![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অলস প্রকৃতির মানুষ, খানিকটা কেয়ারলেস টাইপের! মাঝরাতে রাস্তায় হাঁটতে ভাল লাগে। ল্যামপোষ্টের নিয়ন আলো দেখতে ভালো লাগে। গরীব মানুষের সাথে ফুটপাতে বসে চা, সিঙ্গারা খেতে ভালোবাসি। মাঝে মাঝে রান্না করতে ভালো লাগে, যদিও খাওয়ার উপযুক্ত না। রাত জেগে জোনাক পোকা দেখতে ভালো লাগে। ছিপ দিয়ে মাছ ধরতে ভালোবাসি। সবুজ ঘাসে শুয়ে থাকতে ভালো লাগে। মাঝে মাঝে মানুষকে সাহায্য করে আনন্দ পাই। বন্ধুদের বিভ্রান্ত করতে ভালো লাগে। চেষ্টা করি ভালো থাকতে।
এই পোষ্টটি নিয়ে যখন চিন্তা করছি তখন রাত। টিউশনি করে বাসায় ফিরছি। ল্যম্পপোষ্ট এর নিচে হাটছি। আমার প্রিয় কাজগুলোর মধ্যে এটা অন্যতম। নিয়ন আলোয় হাটতে আমার খুব ভালো লাগে। এই শহরটা খুব ব্যস্ত, আর একটু নিরব হলে খুব ভালো হত। এই মুহুর্তে আমার প্রইমারি স্কুলের বন্ধুদের খুব মনে পরছে। বিশেষ করে পারভেজ, উৎপল, এরসাদ, সাগর, বিভাস, মুক্তা, দিক বিজয়, সিথি, শায়লা, ববি, আঁখি, জেরিন।
আমাদের স্কুলে এই কয়জনকে পঞ্চম শ্রেনিতে বৃত্তি পরীক্ষার জন্য আলাদা ক্লাস করানো হতো। আমাদের মধ্যে সবচেয়ে ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট ছিলো সিথি। ও কিছুটা জেদি টাইপের মেয়ে ছিলো। তখন ওর রোল এক থেকে কখনো দুই হতো না। আর সিথির সাথেই কন্টেষ্ট করে চলত শায়লা। শায়লার রোল দুই। তবে রাগ আর জেদের দিক থেকে ছিলো ফার্স্ট। শায়লার সাথে আমার আরেকটা সম্পর্ক আছে। সম্পর্কে আমরা ফুপাতো ভাই বোন। আমরা একই বাসায় থাকতাম। প্রায় সময়ই ওকে খাওয়ানোর জন্য ফুপি ওর পিছোনে প্লেট হাতে নিয়ে ছুট বেরোতেন।
পারভেজ, আমার সবচয়ে ভালো বন্ধু ছিলো। ছোটবেলা থেকেই ও বেশ স্বাস্থবান। মরগ লড়াইয়ে কেউ ওর সাথে পারতো না। একবার আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতায় পারভেজ আর আমি প্লান করেছিলাম, মরগ লড়াইয়ে আমি কোন রকম টিকে থাকবো আর ও খেলবে। সব শেষে আমাকে ফেলে দিয়ে পারভেজ ১ম হবে আর আমি ২য় হব। পরে অবশ্য আমাদের প্লান ভেস্তে যায়। প্রতিযোগিতা মুলক পড়াশোনায় আমরা বেশ ভালোই করছিলাম। আমি যখন পারিবারিক কারনে রাজশাহী চলে আসি তখন ও আমাকে বলেছিলো- তুই চলেগেলে আমি আর পড়াশোনাই করবো না। (জানি না দোস্ত তোর এই কথাটা মনে আছে কিনা, তবে তোর কথা মনে পরলে আমার কানে এই শব্দগুলো এখনো বাজে) পরে অবশ্য ছাগোলটা পড়াশোনায় অনেক ঢিলামি করেছিলো, শুনেছি কিছু বিষয়ে রেজাল্টও খারাপ করেছিলো। এখন পারভেজ মালায়শিয়ায় আছে। উৎপল, নিশ্চিন্ত মনের একটা ছেলে। বাদরামির দিক থেকে সেরা। পাড়ায় ওর নামে কমপ্লিন এর শেষ ছিলো না। আবার কারো প্রয়োজনে ওই সবার আগে থাকতো। উৎপলের সাথে আমার কোন যোগাযোগ নাই। চেষ্টা করেছি বেশ কয়েকবার কিন্তু লাভ হয়নি। এরসাদ, খাটো করে শান্ত সভাবের ছিলো । ওর সাইজের কোন পরিবর্তন হয়নি, শুধু শা্ন্ত সভাবটা অশান্ত হয়ে গেছে। এখন সম্ভবত বাংলা কলেজে অনার্স করছে। সাগর কমেডিয়ান বালক। আমাদের সাথে একবার বাজি ধরেছিলো যে ওনাকি যখন তখন কাদতে পারে। ক্লাসের ফাকে ও কান্না করতে শুরু করল, ম্যডাম ক্লাসে আসলেন তাও কান্না থামে না। পরে সবাইকে অবাক করে দিয়ে ম্যডামকে বলল আমরা সবাই মিলে নাকি ওকে মাইর দিছি। পরে ম্যডাম আমাদের কোন কথাই শুনলেন না, আমাদের শাস্তি দিলেন।
খুব সম্ভবত ও এখন সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে পরে। বিভাস, হিন্দুদের মজুমদার বংশের ছেলে, নাম ছিলো বিভাস মজুমদার। ও এতোটাই ফর্সাছিলো যে, কেউ ওর গালে টোকা দিলে গালটা লাল হয়ে যেতো।
আমার প্রাইমারি স্কুলের যে দুই জন শ্রদ্ধেয় শিক্ষককে কখনো ভোলার নয় তারা হলেন- শিরিন ম্যডাম আর ইসমাইল স্যার।আমাদের বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখার পথিকৃত।
এদের মধ্যে কেউ এই ব্লগে আছে কিনা যানিনা। আমার ডায়রির পাতার আনেক বড় একটা গল্পের কিছু স্মৃতিচারন মুলক অংশ নিয়ে লিখেছি। লেখনির ভাষা তেমন একটা ভালো হয়নি। ব্লগে নতুন, কিছু একটা দিয়ে শুরু করব তাই লিখলাম। আমি একজন নিরিহ মানুষ, তাই এই পোষ্টটি যদি কেউ একবার হলেও খুলে দেখেন তবে ভুলত্রুটি মার্জনা করবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:১২
ব্লগার ভুত বলেছেন: আহা কত স্মৃতি