![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
পাবলিক পরীক্ষার মাঝে দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো হরতাল দিয়ে শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন ধ্বংস করা হচ্ছে। এই হরতাল যুক্তিহীন, দায়িত্বহীন, জ্ঞানহীন ও অবিবেচকের কাজ। জাতি উদ্বিগ্ন, উৎকণ্ঠিত ও ক্ষুব্ধ। দেশের প্রতি, নতুন প্রজন্মের প্রতি বিন্দুমাত্র কমিটমেন্ট থাকলে কোন ব্যক্তি এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করতে পারে না। পরীক্ষার মাঝে হরতাল অবরোধের মতো ধ্বংসাত্মক কর্মসূচী দিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে বিরোধীদল। এবার বিএনপি-জামায়াতের সহিংস কর্মসূচী হরতালসহ ধ্বংসাত্মক কর্মসূচীর কারণেই উচ্চ মাধ্যমিকে পরীক্ষার ৩৩টি পত্রের পরীক্ষার সময়সূচী পরিবর্তন করতে হয়েছে। রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে পাসের হার গত বছরের তুলনায় পাঁচ শতাংশ কমেছে। তাই দলগুলোর প্রতি আহ্বান, আমাদের নতুন প্রজন্মই দেশকে গড়ে তুলবে। এমন কোন কাজ করবেন না যাতে আমাদের নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ৩০ লাখ শহীদ আর লাখ লাখ মা-বোনের সীমাহীন ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন দেশ পেলাম। কিন্তু আজ পর্যন্ত লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। আমরা দেশকে মুক্তিযুদ্ধের সেই চেতনায় গড়ে তুলতে পারিনি। আমাদের নতুন প্রজন্মই দেশের ভবিষ্যত। তারাই দেশকে গড়ে তুলবে। যুগোপযোগী আধুনিক, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে। তাই তো বর্তমান সরকার আধুনিক ও যুযোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে। বর্তমান সরকারের গত সাড়ে ৪ বছরে শিক্ষা খাতে সার্বিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি বিভিন্ন স্তরে গুণগত অনেক যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধন করেছে। বছরের প্রথম দিনে নতুন বইসহ শিক্ষার্থীদের নতুন শ্রেণীর ক্লাস শুরু, নিয়মিত পরীক্ষা আয়োজন ও ফল প্রকাশ, জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, ১৮ বছরের পুরনো শিক্ষাক্রম যুগোপযোগীকরণ, সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি চালু করা, সর্বস্তরে আইটির ব্যবহার সম্প্রসারণসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বিরোধী দলের অবিবেচনাপ্রসূত হরতালে সবকিছু আজ ভেস্তে যেতে বসেছে। ছাত্রছাত্রীরা দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের সন্তান। তারাই দেশের ভবিষ্যত। তাদের যোগ্য করে গড়ে তোলা শুধু সরকারের নয়- সবার দায়িত্ব। তাই হরতাল করে তাদের ক্ষতি করা কোন দলেরই উচিত নয়।
©somewhere in net ltd.