![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
কয়লাচালিত আরও একটি বড় বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণে চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। চায়না হুদিয়ান হংকং কোম্পানি লিমিটেড ও বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের মধ্যে এমওইউটি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বড় বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণে চীনা কোন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এটি বাংলাদেশী সংস্থার দ্বিতীয় সমঝোতা স্মারক। প্রতিটি কেন্দ্রই হবে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের। দেশের বিদ্যুত খাতে সহায়তা বৃদ্ধির জন্য চীনের সঙ্গে সরকারের যে সমঝোতা স্মারক রয়েছে তার আলোকেই এটি করা হলো। হুদিয়ান হংকং এবং পিডিবি যৌথভাবে কক্সবাজারের মহেশখালীতে বিদ্যুত কেন্দ্রটি নির্মাণ করবে। কয়লা খালাসের জন্য সমুদ্রে পর্যাপ্ত গভীরতা থাকা এবং আশপাশে বড় বনভূমি না থাকায় পরিবেশবাদীদেরও এ বিষয়ে কোন আপত্তি নেই। বিদ্যুত উৎপাদনে মিশ্র জ্বালানির ব্যবহার এবং বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় কমাতে সরকার কয়লাচালিত বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করছে। সরকার যৌথ উদ্যোগে এ ধরনের বড় চারটি প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সরকার বিদ্যুত উৎপাদনে গ্যাসের ওপর চাপ কমাতে চাচ্ছে। এ জন্য বিকল্প উৎস কয়লা, পরমাণু বিদ্যুত কেন্দ্র এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ২০০৯ সালে দেশে বিদ্যুত উৎপাদনের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বিদ্যুত উৎপাদনে মহাপরিকল্পনা হাতে নেয়। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকার কাজ করছে। ফলে বিদ্যুত সঙ্কট ক্রমান্বয়ে কমে আসছে। এ প্রকল্পে আল্ট্রাসুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। ফলে পরিবেশ দূষণ সর্বনিম্ন পর্যায়ে থাকবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশে বিদ্যুতের যে সংকট রয়েছে তা অনেকাংশে হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.