![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
মিয়ানমার সীমান্তের লাগোয়া উখিয়া এলাকায় মাদ্রাসা শিক্ষা এবং ধর্মীয় অনুশাসনের প্রভাব সবচেয়ে বেশি। নারীরা ঘরের বাইরে আসে কম। ভোট প্রদানেও বেশি আগ্রহ দেখা যায় না। এমন একটি এলাকায় শেখ হাসিনার জনসভায় হাজার হাজার নারীর উপস্থিতি সবাইকে অবাক করেছে। যেন নারীকে গৃহে শিকলবন্দী করা হেফাজতীদের হুঙ্কারের প্রতিবাদে স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি। সকাল দশটার পর হতেই মিছিলে মিছিলে নারীদের জনসভায় আগমনের পর্ব শুরু হয়ে যায়। বেলা বাড়তে বাড়তে জনসভার মাঠটি নারীদের দিয়েই পরিপূর্ণ হয়ে যায়। নারীরা এসেছেন দলবদ্ধভাবে। কন্ঠে ছিল প্রতিবাদী মিছিল। নারীদের অধিকারে নারীরা সচেতন। হেফাজতীদের কালো হাত ভেঙ্গে দাও। জনসভায় উপস্থিত হাজার হাজার নারী ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি সচেতন। বোরকা পরে জনসভায় উপস্থিত হয়েছেন বিভিন্ন বয়সের নারী। বয়োবৃদ্ধরাও উপস্থিত হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেননি। যেন তারাও হেফাজতীদের কর্মকান্ড প্রতিরোধে এককাটা। কক্সবাজার এলাকায় বিভিন্ন মানের সহস্রাধিক মাদ্রাসা রয়েছে। এখানকার লোকজন ধর্মীয় অনুশাসনে বিশ্বাসী। এ সুযোগে এক শ্রেণীর ধর্মান্ধরা সাধারণ এবং নারীদেরকে অনগ্রসর করে রাখে। হেফাজতীদের তৎপরতাও সীমান্তের কয়েকটি উপজেলায় উল্লেখযোগ্য। হেফজতীদের সাংগঠনিক ভিত শক্ত। মাঠে ঘাটে হেফাজতীরা তৎপর থাকায় নারীরা প্রতিবাদের সুযোগ পায়নি। মঙ্গলবার এখানকার নারীরা যেন সেই সুযোগটি নিয়েছেন। বাঁধভাঙ্গা জোয়ারের মত নারীরা এসেছেন আরাকান সড়ক ধরে। নারীদের মিছিলের কারণে আরকান সড়কে সকাল থেকেই যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে জনসভাস্থলে আসতে মাইলের পর মাইল হাঁটতে হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সভাস্থল থেকে কক্সবাজারের দিকে দুই কিলোমিটার ও টেকনাফের দিকে আড়াই কিলোমিটার আগে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। আর এই পথ জুড়ে নারীদের প্রতিবাদী মিছিলে মুখরিত মহাসড়কে আনন্দের বন্যা বইছিল। দুর্গম জনপদে নারীদের এমন উপস্থিতি হেফাজতীদের এবার ঠিকই ভাবিয়ে তুলবে। ১৩ দফার নামে নারী অধিকার ক্ষুন্ন করে শিকলবন্দী করার হেফাজতী মনোভাবে নারী সমাজ জেগে ওঠার এ নজির দেশের অন্যান্য স্থানে প্রভাব ফেলবে বলে সুধী মহল ধারণা প্রকাশ করছেন। ।
©somewhere in net ltd.