![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
সিলেটের গোপালগঞ্জ উপজেলার কৈলাসটিলার ৭ নম্বর তেলকূপ থেকে চলতি মাসেই শুরু হচ্ছে তেল ও গ্যাস উত্তোলনের খনন কাজ। দেশে ১৯৮৬ সালে প্রথম সিলেটের হরিপুরে সিলেট-৭ থেকে তেল উত্তোলন করা হয়। মজুদ শেষ হলে ১৯৯৩ সালে এটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দেশে নতুন আরেকটি তেলখনি আবিষ্কার হওয়ায় তেল উত্তোলনের সম্ভাবনা তৈরি হয়। এ কূপে ১০৯ মিলিয়ন ব্যারেলের মজুদকৃত তেলের মধ্যে ৪৪ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উত্তোলনযোগ্য এবং প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০০ ব্যারেল তেল উত্তোলন করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া একই কূপে ৬৫৮ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ আছে। এ কূপ থেকে দৈনিক ২৫ মিলিয়মন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। কোনো কারণে বাণিজ্যিকভাবে এ কূপ থেকে তেল উত্তোলন করা না গেলেও গ্যাস উত্তোলনের সম্ভাবনা আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছর সেপ্টেম্বরে এটির উদ্বোধন করেন। এখানকার ১২টি স্তরের মধ্যে ৪টি স্তরে তেল আছে। এ ছাড়া আরও একটিতে তেল-গ্যাস মজুদ আছে। বাকি সাতটিতে গ্যাসের মজুদ আছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশের জন্য এটি অত্যন্ত ইতিবাচক। এর মধ্য দিয়ে আমরা তেল উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারব। নিজেদের চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে যে তেল আমদানি করতে হত এই তেলকূপ আবিস্কারের ফলে তা অনেকাংশে হ্রাস পাবে। তেল আমদানির জন্য যে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হত তা অনেকাংশে লাঘব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.