![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
বর্তমানে বাংলাদেশে একটি যুগোপযোগী শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন সফলভাবে এগিয়ে চলেছে। ১৯৮০-৮১ অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণ/ অনুদান নির্ভরতা ছিল জিডিপির ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০১২-১৩ অর্থবছরে ওই নির্ভরতা জিডিপির ১ শতাংশেরও নিচে নেমে এসেছে। দেশের ব্যালেন্স অব পেমেন্টসের চলতি হিসাবে গত অর্থবছর তিন বিলিয়ন ডলারের বেশি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি মহাজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণের দিন দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল মাত্র তিন হাজার ২৬৮ মেগাওয়াট। ২০ জুলাই ২০১৩ তারিখে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৬৭৫ মেগাওয়াটে। মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্যাপাসিটি এই সাড়ে চার বছরে চার হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট থেকে বেড়ে আট হাজার ৫৩৭ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। বর্তমান সরকারের বিদ্যুৎ-সম্পর্কিত কিছু ভুল সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও তাদের সাফল্যটা প্রণিধানযোগ্য। ২০০১-০৬ মেয়াদে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা মোটেও বাড়াতে পারেনি, যাকে ক্ষমার অযোগ্য ব্যর্থতা বলে মনে করি। জনগণের দারিদ্র্য উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে এবং গত সাড়ে চার বছরে দারিদ্র্য হ্রাসের গতি অনেকখানি ত্বরান্বিত হয়ে বর্তমানে তা ২৭ শতাংশেরও নিচে নেমে গেছে। ২০০৫ সালে ওই হার ছিল ৪০ শতাংশ। গত চারটি অর্থবছরেই জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের বেশি ছিল, অথচ সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে মন্দাবস্থা বিরাজ করছে। ওপরের পরিসংখ্যানগুলো সাক্ষ্য দিচ্ছে, স্বাধীন বাংলাদেশের ৪২ বছরের মধ্যে এখন দেশের অর্থনীতির অবস্থা স্বস্তিকর ও আশাব্যঞ্জক। এ পর্যায়ে যে প্রশ্নটি যৌক্তিকভাবে ওঠা উচিত, তা হলো এত সব অর্থনৈতিক সাফল্য সত্ত্বেও মহাজোট সরকার জনগণ কর্তৃক এভাবে প্রত্যাখ্যানের মুখোমুখি হলো কেন? বিএনপি-জামায়াত জোটের ২০০১-০৬ মেয়াদের সরকার তো দুর্নীতি, দুঃশাসন ও জঙ্গিবাদ লালনকারী হিসেবে গণরোষের শিকার হয়ে ২০০৬ সালে ক্ষমতা ত্যাগ করেছিল এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে পর্যুদস্ত হয়েছিল। প্রশ্ন হলো, জনগণ কি ‘হাওয়া ভবনের’ অসহনীয় কর্মকাণ্ড ভুলে গেছে? জনগণ কি বাংলা ভাই-জেএমবির জঙ্গিবাদী খুনিদের তাণ্ডব ভুলে গেছে? নয়তো আবার কেন জঙ্গিবাদের মদদদাতাদেরই ক্ষমতায় আনতে চাইছে?
©somewhere in net ltd.