নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শক্তিশালী হেফাজত ও বাংলাদেশ এর অনিশ্চিত ভবিষ্যত

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১

শক্তিশালী হেফাজত ও বাংলাদেশ এর অনিশ্চিত ভবিষ্যত





বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধের গুরু গোলাম আযম ও বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ড এর অন্যতম সেকেন্ড ইন কমান্ড মুজাহিদের রায়ের পর বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম জিয়া কোন মন্তব্য করেননি। মন্তব্য করেনি তার দলও। অন্যদিকে এটাও প্রমাণ করে অবস্থানগত দিক থেকে এখন বিএনপির নিয়ন্ত্রক অবস্থায় হেফাজত বেশ শক্তিশালী। পাঁচ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হেফাজত কর্মীদের তৎপরতা সেটাই প্রমাণ করেছে। এর থেকে একটি বিষয় এখন স্পষ্ট, ১৮ দলীয় জোটে বিএনপির অবস্থান এখন নিম্নগামী এবং জামায়াত-হেফাজত মূলত নিয়ন্ত্রণকারী। বাংলাদেশে এই পশ্চাৎপদ মৌলবাদীদের এই অবস্থানে সত্যিকার অর্থে প্রমাণিত হয়েছে পাঁচ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পরে। অনেকে মনে করছেন, বাংলাদেশের সমাজে এদের সংখ্যা বেশি, তাই পাঁচ সিটি কর্পোরেশনে মৌলবাদী সমর্থক প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে নীরব পেশি শক্তি প্রয়োগ করছে বিএনপি ও জামায়াত। তারা গত প্রায় এক বছর ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা চালিয়ে, তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে, হত্যা করে তাদের ভীত করে তুলতে সমর্থ হয়েছে। এর থেকে যা স্পষ্ট হচ্ছে সেটা হলো, বিভ্রান্তি, অর্থ ও পেশী শক্তির জোরে বাংলাদেশের সমাজ ও রাজনীতিতে ধর্মীয় মৌলবাদ স্থান করে নিচ্ছে। ধর্মীয় মৌলবাদ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ও সমাজে যদি স্থান করে নেয় তাহলে এ দেশের ভবিষ্যত কি হবে? সব থেকে ভয়ংকর হচ্ছে সংখ্যাগুরু মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য। কিন্তু যে মুসলিম মৌলবাদ বাংলাদেশের আকাশে এখন উঁকি দিচ্ছে এ যদি প্রতিরোধ না করা হয় তাহলে বাঙালী মুসলিম সমাজের কি অবস্থা হবে? বিএনপি ইতোমধ্যে বলেছে, তারা ক্ষমতায় এলে নতুন ধরনের সরকার করবে। কয়েকটি পত্রিকার নিজস্ব রিপোর্টে সেই সরকার কেমন হবে তা নিয়ে বলা হয়েছে। যাহোক, দেশের এই নীতি নির্ধারণে যখন জামায়াত ও শফীরা আসবে তখন দেশের নীতিগুলো কি হবে সেটা আমরা তাদের বক্তব্য থেকে ও কাজ থেকে বুঝতে পারছি। অন্যদিকে ৭১-এ জামায়াত ইসলামী, যা করেছিল এবারও তারা সেই একই কাজ করবে। অর্থাৎ দেশকে যারা আলোর দিকে নিয়ে যায়, সেই চিন্তাশীল সুশীল সমাজকে তারা বেছে বেছে হত্যা করবে। অন্যদিকে আমাদের নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস যুদ্ধপরাধের বিচার নিয়ে খালেদা জিয়ার মতো নিশ্চুপ আর ইউনূসের সুহৃদ সমাবেশে চট্টগ্রামে উপস্থিত ছিল অধিকাংশ শিবিরের ছেলেরা। শিবিরের ছেলেদের ফেসবুকে ইউনূস সম্পর্কে বেশি ভাল কথা লেখা থাকে। তাই সুশীল সমাজের একটি অংশ তাদের সহায়তা করবে। বাদবাকিরা জামায়াত-শিবিরের হাতে মারা যাবে। এ দেশের মানুষ যদি এখনই সচেতন না হয় তাহলে খালেদা জিয়া নামক এক মানবীর নেতৃত্বে জামায়াত ও হেফাজতের দ্বারা বাঙালী মুসলিম সমাজ এক অন্ধকার যুগে প্রবেশ করবে। শিক্ষাহীন, আলোহীন, সংস্কৃতিহীন বেগম জিয়া এই নেতৃত্ব দিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবেন না তার প্রমাণ তিনি গত ছয়মাসে রেখেছেন।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.