![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত জেসিওদের দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে প্রথম শ্রেণী আর সার্জেন্ট ও সমমানের পদ তৃতীয় শ্রেণী থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গত ১৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেন। এরপর গত ঈদের সময় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী যে বাণী দিয়েছেন, তাতে তিনি পদ উন্নীত করার অনুমোদন দেওয়ার কথা বলেন। এটা করা হয়েছে পুলিশের পদ উন্নীত করার কারণে। তবে এটা করতে গিয়ে সেনা আইন ও বিধি সংশোধন করতে হবে। তার আগে যেটা করতে হবে তা হলো, কমিশনপ্রাপ্ত প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা ও উন্নীত হওয়া প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তারা কী ধরনের সুবিধা পাবেন, তা নির্ধারণ করা। গত বছরের ৩০ জুলাই পুলিশের পরিদর্শকদের পদ দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে প্রথম শ্রেণীতে আর উপপরিদর্শকদের পদ তৃতীয় শ্রেণী থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত করা হয়। এ নিয়ে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রমাণ মেলে র্যা বের এক প্রতিবেদনে। কিছুদিন আগে র্যােবে কর্মরত সেনা কর্মকর্তারা সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলে পাঠানো একটি প্রতিবেদনে বলেন, পুলিশের এসআই পদটি সেনাবাহিনীর সুবেদার (ওয়ারেন্ট অফিসার) পদ মর্যাদার হলেও র্যাুবের ক্ষেত্রে ওয়ারেন্ট অফিসারদের পুলিশ পরিদর্শকের সমমর্যাদায় এনে উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) পদে পদায়ন করার বিধান রাখা হয়। আর উপপরিদর্শকদের (এসআই) সেনাবাহিনীর সার্জেন্টদের সমমর্যাদায় রাখা হয়েছে। কিন্তু সরকার পুলিশ পরিদর্শকদের প্রথম শ্রেণী ও উপপরিদর্শকদের দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদা দেওয়ায় এ নিয়ে বাহিনীর ভেতরে জটিলতা দেখা দেয়। উপরোক্ত জটিলতা নিরসনে সকল বাহিনীর মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন তথা দেশ ও জাতির কল্যাণে নিয়জিত সকল বাহিনীর সদস্যদের নিজ নিজ কাজে আরও বেশি মনযোগী হওয়ার ব্যাপারে উক্ত সিদ্ধান্ত আরও বেশি ফলপ্রসূ হবে বলে সরকারের নীতিনির্ধারক মহল এবং বিশেষজ্ঞ মহল মনে করেন। সরকার প্রধান সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের কর্মস্পৃহা বৃদ্ধিকল্পে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রেখে যে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তা সর্বমহলে ইতিমধ্যেই প্রশংসিত হয়েছে। পুলিশ বাহিনীকে প্রদত্ত পদোন্নতি খুবই কার্যকরি এবং ফলপ্রসূ হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে তারা নিরলসভাবে কাজ করছে। ঠিক তেমনি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রদত্ত পদোন্নতি নিতিমালা তাদের পেশা দারিত্বের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মনে করেন।
©somewhere in net ltd.