![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষের জীবনের mid-life crisis এর আদলে গত বছর থেকে আমার শুরু হয়েছে mid-year crisis, ছেলের জন্মদিন নিয়ে।
এমনিতে ছেলে আমার মাশাল্লাহ লক্ষী, কিন্ত তার বাৎসরিক দাবী একটাই। জন্মদিনে তার কেক টা যেন সুন্দর হয়, সবাই দেখে অবাক হয়। তার “অবাক” হওয়ার এন্তেজাম করতে যেয়ে আমাকে “হতবাক”, “বাকরুদ্ধ” এবং আস্তে আস্তে ত্যাক্তবিরক্ত হয়ে যেতে হয়।
এবার ভাবলাম, ছেলে কে আগে নিয়ে ঘুরি, দেখাই কেক এর ডিজাইন এরপর যা পছন্দ করে হবে। ছেলেকে বলার পর আমার পাঁচ (তখন পাঁচ হতে মাসখানেক বাকি) বছরের ছেলে বল্ল “Wait বাবা” (ইংলিশ মিডিয়াম এফেক্ট)। “আমার চাই “কারস” এর লাল গাড়ীওয়ালা কেক, আর ঐখানে থাকবে ব্যাটমান, সুপারম্যান আর স্পাইডারম্যান।
আমার বন্ধুরা আসবে। আমরা কেক আর ওই ব্যাটমানদেরও খেয়ে ফেলব”
আমার সুপার ছেলের এই তিন সুপার-হীরো খেয়ে ফেলার শিশুতোষ ইচ্ছা বাস্তবায়ন করার জন্য বীর বিক্রমে ঝাপায়ে পড়লাম, সাথে আমার খাদক জুনিয়র কলিগ পুরান ঢাকার গালিব।
কয়েক জায়গা ঘুরে পাওয়া গেল ফেসবুক পেজ CakeSake (http://www.facebook.com/cakesakebd)। খোঁজ The Search করে আনল গালিব, রীতিমত ফোন কনফারেন্স করলাম তিনজন। এরপর জানালাম কি দাবী, অনেকটা হেসে খেলে এই ডিজাইন টা দিল।
ডিজাইন পছন্দ হলো। তারিখ বলে দিলাম, সময় জানালাম আর দাম-দর বনিবনা করলাম।
দুইদিন আগে থেকে ছেলের ফাঁপর, কেক ঠিকমত আসছে তো! ছেলেকে আশ্বস্ত করলেও নিজে ঠিক ভরসা পাচ্ছিলাম না। যাই হোক, জন্মদিনের দিন সময় মত গেলাম, কেক নিলাম। এর মধ্যে কয়েকবারই কেক বানানোর মূল হোতা তৃণার সাথে কথা হয়েছে। সামনাসামনি দেখা হলো, পিচ্চি সাইজের পিচ্চি মেয়েটাকে দেখে আশা ভরসা আরো উবে গেল। যাই হোক, কেকের বাক্স নিয়ে বাসায় এলাম। খুল্লাম বাক্স।
একি! আমি মুগ্ধ, বাক্যহারা! শুধু আমি না, আমার ছেলে, তার বন্ধুরা, তাদের বাবা-মা রা সবাই! বাস্তবিকই One piece made কেক।
এটা আরেক দিক থেকে তোলা ছবি। আর হ্যা, এই কেক এর সুপার-হীরোদের খাওয়া যায়।
কেক টা ভালই বানায়, খেতে বেশ। একদিনের ৫ পাউন্ডের কেক শেষ।
CakeSake কে অভিনন্দন, ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.