| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Mashira
আমি ১৯৯৯ সালে হবিগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করি। আমার বাবা একজন শিক্ষক এবং মা একজন গৃহিণী। আমার ছোটবেলা থেকেই আমি লেখালেখির প্রতি আগ্রহী ছিলাম। আমি স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কবিতা, গল্প, এবং প্রবন্ধ লিখে অংশগ্রহণ করতাম।
ঢাকা, ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১। সারা শহরে আনন্দের বন্যা। মিত্রবাহিনী শহরে প্রবেশ করেছে। পাকিস্তানি সেনারা আত্মসমর্পণ করেছে। আজ স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয় দিবস।
হোটেল ইন্টারকনে বসে আব্বাস ঘোষণার অপেক্ষায় বসে আছেন। তিনি একজন বিখ্যাত ফটোগ্রাফার। যুদ্ধের শুরু থেকেই তিনি এই অঞ্চলে ছবি তুলছেন। তিনি চান এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের ছবি তুলবেন।
হঠাৎ তিনি দেখলেন একটি ভারতীয় বাহিনীর জিপ ছুটে আসছে। জিপের মধ্যে একজন লেফটেন্যান্ট কর্ণেল বসে আছেন। আব্বাস জিপের দিকে এগিয়ে গেলেন এবং লিফট চাইলেন। লেফটেন্যান্ট কর্ণেল সম্মত হলেন এবং আব্বাস জিপে উঠলেন।
জিপ ফার্মগেটের দিকে এগোতে লাগল। হঠাৎ জিপের দিকে গুলি ছুটে এল। জিপের সবাই মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন। কিন্তু লেফটেন্যান্ট কর্ণেল উঠে দাঁড়ালেন এবং গুলির উৎসস্থলের দিকে এগিয়ে গেলেন। আব্বাসও তার পিছু নিলেন।
গুলির উৎসস্থলে ছিল একটি পাকিস্তানি সেনাদের অবস্থান। লেফটেন্যান্ট কর্ণেল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মেজরকে বললেন, “পূর্ব পাকিস্তানের কমান্ড আত্মসমর্পণ করেছে। ঢাকা শহর এখন মিত্রবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। গোলাগুলি না করে আপনারা আমাদের সঙ্গে যোগ দিন।”
মেজর কিছুক্ষণ চিন্তা করলেন। তারপর তিনি তার অধীনস্থদের সঙ্গে কথা বললেন। হেডকোয়ার্টারে ফোন করলেন। তারপর নিশ্চিত হয়ে লেফটেন্যান্ট কর্ণেলের সঙ্গে হাত মেলালেন।
একটি সম্ভাব্য বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল। ঢাকা শহর রক্ষা পেল।
আব্বাস তার ক্যামেরায় সবকিছু ধরে ফেললেন। এই ছবিটি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ল। এই ছবিটি আজও বাংলাদেশের বিজয়ের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
আব্বাসের আবেগ
আব্বাসের চোখে পানি এসে গেল। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বললেন, “আমি আজ আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করেছি। আমি বাংলাদেশের বিজয়ের ছবি তুলেছি। এই ছবিটি ইতিহাসের এক অমূল্য দলিল হয়ে থাকবে।”
লেফটেন্যান্ট কর্ণেল পান্নুর আবেগ
লেফটেন্যান্ট কর্ণেল পান্নুও খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন। তিনি বললেন, “আমি আজ আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য অর্জন করেছি। আমি ঢাকা দখল করেছি। আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করেছি।”
একটি অন্যরকম গল্প
এই গল্পটি অন্যরকম কারণ এটি একটি বিজয়ের গল্প। কিন্তু এটি শুধুমাত্র একটি সামরিক বিজয়ের গল্প নয়। এটি একটি আবেগময় বিজয়ের গল্প। এটি একটি গল্প যেখানে একজন ফটোগ্রাফার তার ক্যামেরার লেন্স দিয়ে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তকে ধরে রাখেন। এবং একজন বীর সেনানী তার সাহসিকতা এবং বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে একটি সম্ভাব্য বিপর্যয়কে রোধ করেন।
বিজয় দিবসের টি-শার্টে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাথা

বিজয়ের মাসে বিজয় দিবসের টি-শার্টে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাথা তুলে ধরে মাসিরা অনলাইন শপ। এবারও মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের নানা অনুষঙ্গ স্থান পেয়েছে টি-শার্ট এর জমিনে।
বিজয়ের এই মাসে মাসিরা অনলাইন শপ একটু ভিন্ন রূপের আয়োজন করে থাকে। বৈচিত্র্যপূর্ণ ডিজাইন আর লাল সবুজ রং দেখে তরুণ দেশপ্রেমিকরা কিছু না কিছু কিনছেনই।
কারোর টি-শার্টে উঠে এসেছে বাংলাদেশের মানচিত্র, কারোর নকশায় প্রাধান্য পেয়েছে জাতীয় পতাকা, কোনোটায় রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের নানা ছবি, লেখা, কবিতার লাইন ও জাতীয় ফুল। অর্থাৎ বিজয় উৎসবের বিভিন্ন প্রতীক ব্যবহার করে ডিজাইন করা হয়েছে বিজয় দিবসের টি-শার্ট গুলোতে।
বিজয় দিবসের টি-শার্ট অনলাইনে অর্ডার করতে ভিজিট করুন: https://www.mashira.com.bd/bijoy-dibosh-t-shirt/
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: সুন্দর গল্প।
সাফল্য কামনা করছি।