![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
পোশাক খাতে আন্দোলন ঠেকাতে এবার তৈরী পোশাক শিল্পে সোর্স নিয়োগ করছে মালিকপক্ষ। শ্রমিকদের সাথে মিশে যাবে এ সোর্সরা। শ্রমিকেরা কবে কোন দাবিতে আন্দোলন করবে তা আগাম তথ্য মালিকদের জানাবে সোর্সরা। সেভাবে আন্দোলন ঠেকাতে মালিকপক্ষ প্রশাসনের আগাম সহযোগিতা চাইবে। শ্রমিক আন্দোলন ঠেকাতে ইতোমধ্যে গার্মেন্টগুলোয় এসব সোর্স নিয়োগ শুরু হয়েছে। আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত শ্রমিক নেতাদের নামও জানাবে এসব সোর্স। নাম জানার পর নেতৃত্ব দেয়া শ্রমিকদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে অ্যাকশন। পোশাক খাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের শনাক্ত করতে প্রতিটি পোশাক কারখানায় সোর্স নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। মালিক-শ্রমিকদের পক্ষ থেকে পোশাক কারখানায় কিছু শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হবে। যারা ‘গণ্ডগোল’ করবে, তাদের শনাক্ত করাই হবে এদের কাজ। ইতোমধ্যে কিছু কারখানায় এসব সোর্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। টানা তৃতীয় দিনের মতো দেশের বিভিন্ন স্থানে শ্রমিক আন্দোলন, অবরোধ ও ভাঙচুর চলে। আট হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরির দাবিতে তিন দিন ধরে গাজীপুর, সাভার ও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ-অবরোধ চালিয়ে আসছে। বেতন বাড়ানোর দাবী যুক্তিযুক্ত। কিন্তু সেটি হতে হবে শান্তিপূর্ন পন্থায়। বেতন বাড়ানোর দাবী করে যারা হরতাল, অবরোধ, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করে তারা কি আসলেই পোশাক কারখানার শ্রমিক? নাকি শ্রমিকের অন্তরালে কোন অপশক্তি পোশাক খাতকে ব্যবহার করে কোন রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে গভীর ষড়যন্ত্র করছে? যারা এরূপ রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক কর্মকান্ড করে তারা মানুষ নয়, এরা ভয়ঙ্কর জীব, এদের প্রতিহত করতে হবে।
©somewhere in net ltd.