![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে সম্ভাবনাময় বাজার হয়ে উঠছে রাশিয়া। দেশটিতে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এতে দেশটিতে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি হয়ে উঠেছে ঊর্ধ্বমুখী। রপ্তানি গতি বাড়াতে আগামী মাসে বাংলাদেশ থেকে একটি বাণ্যিজিক প্রতিনিধি দল রাশিয়া সফরে যাবে। গত ৫ বছর ধরে রাশিয়ার বাজারে ধারাবাহিকভাবে রপ্তানি বেড়েছে। এ সময়ে রপ্তানি প্রায় চারগুণ বেড়ে ৫ কোটি ডলার থেকে ২০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে রাশিয়ায় রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয় ২৩ শতাংশ। আগের বছরের চেয়ে ১ কোটি ডলার বেড়ে তা ৫ কোটি ডলারে উন্নীত হয়। পরের বছর তা ৮১ শতাংশ বেড়ে হয় ৯ কোটি ৭০ লাখ ডলারে পৌছে। ২০১১-১২ অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ১৩৩ কোটি ডলার, যা আগের বছরে চেয়ে ৩৯ শতাংশ বেশি। গত ২০১২-১৩ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ৫৬ শতাংশ বেড়ে ২০ কোটি ৮২ লাখ ডলারে পৌছে। বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে উদীয়মান অর্থনীতির দেশ। দেশটিতে মাথাপিছু আয় ও ক্রয়ক্ষমতা দ্রুত বাড়ছে। এতে বাড়ছে ভোগের পরিমাণ এবং পণ্যের চাহিদা। অন্যদিকে, রাশিয়ানদের কাছে বাংলাদেশের পণ্যে এখন আগের চেয়ে বেশি পরিচিত। কম দামের এই মানসম্পন্ন পণ্যের প্রতি তাই তাদের ঝোঁক বাড়ছে। রপ্তানি আয়ে এরই প্রভাব পড়েছে। তবে সম্ভাবনার তুলনায় এখনো রাশিয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ অনেক কম। রপ্তানির উচ্চ প্রবৃদ্ধির পেছনে পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির বিষয়টিই সবচেয়ে বড় অবদান রাখছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রাশিয়ার বাণিজ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দেশটিতে বাংলাদেশের নিটওয়্যার, সোয়েটার, চিংড়ি এবং পাটজাত পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতে, চীনকে হটিয়ে রাশিয়ার বিশাল বাজারে শক্ত অবস্থান নিতে হলে ওয়্যারহাউস স্থাপনের বিকল্প নেই এবং সরকার সে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
©somewhere in net ltd.