![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
আঞ্চলিক বাণিজ্যে সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে
কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
এডিবির সহায়তায় সার্ক দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়াতে বিশেষ প্রকল্প নিচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে সাসেক রোড কানেকটিভিটি প্রজেক্ট শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। এর আওতায় বেনাপোল ও বুড়িমারী স্থলবন্দর উন্নয়ন করা হবে। এ প্রকল্পটির বিষয়ে বলা হয়েছে বেনাপোল স্থলবন্দর হচ্ছে এশিয়ান হাইওয়ে নং-১ এবং সার্ক হাইওয়ে করিডর নং-১ এর পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত সবচেয়ে ব্যস্ততম স্থলবন্দর। অন্যদিকে বুড়িমারী স্থলবন্দর হচ্ছে ঢাকা উত্তর-পশ্চিম করিডর সার্ক হাইওয়ের করিডর নং ৮ ব্যবহার করে ভারতের মধ্য দিয়ে ভুটানের প্রবেশদ্বার। বেনাপোল ও বুড়িমারী স্থলবন্দর উভয়ই যথাক্রমে ভারতের পেট্রাপোল ও চেংড়াবান্দায় চলমান ইন্ট্রিগ্রেটেড কাস্টমস পোস্ট প্রোগ্রামের সুবিধাপ্রাপ্ত। আগামীতে আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে এই স্থলবন্দর দুটোর কার্য দক্ষতা বৃদ্ধি জরুরী হয়ে পড়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বেনাপোল ও বুড়িমারী স্থলবন্দরের ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন হবে এবং সেই সঙ্গে কার্য দক্ষতাও বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে সার্কভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে আঞ্চলিক বাণিজ্যের প্রসার হবে। প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের পর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের অপর একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে। অন্যদিকে ভুটান ও নেপালের মতো স্থলবন্দর বেষ্টিত দেশ ও দক্ষিণ- পশ্চিম চীনের অন্যতম বাণিজ্য কেন্দ্রস্থল মুনমিংয়ের কাছাকাছি অবস্থিত বাংলাদেশ। এই উপ অঞ্চলে যানবাহন চলাচলের এবং মালামাল পরিবহনের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠার সম্ভাবনা বাংলাদেশের রয়েছে। আঞ্চলিক যোগাযোগের জন্য ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি শুধু ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নয় বরং ভুটান ও নেপালের জন্যও আঞ্চলিক বাণিজ্য ও যোগাযোগ উন্মুক্ত করার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বেনাপোল ও বুড়িমারী স্থলবন্দর ভারত ও ভুটানের প্রবেশদ্বারে অবস্থিত। বাংলাদেশ ও ভারতে মধ্যে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বেনাপোল স্থলবন্দরকে অগ্রাধিকার দিয়ে উন্নয়ন করা জরুরী। কারণ এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার বার্ষিক বাণিজ্যের প্রায় ৮০ ভাগ সম্পাদিত হয়। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে ১৬টি স্থলবন্দর রয়েছে। স্থলবন্দরের কার্যক্রম বেসরকারী খাতে আউটসোর্সড করা হয়েছে। তাই বর্তমানে যে পরিমাণ মালামাল ট্রাফিক স্থলবন্দর দিয়ে আসছে তা নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষ সক্ষম। আগামীতে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে যে বাণিজ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে সেজন্য প্রকল্পভুক্ত স্থলবন্দর দুটির উন্নয়ন করা জরুরী। এজন্যই সরকারের আঞ্চলিক বাণিজ্যে সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নিরবিছিন্ন প্রচেষ্টা।
©somewhere in net ltd.