![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
যুদ্ধাপরাধ বিচারের পক্ষে আন্তর্জাতিক ঐক্য রয়েছে। গুটিকয়েক মানবাধিকার সংগঠন ছাড়া সবাই এটার সমর্থন করছে। অন্যদিকে গোলাম আযমের বিচার হলে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে চাপ আসতে পারে এমন ধারণা থাকলেও আন্তর্জাতিক ঐক্যের কারণে এর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কোন কথা বলেনি। ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের বিচার প্রক্রিয়ায় অসঙ্গতি থাকলেও সেটার তারা বিরোধিতা করেনি। আবার আর্জেন্টিনায় যুদ্ধাপরাধ বিচারের বিরোধিতা করার ফলে তাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল। এরা ছোট গ্রুপ, তবে অনেক ক্ষমতা ধারণ করে। এদের কার্যক্রমের উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হবে। ইকোনমিস্ট পত্রিকায় বিরোধিতার কথা শুনলে আমরা মুষড়ে যাই। মুষড়ে পড়ার কোন কারণ নেই, কারণ ইকোনমিস্ট পত্রিকা এখন আগের মতো নেই। টিকে থাকার জন্য তারা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছে। অর্থের বিনিময়ে সংবাদ প্রকাশ তার মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশের গণহত্যায় শুধু নিন্দা জ্ঞাপন ছাড়া বিশ্ব কোন ব্যবস্থা নেয়নি । নুরেমবার্গ ট্রায়ালের পর যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত নাজি পার্টির কার্যক্রম পৃথিবীর কোথাও চলে না। তাহলে আদালতে ক্রিমিনাল সংগঠন হিসেবে অভিযুক্ত হওয়ার পর বাংলাদেশে জামায়াতের রাজনীতি কিভাবে চলতে পারে? মুক্তিযুদ্ধকে সামনে রেখে ইতিহাসে অনেক উচ্চ আসনে অবস্থান করছে বাঙালিরা। আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আগামী ইতিহাসের জন্য আরেকটি বিষয় জানান দিয়ে গেল বাঙালী নৃশংস জাতি নয়।
©somewhere in net ltd.