![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
দেশে-বিদেশে সর্বত্র জামায়াত একটি গণবিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে পরিচিত। জামায়াতের ধ্বংসাত্মক ও নেতিবাচক ভাবমূর্তি এখন সবার কাছেই সুস্পষ্ট। তাই দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি সম্ভবত তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু জামায়াত বিষয়ে একটি নয়া কৌশল অবলম্বন করেছে। স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের প্রতি জনমনে যে ক্রোধ ও ঘৃণা জমেছে, সে কারণে বিএনপি হয়ত তাদের সঙ্গ পরিত্যাগ করেছে। তবে পর্যবেক্ষকরা এটাকে বিএনপির একটি সাময়িক কৌশল হিসেবে অভিহিত করেছেন। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া তাঁর ভাষণে কোথাও জামায়াতের বিষয়ে কোন ইতিবাচক সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেননি। বরং সেই জনসভায় তিনি যা বলেছেন, তাতে তাঁকে জামায়াতের মুখপাত্র বলেই মনে হয়েছে। এ সময় বক্তৃতাকালে জামায়াতের বক্তব্যই তাঁর কণ্ঠ থেকে উচ্চারিত হয়েছে। বোঝা যাচ্ছে, বিএনপি এখন আর জামায়াতকে নিয়ন্ত্রণ করে না; বরং স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত এখন বিএনপির প্রধান চালিকাশক্তি- তারাই পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে। একাত্তর সালে জামায়াতের ধ্বংসাত্মক চেহারা জাতি খুব কাছ থেকে দেখেছে, তারা ছিল পাকিস্তানী হানাদারদের অন্যতম বড় সহযোগী। তারা যে নিয়মতান্ত্রিক দল নয়- তা তাদের গত কয়েক বছরের কর্মকা-ের মধ্য দিয়ে সবার কাছেই সুস্পষ্ট হয়েছে। এ সময় তারা হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসাত্মক তৎপরতার মধ্য দিয়ে সারাদেশে জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছিল। হত্যা, বোমাবাজি ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জামায়াতী ক্যাডারদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল বিএনপি ক্যাডাররা।জনগণের কাছে এটা এখন স্পষ্ট যে, জামায়াত ও বিএনপির মধ্যে মূলত এখন খুব বেশি তফাত নেই। সোমবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় বেগম খালেদা জিয়া বলেন, ‘বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় থাকতে দেয়া যায় না। অল্প সময়ের মধ্যে এ সরকারকে বিদায় নিতে হবে।’ তাঁর এ বক্তব্য স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতেরবক্তব্যেরপ্রতিধ্বনি।গত কয়েক বছর ধরে জামায়াত চেয়েছে, জঙ্গী তৎপরতার মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে অচল করে দিতে। তারা সব সময় চেয়েছে পেছনের দরোজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে এবং দেশে একটি তালেবানী সরকারব্যবস্থা কায়েম করতে। এখন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও অন্য বিএনপি নেতৃবৃন্দ স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের স্বার্থরক্ষার গুরুদায়িত্ব নিয়ে মাঠে নেমেছেন। অবশ্য জেনারেল জিয়া প্রতিষ্ঠিত বিএনপি অতীতেও জামায়াতের স্বার্থ সংরক্ষণ করেছে। তারাই একাত্তরের এই বর্বর খুনীদের রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসিত করেছে। সুতরাং বিএনপি-জামায়াতের মৈত্রী বহু পুরনো। এখন বেগম জিয়া যে কথাগুলো বলছেন, তার সঙ্গে একাত্তরের পাকিস্তানের সামরিক শাসকদের বক্তব্যের সঙ্গে মিল আছে। সুতরাং বর্তমান সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীকে অবশ্যই বিএনপি-জামায়াত জোটের ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের বিষয়ে হুঁশিয়ার থাকতে হবে। এরা বাঙালী জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের মুল্যবোধে বিশ্বাস করে না। জামায়াতের মুখপাত্র বর্তমান বিএনপি নেতৃত্ব দেশকে ধ্বংসের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে চায়। এদের বিষয়ে সর্বক্ষণিক সচেতনতা জরুরী।
©somewhere in net ltd.