![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্নতা নিশ্চিত করতে যান্ত্রিক কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। এ জন্য কৃষকদের ২৫ শতাংশ ভর্তুকি দিয়ে খামার যন্ত্রপাতি সরবরাহ করবে সরকার। ফলে শস্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও টেকসই, কৃষক পর্যায়ে উৎপাদন ব্যয় হ্রাস, শস্য নিবিড়তা বাড়ানো, শস্য অপচয় কমানো এবং কৃষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। এ জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ের মেধাকে কাজে লাগাতে হবে। এ জন্য যন্ত্রপাতিতে সরকারের ভর্তুকি দেয়ার যে প্রকল্প নেয়া হয়েছে তা খুবই বাস্তবসম্মত ও ফলপ্রসূ হবে বলে মনে করি। বাংলাদেশে জনসংখ্যা বর্তমানে প্রায় ১৫ কোটি এবং প্রতিবছর ২০ লাখ লোক বাড়ছে। অন্যদিকে ফসলী জমি কমছে প্রতিবছর এক শতাংশ হারে। ক্রমহ্রাসমান জমি থেকে অধিক ফসল পেতে প্রয়োজন সময়মতো চাষ, উপকরণের যথাযথ ব্যবহার ও ন্যূনতম সময়ে শস্য আহরণ। তার ওপর ভৌগোলিক জলবায়ুর প্রভাবে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রতিবছর পশুশক্তি হ্রাস পাচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে মাঠপর্যায়ে কৃষি কাজ চলমান রাখার জন্য শস্য কর্তন, রোপণ ও যন্ত্রচালিত মাড়াইসহ অন্যান্য যন্ত্র সহজলভ্য করার কোন বিকল্প নেই। এ প্রেক্ষাপটে দেশের মানুষের খাদ্য স্বয়ং সম্পূর্নতা নিশ্চিত করতে কৃষি ব্যবস্থাকে আধুনিক যান্ত্রিক কৃষি ব্যবস্থায় রূপান্তরের বিকল্প নেই। সরকারের এই ধরনের পদক্ষেপ কৃষি খাতে কৃষকের চোখে মুখে অন্তরে হাসি ফোটাবে, ফিরে পাবে বেঁচে থাকার জন্য নতুন আশার আলো।
©somewhere in net ltd.