![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
সকল আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বিচার কাজ পরিচালনার পরও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে যে বিবৃতি দিয়েছে তা ভিত্তিহীন ও অসত্য। এ ধরনের বক্তব্য একটি স্বাধীন দেশের 'অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের' শামিল। সংস্থাটি জামায়াতের লবিষ্ট হিসেবে কাজ করছে। তাদের এই বিবৃতি এখতিয়ারবহির্ভূত। এই বিচারের একটা পর্যায় শেষ হয়েছে। এখন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে গোলাম আযমের আপিল বিচারাধীন। সেখানে ট্রাইব্যুনালের রায় পর্যালোচনা হবে। এই পরিস্থিতিতে মানবাধিকার সংস্থাটি বিচারাধীন বিষয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা আদালত অবমাননার শামিল। মানবতাবিরোধী অপরাধের এই বিচার সকল আন্তর্জাতিক মান রক্ষা করেই হচ্ছে। এখানে স্বচ্ছতার কোনো অভাব ছিল না। ট্রাইব্যুনালের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের যে অভিযোগ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এনেছে তা মারাত্মক আদালত অবমাননার শামিল। আসামিরা কোনো কোনো অপরাধে খালাস পাচ্ছে। আবার তাদের বিরুদ্ধে কোনো কোনো অভিযোগ প্রমাণিতও হচ্ছে। এটাই প্রমাণ করে, আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ এবং দলিলের ভিত্তিতে অভিযোগ রাখছে বা খারিজ করে দিচ্ছে। তাই বিচার নিয়ে আনা এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমাদের অভ্যন্তরীণ বিচার ব্যবস্থা নিয়ে মন্তব্য করার হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কে? এটিও কি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন নয়? আন্তর্জাতিক আইনের সব ধারা লঙ্ঘন করে যখন আইখম্যান বা সাদ্দাম হোসেনের বিচার হয়েছিল, তখন এই সংস্থাটি কি করেছে? তখন কি তারা তাদের কথিত আন্তর্জাতিক আইনের সুরক্ষায় কোনো কথা বলেছে? নিজেদের মানবাধিকার সংগঠন বলে দাবি করলেও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কি কখনো একাত্তরের বর্বরতার শিকার মানুষের অধিকার রক্ষায় দাঁড়িয়েছে? কেন দাঁড়ায়নি? যেটা আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, গোলাম আযমের মামলাটি যখন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন, তখন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কেন, কেউ কি এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করার অধিকার রাখে?
©somewhere in net ltd.