এক মাস বাচিয়ে রাখতে সক্ষম হবে। ১ম ভাইটির দাবি ছিল কাগুজে নোট ছাড়া এটা একেবারেই সম্ভব না। যাই হোক, আমাদের নায়ক হেনরী নোটটা পেয়ে সোজা খাবারের হোটেলে গেল। খাওয়া শেষে নোটটি হোটেল মালিককে দিলে সে তাকে জানায়, আপনার চিন্তার কারণ নেই, বাড়ি গিয়ে পরে খাবারের দাম পরে পাঠিয়ে দিলেই হবে। হেনরী বুঝতে পারল এই শহরে এত বড় নোট ভাঙ্গানো সম্ভব না। আবার ব্যাঙ্কে নিয়ে গেলে তারা তাকে প্রশ্ন করবেই, সে এটা কিভাবে পেয়েছে, এমনকি তাকে চুরির দায়ে গ্রেফতারও করা হতে পারে। পরে হেনরী চিন্তা করল যেভাবে খাবার খেয়েছে সেভাবে নিজের জন্যে ভালো পোষাক বানানো যায় কিনা! সেখানে গিয়েও কাপড়ের অর্ডার দিয়ে নোটটা বের করল। দোকান মালিক তার সাথে খাবারের দোকানের মালিকের মতই ব্যবহার করল। এভাবেই সে লন্ডনে “ভেস্ট পকেট মিলিওন পাউণ্ডার” নামে বিখ্যাত হয়ে গেল। তবে সে সকলের পাওনার হিসাব রাখছিল, তার অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হলে যেন সে সকলের পাওনা বুঝিয়ে দিতে পারে। ১০ দিনের দিন সে ইউএস অ্যাম্বাসেডর এর সাথে দেখা করে সব জানালো। সে তাকে রাতের বেলা একটি ডিনার পার্টিতে দাওয়াত দিল। সেখানে পোর্শিয়া ল্যাংহাম নামের একজন রূপসীর সাথে তার পরিচয় হয়। হেনরী তার সাথে ঘটে যাওয়া সকল ঘটনাই তাকে বলল। পোর্শিয়ার কাছে ঘটনাটা খুব হাস্যকর লাগল। পার্টিতে তার সাথে লয়েড হেস্টিংস নামে এক বন্ধুর সাথে দেখা হয়। সে তাকে জানায় সে লন্ডনে এসেছে ৪ লাখ পাউণ্ডে একটি খনী বিক্রি করতে চায় কিন্তু লন্ডনে সে এমন কোন ধনী ব্যক্তি পায়নি। তাই তাকে খালি হাতেই ফিরে যেতে হবে। হেনরী তাকে ৫০% কমিশনের বিনিময়ে সেটা বিক্রি করে দেয়ার প্রস্তাব দেয় এবং মাস শেষ হওয়ার আগেই সেটা বিক্রি হয়ে যায়। এই ঘটনা অবশ্য পোর্শিয়া জানতে পারে না। আমাদের নায়ক হেনরীও এভাবেই ধনী হয়ে যায়।
মাসের শেষে দুই ভাইয়ের সাথে হেনরী দেখা করে। সেখানে গিয়ে পোর্শিয়ার সাথে দেখা যায়। তারা অধীর আগ্রহে নোটটা তার কাছে আছে কিনা জানতে চায়। অ্যাবেল (২য় ভাই) তাকে বলে যদি হেনরী তাকে বাজিতে জিতিয়ে দিতে পারে তবে তাকে সে তার ইচ্ছা মত চাকরি দিবে। সে নোটটা বের করে তাদের কাছে ফিরিয়ে দেয় এবং বলে তার চাকরির কোন প্রয়োজন নেই। তবে অ্যাবেল রাজি থাকলে হেনরীকে একটি বিশেষ ধরণের বেতনবিহীন চাকরি দিতে পারে। অ্যাবেল তাকে সেই বিশেষ চাকরি দিতে সম্মত হয়। এভাবেই গল্পটি শেষ হল।
সম্পূর্ণ বাংলা অনুবাদ পড়তে ক্লিক করুন

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুন, ২০২১ রাত ৯:৩৪

জুন বলেছেন: গল্পটি পড়েছি অনেক আগে। মার্ক টোয়েনের আমলে বলে মিলিয়ন পাউন্ড ব্যাংক নোট ভাংগাতে পারেনি বলে কত ঝকমারিই না হলো। এখন পানের দোকানদারও ট্রিলিয়ন ডলার নোট ভাংতি দিতে পারবে। টাকার কি অবমুল্যায়ন :(
সংক্ষিপ্ত লেখাটি ভালো লাগলো। +

২| ২৯ শে জুন, ২০২১ রাত ৯:৩৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

গল্পটা মজার!!

৩| ৩০ শে জুন, ২০২১ রাত ১:২৭

জটিল ভাই বলেছেন:
সুন্দর পোস্ট। তবে বিনা বেতনের চাকরি সম্পর্কে জানা গেলো না :)

৩০ শে জুন, ২০২১ ভোর ৫:২৩

মারুফ আল মাহমুদ বলেছেন: সম্পূর্ণ গল্পটা পড়ে জেনে নেয়ার অনুরোধ রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.