![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের পর সম্প্রতি ঢাকা-ময়মনসিংহ ডেম্যু ট্রেন চালু করা হয়েছে। এরপর ঢাকা-টাঙ্গাইল ডেম্যু ট্রেন সার্ভিস চালু করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথের জয়দেবপুর জংশন স্টেশন পর্যন্ত চালু হওয়া ডেম্যু ট্রেন যাত্রীর সুবিধা বেড়েছে। রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, ঢাকার চার পাশের জেলাগুলো ডেম্যু ট্রেন চালু করা হবে। যাতে মানুষ সকালে এসে কাজ করে বিকেলে বাড়ি চলে যেতে পারে। অচিরেই ঢাকা-টাঙ্গাইল রুটে ডেম্যু ট্রেন চালু করা হবে। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে যেমন মানুষ প্রতিদিন অফিস করছেন। তেমনি ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল থেকেও মানুষ অফিস বা কাজ করে রাজধানী থেকে দিনে দিনেই ফেরত যেতে পারবেন। দ্রুতগতির অত্যাধুনিক ডেম্যু (ডিজেল ইলেকট্রিক মালটিপল ইউনিট) ট্রেন। স্বয়ংক্রিয় সিস্টেমে ট্রেনটি কমিউটার ট্রেন সার্ভিস হিসেবেও চলে। প্রতিদিন সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে জয়দেবপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে, পৌঁছবে ১২টা ৩৫ মিনিটে এবং জয়দেবপুর থেকে ১২টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে ময়মনসিংহ পৌঁছবে সাড়ে ৩টায়। টাঙ্গাইলের ডেম্যু চালু করার জন্য একটা সময়সীমা তৈরি করা হচ্ছে। অচিরেই এটি চালু হবে। নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন রুটের পর আখাউড়া-কুমিল্লা-ঢাকা-কুমিল্লা-আখাউড়া রুটেও ডেম্যু ট্রেন চলাচল করছে। যাত্রীসাধারণের স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচলের জন্যই ডেম্যু ট্রেন চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের ডেম্যু ট্রেন প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮৪ কোটি টাকা। উল্লেখ্য, এরই মধ্যে ১৪ সেট ডেম্যু ট্রেন দেশে এসে পৌঁছেছে। আরও ৬ সেট ডেম্যু ট্রেন আগস্টের মধ্যে পৌঁছবে। বর্তমানে তিনটি রুটে ছয় সেট ট্রেন চলাচল করছে। অবশিষ্ট ১৪ সেট ট্রেন ক্রমান্বয়ে চাঁদপুর-লাকসাম-নোয়াখালী, ঢাকা-জয়দেবপুর, পার্বতীপুর-দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁও, সৈয়দপুর-পার্বতীপুর লালমনিরহাট, পার্বতীপুর-রংপুর-লালমনিরহাট, আখাউড়া-কুমিল্লা ও আখাউড়া-ঢাকা রুটে চালু করা হবে। বর্তমান সরকারের নেওয়া এসকল রুটে ডেম্যু ট্রেন সফলভাবে চালিত হলে সড়কের উপর শুধু চাপ কমবে না ট্রাফিক জ্যামও অনেকাংশে কমে যাবে।
©somewhere in net ltd.