![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
৮ আগস্ট চাঁদ দেখা গেলে ৯ আগস্ট ঈদ। আর তা না হলে ১০ আগস্ট ঈদ হবে। ছুটি থাকবে ৯ থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত। আর ১২ ও ১৩ আগস্ট হরতাল ডেকেছে জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতে ইসলামীর এই হরতাল ডাকার যৌক্তিকতা কতটুকু? দলটিকে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। বিদ্যমান আইনের আলোকেই উচ্চ আদালত এই রায় দিয়েছেন। জামায়াত এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলও করেছে। তার পরও কেন এই হরতাল? যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হরতালের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতির এখন 'দম বন্ধ' অবস্থা হয়েছে। সাম্প্রতিক হরতালে প্রত্যক্ষ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৭০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ট্রেন, বাসসহ শত শত গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ায় দেশটির দুর্বল পরিবহন ব্যবস্থা আরো নাজুক হয়ে পড়েছে। পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ও বিপণন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় বাজারে পণ্যমূল্য বেড়ে যাচ্ছে এবং এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দরিদ্র মানুষ। হরতালের কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এসব কারণে বাংলাদেশের সব রকম উন্নয়ন প্রচেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। যদি তাই হয়, তাহলে ক্ষতি কার হবে? দেশ ও দেশের মানুষের। তাহলে কার স্বার্থে এই হরতাল? হরতাল রাজনৈতিক অধিকার। কিন্তু সেই হরতাল ডাকার যৌক্তিকতা থাকতে হবে। হরতালের সঙ্গে যে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চলে সেটি কখনো কারো রাজনৈতিক অধিকার হতে পারে না। আমরা আশা করি, জামায়াত অবিলম্বে তাদের ঘোষিত হরতাল প্রত্যাহার করে নেবে।
©somewhere in net ltd.