![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
বাংলাদেশে গণহত্যার ৩০ লক্ষ শহীদকে নিয়ে এতদিন কোন প্রশ্ন ওঠানো হয়নি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হলে গণহত্যার চেয়েও বিচার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বার্গম্যান বা ক্যাডমান বা অন্য কেউ। কিন্তু তা ধোপে টেকেনি। গত নির্বাচনের পর থেকেই হঠাৎ গণহত্যার বিষয়টি তোলা হচ্ছে। এখানে আরও মনে রাখা উচিত, গত একমাস ধরে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তারেক রহমান, খালেদা জিয়া প্রশ্ন তুলছেন। গণহত্যায় যে ৩০ লক্ষ শহীদ হয়নি সে কথা খালেদা জিয়া প্রথম বললেন যা আগে কখনও বলেননি। এখন আবার ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান বিদেশের কাগজে এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এগুলো কি কাকতালীয়? না, এর পেছনে অন্য কোন রাজনীতি আছে? আসলে ডেভিড বার্গম্যান খালেদা জিয়ার সুরের সঙ্গে মুখ মিলাচ্ছেন। ব্রিটিশ সাংবাদিক ও ড. কামাল হোসেনের জামাতা ডেভিড বার্গম্যান ২৪ এপ্রিল ‘দি হিন্দু’ পত্রিকায় স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ হওয়া ৩০ লাখ বিষয়টিকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। স্বাধীনতার ৪২ বছর পর এসেও একটি প্রতিষ্ঠিত সত্যকে কুপ্রতিক্রিয়াশীল মহলকে খুশি করতে ডেভিড বার্গম্যান একটি নিখুঁত সত্যকে ধ্রুম জালের মধ্যে ফেলে অপপ্রচার করছেন। কিন্তু রবার্ট পেইন সেই ১৯৭২ সালে যেমন ম্যাসাকারে লিখেছেন- প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া বলেছিলেন. ‘৩০ লক্ষ হত্যা করো, বাকিরা আমাদের হাত থেকে খাবার খুটে খাবে।’ এখন যদি বলি সামরিক বাহিনীর প্রধানের আদেশ তার সৈন্যরা মেনে ত্রিশ লক্ষ হত্যা করেছে এটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া মুক্তমনা ওয়েবসাইটে আবুল কাসেম একটি প্রবন্ধে লিখেছেন, ১৯৮১ সালে জাতিসংঘের সর্বজনীন মানবাধিকার জরিপে লেখা হয়েছে, বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ হত্যা করা হয়েছে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে। প্রতিদিন গড়ে ৬ থেকে ১২ হাজার মানুষ মারা হয়েছে। গণহত্যার ইতিহাসে এই হার সবচেয়ে বেশি। এরপরও কি বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলার সন্দেহ থাকে? আসলে সংখ্যার অনির্দিষ্টকরণের পেছনে এক ধরনের রাজনীতি আছে। ঐ গণহত্যা স্মৃতি থেকে মুছে ফেলার চিন্তা করা হয়েছে। ক্ষমতা লোভের আশায় খালেদা জিয়া ইতিহাস বিকৃত করছে এবং বিষয়টিকে বিশ্বাসযোগ্য করতে বিদেশী সাংবাদিককে তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলানো হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.