নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জয়ের ‘দুর্নীতির প্রমাণ’ প্রকাশ করবে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি। এ যেন উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে !!

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২

জয়ের ‘দুর্নীতির প্রমাণ’ প্রকাশ করবে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি। প্রধানমন্ত্রী পুত্র ও তার তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ‘দুর্নীতির প্রমাণ’ শিগগিরই প্রকাশ করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি। স্থানীয় সময় রবিবার রাতে নিউইয়র্কের ফুড কোর্টে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতারা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে সজীব ওয়াজেদ জয় কালেকশন এজেন্সি খুলেছেন। এর যোগান মাধ্যম হিসেবেই ঘনিষ্ঠজনদের ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে।’ তারা দাবি করে বলেন, ‘জয়ের দুর্নীতির প্রমাণসহ প্রতিবেদন প্রকাশ করায় আমার দেশ সম্পাদককে ১০ মাস জেল খাটতে হয়েছে। জয়ের দুর্নীতির আরো প্রমাণ আমরা পাবো। হাতে পেলেই তা প্রকাশ করা হবে।’ দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির জন্য শেখ হাসিনাকে দায়ী করে অনুষ্ঠানে বলা হয়, শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাপী মিথ্যুক হিসেবে প্রমাণিত। সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে কলঙ্কিত করেছেন। এমন প্রতারক প্রধানমন্ত্রীর অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। আগামী ২৪ অক্টোবরের মধ্যে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনর্বহালের আহ্বান জানিয়ে বিএনপি নেতারা বলেন, এ দাবিতে ২৩ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র কনস্যুলার অফিস ঘেরাও করা হবে। এরপরও সমঝোতায় না ফিরলে বিশ্বের সব দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি দেয়ার হুমকি দেন তারা। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নতুন কমিটি সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নেতারা বলেন, ‘হাইকমান্ড যখন যেভাবে ভালো মনে করবে, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি ঘোষণা দেবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চলবেই।’ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা গিয়াস আহমেদ ও জিল্লুর রহমান জিল্লু। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল লতিফ সম্রাট। আবদুল লতিফ সম্রাট বলেন, একদলীয় বাকশালের সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছেন শেখ হাসিনা। জনদাবিতে চলমান আন্দোলন দমনের উদ্দেশে তিনি র্যাকব-পুলিশের নির্যাতন সেল খুলেছেন। সরকারি খরচে সভার আয়োজন করে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা ২৪ অক্টোবরের পর মাঠ দখলের হুমকি দিচ্ছেন। এই বেপরোয়া আচরণের জন্যই নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার দরকার। তিনি বলেন, সরকার সমঝোতায় না এসে একদিনও মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা করলে বিশ্বজুড়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। গিয়াস আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছেন। গণমাধ্যমের রিপোর্টের সূত্র ধরে আমরা যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে অনুসন্ধান করেছি। জাতিসংঘ, সাউথ-সাউথ কোঅপারেশন এবং সাউথ-সাউথ নিউজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলি। তিনি দাবি করে বলেন, ‘অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যে, ২০১১ সালে বাংলাদেশ সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। ২০১৩ সালে এই অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তদের তালিকায় শেখ হাসিনা কিংবা বাংলাদেশের নাম নেই। ১২ ও ১৯ সেপ্টেম্বর তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকার কোথাও তার নাম পাবেন না।’ গিয়াস আহমেদ বলেন, মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে জনগণের কাছে মিথ্যাচার ধরা পড়ায় আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট http://www.albd.org/index.php থেকে শেখ হাসিনার সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির সংবাদটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা মিডিয়ার মাধ্যমে জনগণের কাছে ক্ষমা চাননি। অবিলম্বে জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে কৃত অপরাধের দায় স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাড়ানোর জন্য তার প্রতি আহ্বান জানান যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির এ নেতা। গিয়াস আহমেদ বলেন, এই মিথ্যুক, প্রতারক, দুর্নীতিবাজ ও খুনী প্রধানমন্ত্রীর অধিনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। অবিলম্বে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। অন্যথায় যেভাবে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী এরশাদ ও এক-এগারো সরকারকে বিদায় জানানো হয়েছে, শেখ হাসিনাকেও একইভাবে গদিচ্যুত করা হবে। জিল্লুর রহমান জিল্লু বলেন, শেখ হাসিনার সরকার দেশকে একটি মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। ইলিয়াস আলীসহ অসংখ্য বিরোধী নেতাকে গুম ও খুন করেছে। ১৯ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জয়সহ প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের দুর্নীতি প্রকাশ করায় আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে ১০ মাস জেল খাটতে হয়েছে। সত্য প্রকাশের দায়ে গত ৬ মাস ধরে তাকে কারাবন্দি রাখা হয়েছে। মাহমুদুর রহমানের কারাবন্দিত্ব গণমাধ্যমে ভয়ের শাসনের দৃষ্টান্ত। জিল্লুর রহমান জিল্লু বলেন, দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ঐক্যবদ্ধ। বাংলাদেশে ডাকাত পড়েছে। প্রবাসের সকল বাংলাদেশি মিলে এই ডাকাত তাড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ‘দুর্নীতির খতিয়ান প্রমাণসহ’ উপস্থাপনের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘জয়ের বিরুদ্ধে প্রমাণসহ ৫০০ মিলিয়ন ডলারের দুর্নীতির সংবাদ পত্রিকায় এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রে জয় কালেকশন এজেন্সি খুলেছেন। তার সকল দুর্নীতির ডকুমেন্ট আমরা পাবো। হাতে এলেই এসব প্রমাণ প্রকাশ করা হবে।’ এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা সোলায়মান ভুইয়া, হযরত আলী, সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী মনিরুল ইসলাম, ইলিয়াস মাস্টার, শিক্ষাবিদ ড. শওকত আলী, আজাদ বাকির, আনোয়ারুল ইসলাম, আবু সাঈদ আহমেদ, এবাদ চৌধুরী, আবদুল বাতেন, আতাউর রহমান আতা, সাবেক ছাত্রনেতা মাইনুল ইসলাম মহিদ, একে আজাদ, সোহরাব হোসেন, সাদি মিন্টু, সিরাজুল ইসলাম, ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, সৈয়দ রেজা, আবদুর রহমান, শাহাদাত হোসেন রাজু, রাফেল তালুকদার, সৈয়দা মাহমুদা শিরিন, আফসানা আমিন, আমানত হোসেন আমান, বিল্লাল চৌধুরী, শেখ হায়দার আলী, নুরুল আমিন পলাশ, এমরান শাহরন, আতিকুল হক আহাদ, আবদুল মান্নাফ, মুক্তিযোদ্ধা সামছুদ্দিন, মিজানুর রহমান, ফারুক হোসেন মজুমদার, এমএ আহাদ, আমিনুল ইসলাম স্বপন, মো. কায়সার, মোহাম্মদ আলী, দেলোয়ার হোসেন শিপন, আবুল কাশেম, আবদুল কাদের, মেজবাহউজ্জামান, আমজাদ হোসেন, মোহাম্মদ খোলকু প্রমুখ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.