নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদায়ী অর্থবছরে দাতাগোষ্ঠী বাংলাদেশের অনুকূলে প্রায় ২৭৯ কোটি ডলারের বৈদেশিক অর্থ ছাড় করেছে। যা বিদেশী সহায়তা ছাড়ে রেকর্ড।

২৭ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫









বিদায়ী অর্থবছরে দাতাগোষ্ঠী বাংলাদেশের অনুকূলে প্রায় ২৭৯ কোটি ডলারের বৈদেশিক অর্থ ছাড় করেছে। যা বিদেশী সহায়তা ছাড়ে রেকর্ড।







বিদায়ী ২০১২-১৩ অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ বিদেশি সহায়তা ছাড় হয়েছে। এ সময়ে দাতাগোষ্ঠী বাংলাদেশের অনুকূলে প্রায় ২৭৯ কোটি ডলারের বৈদেশিক অর্থ ছাড় করেছে। দেশের ইতিহাসে আর কখনোই এত বেশি বৈদেশিক সহায়তা ছাড় হয়নি। এই ছাড় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ১০ কোটি ডলার বেশি। বিশ্বব্যাংক একাই সর্বোচ্চ ৯০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ ছাড় করেছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে সব দাতা দেশ ও সংস্থা মিলে বাংলাদেশের অনুকূলে মোট ২৭৮ কোটি ৬১ লাখ ডলার ছাড় করেছে।এই ছাড় তার আগের অর্থবছরের তুলনায় ৬৬ কোটি ডলার বেশি। ওই অর্থবছরে দেশের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ ২১২ কোটি ৬৪ লাখ ডলার ছাড় হয়েছিল। এর আগে বিগত ২০০৯-১০ অর্থবছরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রায় ২২৫ কোটি ডলার ছাড় হয়েছিল। গত অর্থবছরে দাতারা ২১৩ কোটি ৪৩ লাখ ডলার ঋণ সহায়তা ও ৬৫ কোটি ১৭ লাখ ডলার অনুদান হিসেবে ছাড় করেছে। আগের অর্থবছরের ছাড় করা অর্থের মধ্যে ঋণ সহায়তা ছিল ১৫৩ কোটি ৮৪ লাখ ডলার, আর অনুদান ছিল ৫৮ কোটি ৭৯ লাখ ডলার।গত অর্থবছরে দাতাদের পরিশোধ করা হয়েছে ১১২ কোটি ১৩ লাখ ডলার। এর মধ্যে ৯১ কোটি ৮১ লাখ ডলার পরিশোধ করা হয়েছে আসল হিসেবে। আর ২০ কোটি ২১ লাখ ডলার সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে।গত অর্থবছরে বাংলাদেশ নিট বৈদেশিক সহায়তা পেয়েছে ১৮৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার। তার আগের ২০১১-১২ অর্থবছরে আসল হিসেবে পরিশোধ করা হয়েছিল ৭৫ কোটি ৯১ লাখ ডলার। ওই অর্থবছরের নিট প্রাপ্তি ছিল ১৩৬ কোটি ৭৩ লাখ ডলার। প্রসঙ্গত, দাতাদের কাছ থেকে পাওয়া অর্থের মধ্যে আসল হিসেবে পরিশোধ করা অর্থ বাদ দিয়ে নিট হিসাব করা হয়।গত কয়েক বছর ধরে সরকার দাতাগোষ্ঠীর সঙ্গে অনেক বড় বড় প্রকল্পে অর্থায়ন চুক্তি করেছে।এর ফলে বেড়েছে দাতাগোষ্ঠীর প্রতিশ্রুতির পরিমাণ। যেমন গত অর্থবছরে প্রায় ৬০০ কোটি ডলারের চুক্তি হয়েছে। তার আগের বছরগুলোতেও গড়ে ৪০০ কোটি ডলারের বেশি চুক্তি হয়েছে। এই বিশাল প্রতিশ্রুতির কারণেই বেশি অর্থ ছাড় হচ্ছে। এদিকে গত অর্থবছরে দাতারা নতুন করে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ৫৯২ কোটি ৬০ লাখ ডলারের। এর মধ্যে ৫৩৪ কোটি ডলার ঋণ হিসেবে আর ৫৮ কোটি ডলার অনুদান হিসেবে। ২০১১-১২ অর্থবছরের প্রতিশ্রুতি ছিল ৪৭৬ কোটি ডলার। যার মধ্যে ৩৩২ কোটি ডলার ঋণ হিসেবে আর ১৪৪ কোটি ডলার অনুদান হিসেবে।গত অর্থবছরে বাংলাদেশের অনুকূলে সবচেয়ে বেশি ৯০ কোটি ১৯ লাখ ডলার ছাড় করেছে বিশ্বব্যাংক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৭ কোটি ডলার ছাড় করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এ ছাড়াও জাপান ৩৬ কোটি, ভারত ১৭ কোটি ৯৪ লাখ, চীন ১৭ কোটি ৫৬ লাখ, জাতিসংঘ ২০ কোটি ৩০ লাখ ডলার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার ছাড় করেছে। গত অর্থবছরে প্রকল্প সাহায্য খাতে ১৫ হাজার ৫৯৮ কোটি টাকা বা ১৯৪ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে সক্ষম হয়েছে সরকার।অর্থ ছাড় হওয়া মানেই ব্যয় হওয়া নয়। গত অর্থবছরে ছাড় হওয়া অর্থের কিছু অংশ নতুন অর্থবছরে ব্যয় করা হবে। এতে বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন গতি বাড়ানো সম্ভব হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.