![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা (জিএসপি) ফিরে পেতে হলে বাংলাদেশকে কি কি করতে হবে, তা জানিয়ে দিয়েছে ওয়াশিংটন। কারখানার কর্মপরিবেশের উন্নতি ও শ্রমিকস্বার্থ সুরক্ষায় দেওয়া এ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হলে বাংলাদেশের জিএসপি ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে সুযোগ করে। যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি ফিরে পেতে বাংলাদেশকে ‘বাংলাদেশ অ্যাকশন প্ল্যান ২০১৩’ (বাংলাদেশের কর্মপরিকল্পনা ২০১৩) বাস্তবায়নে উৎসাহিত করছে ওবামা প্রশাসন। শ্রমিকস্বার্থ সুরক্ষায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানদণ্ড পূরণে বাংলাদেশ সরকার ব্যর্থ হওয়ায় গত ২৭ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা স্থগিত করার ঘোষণা দেন। মার্কিন প্রশাসনের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই বিবৃতি জনসমক্ষে প্রকাশের মাধ্যমে বাংলাদেশের শ্রমিকস্বার্থ সুরক্ষা ও কর্মপরিবেশের উন্নতিতে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোর সঙ্গে মার্কিন প্রশাসন তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছে। ওই প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম অংশীদার হিসেবে লক্ষ্য পূরণে আগ্রহী। জেনেভায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তাব্যবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগটি নেওয়া হয়।বাংলাদেশ’ শীর্ষক বৈঠকটি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ঘোষণার ফলে ৮ জুলাইয়ের ঘোষণায় মার্কিন অঙ্গীকারের বিষয়গুলোর উল্লেখ করে সংশোধনী আনা হবে।কর্মপরিকল্পনায় যা আছে: বাংলাদেশকে শ্রম, অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা ও কারখানা পরিদর্শকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়াতে হবে এবং তাঁদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। যেসব কারখানা শ্রমিকের অধিকার ও ভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে না, তাদের জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে লাইসেন্স বাতিলের বিধান করতে হবে।এতে বলা হয়েছে।মার্কিন প্রশাসন বলেছে, প্রতিটি শ্রমিক ইউনিয়নের নিবন্ধনের আবেদন-প্রক্রিয়ায় কত সময় লাগছে, নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে কি না, না দিলে কোন কারণে দেওয়া হলো না, তা প্রকাশ করতে হবে। এ ছাড়া শ্রমিকনেতা আমিনুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করার কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। উল্লেখ্য, গত সোমবার বাংলাদেশ সরকার একটি নতুন শ্রম আইন পাস করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নতুন আইনে শ্রমিক ইউনিয়ন করার প্রক্রিয়া আগের চেয়ে সহজ করা হয়েছে। তবে শ্রমিকনেতারা জানিয়েছেন, নতুন আইনের কিছু ধারার কারণে শ্রমিক ইউনিয়ন করা আগের চেয়ে আরও কঠিন হবে।
©somewhere in net ltd.