![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
টেকনাফ থানা শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার সমুদ্র গর্ভে মনোরম দ্বীপ সেন্টমার্টিন। প্রায় ১৬ বর্গকিলোমিটার জুড়ে এ দ্বীপের মূল আকর্ষণ সৈকত জুড়ে প্রবাল পাথরের মেলা, সমুদ্র তীরে সারি সারি নারিকেল বৃক্ষ, দিগন্তে হারিয়ে যাওয়া সমুদ্রের নীল জলরাশি আর এখানকার অধিবাসীদের বিচিত্র জীবন যাপন। সেন্টমার্টিনের পুরো জায়গাটিই আকর্ষণীয়। এর একেকটি জায়গার বৈচিত্র্য একেক রকম। এই বৈচিত্র্যময় সৌন্দয্য উপভোগ করতে প্রতি বছর দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার পর্যটক ভিড় জমায় এখানে এবং উপভোগ করে সেন্টমার্টিনের সৌন্দর্য। এখানে যেমন রয়েছে অপূর্ব সৌন্দর্য তেমনি এর পাশাপাশি রয়েছে মৃত্যু কূপ বা বিপদজনক খাদ। শুধু অসতর্কতার কারনে প্রতি বছর বেড়াতে এসে কেউ না কেউ তাদের মুল্যবান প্রান হারায় এই মৃত্য কুপে। সম্প্রতি সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে যাওয়া আহসান উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ জন মেধাবি ছাত্র গোসল করতে নেমে তাদের প্রাণ হারায়। উল্লেখ্য, গত বছর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে নেমে প্রাণ হারায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মেধাবী ছাত্র। তাই বর্তমান সরকার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের গোসলের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বিচ কর্মী ও লাইফ গার্ড কর্মী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ দিয়েছে। একইভাবে সেন্টমার্টিনে পর্যটকের গোসলসহ অন্যান্য নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বিচ কর্মী ও লাইফ গার্ড কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সঙ্গে পর্যটকদের সতর্কতার জন্য ব্যাপকহারে লিফলেট বিতরণ, সেন্টমার্টিন দ্বীপের সৈকতের কোথাও অনিরাপদ স্থান আছে কি না তা চিহ্নিত করার জন্য টিম গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সরকারের এমন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপে পর্যটকরা নিরাপত্তার মোড়কে আবদ্ধ হয়ে মনোরম দ্বীপ সেন্টমার্টিনে সৌন্দর্য উপভোগে আগ্রহী হবে। যার ফলে পর্যটনখাত থেকে বিপুল পরিমান আয়ের উৎস হিসেবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ হবে।
©somewhere in net ltd.