![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
বর্তমান সরকার ভূমি ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নে ৬১টি জেলায় ডিজিটাল কার্যক্রমের উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য বেশকিছু কর্মসূচীও হাতে নেয়া হয়েছে। সর্বশেষ জরিপে প্রণীত মৌজাম্যাপ ও খতিয়ান এবং মিউটেশন খতিয়ানের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের ৭টি জেলার ৪৫ টি উপজেলার ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি (ডিএলএমএস) প্রস্তুতকরণ ও প্রবর্তনের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। জনগণকে ভূমির তথ্যাদি সম্পর্কিত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ২০ টি উপজেলায় ২০ টি ভূমি তথ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপনের নিমিত্তে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) আর্থিক সহায়তায় “কম্পোনেট -বি” শীর্ষক প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ভূমির ওপর সুবিধাবঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা আগামী জুন মাস শেষে ব্যাপকভাবে ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাইজেশনের কাজ শুরু হচ্ছে, যা স্বল্পতর সময়ে শেষ হবে। আগামী জুনে পাইলট প্রকল্প শেষে তার সফলতা নিয়ে ব্যাপক আকারে কাজ শুরু করবে সরকার। বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে তিনটি উপজেলায় ‘ভুমিতে টেকসই অধিকার’ শীর্ষক ডিজিটালাইজেশনের পরীক্ষামূলক প্রকল্প চলছে। ভূমি ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটালাইজ করতে বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের তুলনায় কম সময় নেবে। অনেক দেশে এ কাজটি করতে ২০-২৫ বছর লেগেছে। এ খাত থেকে অনিয়ম ও দুর্নীতি নিরসনের জন্য সব ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। আধুনিক পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ ও রেকর্ড হলে ভূমির ওপর সুবিধাবঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে এবং খাস জমি চিহ্নিত হবে। বিভিন্ন মৌজা মানচিত্র, সিএস ও আরএস রেকর্ডসহ অন্যান্য নথি ডিজিটালাইজ করে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়গুলোতে রাখলে এগুলো বিকৃত করার সুযোগ থাকবেনা। এই উদ্যোগ ও বাস্তবায়ন বর্তমান সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
©somewhere in net ltd.